কলকাতা থেকে বাংলাদেশ যাত্রা এবার মাত্র ১০ ঘন্টায়!
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’ ও ‘নেবারহুড ফার্স্ট পলিসি’র দিকে লক্ষ্য রেখে ভারতীয় রেলওয়ে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী অনেক নতুন রেলওয়ে লাইন প্রকল্প কার্যকর করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আগরতলা-আখাউরা আন্তর্জাতিক সংযোগী গুরুত্বপূর্ণ রেল লাইন প্রকল্প নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। ত্রিপুরার পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানিয়েছেন, সব ঠিক থাকলে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই এই প্রকল্পের নির্মাণ সমাপ্ত হয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়ে যাবে।
সংযুক্ত থাকুন এবং এই মতামতের মতো অদ্বিতীয় কনটেন্ট অনুসরণ করে থাকুন! আমরা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউবে সক্রিয়, যেখানে আপনি সংগ্রহে পরিপূর্ণ এবং উৎসাহজনক পোস্ট পাবেন। আমাদের সম্প্রদায়ে যুক্ত হয়ে সংস্কৃতিক অন্বেষণ এবং শিল্প বিস্ময়ে একটি প্রয়াসে যান। আজই আমাদের সাথে যুক্ত হয়ে আমাদের জীবন্ত অনলাইন উপস্থিতির অংশ হোন!
Facebook : https://www.facebook.com/JiyoBangla/
Instagram : https://www.instagram.com/jiyobangla/?hl=en
YouTube : https://www.youtube.com/c/JiyoBangla
0 notes
বাংলাদেশে বিদ্যুচ্চালিত ট্রেন প্রকল্পের সম্ভাবনা
ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ হয়ে জামালপুর পর্যন্ত একটি মিটার গেজ রেলপথ রয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের। জামালপুর থেকে রেলপথটি শেরপুর-বকশীবাজার হয়ে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা পর্যন্ত সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে সংস্থাটির। এ অংশে নতুন একটি ডুয়াল গেজ রেলপথ নির্মাণের জন্য সমীক্ষা ও নকশা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে ঢাকার জয়দেবপুর থেকে নতুন আরেকটি ডুয়াল গেজ রেলপথ নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে সংস্থাটির। রেলওয়ের এ পরিকল্পনার মধ্যে রুটটিতে বিদ্যুচ্চালিত ট্রেন প্রবর্তনের একটি প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে এসেছে চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন লিমিটেড (সিএসসিইসি) নামের একটি কোম্পানি। জিটুজি ভিত্তিতে তারা এ রুটে বিদ্যুচ্চালিত ট্রেন চালুর প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি করে দিতে চায়।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশের মেগা প্রকল্প
চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএসসিইসি বর্তমানে টাঙ্গাইল-রংপুর চার লেন মহাসড়ক প্রকল্পের তিন প্যাকেজের কাজ বাস্তবায়ন করছে। পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী কেন্দ্র নির্মাণেও কাজ করেছে এ প্রতিষ্ঠান। চলমান ও সম্পন্ন করা এসব কাজের উদাহরণ দিয়ে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে সিএসসিইসি জানিয়েছে, তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ-জামালপুর-রৌমারীর মধ্যে ইলেকট্রিক ট্রেন প্রবর্তনের জন্য একটি প্রকল্পে কাজ করতে চায়। প্রস্তাবে চীনে ও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রেলপথসহ বিভিন্ন ধরনের যোগাযোগ অবকাঠামো তৈরির অভিজ্ঞতার কথাও উল্লেখ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ঢাকা-রৌমারীর মধ্যে বিদ্যুচ্চালিত রেলপথ তারা জিটুজি পদ্ধতিতে করে দিতে চায়।
আরও পড়ুনঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেগা প্রকল্পে বাংলাদেশ
২০১৭ সালে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে জারি করা এক পরিপত্রে বলা আছে, চীন সরকারের অর্থায়নে জিটুজি ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা প্রকল্পের ক্ষেত্রে সীমিত দরপত্র পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। যেহেতু এখন পর্যন্ত সরাসরি দরপত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ে কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করেনি, সেহেতু চীনের প্রস্তাবিত প্রকল্পটি নিয়ে আরো যাচাই-বাছাই করতে চায় তারা।
আরও পড়ুনঃ মেগাপ্রকল্পে বাংলাদেশের উন্নয়নচিত্র
এরই মধ্যে ইলেকট্রিক ট্রেন চালুর প্রস্তাবের ওপর একটি মতামত তৈরি করেছে রেলওয়ে। এতে বলা হয়েছে, সিএসসিইসির দাখিল করা প্রস্তাবটির বিষয়ে বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের অবস্থান অর্থাৎ চীন সরকারের অবস্থান কী তা জানা যেতে পারে। সিএসসিইসির প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অর্থায়নে চীন সরকারের সংশ্লিষ্টতা কতখানি তা জানা যেতে পারে। সেই সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অর্থায়নের বিষয়ে চীন সরকারের পক্ষ থেকে কীভাবে গ্যারান্টি দেয়া হবে তাও নিশ্চিত হতে হবে।
রেলওয়ের মতামতে আরো বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠানের প্রকল্পে অর্থায়নের ক্ষেত্রে ঋণের শর্তগুলো কী ধরনের হয়, সে সম্পর্কে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের মতামত নেয়া যেতে পারে। আলোচ্য প্রতিষ্ঠানের দাখিল করা প্রস্তাবে ঋণ পরিশোধের হার, অন্যান্য প্রকৃতির ঋণের তুলনায় এ পদ্ধতিতে ঋণ গ্রহণের সুবিধা ও ঝুঁকির বিষয়টি সুস্পষ্ট হতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে কীভাবে গ্যারান্টি দেয়া হয়, তাও জানা প্রয়োজন বলে মত দিয়েছে রেলওয়ে।
আরও পড়ুনঃ এক নজরে বাংলাদেশের উন্নয়ন
ঢাকা-ময়মনসিংহ-রৌমারী রুটে বিদ্যুচ্চালিত ট্রেন প্রবর্তনের জন্য চীনা প্রতিষ্ঠানের আগ্রহের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বর্তমান সরকার ধারাবাহিকভাবে রেলের উন্নয়ন করছে। আমরা পর্যায়ক্রমে দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ রেলপথকে ব্রড গেজে রূপান্তর করব। বিদ্যুচ্চালিত ট্রেনও গুরুত্বপূর্ণ রেল রুটগুলোয় প্রবর্তনের জন্য আমরা কাজ করছি। উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থা বাংলাদেশ রেলওয়ে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। আমরা উন্নয়ন সহযোগীদের সবসময় স্বাগত জানাই। তাদের প্রস্তাবগুলো সরকার ��াচাই-বাছাই করে দেখছে।’
প্রসঙ্গত, এর আগে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের মধ্যে হাইস্পিড রেলপথ নির্মাণের জন্য একই ধরনের প্রস্তাব দিয়েছিল চীনের দুই কোম্পানি। চায়না রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিআরসিসি) ও চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশনের (সিসিইসিসি) প্রস্তাব ছিল, ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে হাইস্পিড রেলপথ নির্মাণের জন্য তারা প্রথমে নিজেদের মালিকানাধীন একটি কোম্পানি গঠন করবে। এ কোম্পানি গঠন করা হবে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন-কানুন মেনে। রেলপথটি নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থানও করবে এ কোম্পানি। সুদসহ রেলপথটির নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও ট্রেন পরিচালনার ব্যয় এবং কোম্পানির লাভসহ যে অর্থ খরচ হবে, তা ঋণ হিসেবে দেয়া হবে। সিআরসিসি ও সিসিইসিসি স্বল্প সুদে ব্যাংকঋণেরও ব্যবস্থা করে দেবে। তবে এ ঋণ শোধ করতে হবে বাংলাদেশ রেলওয়েকে। ঋণ শোধ করার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে সময় পাবে ২০ বছর। প্রতি বছর দুটি করে মোট ৪০টি কিস্তিতে ঋণ শোধ করতে হবে। ঋণের জামিনদার হবে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুনঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ
পরবর্তী সময়ে একই রেলপথ নির্মাণের জন্য চীনেরই আরেক প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ডিজাইন করপোরেশন (সিআরডিসি) একই রুটে হাইস্পিড রেলপথ নির্মাণের প্রস্তাব দেয়। এ প্রস্তাবে প্রতিষ্ঠানটি রেলপথ তৈরি করে দেয়ার বদলে সেটির ৮০ শতাংশ মালিকানা দাবি করে।
কোনো বিরোধী দলীয় (বিএনপি, জামাআত) অপশক্তি (পিনাকী ভট্টাচার্য, তাসনিম খলিল, তারেক, নুরু ) গুজব বা বিভ্রান্তি ছড়িয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন থামিয়ে রাখতে পারবে না। সকল বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের শীর্ষে পৌঁছাবে। #এখনইসময় #উন্নয়ন #বাংলাদেশ #শেখহাসিনা #ওবায়দুলকাদের #ডিজিটালবাংলাদেশ
0 notes
বাংলাদেশের সেরা দশ মেগা প্রকল্প | Top ten mega projects in Bangladesh
বাংলাদেশে এযাবৎ কালের সবচেয়ে বড় প্রকল্প গুলোর কাজ চলমান রয়েছে। এসকল মেগা প্রকল্প গুলো সঠিকভাবে সম্পাদনের ফলে দেশের সার্বিক অবস্থার অনেকটাই পরিবর্তন হবে বলে আশা করা যায়। দেশের মানুষ যেমন দ্রুত যোগাযোগ ব্যাবস্থা পাবে ঠিক তেমনি দেশের অর্থনীতিতেও আসবে আশানুরূপ ফলাফল। পৃথিবীতে উন্নত দেশ গুলো যেমন জ্ঞান বিজ্ঞানে এগিয়ে তেমনি অবকাঠামোগত দিক দিয়েও সুউচ্চ, সেসব দেশের সাথে পাল্লা দিয়ে আমাদের দেশ ও এগিয়ে যাচ্ছে , তৈরি হচ্ছে বিশাল বিশাল মেগা প্রকল্প যা আগামী দিন গুলোতে বাংলার মানুষকে সুফল দিবে। দেশ স্বনির্ভর হচ্ছে দিনকে দিন, দেশের মাটি দেশের মানুষ ও স্বনির্ভর হচ্ছে। নানান বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ বাধা-বিপত্তি ও সমস্যা থাকা সত্ত্বেও দেশের সরকার প্রস্তাবিত ও চলমান মেগা প্রকল্প গুলোর সঠিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দি বাংলা রিডার দেশের চলমান সেরা দশটি মেগা প্রকল্প আপনাদের সম্মুখে তুলে ধরছে।
mega projects in Bangladesh
Bangladesh development update
Bangladesh development
3rd_terminal
বাংলাদেশের মেগা প্রকল্প
১) পদ্মা সেতু
৩৫৬ কোটি ডলার ব্যয়ে সেতুটির কাজ ইতিমধ্যে ৮৭.২৫% সম্পন্ন হয়েছে।
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর নির্মাণাধীন একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের সাথে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলা যুক্ত হবে। ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সাথে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটবে। বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশের জন্য পদ্মা সেতু হতে যাচ্ছে এর ইতিহাসের একটি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ প্রকল্প। দুই স্তর বিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাস ব্রিজটির ওপরের স্তরে থাকবে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরটিতে থাকবে একটি একক রেলপথ। পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্পান ইতিমধ্যে বসানো সম্পন্ন হয়েছে, ৬.১৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮.১০ মিটার প্রস্থ পরিকল্পনায় নির্মিত হচ্ছে দেশটির সবচেয়ে বড় সেতু। পদ্মা সেতুনির্মাণ ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বরে শুরু হয়েছিল এবং নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি জানিয়েছে, পদ্মা সেতু যান চলাচলের উপযোগী হতে ২০২২ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত লেগে যাবে। পদ্মা বহুমুখী সেতু, চালু হলে, বাংলাদেশের জিডিপি ১.২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও জানুনঃ
পাবনার বিখ্যাত গান
নগরবাড়ি ঘাট,পাবনা
২) ঢাকা মেট্রোরেল – লাইন ৬
২৮০ কোটি ডলার ব্যয়ে ঢাকা মেট্রোরেলের (লাইন-৬) কাজ ইতিমধ্যে ৬৮.৪৯% সম্পন্ন হয়েছে।
রাজধানী ঢাকায় নির্মাণাধীন শহরভিত্তিক রেল ব্যবস্থা হচ্ছে ঢাকা মেট্রো যা আনুষ্ঠানিকভাবে ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট বা সংক্ষেপে এমআরটি (MRT) নামে পরিচিত। ২০১৩ সালে অতি জনবহুল ঢাকা মহানগরীর ক্রমবর্ধমান যানবাহন সমস্যা ও পথের দুঃসহ যানজট কমিয়ে আনার লক্ষ্যে কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয় যার অধীনে প্রথমবারের মত ঢাকায় মেট্রো রেল স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে প্রণীত সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা অনুসারে ঢাকায় নির্মিতব্য মেট্রো রেলের লাইনের সংখ্যা ৩টি থেকে বাড়িয়ে ৫টি করা হয়। প্রথম পর্যায়ে নির্মাণের জন্য উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০.১ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি লাইন ৬ (MRT Line-6) কে নির্বাচন করা হয়। ২০১৬ সালের ২৬ জুন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এমআরটি লাইন-৬ এর নির্মাণকাজ শুরু হয়।
৩) কর্ণফুলী টানেল বা কর্ণফুলী সুড়ঙ্গ
১২০ কোটি ডলার ব্যয়ে কর্ণফুলী টানেলের কাজ ইতিমধ্যে ৭২% সম্পন্ন হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল (বা কর্ণফুলী সুড়ঙ্গ) হল কর্ণফুলী নদীর নিচে অবস্থিত একটি প্রস্তাবিত নদী সুড়ঙ্গ।এই সুড়ঙ্গটি কর্ণফুলী নদীর দুই তীরের অঞ্চলকে যুক্ত করবে।এই সুড়ঙ্গ মধ্য দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক যুক্ত হবে। কর্ণফুলী সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য ৩.৪৩ কিলোমিটার।এই সুড়ঙ্গটি নির্মাণ হলে এটিই হবে বাংলাদেশ এর প্রথম সুড়ঙ্গ পথ। চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন এ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি) এই সুড়ঙ্গ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। চট্টগ্রাম শহরপ্রান্তের নেভাল একাডেমির পাশ দিয়ে শুরু হওয়া এই সুড়ঙ্গ নদীর দক্ষিণ পাড়ের সিইউএফএল (চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড) এবং কাফকো (কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার লিমিটেড) কারখানার মাঝামাঝি স্থান দিয়ে নদীর দক্ষিণ প্রান্তে পৌঁছাবে। কর্ণফুলী নদীর মধ্য���াগে কর্ণফুলী সুড়ঙ্গ অবস্থান করবে ১৫০ ফুট গভীরে।
আরও জানুনঃ
সারাদেশে একসাথে ১০০টি সেতু উদ্বোধন উন্নয়নের নতুন মোচন
জন্মনিবন্ধনে লাগবে না মা বাবার তথ্য | New rules for Online Birth Certificate
৪) চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলওয়ে লিংক
২১৩ কোটি ডলার ব্যয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলওয়ে লিংকের কাজ ইতিমধ্যে ৬২% সম্পন্ন হয়েছে।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার লাইন বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি রেলপথ। এই লাইনটি পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়।
৫) বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু
১৬০ কোটি ডলার ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর কাজ ইতিমধ্যে ১% সম্পন্ন হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু 8.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল সেতু যা দেশের বৃহত্তম রেল সেতু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যমুনা বহুমুখী সেতু বা বঙ্গবন্ধু সেতু বাংলাদেশের যমুনা নদীর উপরে অবস্থিত একটি সড়ক ও রেল সেতু। ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট এই সেতুটি বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দীর্ঘতম সেতু। ১৯৯৮ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। এটি যমুনা নদীর পূর্ব তীরের ভূঞাপুর এবং পশ্চিম তীরের সিরাজগঞ্জকে সংযুক্ত করে। এটি বিশ্বে ১১তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার ৬ষ্ঠ দীর্ঘতম সেতু। যমুনা বাংলাদেশের প্রধান তিনটি নদীর মধ্যে বৃহত্তর এবং প্রবাহিত পানি আয়তানিক পরিমাপের দিক থেকে বিশ্বে পঞ্চম বৃহত্তম। সেতুটি বাংলাদেশের পূর্ব এবং পশ্চিম অংশের মধ্যে একটি কৌশলগত সংযোগ প্রতিষ্ঠিত করে। এটি অত্র অঞ্চলের জনগণের জন্য বহুবিধ সুবিধা বয়ে আনে, বিশেষত অভ্যন্তরীন পণ্য এবং যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থা দ্রুত করে। পরবর্তিতে এই সেতুর নামকরণ করা হয় বঙ্গবন্ধু সেতু। যমুনা সেতু স্থাপনের জন্য প্রথম উদ্যোগ নেয়া হয় ১৯৪৯ সালে। মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী প্রথম এ উদ্যোগ নেন। কিন্তু তখন তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। ১৯৯৪ সালের ১৫ অক্টোবর এর কাজ শুরু হয় এবং ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন
বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়ন
ডিজিটাল বাংলাদেশ
পিনাকী
আরও জানুনঃ
রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্প ঘিরে বদলে গেছে ঈশ্বরদী
চাঙ্গির আদলে নির্মিত হচ্ছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল | Dhaka Airport Update
৬) হযরত শাহজালাল (রঃ) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল – ৩
২৫০ কোটি ডলার ব্যয়ে হযরত শাহজালাল (রঃ) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল – ৩ এর কাজ ইতিমধ্যে ২২% সম্পন্ন হয়েছে।
হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রাজধানী ঢাকার কুর্মিটোলায় অবস্থিত বাংলাদেশের প্রধান এবং সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এটি ১৯৮০ সালে এর কার্যক্রম শুরু করার পরে, পূর্বের বাংলাদেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছিল তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে এর কার্যক্রম স্থানান্তর করা হয়। এটি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ-সহ বাংলাদেশের সকল এয়ার লাইন্সগুলোর হোম বেস। ১,৯৮১ একর এলাকা বিস্তৃত এই বিমানবন্দর দিয়ে দেশের প্রায় ৫২ শতাংশ আন্তর্জাতিক এবং আভ্যন্তরীন ফ্লাইট উঠা-নামা করে, যেখানে চট্টগ্রামে অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রায় ১৭ শতাংশ যাত্রী ব্যবহার করে। এ বিমানবন্দর দিয়ে বার্ষিক প্রায় ৪০ লক্ষ আন্তর্জাতিক ও ১০ লক্ষ অভ্যন্তরীন যাত্রী এবং ১৫০,০০০ টন ডাক ও মালামাল আসা-যাওয়া করে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বাংলাদেশকে বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর সাথে সংযুক্ত করেছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এই বিমানবন্দর থেকে ইউরোপ এবং এশিয়ার ১৮টি শহরে চলাচল করে।
৭) রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র
১২৬৫ কোটি ডলার ব্যয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ ইতিমধ্যে ৭৭% সম্পন্ন হয়েছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে ২.৪ গিগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি পরিকল্পিত পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র যা বাংলাদেশের পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর নামক স্থানে নির্মীত হচ্ছে। এটি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র যার প্রথম ইউনিট ২০২৩ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করবে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি রাশিয়ার রোসাটোম স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি কর্পোরেশন কর্তৃক নির্মিত হচ্ছে।
আরও জানুনঃ
চলনবিলের শুটকি রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে | chalan Beel | natore | dry fish | export
৫০ শিল্প ইউনিট ও অবকাঠামো উদ্বোধন | নতুন কর্মসংস্থান ১ কোটি মানুষের | Economic Zone | Business News
৮) মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর
২৪০.৯ কোটি ডলার ব্যয়ে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর কাজ ইতিমধ্যে ১৮% সম্পন্ন হয়েছে।
মাতারবাড়ি বন্দর হল বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের, কক্সবাজার জেলার, মাতারবাড়ি এলাকার প্রস্তাবিত গভীর সমুদ্র বন্দর। কক্সবাজার জেলার মহেশখালীতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আনা কয়লাবাহী জাহাজ ভেড়ানো জেটিকে সম্প্রসারণ করে পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যিক বন্দর হিসাবে নির্মাণ করা হবে। এই বন্দরে অন্তত ১৫ মিটার গভীরতা বা ড্রাফটের জাহাজ অনায়াসে প্রবেশ করতে পারবে। প্রস্তাবিত মাতারবাড়ি বন্দরের গভীরতা ১৬ মিটার হওয়ায় প্রতিটি জাহাজ ৮ হাজারের বেশি কন্টেইনার আনতে পারবে। বর্তমানে, ৯-মিটারের চেয়ে কম খসড়া গভীরতার জাহাজ দেশের দুটি সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম এবং মোংলাতে প্রবেশ করতে পারে। মাতারবাড়ি বন্দর স্থাপনের কাজে প্রায় ১৪.৩ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি নৌ-চ্যানেল তৈরি করছে জাইকা। প্রধান ন্যাভিগেশনাল চ্যানেল ৩৫০ মিটার প্রশস্ত। সে সাথে বন্দরের অর্থায়নে নির্মাণ করা হবে ১০০ মিটার দীর্ঘ জেটি। ২০২৬ সালের নভেম্বর গভীর সমুদ্রবন্দরটির বহুমুখী টার্মিনাল কন্টেইনার জাহাজের জন্য প্রস্তুত হবে এবং ২০২২ সালের আগস্টের মধ্যে একটি কয়লা টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে।
৯) শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম
১৩ কোটি ডলার ব্যয়ে শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম এর কাজ ইতিমধ্যে চলমান। শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম যা নৌকা নামেও পরিচিত একটি বাংলাদেশের খেলার মাঠ, যা ঢাকার পূর্বাচল এলাকায় নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এটিই হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সদরদপ্তর এবং বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ- বিপিএল এ ঢাকা ডায়নামাইটস এর ঘরোয়া মাঠ। পরিকল্পনাধীন রয়েছে, ২০১৮-১৯ বিপিএল মৌসুমে ঢাকা ডায়নামাইটসকে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম এর পরিবর্তে এটিই ব্যবহার করানো হতে পারে। সর্বমোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১১০০ কোটি, অথবা প্রায় ১৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, মার্চ ২০১৭ এর হিসাব অনুযায়ী। কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সটি হবে আসন ক্ষমতার দিক থেকে দ্বিতীয় বৃহত্তম স্টেডিয়াম এবং এশিয়ার মধ্যে সর্বাধিক ব্যয়বহুল ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
১০) লিগ্যাসি টাওয়ার (পূর্বাচল, ঢাকা)
লিগ্যাসি টাওয়ার হচ্ছে একটি প্রস্তাবিত ৪৬৫ মিটার (১,৫২৬ ফু) ১৪২তলা বিশিষ্ট আকাশচুম্বী ভবন, যা নির্মিত হবে পূর্বাচল নতুন শহর, ১৯ নম্বর সেক্টর, বাংলাদেশে। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটি এই অঞ্চলের ব্যবসায় বাণিজ্যের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে এবং একে ঘিরে আরো কয়েকটি বাণিজ্যিক ভবন লিবারেশন টাওয়ার, ল্যাঙ্গুয়েজ টাওয়ার নির্মিত হবে। এর নির্মাণের জন্য ২০১৬ সালে একটি আন্তর্জাতিক দরপত্র আহব্বান করা হয়েছে।
আরও জানুনঃ
নাটোর
রাজশাহী
পাবনা
নওগাঁ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠাতে লাগবে না চার্জ, পাবেন যেসকল সুযোগ সুবিধা | প্রবাসী সুখবর | Remittance
চিনের সাংহাই সিটির মতো চট্টগ্রামে হবে ওয়ান সিটি টু টাউন | Karnaphuli Tunnel | bangabondhu tunnel
ইলেকট্রিক বাসের যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ | Electric Bus | Walton Electric Bus| BRTC | E Bus Dhaka
বাংলাদেশের তৈরি টি শার্টে কাতার বিশ্বকাপ মাতাবে মেসি নেইমাররা | Qatar World Cup 2022 | Fifa jersey
কাতার বিশ্বকাপ ফ্লাগ প্লাজায় পতাকায় বিশ্বের সামনে বাংলাদেশ | Qutar World Cup 2022 | FIFA | BD FLAG
Know more:
Natore
Rajshahi
Pabna
Naogaon
Chapai nawabganj
Know more about Bangladesh: Bangladesh update news, Bangladesh news, Bangladesh top news update, Bangladesh daily news, Bangladesh politics, Bangladesh Politics Update
0 notes