Tumgik
#রক্তের বিভিন্ন রোগ
diseasecure · 7 months
Text
#ডেংগু রোগ #চিন্তার বিষয়। (শেষ)
#ডেঙ্গু রোগে রক্তের #প্লাটিলেট এর সংখ্যা কমে যাওয়ার দরুন রক্ত জমাট বাধার প্রক্রিয়াটি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে ভিটামিন-কে বেশি আছে এমন খাবার, যেমন- পালং শাক, ব্রোকলি, মাংস বিশেষ করে কবুতরের বাচ্চার মাংস, কলিজা, মটরশুঁটি, পনির ইত্যাদি খেলে বেশ তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। 
#ডেঙ্গু রোগে রোগীর মুখের খাবারের রুচি বেশ কমে যায়। তাই রোগী যাতে সহজেই খাবার খেতে পারে এবং হজমের সুবিধার জন্য বিভিন্ন ধরনের স্যুপ, পাতলা খিচুড়ি, নরম খাবার ইত্যাদি দিয়ে শুরু করতে পারেন। বেশি তেল, মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে যাতে পেটে গ্যাস বা বদহজম না হয়। 
#ডায়াবেটিক ও #কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে অবশ্যই বাড়তি সতর্কতা মেনে চলতে হবে। রোগ ভেদে রোগীর খাদ্য তালিকা অবশ্যই ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের হবে। রোগীদের প্রতিদিনের রক্ত পরীক্ষার ফল, শারীরিক অবস্থা, পছন্দ অপছন্দের ওপর নির্ভর করে খাবার তৈরি করতে হবে যাতে রোগী তার রুচি অনুযায়ী খেতে পারে ও তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে পারে।
সমাপ্ত।
(লক্ষ্য করুনঃ এটি কেবলমাত্র একটি স্বাস্থ্য সচেতনতা মূলক লেখা। আপনার যে কোন শারীরিক সমস্যার জন্য, দয়া করে, একজন রেজিষ্টার্ড বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।)
(বি.দ্র. এই প্রবন্ধটি লিখতে দেশী-বিদেশী অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞদের লেখা থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ঐ সব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লেখকদের সবার নিকট আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। যদি অনিচ্ছা বশত কোন তথ্য ভুল বা বিকৃতভাবে উল্লেখ করে থাকি, তার জন্য পাঠকসহ সকলের কাছে বিনীত ক্ষমা প্রার্থনা করছি।)
0 notes
seoasraful · 7 months
Text
এপ্রিকট-খাওয়ার-উপকারিতা:
বাংলায় এপ্রিকটকে বলা হয় খুবানি। এই কমলা-হলুদ ফলটি  আশ্চর্যজনক কারণ এটি এত পুষ্টিকর। এটি মূলত চীনে তৈরি। এটি বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয়। এপ্রিকট মিষ্টি, সামান্য টক এবং সুস্বাদু। ক্যালোরি এবং চর্বি কম হলেও এটি ভিটামিন এ এবং সি সমৃদ্ধ। এতে প্রোটিন, ফাইবার, পটাসিয়াম এবং ভিটামিন ই এর মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এই ছোট, মোটা ফলের স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলি যেনে নেওয়া যাক। এপ্রিকটের ব্যবহার 
Tumblr media
👉 রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ: ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। তাই স্বাস্থ্যকর চিনির মাত্রা বজায় রেখে আপনার শরীরকে পুষ্টি জোগায় এমন খাবার বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এপ্রিকটে থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই সহায়ক কারণ এতে কার্বোহাইড্রেট এবং ক্যালোরি কম থাকে। 
👉 দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়: আজকাল শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই চশমা পরেন। যদিও খুব কম লোকই এটিকে খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে, তাদের বেশিরভাগেরই দৃষ্টি সমস্যা রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ক্যারোটিনয়েড এবং ভিটামিন এ-এর মতো উপাদানের অভাব থাকে। আরও পড়ুন: তিসি বীজের ১০ টি বিশেষ উপকারিতা যা আমাদের প্রতিদিন খাওয়া উচিত বয়স সম্পর্কিত চোখের রোগ। আবার এর ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করে। 
👉 হজম শক্তি শক্তিশালী করে: বাঙালিদের জন্য সব সময় স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করা কঠিন। এই কারণে এটি প্রায়শই হজমের সমস্যার ক্ষেত্রে পরা হয়। সাধারণ এপ্রিকট আপনাকে এই ধরনের ঝামেলা থেকে বাঁচাবে। এর ফাইবার সমৃদ্ধতা আপনার হজমকে সহজ করবে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেট ফাঁপাও দূর করবে। 
👉 লিভারকে রক্ষা করুন: লিভার মানবদেহের দ্বিতীয় বৃহত্তম অঙ্গ। লিভারে অতিরিক্ত চর্বি হেপাটাইটিসের কারণ হতে পারে, যা লিভারের ক্ষতি করতে পারে। এপ্রিকট ফ্যাটি লিভার রোগ থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও, এটি লিভারের পুনর্জন্ম প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। 
👉 এপ্রিকট (Apricot) ওজন কমাতে সাহায্য করে: অতিরিক্ত ওজন অনেক শারীরিক রোগের দিকে নিয়ে যায়। স্থূল ব্যক্তিরাও মানসিক চাপ বা বিষণ্নতায় বেশি ভোগেন। তাই সুস্বাস্থ্য এব��� মানসিক শান্তি উভয়ের জন্যই ওজন কমানো প্রয়োজন। এপ্রিকট খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকতে সাহায্য করে। ফলস্বরূপ, খাবারের আকাঙ্ক্ষার প্রবণতা হ্রাস পায়, যা আপনার ওজন কমানোর যাত্রাকে অনেক সহজ করে তোলে। 
👉 অ্যানিমিয়া বা অ্যানিমিয়া: এপ্রিকটে থাকা আয়রন অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে। আয়রন হিমোগ্লোবিনের উৎপাদনকে প্রভাবিত করে এবং রক্তের গুণমান উন্নত করে। 
👉 হাড় গঠনে সাহায্য করে: বয়সের সাথে সাথে হাড়ের ক্ষয়ের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। জয়েন্টের সমস্যা থেকে যায়। এর প্রধান কারণ ক্যালসিয়ামের অভাব। এপ্রিকট ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। পটাসিয়াম হাড়ের মধ্যে ক্যালসিয়ামের সঠিক শোষণে অবদান রাখে। এপ্রিকটেও এই পুষ্টি পাওয়া যায়। এটি আপনার হাড়ের গঠনকে শক্তিশালী করবে এবং হাড়ের ক্ষয় রোধ করবে। 
👉 শ্বাসযন্ত্রের সুরক্ষা: অনেকেই হাঁপানি বা হাঁপানির মতো শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভোগেন। সর্দি-কাশি বা ফ্লুর মতো সমস্যাও রয়েছে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ফ্ল্যাভোনয়েডগুলি হাঁপানির উন্নতি করতে পারে। এপ্রিকটে উপস্থিত ভিটামিন ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এই প্রক্রিয়াটি  ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং সর্দি-কাশি এবং ফ্লুর মতো সমস্যা প্রতিরোধ করে। আবার, এপ্রিকটে থাকা বিটা-ক্যারোটিন জ্বর নিরাময়ে সাহায্য করে। 
👉 গর্ভাবস্থায় পুষ্টির চাহিদা পূরণ করুন: মা ও শিশুর স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে গর্ভাবস্থায় পুষ্টির চাহিদা বৃদ্ধি পায়। তাই এ সময় পুষ্টিকর খাবার যোগ করা প্রয়োজন। এপ্রিকট খুবই পুষ্টিকর একটি ফল। গর্ভাবস্থায় তামা এবং লোহা দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই বরই সম্পর্কে সুস্বাদু কি? 
👉 ত্বকের যত্নে: আমাদের ত্বক প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পরিবেশগত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অতিবেগুনি রশ্মি, রোদে পোড়া, মেলানিনের অভাব ইত্যাদির কারণে ত্বকের ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ হতে পারে। তবে ভয়ের কিছু নেই। ভালো খাবারের মাধ্যমে এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। 
👉 অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার আপনার ত্বককে রক্ষা করতে পারে। এপ্রিকটে রয়েছে ভিটামিন ই এবং সি, যা সুস্থ ত্বকের জন্য অপরিহার্য। ভিটামিন সি ইউভি-প্ররোচিত ত্বকের প্রদাহ এবং অন্যান্য ক্ষতি কমায়। ভিটামিন ত্বককে কোলাজেন তৈরি করতেও সাহায্য করে। এছাড়াও রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, যা আপনার ত্বক থেকে রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে। Apricot Benefits এই আশ্চর্যজনক ফলটি আপনার খাদ্যতালিকায় যোগ করুন এবং এর অবিশ্বাস্য উপকারিতা কাটুন। 
✅ ভালো খান, সুস্থ থাকুন, আবরার_ফ্যাশন_এ্যাপারেলস এর সাথে থাকুন।
1 note · View note
24x7newsbengal · 10 months
Link
0 notes
usbanglabarta · 1 year
Text
চিকিৎসা বিজ্ঞানে সায়ম (রোজা) এর উপকারিতা
*চিকিৎসা_বিজ্ঞানে( রোজা)সাওমের উপকারিতাঃ* মাওলানা মুফতি মোঃ আবু সাঈদ সৈয়দঃ নিম্নে রোজার উপকারিতা পেশ করা হলোঃ-   ১.সাওম বিভিন্ন রোগ জীবাণু ধ্বংস করে। ২.শারীরিক সুস্হতা আনয়ন করে। ৩.সাওম পালনকারী শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্হ থাকতে পারে। ৪.সাওম সাধনার মাধ্যমে রক্তের পরিচ্ছন্নতা তৈরী হয়। ৫.সাওম রয়েছে মানব জাতির রোগ মুক্তি। ৬.সাওম শরীরের প্রবাহমান পদার্থসমুহের মধ্যে ভারসাম্য ঠিক রাখে। ৭.সাওম স্নায়ুবিক…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
ikpmart · 2 years
Text
ভেটকি মাছ
নদী, নদীর মোহনা এবং উপকূলীয় এলাকার জলাভূমিতে খুব সহজে খাপ খাইয়ে নিতে পারে এমন একটি মাছ হলো- ভেটকি মাছ। এই মাছ সাধারণত বেশি ঘনত্বেও চাষ করা যায়। অন্যান্য মাছের তুলনায় ভেটকি মাছের চাষ পদ্ধতি সহজ হয়ে থাকে। এই মাছটি খেতে খুবই সুস্বাদু। ভেটকি মাছে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। যেমন: আমিষ, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন- এ, ভিটামিন- বি, ভিটামিন- ডি, ক্যালসিয়াম, জিংক, লৌহ, খনিজ পদার্থ, ম্যাগনিসিয়াম, পটাসিয়াম এবং সিলেনিয়াম ইত্যাদি। এসব উপাদান মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে থাকে, রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে থাকে এমনকি শরীর গঠন এবং বৃদ্ধির কাজেও সহায়তা করে থাকে। ভেটকি মাছ সাধারণত ভেঁজে খাওয়া যায়, ভেটকি মাছের কালিয়া রান্না করা যায়, বিভিন্ন সবজি দিয়ে ভেটকি মাছের তরকারি রান্না করা যায় ইত্যাদি। সুস্বাদু এই ভেটকি মাছ পাওয়া যাচ্ছে এখন আমাদের ফেসবুক পেইজ IKP Mart এ। ভেটকি মাছ পেতে আজই যোগাযোগ করুন আমাদের ফেসবুক পেইজ IKP Mart এর সাথে।
Tumblr media
0 notes
luckytigerbird · 2 years
Text
নাকের পলিপাস কি? এটি থেকে বাঁচার উপায়
নাকের পলিপাস কি? এটি থেকে বাঁচার উপায়
পলিপাস কি?   নাকের পলিপাস একটি খুবই মারাত্মক রোগ। পলিপাস থেকে বাঁচতে কিছু বিষয় জানা অত্যন্ত জরুরি।    মানবদেহের রক্তের ইসনোফিল ও সিরাম আইজিই এর পরিমাণ বেড়ে গেলে ঠান্ডা, সর্দি, হাঁচি লেগে থাকে এবং নাকের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে যা শ্লৈষ্মিক ঝিল্লিগুলোতে অ্যালার্জি প্রদাহ সৃষ্টি করে। এক ধরনের মাংসপিন্ড ধিরে ধিরে বাড়তে থাকে । প্রথমে এটি আকারে ছোটো থাকে এবং মটরশুটির মতো দেখা যায় ।…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
healthinfobd · 2 years
Text
থ্যালাসেমিয়া রোগীদের চিকিৎসা, নিয়ন্ত্রন ও প্রতিরোধ!
থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia) একটি জিনঘটিত রক্তের রোগ যা বংশগত ভাবে বাবা-মা’র থেকে বাচ্চাদের মধ্যে সঞ্চারিত হয়। NCBI এর তথ্য অনুযায়ী সারা বিশ্বে এই রোগের ২৭০ মিলিয়ন বাহক রয়েছে আর যার দ্বারা প্রতি বছর ৩-৪ লাখ অসুস্থ্য শিশু জন্ম গ্রহণ করে থাকে। সচেতনতাই হতে পারে এই রোগের একমাত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা।
থ্যালাসেমিয়া কি?
প্রথমত জানতে হবে থ্যালাসেমিয়া কি এবং কেমন ধরনের রোগ।এটি কি কোন ছোঁয়াচে রোগ যা মহামারী আকারে করোনার মত ছড়িয়ে পড়তে পারে না;এটি কোন ছোঁয়াচে রোগ নয় তবে এটি একটি প্রাণঘাতী ব্যাধি আর উপযুক্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা ও সচেতনতা ব্যতীত এই রোগ বংশগত ভাবে ব্যাপক আকারে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে প্রবাহিত হয়ে থাকে।
সাধারণত এই রোগের ক্ষেত্রে শরীরের হিমোগ্লোবিন (Hemoglobin) কণার উৎপাদনে ত্রুটি হয়। হিমোগ্লোবিন হচ্ছে লোহিত রক্তকণিকার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা ফুসফুস থেকে শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন সরবরাহ করার কাজ করে থাকে। আলফা ও বিটা চেইন নামক দুই রকম চেইনের সমন্বয়ে অস্থিমজ্জায় (bone marrow) হিমোগ্লোবিন তৈরি হয়।
থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে এই দুইটি চেইনের যে কোন একটি অথবা উভয়েই সমস্যা/ ত্রুটি থাকে আর যার দরুন হিমোগ্লোবিনের উৎপাদন ব্যাহত হয়। ত্রুটিপূর্ণ হিমোগ্লোবিনের কারণে লোহিত রক্ত (RBC) কণিকাগুলো তার স্বাভাবিক আয়ুস্কালের (১২০ দিন) আগেই অস্বাভাবিক ভাবে ভেঙে যায়। আর যার ফলে শরীরে দেখা দেয় রক্তস্বল্পতা।
থ্যালাসেমিয়া কেন হয়?
কেন,‌ কিভাবে হয় তথা থ্যালাসেমিয়ার কারণ সম্পর্কে জানা থাকা দরকার কেননা তা রোগ ‌প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে। পূর্বেই বলা হয়েছে, ইহা একধরনের জিনগত রোগ যা বংশ পরম্পরায় প্রবাহিত হয়ে থাকে। মা বাবা দুজনেই যদি থ্যালাসেমিয়ার বাহক হয় তবে সে ক্ষেত্রে তাদের সন্তান এই রোগ নিয়ে জন্ম গ্রহণ করে। যদি মা বাবার যে কোন একজন রোগের বাহক হয়ে থাকে কিন্তু অপরজন ত্রুটিপূর্ণ জিনের বাহক না হয়ে থাকে তবে সে ক্ষেত্রে সুস্থ্য সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। এক্ষেত্রে সন্তান সুস্থ্য হয় তথা থ্যালাসেমিয়ার রোগী না হলেও বাহক হয়ে থাকে যা পরবর্তীতে বংশ পরম্পরায় বিস্তার করার সম্ভাবনা রাখে।
থ্যালাসেমিয়া রোগের লক্ষণ কি কি?
থ্যালাসেমিয়ার অনেক গুলো ধরণ রয়েছে যা উপরে বর্ণিত হয়েছে। এই রোগের লক্ষণসমূহ রোগের ধরন ও তীব্রতার উপর নির্ভর করে ভিন্নতর হয়ে থাকে। যেমন: হিমোগ্লোবিন এইচ ডিজিজ এর ক্ষেত্রে জন্ডিস ও প্লীহার বৃদ্ধি দেখা দেয়। আবার আলফা থ্যালাসেমিয়া ৪ এর বেলায় মৃত বাচ্চা প্রসব করে।
অপরদিকে বিটা থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণাবলী জন্মের পরপরই বোঝা যায় না যা পরবর্তীতে ২ বছরের মধ্যে দেখা দেয়। সাধারণত যেই লক্ষণ টি সবচেয়ে প্রকট ভাবে দেখা দেয় সেটি হলো রক্তস্বল্পতা বা (anemia) এনিমিয়া। হেমোগ্লোবিন তথা লোহিত রক্ত কণিকা যথাযথ ভাবে উৎপন্ন (erythropoiesis) হয় না কিন্তু স্বাভাবিক আয়ুস্কালের (১২০ দিন) আগেই অস্বাভাবিক ভাবে ভেঙে যায়। যার দরুন শরীরে তীব্র রক্ত��্বল্পতা দেখা দেয়। এছাড়াও আর যে সমস্ত চিহ্ন ও লক্ষণাবলী প্রকাশিত হয় তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো।
মুখমণ্ডল হলুদ বর্ণের বা ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া (yellow, pale face)
চোখ হলুদ বর্ণের হয়ে যায়
ত্বক হলদে হয়ে যায় (Jaundice)
খাওয়াতে অরুচি দেখা দেয় (aversion to food)
অস্বাভাবিক অস্থি বিশেষত মুখের হাড়ের বিকৃতি দেখা যায়
শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি/বেড়ে উঠা ব্যহত হয়
শরীরে অবসন্নতা, ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনুভব হয়
ঘোলাটে প্রস্রাব (dark urine) এবং প্রস্রাবে তলানি দেখা দিতে পারে
প্লীহার বৃদ্ধি (splenomegaly) যার দরুন পেট ফোলা পরিলক্ষিত হয়
If you need any health tips please click it..... Healthinfobd 
# Thalassemia
#Healthinfobd
#bdhealthtips
healthyipsinbangla
2 notes · View notes
bdfoodblog-blog · 5 years
Text
কালো জামের অসাধারন পুষ্টি উপাদান এবং উপকারিতা
Tumblr media
বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার দেশগুলোতে বেশ জনপ্রিয় ছোট আকারের গাঢ় বেগুনি ফল জাম। সুস্বাদু এই জামের কদর ছোট বড় সবার কাছে। লবণ মরিচে পাকা জাম ভর্তার অতুলনীয় স্বাদ যে কারো জিভে জল এনে দেয়। খাওয়ার মজা জাম শুধু স্বাদেই ভরপর নয় আছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ কালো জামে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম এবং ভিটামিন সি এর মত প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে জাম অতুলনীয়ভাবে কাজ করে। এছাড়া শরীরের হাড়কে শক্তিশালী করতে জামের ভুমিকা অতুলনীয়।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকিঃ এই ফলটি ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। কালো জাম জামের গ্লিসামিক ইনডেক্স কম হওয়ায় এটি ডায়াবেটিসের জন্য ভালো বলে বৈজ্ঞানিকভাবেও প্রমাণিত। কমপ্লিমেন্ট থার মেড এ প্রকাশিত একটি গবেষণা পর্যালোচনায় জানা যায় যে, জামের ডায়াবেটিক বিরোধী গুণ আছে। অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে জামের বীচি রক্তের সুগার লেভেল ৩০ ভাগ পর্যন্ত কমাতে সাহায্য করে।
Tumblr media
হৃদরোগের ঝুঁকিঃ জামে এলাজিক এসিড বা এলাজিটেনিন্স, এন্থোসায়ানিন এবং এন্থোসায়ানিডিন্স এর মত উপাদান থাকে। এই উপাদানগুলো শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে বলে কোলেস্টেরলের জারণ রোধ করে এবং হৃদরোগ সৃষ্টিকারী প্লাক গঠনে বাধা দেয়। এছাড়া হাইপারটেনশন প্রতিরোধে সাহায্য করে জাম। কারণ এতে প্রচুর পটাসিয়াম থাকে। ১০০ গ্রাম জামে ৫৫ গ্রাম পটাসিয়াম থাকে। প্রদাহরোধী হিসেবে কাজ করে।
ইনফেকশনঃ জাম গাছের বাকল, পাতা ও বীজ ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে আসছে। ম্যালিক এসিড, গ্যালিক এসিড, অক্সালিক এসিড এবং ট্যানিন থাকে জাম উদ্ভিদে। এ কারণেই জাম উদ্ভিদ ও এর ফল ম্যালেরিয়া রোধী, ব্যাকটেরিয়ারোধী এবং গ্যাস্ট্রোপ্রোটেক্টিভ হিসেবে কাজ করে।
Tumblr media
পরিপাকঃ আয়ুর্বেদিক ঔষধে জাম পাতা ব্যবহার করা হয় ডায়রিয়া ও আলসার নিরাময়ে। এছাড়াও মুখের স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন সমস্যার ঔষধ তৈরিতেও ব্যবহার হয় জামপাতা। জাম খেলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়, দাঁত ও মাড়ি শক্ত ও মজবুত করে এবং দাঁতের মাড়ির ক্ষয় রোধে সাহায্য করে।
ক্যান্সারঃ এক গবেষণায় জানা গেছে, জাম ফলের নির্যাসে রেডিওপ্রোটেক্টিভ উপাদান থাকে। জামের নির্যাস ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ফ্রি র‍্যাডিকেলের কাজ ও বিকিরণে বাধা দেয়।
মানসিক স্বাস্থ্যঃ কালোজাম ত্বককে তারুণ্যদীপ্ত হতে সাহায্য করে। জাম ব্রেইন অ্যালার্ট হিসেবে কাজ করে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কালোজাম টিস্যুকে টান টান হতে সাহায্য করে।
3 notes · View notes
amibonny22-blog · 5 years
Photo
Tumblr media
হাজারো গুণে ভরা মধুতে গুকোজ ও ফ্রূকটোজ আছে যা শরীরে শক্তি যোগায়। এর অন্যান্য উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। *প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু খেলে ঠান্ডা লাগা,কফ,কাশি ইত্যাদি সমস্যা কমে যায়। *মন ভালো করতে প্রতিদিন হালকা গরম পানির সাথে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে খান। সঙ্গে একটু দারুচিনির গুঁড়াও ছিটিয়ে নিতে পারেন। *প্রতিদিন সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানিতে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খেলে ওজন কমে যায় কিছুদিনের মধ্যেই। এছাড়াও এভাবে প্রতিদিন খেলে লিভার পরিষ্কার থাকে,শরীরের বিষাক্ত উপাদান গুলো বের হয়ে যায় এবং শরীরের মেদ গলে বের হয়ে যায়। **মধুর সাথে দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে তা রক্তনালীর সমস্যা দূর করে এবং রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ ১০% পর্যন্ত কমিয়ে দেয়। *মধু ও দারুচিনির মিশ্রণ নিয়মিত খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুকি কমে এবং যারা ইতিমধ্যেই একবার হার্ট অ্যাটাক করেছেন তাদের দ্বিতীয়বার অ্যাটাকের ঝুকি কমে যায়। *হজমের সমস্যা থাকলে প্রতিদিন সকালে মধু খাওয়ার অভ্যাস করুন। প্রতিবার ভারী খাবারের আগে এক চামচ মধু খেয়ে নিন। বিশেষ করে সকালে খালি পেটে এক চামচ মধু খান। *যারা সারাক্ষন দূর্বলতায় ভুগছেন তারা প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু খেয়ে নিন এবং সারা দিন সবল থাকুন। *সকালে ত্বকে মধু লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে মধুর বেশ কিছু উপাদান ত্বক শুষে নেয়। ফলে ত্বক মসৃণ ও সুন্দর হয়। *ত্বকে নিয়মিত মধু ব্যবহার করলে ত্বকের দাগও চলে যায়। *অল্প গরম দুধের সঙ্গে মধু বেশ কার্যকরী। * চায়ের সাথে মধু পান করা যেতে পারে। *সকালের নাস্তার সাথে প্রতিদিন ১/২ চামচ মধু পান করা উত্তম। *শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায় মধু। 👉👉বিভিন্ন প্রকার মধুর দাম নিম্নরূপ----- সরিষা/লিচু - ২৫০ টাকা হাফকেজি বিভিন্ন ফুল - ৩০০ টাকা হাফ কেজি বরই ফুল - ৩৫০ '' '' নিম ফুল - ৩৫০ টাকা হাফ কেজি আকন্দ ফুল -৩৫০ '' '' সজনে/ সাজনা - ৪০০ টাকা হাফকেজি সুন্দরবন (বিভিন্ন ফুল) - ৪০০ '' '' ধনিয়া ফুল - ৪৫০ টাকা হাফকেজি কালোজিরা - ৫০০ '' '' তিল ফুল - ৫০০ টাকা হাফ কেজি ৷৷৷৷৷৷ সূর্যমুখী - ৫০০ '' '' ক্যাপিং চাকের মধু - ১০০০ '' '' 🧚‍♀️🧚‍♀️গাছের চাকের #মধু - ৭৫০ টাকা হাফকেজি #beelandbd #হনেয় Order: 01715000903 https://www.instagram.com/p/B0N_oiRDaE7/?igshid=g1k4emfra99j
1 note · View note
Photo
Tumblr media
“বেশ কয়েকদিন ধরে তোকে দেখছিনা কেন? ক্লাসেও আসিস না! কি হইছে?” কাফির দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলো তাহমিদ। “দেখবি কি করে! আমার যে জ্বর যাচ্ছে সেটা ত খেয়াল রাখিস না” কিছুটা রেগেই উত্তর দিলো কাফি। “জ্বর! কি বলিস! কবে থেকে? তুইও ত কিছু জানালি না। ডাক্তার দেখাইছিস?” এক নিশ্বাসে সবগুলো প্রশ্ন করে বসলো তাহমিদ। “না, ডাক্তার দেখাইনি। জ্বর হুট করে আসে যায়। আর মাথা আর ঘাড় ব্যথা। লাইটের আলো চোখে পড়লে ত আরো মাথা ব্যথা বেড়ে যায়” বিষন্ন কণ্ঠে জানালো কাফি।
শুনে কিছুক্ষণ চুপ দুইজন। খানিকবাদে তাহমিদ বললো, “চিন্তা করিস না। শুনে মনে হচ্ছে মাইগ্রেন এর সমস্যা। আমারো লাইটের আলোতে মাথা ব্যথা হয় মাঝে মধ্যে। আর জ্বর ত সিজন পরিবর্তন হওয়ায় সবারই হচ্ছে। জ্বরের ওষুধ আজকেই কিনে নিয়ে যাবি।” তাতে নিরবে সায় জানালো কাফিও।
এতোক্ষণ আমরা দুইজন বন্ধুর মধ্যকার একটি অতি সাধারণ কথোপকথন পড়লাম। উপরের ঘটনাটি আমাদের সাথে হলে হয়তো আমরাও ঠিক এভাবেই জ্বরের জন্য নাপা জাতীয় ওষুধ খাওয়ার কথা বন্ধুকে বলতাম। কিন্তু এই জ্বর ও তীব্র মাথা ব্যথা হতে পারতো আরো অনেক সমস্যার লক্ষণ। তেমনি একটি সমস্যা নিয়ে আজ আমরা জানবো।
মানুষের মস্তিষ্ক তিনটি সুরক্ষা স্তর দ্বারা আবৃত- ড্যুরা স্তর, অ্যরাকনয়েড স্তর ও পিআ স্তর। এই তিনটি সুরক্ষা স্তরকে একত্রে বলা হয় মেনিনজেস যা আমাদের সম্পূর্ণ মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ডকে ঢেকে রাখে। আর এই মেনিনজেসে কোনো ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণে ব্যথা হলে তখন সেটাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলে মেনিনজাইটিস(মেডিকেলের ভাষায় কোনো শব্দের শেষে itis দ্বারা প্রদাহ বোঝায়)। মেনিনজাইটিস এর অস্তিত্ব মিলে প্রাচীন ইতিহাসেই। হিপোক্রিটাস তার কাজের মাঝে এর বিবরণ দিয়ে গেছেন বলে ধারণা করা হয়। এমনকি ইবনে সিনাও এই মেনিনজাইটিস সম্পর্কে জানতো যদিও তখন এই সমস্যাকে বলা হত ‘ড্রপসি’। থমাস উইলসের বিবরণ থেকে ১৬৬১ সালে জ্বরসহ মেনিনজাইটিস সমস্যায় আক্রান্ত রোগীর খোঁজ মিলে।১৭৬৮ সালে যক্ষার জীবাণু সংক্রমিত মেনিনজাইটিস এর বিবরণ মিলে স্যার রবার্ট হুইট একটি রিপোর্টে।গেস্পার্ড ভিয়োসসে, এলিসা নর্থ, আন্দ্রে মেথ্যিও সহ আরো বেশকয়েকজন তখন জেনেভা, ইউরোপ ও আমেরিকাতে এর বর্ণনা দেয়। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে মেনিনজাইটিস এর লক্ষণ সম্পর্কে মানুষ বিস্তারিত জানতে পারে।১৮৮২ সালে রাশিয়ান পদার্থবিজ্ঞানী ভ্লাদিমির কার্ণিগ ও ১৯০৯ সালে পোল্যান্ডের বিজ্ঞানী জোসেফ ব্রডযিন্সকি মেনিনজাইটিসের লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দেয়।
জেনেভাতে ১৮০৫ সালে ও আফ্রিকাতে ১৮৪০ সালে সর্বপ্রথম এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। ১৯০৫ থেকে ১৯০৮ সালের মাঝে এটি নাইজেরিয়াতে ভয়ানক আকার ধারণ করে, মারা যায় অনেক মানুষ। তখন মানুষ মেনিনজাইটিস সম্পর্কে না জানলেও এখন বিজ্ঞানের আধুনিকতায় মেনিনজাইটিস আজ আর অজানা নয়। মেনিনজাইটিক সমস্যায় প্রথম দিকে ফ্লু বা সর্দিকাশির মতো সাধারণ জ্বরের উপসর্গ থাকে। দুই বছরের বেশি বয়সীদের পরে আরো যে সমস্যাগুলো দেখা দেয়- (১)হঠাৎ তীব্র জ্বর হয়।প্রচণ্ড মাথা ব্যথা হয়, যা সাধারণ মাথা ব্যথার মতো নয়। (২)ঘাড় শক্ত হয়ে যায়, এদিক-ওদিক নাড়ানো কঠিন হয়। (৩)প্রায় ৭৫ শতাংশ রোগী জ্বরে অজ্ঞান হয়ে যায়।সাথে খিঁচুনি দেখা দেয়। (৪)ঘুম-ঘুম ভাব হয়, হাঁটতে অসুবিধা হয়। (৫)আলোর দিকে তাকাতে তীব্র অস্বস্তি বোধ (৬)কানের মধ্যে সংক্রমণের ফলে ঘা ও বধিরতা সৃষ্টি হয়। (৭)হাত-পা অবশ হয়, নাড়ানো যায় না। (৮) দৃষ্টিভ্রম হয়, একই বস্তু একাধিক দেখা যায়। (৯) কথা বলতে অসুবিধা হতে পারে।
মেনিনজাইটিসে মস্তিষ্কের সমস্যা ছাড়াও শরীরের অন্যান্য স্থানেও সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন—ফুসফুসে ঘা হওয়া ও শ্বাসকষ্ট হওয়া, সেফটিসেমিয়ার কারণে গিঁটে গিঁটে ব্যথা হওয়া, অনুচক্রিকা রক্ত উপাদান কমার কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্ত ঝরা।
নবজাতকের শিশুর ক্ষেত্রে লক্ষণীয় বিষয়গুলো হলো- ভীষণ জ্বর থাকে, ঘাড় ও শরীর শক্ত হয়ে আসা, অনবরত কান্না, দুর্বল হয়ে যাওয়া, সারাক্ষণ ঘুম-ঘুম ভাব, শরীর ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া, বমি করা, মাথার তালুর নরম জায়গা ফুলে ওঠা, অজ্ঞান হওয়া ইত্যাদি।
মেনিনজাইটিসের কারণঃ অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেনিনজাইটিসের কারণ হল বিভিন্ন প্রকারের ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ফাংগাস। তাছাড়া বিভিন্ন পরজীবীও এর জন্য দায়ী। ক)ব্যাকটেরিয়াল মেনিনজাইটিস: বয়সভেদে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ভিন্ন ভিন্ন ব্যাকটেরিয়াল মেনিনজাইটিসের জন্য দায়ী। সদ্যজাত থেকে শুরু করে ৩ মাস বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে প্রধানত গ্রুপ-বি স্ট্রেপটেকক্কি ও লিস্টেরিয়া জনিত মেনিনজাইটিস হয়ে থাকে।পরিণত শিশুদের মেনিনজাইটিসের জন্য দায়ী নাইসেরিয়া মেনিনজাইটিডিস, স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনিয়া এবং হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ-বি।
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে শতকরা ৮০ ভাগ ব্যাকটেরিয়াল মেনিনজাইটিসের কারণ নাইসেরিয়া মেনিনজাইটিডিস ও স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনিয়া, মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস ইত্যাদি। পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তির ক্ষেত্রে লিস্টেরিয়া মনোসাইটোজিনেসিস জনিত মেনিনজাইটিসের হার অনেক বেশি।
খ) ভাইরাল মেনিনজাইটিস: ভাইরাস জনিত মেনিনজাইটিস ব্যাকটেরিয়া জনিত মেনিনজাইটিসের চাইতে তুলনামূলক ভাবে কম বিপদজনক। ভাইরাল মেনিনজাইটিসের প্রধান জীবানু এন্টেরোভাইরাস। এর বাইরেও কিছু ভাইরাস এই রোগের সৃষ্টি করে যা মশার মাধ্যমে একজনের কাছ থেকে অন্য জনে ছড়াতে পারে। যেসব ভাইরাস দিয়ে ভাইরাল মেনিনজাইটিস হয় তাদের মধ্যে আছে- মাস্পস ভাইরাস, হার্পিস ভাইরাস, মিসেলস ভাইরাস, ইনফ্লুয়েন্সা ভাইরাস, চিকেনপক্স ভাইরাস, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস, বিভিন্ন আরবোভাইরাস ইত্যাদি।
ঘ)ফাংগাল মেনিনজাইটিস: ফাঙ্গাস বা ছত্রাক দিয়েও মেনিনজাইটিস হতে পারে। ফাংগাল মেনিনজাইটিসের প্রধান জীবানু ক্রিপটোকক্কাস নিউফরমান্স। ফাংগাল মেনিনজাইটিসের প্রকোপ আফ্রিকা মহাদেশে সবচাইতে বেশি এবং তা ২০-২৫% এইডস আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর কারণ। অন্য যেসব ফাংগাস মেনিনজাইটিস ঘটায় সেগুলো হলো হিস্টোপ্লাজমা ক্যাপসুলাটাম, কক্কিডায়োআইডেস ইমিটিস, ব্লাস্টোমাইসেস ডার্মাটাইটিস, ক্যানডিডা স্পেসিস প্রভৃতি।
ঘ) প্যারাসাইটিক মেনিনজাইটিস: এই ধরনের মেনিনজাইটিসের প্রধান প্রধান জীবাণু অ্যানজিওস্ট্রনজাইলাস ক্যানটোনেসিস, গ্যান্থোসটোমা স্পিনিজেরাম, সিস্টোসোমা প্রভৃতি। এটি সাধারণত খাদ্য, পানি ও মাটির মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। এই মেনিনজাইটিস যে কারো হতে পারে, তবে যাদের কানে ,গলা বা নাকে অথবা সাইনাসে ইনফেকশন থাকে তাদের বেশি হয়। এর কারণ এ ধরণের ইনফেকশন সাধারণত যে ধরণের জীবাণু দিয়ে হয়, সেগুলো মেনিনজাইটিসও করতে পারে।
জীবাণুর বাইরেও কিছু কারণে মেনিনজাইটিস হতে পারে যার মধ্যে ক্যান্সারের বিস্তৃতি, কিছু বিশেষ ওষুধ সেবন (পেইনকিলার জাতীয় ওষুধ, ইমিউনোগ্লোবিন, অ্যান্টিবায়োটিক), কানেকটিভ টিস্যু ডিজঅর্ডার উল্লেখযোগ্য।
যদিও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মেনিনজাইটিস অতি অল্প সময়ের মাঝে শরীরে লক্ষণ প্রকাশ করে থাকে হয়ে, তবে দীর্ঘমেয়াদি মেনিনজাইটিসও হতে পারে। তাই বলা হয় ��েনিনজাইটিস দুই ধরনের- অ্যাকিউট মেনিনজাইটিস যা জীবাণু প্রবেশের দুই সপ্তাহের মধ্যে হয় এবং ক্রনিক মেনিনজাইটিস যা জীবাণু শরীরে প্রবেশের চার সপ্তাহ বা তার বেশি সময় পরে প্রকাশ পায়।
তীব্র মাথা ব্যথার কারণঃ মেনিনজাইটিসে যে মারাত্মক প্রদাহ হয় তার কারণ ব্যাকটেরিয়ার সরাসরি আক্রমণ নয় বরং ব্যাকটেরিয়ার কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে অনুপ্রবেশের ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধকারী সিস্টেমের প্রতিরোধের চেষ্টা। মস্তিষ্ক ব্যাকটেরিয়া কোষের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধকারী সিস্টেম বেশি পরিমাণ সাইটোকাইন ও হরমোন জাতীয় পদার্থ নিঃসরণ করে, এতে করে ব্লাড ব্রেইন রেরিয়ার দুর্ভেদ্য থেকে ভেদ্য হয়ে উঠে এবং রক্তনালী থেকে তরল নির্গত হয়ে মস্তিষ্ক ফুলে উঠে। এমতাবস্থায় বেশি বেশি শ্বেত রক্ত কণিকা সেরেব্রো স্পাইনাল ফ্লুইডে প্রবেশ করে, চাপ বৃদ্ধি পায় এবং প্রদাহ আরও তীব্রতর হয়ে উঠে।
চিকিৎসাঃ রোগীর মেরুদণ্ডের ভেতর থাকা কশেরুকা থেকে সিএসএফ (এক ধরনের তরল পদার্থ, যা মস্তিষ্ক ও কশেরুকার ভেতর থাকে) বের করে তা পরীক্ষা করা হয়। সিএসএফে কোষসংখ্যা, প্রোটিন, গ্লুকোজের পরিমাণ এবং সিএসএফের গ্রাম স্টেইন, কালচার পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করা হয়। সঙ্গে কিছু কিছু ক্ষেত্রে রক্তের কালচার এবং সিবিসি ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়। রোগ নির্ণয়ের আগে শুধু লক্ষণ দেখেই চিকিৎসা শুরু করতে হবে, কারণ দ্রুত চিকিৎসা না শুরু করলে জীবন সংশয় দেখা দিতে পারে। ভাইরাসঘটিত মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণেও ভালো হতে পারে। এ ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা না নিলেও চলে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম, যথেষ্ট পানি ও তরল পান, জ্বর ও মাথা ব্যথার জন্য ওষুধ সেবন করলেই চলে। ব্যাকটেরিয়াজনিত মেনিনজাইটিসে বহু ক্ষেত্রে মৃত্যু হতে পারে। তবে রোগাক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ ও উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা প্রয়োজন। মেনিনজাইটিস প্রতিরোধ মেনিনজাইটিস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন বা টিকা আছে। আবার শিশু বয়সে আরো কিছু টিকা নিলে পরোক্ষভাবে তা মেনিনজাইটিস প্রতিরোধ করতে পারে। এগুলো হচ্ছে- MMR(এমএমআর বা মিসেলস-মাম্পস-রুবেলা), চিকেনপক্স, এইচআইবি বা হিব, নিউমোনিয়ার টিকা ইত্যাদি। ১৯৮০ সালের গোড়ার দিকে বিশ্বের অনেক দেশ তাদের বাচ্চাদের জন্য নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিতে হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ-বি’র টিকা অর্ন্তভুক্ত করেছে, কারণ এই জীবাণু ইনফ্লুয়েঞ্জার পাশাপাশি মেনিনজাইটিস সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। মেনিনগোকক্কাস ভ্যাকসিন গ্রুপ-এ, সি, ডাব্লিও-১৩৫ এবং ওয়াই মেনিনজাইটিসের বিরুদ্ধে কার্য্যকরী প্রতিরোধ গড়ে তোল�� যা সর্বোচ্চ প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করে। এখানে লক্ষ্য করা যেতে পারে যে, যে সব দেশে মেনিনগোকক্কাস গ্রুপ-সি এর ভ্যাকসিন ব্যবহৃত হচ্ছে সেখানে মেনিনজাইটিসের প্রকোপ উল্লেখযোগ্য হারে কমে গিয়েছে।
বাংলাদেশেও মেনিনজাইটিসের বিরুদ্ধে কার্যকর ও মানসম্পন্ন ভ্যাকসিন বাজারে প্রচলিত আছে যা সর্বোচ্চ প্রতিরক্ষা দেয়।সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির আওতায় নিউমোকক্কাল মেনিনজাইটিস এবং হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ বি-এর টিকা শিশুদের বিনা মূল্যে প্রদান করছে। মেনিনগোকক্কাস ভ্যাকসিন গ্রুপ-এ, সি, ডাব্লিও-১৩৫ এবং ওয়াই-এর সুবিধা:
১। শরীরে মেনিনজাইটিসের বিরুদ্ধে দীর্ঘস্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। ২। ২ বছর বয়স থেকে ব্যবহার করা যায়। ৩। একবার ব্যবহার করলে পরবর্তীতে আর দিতে হয় না।
মেনিনজাইটিস এখন সহজে ভ্যাকসিন ও চিকিৎসার মাধ্যমে কাটিয়ে উঠা যায় বলে একে অবহেলা করার কোনো সু্যোগ নেই। ১৯৯১-২০১০ সালে আফ্রিকার দেশগুলোতে মেনিনজাইটিস আক্রান্ত প্রায় ১০লা�� রোগীর মাঝে মারা যায় প্রায় ১লাখ। কেবলমাত্র ২০০৯ সালেই ৮০হাজার আফ্রিকান এই মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হয় এবং সেখানেও মারা যায় ৪ হাজারের বেশি মানুষ। আফ্রিকাতে ২০১৩ সালে এই রোগে আক্রান্ত ১২৪৬৪টি রোগীর মাঝে মারা যায় ১১৩১ জন এবং ২০১৪ সালে ১৪৩১৭ জনের মাঝে মারা যায় ১৩০৪জন।[তথ্যসূত্রঃ Global Health Obserbatory(GHO) Data] আমেরিকাতেও প্রতিবছর প্রায় ৪০০০ মানুষ ব্যাকটেরিয়াজনিত মেনিনজাইটিস এ আক্রান্ত হয় এবং সেখানেও প্রায় ৫০০জনের অধিক মানুষ মারা যায়। নিউমোকক্কাল মেনিনজাইটিস এ আক্রান্ত হয় প্রায় ৬০০০ জন ও মেনিনগোকক্কাল মেনিনজাইটিসে ২৬০০জন।(তথ্যসূত্রঃ Statistics of Meningitis, Florida Hospital)
মেনিনজাইটিস এমন একটি রোগ যা ভয়াবহ অাকার ধারণ করলে চিকিৎসার জন্য ২৪ ঘণ্টারও কম সময় পাওয়া যায়। তাই মেনিনজাইটিসের কোনো উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। সঠিক সময়ে টিকা নেয়ার মাধ্যমে নিজেকে, নিজের পরিবারকে নিরাপদ রাখার পাশাপাশি তৈরি করতে হবে জনসচেতনতাও।
1 note · View note
diseasecure · 7 months
Text
#ডেংগু রোগ #চিন্তার বিষয়। (৩)
#ভিটামিন-ডি যা আমরা ডিমের কুসুম, সামুদ্রিক মাছ থেকে পাই, তা বেশী করে খেতে হবে। ডেংগু রোগের সময় এই #ভিটামিন-ডি শরীরে হাড়ের কার্যকারিতা রক্ষায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 
#ডেঙ্গু রোগের একটি বড় সমস্যা হচ্ছে এতে আমাদের রক্তের #প্লাটিলেট এর সংখ্যা বেশ দ্রুত কমতে থাকে। তাই এর সংখ্যা বাড়ানোর জন্য বা সমন্বয়ের জন্য সবুজ শাক-সবজী, বিভিন্ন ডাল, বাদাম ইত্যাদি খাবার খাওয়া যেতে পারে। আমাদের দেশে একটি ভুল ধারণা প্রচলিত আছে যে, পেঁপে পাতার রস খেলে নাকি রক্তে প্লাটিলেটের সংখ্যা বেশ দ্রুত বাড়ে। কিন্তু জেনে রাখুন এখনো এ বিষয়ের উপরে কোনো বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র পাওয়া যায়নি। কিন্তু যেহেতু পেঁপে পাতায় বেশ আয়রন ও এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান আছে, তাই সারাদিনে শিশুদের ক্ষেত্রে ১ কাপের চার ভাগের ১ ভাগ এবং বড়দের ক্ষেত্রে আধা কাপ পর্যন্ত এই পাতার রস খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে, এটি বেশি পরিমাণে খেলে এসিডিটি, বদ হজম বা অন্যান্য শারিরীক সমস্যা দেখা দিতে পারে। 
>>>
0 notes
dr-narayan-roy · 2 years
Text
মানুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক শক্তিও কমতে থাকে। চলে আসে শারীরিক ক্লান্তিও। কিন্তু রাজ-রাজাদের রাজাদের কথা তো শুনেছেন, তারা কিভাবে অনেক দিন ধরে যৌবন(Youth) ধরে রাখতে পারতো? আর তাদের মধ্যে অনেক বেশি শক্তি কিভাবে থাকতো, তাও অনেক বছর ধরে? নিশ্চয়ই শুনেছেন যে, এক একজন রাজার অনেক রানী(Queen) এবং সখি থাকতো। তাই রাজারা নিজেদের ফিট(Fit) রাখার জন্য বিভিন্ন রকমের উপায় ছিলো যেগুলো রাজারা ব্যবহার করতেন আর সেগুলো তাদের বৈদ্যরা তাদেরকে যোগান দিতেন। সেইসব কিছু তথ্যই তুলো ধরা হচ্ছে।
পূনর্নবা:
পূনর্নবাকে অনেকে গদহপূরাণও বলে থাকে। এটি অনেক ব্যথা সর্দি কাশির জন্য ব্যবহার করে থাকেন। অনেকে আবার এই পাতাকে অ্যান্টি-এজিং এবং অনাক্রম্যতা দূর করার জন্য ব্যবহার করে থাকেন। আদ্রা চামচ পুনর্নবার পাউডার এবং এক চামচ মধু(Honey) মিশিয়ে সকাল বেলা খেতেন তারা।
সাদা মুসলি:
সাদা মুসলি থেকে তৈরি ওষুধ বন্ধ্যাত্ব থেকে পুরুষদের বাঁচায়। এক চামচ মুসিলির পাউডারের সঙ্গে দুধ(Milk) আর মিছরি মিশিয়ে রোজ সকাল বেলা খেতেন তারা। তাছাড়া এর মাধ্যমে ধূমপান(Smoking) থেকে আসা মানসিক বিরক্তি দূর করা হতো।
আয়ুর্বেদিক উপায়:
বৈদ্য এবং ফকিররা মহারাজাদের বিভিন্ন উপায় বলতেন যেগুলো তারা ব্যবহার করতেন। এই উপায়গুলোর মধ্যে সোনা, রূপা, কেশর ইত্যাদিতো ছিলই কিন্তু এমন জুড়িবুটিও ছিলো যেগুলো খুবই সস্তা এবং যা সহজেই পাওয়া যায়।
শতাবর:
বন্ধ্যাত্ব, ধুমপান, মদ(Wine) সেবন ইত্যাদি কারণে আশা ইরেকটাইল অসংযোগ স্পার্ম ঠিক করার জন্য শতাবর ব্যবহার করা হতো।
উপায়-১ চামচ মিছরি, গরুর দুধের ঘি আর অর্ধেক চামচ শতাবর পাউডার মিশিয়ে সেবন করা হতো এবং তারপরে দুধের সেবন করতে হতো।
কেসর:
শরীরে রক্তপ্রবাহ ঠিকমতো না চলার বন্ধ্যাত্বের মতোন রোগ পুরুষের হয়। এই রোগ দূর করার জন্য কেসর ব্যবহার করা হতো। উপায়-১ চিমটি কেশর কুসুম গরম দুধে রাতে খেতেন তারা।
শিলাজিৎ:
ইমিউনিটি, বার্ধক্য, ইরেকসাইল ডিসফাংশন মানে শিরায় রক্তপ্রবাহ কমার কারণে শুক্রাণুর বৃদ্ধি কম, দুর্বলতা এই সমস্ত রোগের জন্য শিলাজিৎ ব্যবহার করা হতো।
উপায়-এক চিমটি চালের সাইজ অনুযায়ী বা এক চিমটি শিলাজিতের গুঁড়া নিয়ে গরুর ঘি বা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেতেন তারা।
আমলকি:
প্রসাবের অসুবিধা, শুক্রাণু বাড়ানো এবং ইরেকটাইল ডিসফাংশন মানে রক্তের প্রবাহ শিরায় সঠিকভাবে বাড়ানো, সে সমস্ত রোগের জন্য আমলকী ব্যবহার করা হতো।
উপায়-১ চামচ আমলকী পাউডার এবং এক চামচ মিছরি পানির সঙ্গে গুলে খেতেন। তারপর উষ্ম গরম দুধ খেতেন।
অশ্বগন্ধা:
শুক্রাণুর কমতি, ইমিউনিটি, দুর্বলতা বিভিন্ন কারণের জন্য অশ্বগন্ধা ব্যবহার করা হয়।
উপায়-রাতে শোয়ার আগে উষ্ম গরম দুধের সঙ্গে চামচ অশ্বগন্ধা পাউডার মিশিয়ে খেতেন তারা।
তেঁতুলের দানা:
শুক্রাণুর(Sperm) বৃদ্ধি, ইরেকটাইল ডিসফাংশন মানে রক্তপ্রবাহ শিরার মধ্যে সঠিকভাবে যাতে প্রভাবিত হয়। যার কারণে এনার্জি আসে, এজন্য তেঁতুলের দানা ব্যবহার করা হতো।
উপায়-তেঁতুলের দানাকে গুঁড়িয়ে পাউডার বানিয়ে সেটিকে সকাল ও বিকেলে মিছরি বা গরম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতেন।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
.
আপনার যদি কোন রকম যৌন বা গুপ্ত সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আমাদের সাথে নির্দ্বিধায় যোগাযোগ করতে পারেন।
কলকাতার সর্বোত্তম এবং সর্বশ্রেষ্ঠ আয়ুর্বেদিক যৌন বিশেষজ্ঞ।
#লিঙ্গশিথিলতা, #ধ্বজভঙ্গ, #শীঘ্রপতন, #পুরুষত্বহীনতা, #যৌনঅক্ষমতা, #স্ত্রীমিলনবাসঙ্গমেঅনিহা,
#পুরুষাঙ্গক্ষুদ্রবক্রসরু, #স্বপ্নদোষ, #প্রসাবেধাতুক্ষয়, #প্রস্রাবেজ্বালাপোড়া, #শুক্রতারল্য, #শুক্রানুস্বল্পতা #পুরুষেরস্বল্পশুক্রাণুরকারণে_বন্ধ্যাত্ব, #ফাইমোসিস #প্যারাফাইমোসিস #সিফিলিস, #গনোরিয়া, #একশিরা এবং #অর্শ প্রভৃতিসহ যেকোনো যৌন বা গুপ্ত সমস্যার আয়ুর্বেদিক ঔষধ এর মাধ্যমে সুচিকিৎসা করা হয়। কোন রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই।
• এ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য কল করুন 👇
Mobile📱+91-8981518696
• আরো জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি দেখুন 👇
Website 🌍 www.drroysclinic.com
Tumblr media
0 notes
24x7newsbengal · 1 year
Link
0 notes
masud625-blog · 2 years
Text
ইরেক্টাইল ডিসফাংশন (লিঙ্গ শিথিলতা) বা লিঙ্গ উত্থান জনিত সমস্যা
🔸আপনি কি যৌন বা সেক্স সমস্যায় ভুগছেন??? •সর্বোত্তম এবং সর্বশ্রেষ্ঠ আয়ুর্বেদিক যৌন বিশেষজ্ঞ। পুরুষের যৌন সমস্যার সমাধান #যৌন_সমস্যা #পুরুষত্বহীনতা #ধাতু_দুর্বলতা #ধ্বজভঙ্গ     ডঃ মোঃ জামান খান   ফোন 01717-499374   🛑 আমাদের অনেকেরই ধারণা যে, #লিঙ্গ হয়তো #বড় করা সম্ভব নয়। কিন্তু সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে লিঙ্গ অবশ্যই পরিমাণমতো বড়, মোটা ও শক্তিশালী করা সম্ভব।বিভিন্ন কারণে লিঙ্গ ছোট হয়ে যেতে পারে। যেমন- ·🛑#হস্তমৈথুনের কারণে লিঙ্গের শিরা-উপশিরাগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে লিঙ্গ শিথিল ও ছোট হয়ে যেতে পারে।· 🛑#প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের সমস্যার কারণে লিঙ্গ ছোট হয়ে যেতে পারে।· 🛑#লিঙ্গে রক্তের চাপ কম আসার কারণে লিঙ্গ ছোট হয়ে যেতে পারে।· 🛑লোহিত রক্তকণিকার স্বল্পতার জন্য লিঙ্গ ছোট হয়ে যেতে পারে।· 🛑 হার্টের শক্তি কমে যাওয়ার মাধ্যমে লিঙ্গে পর্যাপ্ত রক্ত প্রবাহ কমে গেলে লিঙ্গ ছোট হয়ে যেতে পারে। ·🛑 মানসিক সমস্যা ও দুশ্চিন্তার কারণেও লিঙ্গ ছোট হয়ে যেতে পারে। 🚨🛑এছাড়া আরো অনেক কারণে লিঙ্গ ছোট হয়ে যেতে পারে। সঠিক রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে লিঙ্গের ছোট হবার কারণ বের করে উন্নত #হোমিও #চিকিৎসা নিলে অবশ্যই #লিঙ্গের আকার বড় করা সম্ভব। আপনার যদি কোন রকম যৌন বা গুপ্ত সম���্যা থেকে থাকে তাহলে আমাদের সাথে নির্দ্বিধায় যোগাযোগ করতে পারেন। ✅1️⃣ লিঙ্গ নরম ,দুর্বল একবার স্ট্রং হলে দ্বিতীয় বার স্ট্রং হতে চায় না ✅2️⃣হস্তমৈথুন বা হাত দিয়ে সব শেষ করে ফেলেছেন ✅3️⃣আপনার গোপন অঙ্গ ছোট ও নরম থাকে ✅4️⃣পুরুষলিঙ্গ ১ -২ ইঞ্চি মোটা, স্ট্রং করতে চান ✅5️⃣ অল্প উত্তেজনায় লিঙ্গের মাথায় লালা চলে আসে ✅6️⃣ অসময়ে বীর্যপাত হয়ে যায় ✅7️⃣যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে এক রাতে 2-3 বার মিলন করতে চান ✅8️⃣মিলনে সঙ্গীকে পূর্ন তৃপ্তি দিতে ব্যার্থ ✅9️⃣বীর্য জলের মত পাতলা ✅🔟অতি দ্রুত বীর্যপাত হয় ✅1️⃣1️⃣পুরুষত্বহীনতা ও যৌন দুর্বলতা আছে ✅1️⃣2️⃣লিঙ্গ ঢুকানোর সাথে সাথে আউট হয়ে নেতিয়ে পড়ে, ✅1️⃣3️⃣আগের মতো আর আগ্রহ নাই। ✅1️⃣4️⃣বার বার মিলন করার ইচ্ছা থাকলেও প্রিয় তমার কাছে যেতে ভয় পাচ্ছেন ✅ পুরুষের যেকোনো যৌন সমস্যার স্থায়ী সমাধান। ✅ ইরেক্টাইল ডিসফাংশন (লিঙ্গ শিথিলতা) বা লিঙ্গ উত্থান জনিত সমস্যা। ✅ পুরুষত্বহীনতা বা যৌন অক্ষমতা। ✅ দ্রুত বীর্যস্খলন/বীর্যপাত বা শীঘ্রপতন। ✅ লিঙ্গ ক্ষুদ্র, বক্র এবং সরু বা চিকন। ✅ স্ত্রী মিলন বা সঙ্গমে অনীহা। ✅ শুক্রতারল্য এবং শুক্রাণু স্বল্পতা। #যৌন_অক্ষমতা #শুক্রতারল্য #লিঙ্গ_শিথিলতা #স্ত্রী_মিলন_বা_সঙ্গমে_অনিহা #পুরুষাঙ্গ_ক্ষুদ্র_বক্র_সরু  #শুক্রানু_স্বল্পতা #লিঙ্গ_শিথিলতা, #ধ্বজভঙ্গ, #শীঘ্রপতন, #পুরুষত্বহীনতা, #যৌন_অক্ষমতা, #স্ত্রী_মিলন_বা_সঙ্গমে_অনিহা, #পুরুষাঙ্গ_ক্ষুদ্র_বক্র_সরু, #স্বপ্নদোষ, #প্রসাবে_ধাতু_ক্ষয়, #প্রস্রাবে_জ্বালাপোড়া, #শুক্রতারল্য, #শুক্রানু_স্বল্পতা #পুরুষের_স্বল্প_শুক্রাণুর_কারণে_বন্ধ্যাত্ব, #ফাইমোসিস #প্যারাফাইমোসিস #সিফিলিস, #গনোরিয়া, #একশিরা এবং #অর্শ প্রভৃতিসহ যেকোনো যৌন বা গুপ্ত সমস্যার আয়ুর্বেদিক ঔষধ এর মাধ্যমে সুচিকিৎসা করা হয়। কোন রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই। .
0 notes
sarkershakil544 · 2 years
Text
ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ
ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ যা মানবদেহে দেখা যায় যখন অগ্ন্যাশয় পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না বা যখন শরীর উৎপন্ন ইনসুলিন সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে না। ইনসুলিন একটি হরমোন যা রক্তের শর্করা বিপাককে নিয়ন্ত্রণ করে।এটি অগ্ন্যাশয় থেকে উৎপন্ন হয়। রক্তের শর্করার সঠিকভাবে বিপাক না হলে, রক্তে চিনি বা শকর্রার অধিক উপস্থিতিজনিত বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। ইনসুলিনের অভাবই হলো এ রোগের মূল বিষয় । ইনসুলিন রক্তে উপস্থিত গ্লুকোজকে বিপাকে সাহায্য করে এবং দেহের জন্য পর্যাপ্ত শক্তির ব্যবস্থা করে। মানবদেহে ইনসুলিন সঠিকভাবে উৎপাদিত না হলে বা ইনসুলিনের কর্মদক্ষতা হ্রাস পেলে, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়তে থাকে।ফলে মানবদেহে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা দেখা যায়, যার মধ্যে অন্যতম হলো বহুমত্র। সুস্থ অবস্থায় মানুষের রক্তে গ্লুকোজে পরিমাণ থাকে সাধারণত ৩.৩ থেকে ৬.৯ মিলি.মোল/লি এবং খাদ্য গ্রহনের পর ৭.৮ মিলি.মোল/লি এর কম।কিন্তু রক্তে যদি গ্লুকোজের পরিমাণ না খাওয়া অবস্থায় ৭ মিলি.মোল/লি আর খাবার পর ১১ মিলি.মোল/লি এর বেশি পাওয়া যায়, তবে তার ডায়াবেটিস আছে বলে ধরে নেওয়া যায় । গ্লুকোমিটার দিয়ে রক্তে উপস্থিত গ্লুকোজের পরিমাণ নির্ণয় করা হয়। বহুমূত্র রোগ বা ডায়াবেটিস বলতে সাধারাণত ডায়াবেটিস মেলিটাসকেই বোঝানো হয় । তবে ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস নামে আরেক ধরনের ডায়াবেটিস রোগ রয়েছে। ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস হয় অ্যান্টি ডাইইউরেটিক হরমোন নামক একধরনের হরমোনের অভাবে বা এর ক্রিয়াজটিলতার কারণে।অধিক তৃষ্ণা এবং মূত্রাধিক্য এই রোগের উপসর্গ। এই দুটি রোগের মধ্যে ডায়াবেটিস মেলিটাসেরই প্রকোপ বেশি। ডায়াবেটিস মেলাইটাসকে আমরা দুভাগে ভাগ করতে পারি। যথাঃ টাইপ-১ বা ইনস্যুলিন নির্ভরশীল ডায়াবেটিস এবং টাইপ-২ বা ইনস্যুলিন নিরপেক্ষ ডায়াবেটিস। টাইপ-১ ডায়াবেটিস এ অগ্ন্যাশয়ের ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলো নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ইনসুলিন উৎপাদন ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। টাইপ-১ ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত রোগীকে বেঁচে থাকার জন্য ইনসুলিন ইনজেকশন নিতে হয়।শিশু ও তরুণদের মধ্যে টাইপ-১ ডায়াবেটিস বেশি দেখা যায় । এটি মূলত জেনেটিক কারণে হয়ে থাকে।টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগী শরীরে যে ইনসুলিন উৎপন্ন হয়, তা ব্যবহার করতে পারে না। ব্যায়াম ও খাদ্যতালিকা পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে টাইপ-২ ডায়াবেটিস মোকাবিলা করা যায় । ৪০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের মধ্যে এ ধরনের বহুমূত্র রোগ অধিক দেখা যায়।মিষ্টি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার এ রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।শারীরিক পরিশ্রম না করা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের অন্যতম কারণ। বিশ্বজুড়ে ২৪৬ মিলিয়ন ডায়াবেটিস রোগীর ৯০ শতাংশের বেশি হল টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগী। নারীদের গর্ভধারণ অবস্থায় একধরনের ডায়াবেটিস দেখা যায়, যার নাম জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিস রোগের সাধারণ কিছু লক্ষণ রয়েছে। যেমনঃ ঘন ঘন প্রস্রাব, অধিক তৃষ্ণা এবং মুখ শুকিয়ে যাওয়া,খুব বেশি দুর্বলতা,অত্যধিক ক্ষুধা, দেহের ওজন হ্রাস, চোখে ঝাপসা দেখা,শরীরে ক্ষত বা কাটাছেঁড়া হলেও দীর্ঘদিনেও সেটা না সারা,চামড়ায় শুষ্ক, খসখসে ও চুলকানি ভাব, বিরক্তি ও মেজাজ খিটখিটে হয়ে ওঠা, ঘন ঘন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়া ইত্যাদি। ডায়াবেটিস রোগের বিভিন্ন কারণ ও জটিলতা রয়েছে।অতিরিক্ত মেদ, উপসর্গহীনতার কারণে পর্যাপ্ত চিকিৎসা না নেওয়া ইত্যাদি কারণে ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। কিডনি বা বৃক্কের অক্ষমতা, অন্ধত্ব বা দৃষ্টিবিচ্যূতি, বিনা দুর্ঘটনায় অঙ্গচ্ছেদ ইত্যাদি বহুবিধ জটিলতা ডায়াবেটিস কারণে মানবদেহে দেখা যেতে পারে। বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিসের বিভিন্ন রকমের চিকিৎসা রয়েছে। কিন্তু দূঃখের বিষয় হলো কোনো চিকিৎসায় ডায়াবেটিসকে চিরতরে নির্মূল করতে পারে না। তাছাড়া ডায়াবেটিসর চিকিৎসা খুবই ব্যয়বহুল। ইনসুলিন ইনজেকশন হলো অধিকাংশ ডায়াবেটিস রোগীর বেঁচে থাকার প্রধান অবলম্বন। বর্তমানে অ্যান্টিডায়াবেটিক ঔষধ ব্যবহার করেও অনেক রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে । তবে জীবনধারার পরিবর্তন যেমন নিয়মিত ব্যায়াম, খাদ্য গ্রহণে সচেতনতা ইত্যাদির মাধ্যমে ডায়াবেটিস রোগীরা দীর্ঘদীন বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখতে পারেন। সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য আমাদেরকে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে হবে।প্রতিদিন এক ঘণ্টা হাঁটা ও ব্যায়াম, ধূমপান ও মদ্যপান না করা,মিষ্টিজাতীয় খাবার পরিহার করা,রক্তে চিনির মাত্রার ওপর নজর রাখা ইত্যাদি কাজের মাধ্যমে আমরা ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে একটি সুস্থ ও সুন্দর জীবন উপভোগ করতে পারি।
0 notes
mdbillalhasansujon · 2 years
Photo
Tumblr media
রক্তদানের পর শরীরের যেসব উপকার হয়। রক্তদান মহৎ একটি উদ্যোগ। অন্যকে রক্ত দেওয়ার মাধ্যমে যেমন তার জীবন বাঁচানো যায়, ঠিক তেমনই রক্তদান করলে নিজের শরীরেরও উপকার হয়।অনেকেই ভেবে থাকেন, রক্তদান করলে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যায় ভুগতে হবে। ধারণাটি ঠিক নয়। কারণ রক্তদানের অনেক উপকারিতা আছে। পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ও নিঃস্বার্থ উপহার হলো রক্তদান। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে বছরে ৮-৯ লাখ ব্যাগ রক্তের চাহিদা থাকলেও রক্ত সংগ্রহ হয় ৬-৬.৫ লাখ ব্যাগ। ঘাটতি থাকে তিন লাখ ব্যাগের বেশি। এ ছাড়া সংগ্রহকৃত রক্তের মাত্র ৩০ শতাংশ আসে স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের থেকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক ব্যাগ রক্ত দিতে সময় লাগে মাত্র ১০-১২ মিনিট। এই অল্প সময়ে চাইলেই একজনের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব।করা রক্ত দিতে পারবেন? ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সের মধ্যে শারীরিকভাবে সুস্থ নারী ও পুরুষ রক্ত দিতে সক্ষম। এক্ষেত্রে পুরুষের ওজন থাকতে হবে অন্তত ৪৮ কেজি এবং নারীর অন্তত ৪৫ কেজি। সাধারণত প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ মানুষ প্রতিবার ৪৫০ মিলিলিটার রক্ত দেওয়া হয়। রক্ত দেওয়ার পর লোহিত রক্তকণিকার মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে অন্তত এক থেকে দেড় মাস সময় লাগতে পারে। পাশাপাশি রক্ত বাড়ে এমন খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। নিয়মিত রক্তদানের মাধ্যমে শরীর যেভাবে উকৃত হয়- >> নিয়মিত রক্তদান করলে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে।>> বছরে তিনবার রক্ত দিলে শরীরে নতুন লোহিত কণিকা তৈরির হার বেড়ে যায়। এতে অস্থিমজ্জা সক্রিয় থাকে। দ্রুত রক্তস্বল্পতা পূরণ হয়।>> রক্তে কোলেস্টরেলের মাত্রা কমে যায়। এর ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায়। >> শরীরে হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, জন্ডিস, ম্যালেরিয়া, সিফিলিস, এইচআইভি বা এইডসের মতো বড় রোগ সম্পর্কে জানা যায়।>> রক্তদাতার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। সূত্র: বিবিসি জেএমএস/এসইউ/জিকেএস https://www.instagram.com/p/CZMaD8pBO5O/?utm_medium=tumblr
0 notes