Tumgik
#রাষ্ট্রভাষা
gyanbitan · 7 months
Text
২১ শে ফেব্রুয়ারি নিয়ে কিছু কথা
২১ শে ফেব্রুয়ারি নিয়ে কিছু কথা যা জানা আমাদের প্রত্যেকের জন্য অত্যাবশকীয়। কেননা এই দিনে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকায় আন্দোলন হয় আর সেখানে আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের উপর মারাত্মক গুলিবর্ষণ হয়। ঘটনাস্থালেই প্রাণ যায় রফিক, শফিক, বরকত জব্বার ও আরো অনেক মেধাবী তরুণের। শত শত প্রাণের বিনিময়ে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পায় বাংলা ভাষা । তারপর থেকেই প্রতি বছর ২১ শে ফ্রেব্রুয়ারী পালন…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
boishakhi · 9 months
Text
শহীদ মিনারে সিলটি পাঞ্চায়িত’র মানববন্ধন অনুষ্টিত
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সিলেট বিভাগবাসীর মাতৃভাষা ছিলটি নাগরী ভাষাকে বাংলাদেশের ২য় রাষ্ট্রভাষা ঘোষনা ও সিলেট বিভাগকে অনাকাঙ্খিত বন্যার হাত থেকে রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করেছে সিলেট বিভাগ ভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠন সিলটি পাঞ্চায়িত। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) দুপুর ২টায় নগরীর চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনের সড়কে আয়োজিত এ মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সিলটি পাঞ্চায়িত এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
Text
Tumblr media
একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সহ পশ্চিমবঙ্গ তথা সমস্ত বাংলা ভাষা ব্যবহারকারী জনগণের গৌরবোজ্জ্বল একটি দিন।
এটি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবেও সুপরিচিত। 
বাঙালি জনগণের ভাষা আন্দোলনের মর্মন্তুদ ও গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতিবিজড়িত একটি দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। ১৯৫২ সালের এই দিনে (৮ ফাল্গুন, ১৩৫৮, বৃহস্পতিবার) বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে অনেক তরুণ শহীদ হন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলো রফিক, জব্বার, শফিউর, সালাম, বরকত সহ অনেকেই।
তাই এ দিনটি শহীদ দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। ১৭ নভেম্বর ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়।
0 notes
banglavisiononline · 1 year
Link
রাজধানীর বাইরেও নানা আনুষ্ঠানিকতায় ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছে মানুষ। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে বাঙালির আত্মত্যাগের দিনটিতে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুল
0 notes
tbndigital · 1 year
Text
গুরদাসপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস পালিত
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষার জন্য যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে রাষ্ট্রভাষা পেয়েছি সেই সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রতিবছরের ন্যায় এবারেও নাটোরের গুরুদাসপুরে যথাযোগ্য  মর্যাদায়   আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা   ও শহীদ দিবস পালন করা হয়েছে। গুরদাসপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে রাত বারোটা এক মিনিটে শহীদ বেদীতে ফুল দেওয়ার মাধ্যমে দিবসটির…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
bengalbyte1 · 1 year
Link
0 notes
nationalmemorial · 1 year
Photo
Tumblr media
বাংলাদেশের জনসংখ্যা C/A World Factbook তথ্য অনুযায়ী জুলাই, ২০১৪ পর্যন্ত বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬,৬২,৮০৭১২ ( ১৬ কোটি ৬২ লক্ষ ৮০ হাজার ৭১২ জন) [৩]। এটি বিশ্বের ৮ম বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ। এখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ১১২৫ জন, যা সারা পৃথিবীতে সর্বোচ্চ (কিছু দ্বীপ ও নগর রাষ্ট্র বাদে)। এখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৩৭%[৪] । বাংলাদেশে পুরুষ ও নারীর অনুপাত ১০০.৩:১০০[৫]। দেশের অধিকাংশ মানুষ শিশু ও তরুণ বয়সী (০–২৫ বছর বয়সীরা মোট জনসংখ্যার ৬০%, ৬৫ বছরের বেশি বয়সীরা মাত্র ৬%)। এখানকার পুরুষ ও মহিলাদের গড় আয়ু ৭২.৩ বছর।[৬] জাতিগতভাবে বাংলাদেশের ৯৮% মানুষ বাঙালি। বাকি ২% মানুষ বিহারী বংশদ্ভুত, অথবা বিভিন্ন উপজাতির সদস্য। পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ১৩টি উপজাতি রয়েছে। এদের মধ্যে চাকমা উপজাতি প্রধান। পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরের উপজাতি গুলোর মধ্যে গারো ও সাঁওতাল উল্লেখযোগ্য। দেশের ৯৮% মানুষের মাতৃভাষা বাংলা, যা বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা। সরকারী কাজ কর্মে ইংরেজিও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে ১৯৮৭ সাল হতে কেবল বৈদেশিক যোগাযোগ ছাড়া অন্যান্য সরকারি কর্মকান্ডে বাংলা ভাষাকে প্রাধান্য দেয়ার চেষ্টা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর প্রধান ধর্মবিশ্বাস ইসলাম (৯০.৪%)।[৭] এরপরেই রয়েছে হিন্দু ধর্ম(৮.৫%), বৌদ্ধ (০.৬%), খ্রীস্টান (০.৩%) এবং অন্যান্য (০.১%)।[৮]।'মোট জনগোষ্ঠীর ২১.৪% শহরে বাস করে, বাকি ৭৮.৬% গ্রামাঞ্চলের অধিবাসী। সরকারী ও বেসরকারী উন্নয়ন কর্মকান্ডের ফলে দারিদ্র বিমোচন ও জ���সাস্থ্যে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বাংলাদেশের জনসংখ্যার এক বিশাল অংশ দারিদ্র সীমার নিচে বাস করে। মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেক দৈনিক মাত্র ১ মার্কিন ডলার আয় করে (২০০৫)।[৯] আর্সেনিক জনিত বিষক্রিয়া বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা। [১০] এছাড়া বাংলাদেশে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব রয়েছে। 2017 এর পরে এরোগ আর দেখা য়ায় না বলেই চলে। ২০০৫ সালের হিসাবে বাংলাদেশে স্বাক্ষরতার হার প্রায় ৪১%।[১১]ইউনিসেফের ২০০৪ সালের হিসাবে পুরুষদের মধ্যে স্বাক্ষরতার হার ৫০% এবং নারীদের মধ্যে ৩১%।[১২] তবে সরকারের নেয়া নানা কর্মসূচীর ফলে দেশে শিক্ষার হার বাড়ছে। এর মধ্যে ১৯৯৩ সালে শুরু হওয়া শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচী সবচেয়ে বেশি সাফল্য অর্জন করেছে।[১৩] এছাড়া মেয়েদের শিক্ষার জন্য প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে বৃত্তি প্রদান কর্মসূচী নারীশিক্ষাকে এগিয়ে নিচ্ছে। (at Bangladesh) https://www.instagram.com/p/CmAGrkXAfIW/?igshid=NGJjMDIxMWI=
0 notes
gazipur-kotha · 2 years
Link
২১ ফেব্রুয়ারি তারিখটা বাংলা ভাষাভাষী মানুষদের জন্য চিরস্মরণীয় এক দিন। ১৯৫২ সালের এই দিনে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে প্রাণ দিয়েছিলেন রফিক, জব্বার, বরকতরা। ঐতিহাসিক সেই দিনের ঠিক ২৪ বছর পর তামিলনাডুর চেন্নাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন শ্রীধরন শ্রীরাম। যি%E...
0 notes
bhawalerkontho · 2 years
Link
২১ ফেব্রুয়ারি তারিখটা বাংলা ভাষাভাষী মানুষদের জন্য চিরস্মরণীয় এক দিন। ১৯৫২ সালের এই দিনে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে প্রাণ দিয়েছিলেন রফিক, জব্বার, বরকতরা। ঐতিহাসিক সেই দিনের ঠিক ২৪ বছর পর তামিলনাডুর চেন্নাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন শ্রীধরন শ্রীরাম। যি%E...
0 notes
bongboyblog · 2 years
Text
Dear Indians, if you are wounded by a knife, you aren't supposed to stab yourself a second time to heal the first gash. You should be treating the wound not hurting yourself more.
Just because you have been colonised by the British in the past and have been anglicised, doesn't mean you should let yourself get culturally colonised for a second time by the Hindustanis (and by that I mean north India, especially the Hindi-belt). Let Hindi remain where it belongs, let the North Indians take pride in it. Stick to your native tongue and traditions, even the wounds of the first attack will be healed. But if you keep wounding your culture with non-indigenous influences, you will be crippled beyond rescue. Only God can save you then.
We might be free politically but our minds are still those of colonised people. If we are to be truly independent, truly free, we must take pride in our native identities. We need a new freedom struggle, freedom from the shackles of our own inferiority complexes.
জয় বাংলা, জয় হিন্দ!
- a fellow Indian 🇮🇳
66 notes · View notes
khulnabazar · 2 years
Text
ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দেশ চলছে: মির্জা ফখরুল
ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দেশ চলছে: মির্জা ফখরুল
নিউজনাউ ডেস্ক : আজ থেকে ৭০ বছর আগে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য শহীদ, জব্বার, বরকতসহ আরও অনেকে সেদিন রাজপথে আত্মত্যাগ করেছিলেন। সেই সময় পাকিস্তান বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করতে বাধ্য হয়েছিল। কিন্তু বাংলা ভাষা এখনও সর্বস্তরে প্রচলিত হয়নি। সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
americabangla · 3 years
Text
ইতিহাসের পাতায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
ইতিহাসের পাতায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
তৌহিদুর রহমান: বিশ শতকের দ্বিতীয় দশক, ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন জোরদার হওয়ার পর আসন্ন স্বাধীন রাষ্ট্রের রাষ্ট্রভাষা কি হবে? সে প্রশ্নে মহাত্মা গান্ধী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছে পত্র লেখেন, জবাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লেখেন-‘ভারতের সাধারণ ভাষা তথা আন্তঃপ্রাদেশিক যোগাযোগের একমাত্র ভাষা হতে পারে ‘হিন্দি’। পরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আহুত এক আলোচনা সভায় বহু ভাষাবিদ ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ…
Tumblr media
View On WordPress
#‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’#‘রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’#১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা#২১ মার্চ রেসকোর্স ময়দান#২১শে ফেব্রুয়ারি#৮ ফাল্গুন#towhidur#towhidur rahman#towhidurofficial#অবজারভার#আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সম্পর্কে প্রতিবেদন#উপমহাদেশের তিনটি ভাষা বাংলা#খাজা নাজিমুদ্দিন#তমদ্দুম মজলিশ#তৌহিদুর রহমান:#ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত#পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে দু’টি বাংলা ও উর্দু।#প্রাদেশিক অফিস আদালতের ভাষা ও শিক্ষার মাধ্যম হবে বাংলা।#মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ#রচনা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস রচনা#রাষ্ট্রভাষা বাংলা#রেসকোর্স ময়দান#হিন্দি ও উর্দু
0 notes
Text
Trigger Warning
Three days. It's been three days since I mourned the death of my fallen brothers. Language, we don't appreciate it enough. Bangla, her words leave a sweet taste in your tongue. Yet she is written with the blood of my brothers. আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি। (With the blood of my brothers is painted the 21st of February). Let me, a Bangladeshi, shed to you light on this matter.
It's 1952, you are in prison inside your home. Pakistani police, aliens on the streets of Bengal, hover, speaking in a tongue which spark fear in the hearts of commoners. Urdu. That's what they call it. 4 years ago, that devil dresses saintly, Muhammad Ali Jinnah, proclaimed on behalf of the Bengalis:
"Let me make it very clear to you that the state language of Pakistan is going to be Urdu and no other language. Anyone who tries to mislead you is really the enemy of Pakistan. Without one state language, no nation can remain tied up solidly together and function. Look at the history of other countries. Therefore, so far as the state language is concerned, Pakistan’s shall be Urdu."
But we are not Pakistan. We are under no country. We are Bengali. We will not be constrained against our will. And our language? The tongue of mothers? She is not something we will give up so easily. She is our pride.
It's 21st of February. You're on the streets, holding placards and banners, etched onto them by the youth of the nation:
রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই। ("We want Bangla as our State Language")
You have broken the law under Section 144. The Pakistani police has joined the fray. The peaceful yet agitated chants of your brothers' broken by the cracking of the air. No thunder struck the heavens and no god rolled his chariot through the clouds. It was a day without divinity.
One of your mates fell to the ground. Lifeless. Even on his last breath, he spoke the liberation of his language and his people.
Two, three, four and twenty six fell dead. A child, who had his whole life before him, among them. One, two, three and four hundred injured. You watch in horror. Perhaps you are next. Perhaps you will live.
That is the story behind the date. 21st February. ৭তৈ ফাল্গুন (7th of Falgun)। Say their names:
Rafiquddin Ahmad, Abul Barkat, Abdul Jabbar, Abdus Salam, Shafiqur Rahman, Abdul Awal, Ahualullah and the 18 others who fell for their mother tongue.
Never Forget Them.
3 notes · View notes
sylhetilanguage · 5 years
Text
কেন সিলেটি ভাষাকে সংরক্ষণ করতে হবে?
প্রবন্ধটি English এ পড়ুন। 
সিলেটি  কাহিনী 
--যে জীবনগুলোতে ভাষার বসবাস 
*ব্যাক্তিগত প্রাইভেসী রক্ষার্থে প্রতিটি কাহিনীতে ছদ্মনাম ব্যবহৃত হয়েছে। 
বিলাল
বিলালের জন্ম আমেরিকায় এক সিলেটি  বাবা-মার ঘরে।  শৈশব থেকেই বন্ধুবান্ধব ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে ইংরেজীতে কথা বলে বড় হওয়ায় সে সিলেটি ভাষায় কথা বলাটা ঠিকমতো আয়ত্ত করতে পারেনি।  অন্যদিকে ওর বাবা-মা কোনো ছোট বেলা থেকেই ওকে বাংলা শিখার জন্য চাপ দেন।  নিজের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য হারানোর অনুতাপে সে তার কৈশোরের বছরগুলোতে শিকড়ের সম্পর্ককে পুনর্জ্জীবিত করার আশা করে।  হারিয়ে যাওয়া সম্পর্ক স্থাপনের একটি স্বাভাবিক প্রথম ধাপ ছিল ভাষা কিন্তু সেই প্রথম ধাপেই দেখা দিল প্রতিকূলতা।  “আমার বাবা - মা বাংলায় সিনেমা দেখতেন, কিন্তু আমি ওসব কখনোই বুঝতে পারিনি।  আমি ভেবেছিলাম যে ভাষাটা শিখলে হয়তো নিজের শিকড়ে ফিরে যেতে পারবো কিন্তু বাংলা শিখা শুরু করার কয়েকদিন পরই আমি উৎসাহ হারিয়ে ফেললাম।  মনে হচ্ছিলো যেন আমি নতুন কোনো ভাষা শিখছি।  এই সংস্কৃতিকেও আমার আপন মনে করতে পারলাম না।  আমার বাবা-মা আত্মীয়স্বজনের সংস্কৃতি আর এই সংস্কৃতি এক ছিল না।” বিলালের বয়স এখন ২৯ বছর।  সে দুই সন্তানের জনক।  যখন জিজ্ঞাসা করা হলো তার সন্তানেরা সিলেটি ভাষায় কথা বলতে পারে কি না, সে উত্তর দিল, “ আমি নিজেই যে ভাষায় কথা বলতে পারি না, তা ওদেরকে কিভাবে শিখাবো?” 
অমিতা 
নন -  সিলেটি প্রধান এলাকার এক মধ্যবিত্ত সিলেটি পরিবারে জন্ম গ্রহণ করে অমিতা।  নিজের ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক পরিচয়ের প্রতি প্রচন্ড এক  লজ্জা নিয়েই ওর বড় হওয়া।  যাতে অন্যরা তার সিলেটি পরিচয় জানতে না পারে সে জন্য সে লোকসমুক্ষে সিলেটি ভাষায় কথা বলতে অস্বীকৃতি জানায়।  বাইরে সবসময় বাংলা বলার অভ্যাস প্রভাব বিস্তার করে বাড়িতে ও।  যখন সে বাংলায় কথা বলতো, সে একধরণের banglafied সিলেটি ভাষা ব্যবহার করতো।  আজ অমিতা তার মাতৃভাষার ইতিহাস নিয়ে জ্ঞাত এবং ভাষাগত পরিচয় নিয়ে গর্বিত।  কিন্তু নিজের ভাষা কে সাগ্রহে গ্রহণ করার পর ও সে সিলেটি ভাষায় সঠিকভাবে কথা বলতে অক্ষম।  এতগুলো বছর নিজের ভাষা ও সংস্কৃতিকে দমনের চেষ্টার পর সে আজ নতুন করে যে ভাষাকে ভালোবাসতে শিখেছে, নিজের অজান্তেই তার ভাষাজ্ঞানকে সে-ই তো নির্মূল করেছে।  এখন অমিতার সন্তানকেও তার মতো জগাখিচুরি ভাষায় কথা বলার জটিলতায় ভোগতে হয়।  
খালেদ ও ইমা 
খালেদ ও ইমার জন্ম ভিন্ন ভিন্ন দেশে হলেও ওদের গল্পটা একই।  দুজনই সিলেটি ভাষাভাষী পরিবারের অন্তর্গত কিন্তু দুজনের কেউই সিলেটি ভাষায় কথা বলতে পারে না।  ওদের সঙ্গে কথা বললে জানা যায় যে ওদের ওদের বাবা-মা অল্প বয়স থেকেই ওদের বাংলা শিখানোর উদ্যোগ নিয়েছে- সন্তান যাতে পরিশীলিত, সুশিক্ষিত, ও উন্নতর সংস্কৃতির অধিকারী হয় সেই আশায়।  উভয় পরিবারেই সিলেটিকে অমার্জিত ও গেঁয়ো ভাষা হিসেবে দেখা হয়।  ফ্লুয়েন্ট বাংলায় কথা বলার দক্ষতা পরিবারে বয়ে আনে গর্ব ও অহংকার।  বাংলাকে প্রধান্য দিতে গিয়ে আপন ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে দূরত্বের সৃষ্টি হয় তাদের।  যে সুশীলতার ছোঁয়া খালেদ ও ইমার পরিবার দিতে চেয়ে ছিলেন, হিতের বিপরীতে সেটাই লজ্জার গ্লানি হয়ে আজ পীড়া দিচ্ছে তাদের।  
সিলেটি : একটি অতীত ও একটি ভবিষ্যত 
--সংখ্যালঘু ভাষাগুলোর ভাগ্য 
স্বতন্ত্রজাতি হিসেবে  ১৯৭১ সালে জন্মের পর থেকেই বাংলাদেশ জনগণের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার  লক্ষে আপ্রাণ চেষ্টা করে।  জাতিকে একতাবদ্ধ করার জন্য নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের মধ্যে অন্যতম ছিল বাংলা ভাষা প্রচলন আইন (১৯৮৭) যা বাংলা ভাষাকে দেশের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্টা করে।  এই আইনের মাধ্যমে  যে দেশের lingua franca হিসেবে বাংলার অবস্থান আরো মজবুত হয় তাই নয়, বরং বাংলা অভিজাত ও শিক্ষিত লোকের ভাষা হিসেবে পরিচিতি পায় যা দেশের আঞ্চলিক ও সংখ্যালঘু ভাষাগুলোকে পর্দার অন্তরালে ঠেলে দেয়।  বর্তমানে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় ও দাপ্তরিক বিষয়ে বাংলা ছাড়া অন্য কোনো ভাষার ব্যবহার আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ- যদি না সেটি রাষ্ট্র স্বীকৃত কোনো বিষয় হয়ে থাকে যাতে বিদেশী ভাষা ব্যবহারের প্রয়োজন।  এখন থেকেই শুরু হয় অবহেলার এক সূক্ষ্ম স্রোতধারা যা কোনঠাঁসা করেছে দেশের অন্যতম বৃহৎ স্থানীয় ভাষা, সিলেটিকে।  
যে সংস্কৃতি বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদা নিয়ে অহংকার করে, সেই সংস্কৃতিই বাংলাদেশ ও ভারতে সিলেটিকে একটি নিম্নশ্রেণীর ‘উপভাষা’ বলে অপবাদ দেয়।  সিলেটিকে তার পূর্ণাঙ্গ ভাষার অবস্থান থেকে বিচ্যুত করা হয়েছে আর প্রচার করা হয়েছে যে সিলেটি বাংলার একটি উপভাষা মাত্র।  তাই সিলেটি যদি বাংলারই উপভাষা হয়, তবে সিলেটিরা বাঙালীজাতির একটি উপশ্রেণী।  এই মিথ্যে ধারণার প্রভাব শুধু বাংলাদেশে বসবাসকারী সিলেটিদের উপরই নয়, বরং ভারতে বসবাসকারী লক্ষাধিক সিলেটিদের উপর ও পরে যাদের ইতিমধ্যে ‘তোমাদের ঠিকানা বাংলাদেশে, ভারতে নয়’ এমন ধারণা সাধারণ জনগণ থেকে আলাদা করে রেখেছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে সিলেটি ভাষা ও সংস্কৃতিকে স্বীকৃতি দেয়ার ব্যর্থতা সিলেটি জাতিগত পরিচয়টিকেই মুছে ফেলেছে।  বঙ্গের সর্বত্র সরকারি অফিস, আদালত, সংবাদ, এবং টিভি স্টেশনে হচ্ছে বাংলা প্রচারিত আর সিলেটি উপেক্ষিত।  শ্রেণীকক্ষের ভাষাও বাংলা। সিলেটি লিপির জায়গায় সিলেটি বাচ্চারা বাংলা লিপিতে লিখতে ও পড়তে শিখছে।  সেই বাংলা লিপিতেই চলে ওদের সিলেটি লেখা ও পড়া (সেটা যদি ওরা সিলেটি ভাষা ব্যবহার করতে আগ্রহী হয় তবে) সিলেটি ভাষার সামগ্রিক পতন পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে আরো বেশি দৃশ্যমান যেখানে বহু সিলেটি সম্প্রদায় ভারতের অন্তর্গত হওয়া সত্ত্বেও সিলেটি সংস্কৃতিকে বাংলাদেশী সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।  সীমান্তের উভয় পাশেই অনেক সিলেটি বাঙালি ঐতিহ্য ও পরিচয় দাবি করে ও মূলধারার বাঙালি সমাজে সামাজিক মর্যাদা ও অবস্থানের জন্য পিতামাতার ভাষার পরিবর্তে বাংলা ভাষায় কথা বলে।  
সুসম্মদ্ধভাবে সিলেটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ ভাষার অবস্থান থেকে মুছে ফেলার কারণে সিলেটি আজ এই প্রান্তিক অবস্থায় উপমিত হয়েছে ।  সিলেটি কোনো আইনত সুবিধা ভোগ করে না এবং জনসম্মুখেও স্বীকৃতি পায় না।  সিলেটি বংশোদ্ভুত লোকেরা সিলেটি ভাষা শিখার জন্য পর্যাপ্ত সামগ্রী না পেয়ে বিকল্প হিসেবে বাংলাকে বেছে নেয় এবং সমস্যার মুখোমুখি হয় যেহেতু উভয় ভাষা পরস্পর অবোধগম্য।  সিলেটি লিপিও আজ মারাত্মকভাবে বিপন্ন।  যদিও অধিকাংশ সিলেটি সম্প্রদায়ের মধ্যে সিলেটি এখনো একটি পারিবারিক ভাষা হিসেবে বর্তমান, ঝুঁকি রয়ে গেছে।  নতুন প্রজন্মগুলো সিলেটি হারাতে বসেছে কারণ তাদের মধ্যে সিলেটি বলার প্রবণতা তাদের বাবা-মা ও বয়োবৃদ্ধদের চেয়ে কম।  অনেকেই আবার সিলেটি ভাষায় কথা বলতে গেলে একটি banglafied ভার্শনে কথা বলছে।  এরই মধ্যে অনেকে সিলেটিতে কথা বলার সম্পূর্ণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে।  উপরের স্বীকৃতিগুলোতে দেখা যায় যে সিলেটি ভাষার অবমূল্যায়ন সিলেটি সংস্কৃতির অবক্ষয়ে রূপ নিয়েছে যেখানে সিলেটিরা নিজেদের ঐতিহ্যের প্রতি লজ্জিত এবং পূর্বপুরুষের সংস্কৃতি থেকে নিজেদের আলাদা করার প্রয়োজনীতা বোধ করে।  গুটি কয়েকজন যদিও নিজেদের শিকড়কে আঁকড়ে ধরার সিদ্ধান্ত নেয়, সিলেটি ভাষার জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর ও আশেপাশের মানুষের কাছ থেকে উৎসাহের অভাবে অনেক প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়।  
সিলেটির বর্তমান অবস্থা যতই বিবর্ণ দেখাক না কেন, ভাষাটি এখনো অটল ও স্থিতিশীল পায়ে দাঁড়িয়ে আছে এবং এর অবস্থার পরিবর্তনেরও সুযোগ রয়েছে।  সিলেটি ভাষা সুরক্ষার জন্য স্থানীয় সংস্থাগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টা ও ক্রমবর্ধমান সংখ্যক  সামগ্রীর উপস্থিতি আশার  সঞ্চার করে।  যথাযতভাবে স্বীকৃত ও সঠিকভাবে শিখানোর জন্য সিলেটি ভাষার প্রয়োনীয় সমর্থন ও সরঞ্জাম রয়েছে।  Sylheti Language Preservation প্রকল্পে আমাদের মিশন হচ্ছে বিভিন্ন সামগ্রী সংকলন ও তৈরী করে সিলেটি এবং নন-সিলেটি নির্বিশেষে সবাইকে সিলেটি ভাষা সম্পর্কে শিক্ষিত করা।  আমরা আশা করি আমাদের কাজ সিলেটিদের নিজ ভাষা ও ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করতে অনুপ্রাণিত করবে এবং সিলেটি একটি মূল্যবান ও একক ভাষা হিসেবে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মঞ্চে স্বীকৃতি পাবে।  সকলের সহযোগিতায় আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে সিলেটি ভাষা বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আছে ও থাকবে।  
2 notes · View notes
crimeprotidin-blog · 6 years
Text
একুশের চেতনায় দেশকে গড়ে তোলাই সরকারের লক্ষ্য
ক্রাইম প্রতিদিন, ডেস্ক : আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা না হলে পাকিস্তানের শাসনতন্ত্রে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেয়া হতো না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০১৮ উপলক্ষে বুধবার বিকালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের চার দিনের কর্মসূচি উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, একুশের চেতনায় দেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলাই এই সরকারের লক্ষ্য।…
View On WordPress
0 notes
aapbd-blog · 7 years
Photo
Tumblr media
ভাষা নিয়ে #১৯৫২ এর #২১ তে সবাই এক হয়েছিল, মিছিলের মাঝে রক্তস্রোত বয়ে গিয়েছিলো - কিছু অসীম সাহসী তাজা প্রাণের বিনিময়ে আমরা পেয়েছিলাম । সকল কে আহবান - প্রোফাইল ছবিতে আমরা সবাই আবার মহান একুশ কে ফুটিয়ে তুলি সাথে! https://www.isupportcause.com/result/international-mother-language-day-15/rpvby
0 notes