Tumgik
#রক্ত ক্যান্সারের লক্ষণ
homeopathy79 · 1 year
Text
হেপাটাইটিস কি?
হেপাটাইটিস কি? হেপাটাইটিস একটি লিভার জনীত রোগ।যা দীর্ঘস্থায়ী হলে লিভার সিরোসিস এবং ক্যান্সারের মত ভয়াবহ রুপ ধারন করতে পারে।সাধারণত দূষিত খাবার ও জলের মাধ্যমে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ে।প্রাথমিক পর্যায়ে এর তেমন কোনো লক্ষন দেখা যায় না।
হেপাটাইটিস কত প্রকারঃ
হেপাটাইটিস সাধারণ ৫ প্রকার।যথাঃ হেপাটাইটিস এ,বি,সি,ডিএবংE এর ভেতর বি এবং সি মারাত্মক রুপ ধারণ করে এবং এটি পরবর্তীতে ক্যান্সার এর মত ভয়াবহ রুপ ধারণ করতে পারে।
হেপাটাইটিস কেন হয়?
যেসব কারনে হেপাটাইটিস হতে পারে সেগুলো হলো ঃ ১.বাইরের খোলা খাবার ও অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহনের মাধ্যমে। ২.ময়লা পানি পান করার মাধ্যমে ৩.এছাড়া রক্ত থেকে রক্ত সংযোগ,জীবাণু যুক্ত চিকিৎসা ইত্যাদির মাধ্যমে ও ছড়াতে পারে। হেপাটাইটিস এর লক্ষণঃ ১.জ্বর জ্বর ভাব ২.জন্ডিস হতে পারে এবং চোখ ও প্রসাব হলুদ হয়ে যেতে পারে। ৩.বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া ৪. দূর্বলতা ও ক্লান্তভাব ৫.খাবারে অরুচি ৬.শরীরে চুলকানি ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে এছাড়া কোনো কোনো ক্ষেএে তেমন কোনো লক্ষণ না ও দেখা দিতে পারে।
হেপাটাইটিস এ করনীয়ঃ
হেপাটাইটিস একটি ভয়াবহ রোগ। এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে যা যা করনীয় তা হলোঃ ১.স্বাস্থকর খাবার গ্রহন ২.বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে ৩.বাইরের ফাস্টফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে ৪.ভাইরাসের টিকা নিতে হবে। ৫.নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করতে হবে। ৬. ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এর জন্য যে ঔষুধ আছে সেটি নিয়মিত সেবন করতে হবে। অবশ্য ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগ থেকে চিরতরে মুক্তি সম্ভব। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মাধ্যমে এটি পুরোপুরি নিরাময় সম্ভব।
অনলাইনে বিশ্বের যে কোন দেশ থেকে ঘরে বসে অরজিনাল জার্মানি হোমিওপ্যাথি ঔষধের মাধ্যমে শিশু,পুরুষ ও মহিলাদের যাবতীয় রোগের প্রকৃত চিকিৎসা নিতে Website:http://besthomeodoctor.com ভিজিট করুন। অথবা App টি https://play.google.com/store/apps/details... ইনস্টল করে রেজিস্টেশন করুন। ভিডিও কলের মাধ্যমে ডাক্তারের সাথে চিকিৎসার পর চিকিৎসাপত্র বাটনে পান্স করলে ঘরে বসে প্রেসক্রিপশন পেয়ে যাবেন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সমগ্র বাংলাদেশের যে কোন প্রান্ত থেকে ঘরে বসে ঔষধ হাতে পেয়ে যাবেন ।
ডাঃ মাহমুদুল হাসান (B.S.S) (M.S.S) (D.H.M.S)
Govt Reg No:32673 মোবাইলঃ 01714010479
0 notes
Photo
Tumblr media
“বেশ কয়েকদিন ধরে তোকে দেখছিনা কেন? ক্লাসেও আসিস না! কি হইছে?” কাফির দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলো তাহমিদ। “দেখবি কি করে! আমার যে জ্বর যাচ্ছে সেটা ত খেয়াল রাখিস না” কিছুটা রেগেই উত্তর দিলো কাফি। “জ্বর! কি বলিস! কবে থেকে? তুইও ত কিছু জানালি না। ডাক্তার দেখাইছিস?” এক নিশ্বাসে সবগুলো প্রশ্ন করে বসলো তাহমিদ। “না, ডাক্তার দেখাইনি। জ্বর হুট করে আসে যায়। আর মাথা আর ঘাড় ব্যথা। লাইটের আলো চোখে পড়লে ত আরো মাথা ব্যথা বেড়ে যায়” বিষন্ন কণ্ঠে জানালো কাফি।
শুনে কিছুক্ষণ চুপ দুইজন। খানিকবাদে তাহমিদ বললো, “চিন্তা করিস না। শুনে মনে হচ্ছে মাইগ্রেন এর সমস্যা। আমারো লাইটের আলোতে মাথা ব্যথা হয় মাঝে মধ্যে। আর জ্বর ত সিজন পরিবর্তন হওয়ায় সবারই হচ্ছে। জ্বরের ওষুধ আজকেই কিনে নিয়ে যাবি।” তাতে নিরবে সায় জানালো কাফিও।
এতোক্ষণ আমরা দুইজন বন্ধুর মধ্যকার একটি অতি সাধারণ কথোপকথন পড়লাম। উপরের ঘটনাটি আমাদের সাথে হলে হয়তো আমরাও ঠিক এভাবেই জ্বরের জন্য নাপা জাতীয় ওষুধ খাওয়ার কথা বন্ধুকে বলতাম। কিন্তু এই জ্বর ও তীব্র মাথা ব্যথা হতে পারতো আরো অনেক সমস্যার লক্ষণ। তেমনি একটি সমস্যা নিয়ে আজ আমরা জানবো।
মানুষের মস্তিষ্ক তিনটি সুরক্ষা স্তর দ্বারা আবৃত- ড্যুরা স্তর, অ্যরাকনয়েড স্তর ও পিআ স্তর। এই তিনটি সুরক্ষা স্তরকে একত্রে বলা হয় মেনিনজেস যা আমাদের সম্পূর্ণ মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ডকে ঢেকে রাখে। আর এই মেনিনজেসে কোনো ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণে ব্যথা হলে তখন সেটাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলে মেনিনজাইটিস(মেডিকেলের ভাষায় কোনো শব্দের শেষে itis দ্বারা প্রদাহ বোঝায়)। মেনিনজাইটিস এর অস্তিত্ব মিলে প্রাচীন ইতিহাসেই। হিপোক্রিটাস তার কাজের মাঝে এর বিবরণ দিয়ে গেছেন বলে ধারণা করা হয়। এমনকি ইবনে সিনাও এই মেনিনজাইটিস সম্পর্কে জানতো যদিও তখন এই সমস্যাকে বলা হত ‘ড্রপসি’। থমাস উইলসের বিবরণ থেকে ১৬৬১ সালে জ্বরসহ মেনিনজাইটিস সমস্যায় আক্রান্ত রোগীর খোঁজ মিলে।১৭৬৮ সালে যক্ষার জীবাণু সংক্রমিত মেনিনজাইটিস এর বিবরণ মিলে স্যার রবার্ট হুইট একটি রিপোর্টে।গেস্পার্ড ভিয়োসসে, এলিসা নর্থ, আন্দ্রে মেথ্যিও সহ আরো বেশকয়েকজন তখন জেনেভা, ইউরোপ ও আমেরিকাতে এর বর্ণনা দেয়। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে মেনিনজাইটিস এর লক্ষণ সম্পর্কে মানুষ বিস্তারিত জানতে পারে।১৮৮২ সালে রাশিয়ান পদার্থবিজ্ঞানী ভ্লাদিমির কার্ণিগ ও ১৯০৯ সালে পোল্যান্ডের বিজ্ঞানী জোসেফ ব্রডযিন্সকি মেনিনজাইটিসের লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দেয়।
জেনেভাতে ১৮০৫ সালে ও আফ্রিকাতে ১৮৪০ সাল�� সর্বপ্রথম এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। ১৯০৫ থেকে ১৯০৮ সালের মাঝে এটি নাইজেরিয়াতে ভয়ানক আকার ধারণ করে, মারা যায় অনেক মানুষ। তখন মানুষ মেনিনজাইটিস সম্পর্কে না জানলেও এখন বিজ্ঞানের আধুনিকতায় মেনিনজাইটিস আজ আর অজানা নয়। মেনিনজাইটিক সমস্যায় প্রথম দিকে ফ্লু বা সর্দিকাশির মতো সাধারণ জ্বরের উপসর্গ থাকে। দুই বছরের বেশি বয়সীদের পরে আরো যে সমস্যাগুলো দেখা দেয়- (১)হঠাৎ তীব্র জ্বর হয়।প্রচণ্ড মাথা ব্যথা হয়, যা সাধারণ মাথা ব্যথার মতো নয়। (২)ঘাড় শক্ত হয়ে যায়, এদিক-ওদিক নাড়ানো কঠিন হয়। (৩)প্রায় ৭৫ শতাংশ রোগী জ্বরে অজ্ঞান হয়ে যায়।সাথে খিঁচুনি দেখা দেয়। (৪)ঘুম-ঘুম ভাব হয়, হাঁটতে অসুবিধা হয়। (৫)আলোর দিকে তাকাতে তীব্র অস্বস্তি বোধ (৬)কানের মধ্যে সংক্রমণের ফলে ঘা ও বধিরতা সৃষ্টি হয়। (৭)হাত-পা অবশ হয়, নাড়ানো যায় না। (৮) দৃষ্টিভ্রম হয়, একই বস্তু একাধিক দেখা যায়। (৯) কথা বলতে অসুবিধা হতে পারে।
মেনিনজাইটিসে মস্তিষ্কের সমস্যা ছাড়াও শরীরের অন্যান্য স্থানেও সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন—ফুসফুসে ঘা হওয়া ও শ্বাসকষ্ট হওয়া, সেফটিসেমিয়ার কারণে গিঁটে গিঁটে ব্যথা হওয়া, অনুচক্রিকা রক্ত উপাদান কমার কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্ত ঝরা।
নবজাতকের শিশুর ক্ষেত্রে লক্ষণীয় বিষয়গুলো হলো- ভীষণ জ্বর থাকে, ঘাড় ও শরীর শক্ত হয়ে আসা, অনবরত কান্না, দুর্বল হয়ে যাওয়া, সারাক্ষণ ঘুম-ঘুম ভাব, শরীর ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া, বমি করা, মাথার তালুর নরম জায়গা ফুলে ওঠা, অজ্ঞান হওয়া ইত্যাদি।
মেনিনজাইটিসের কারণঃ অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেনিনজাইটিসের কারণ হল বিভিন্ন প্রকারের ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ফাংগাস। তাছাড়া বিভিন্ন পরজীবীও এর জন্য দায়ী। ক)ব্যাকটেরিয়াল মেনিনজাইটিস: বয়সভেদে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ভিন্ন ভিন্ন ব্যাকটেরিয়াল মেনিনজাইটিসের জন্য দায়ী। সদ্যজাত থেকে শুরু করে ৩ মাস বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে প্রধানত গ্রুপ-বি স্ট্রেপটেকক্কি ও লিস্টেরিয়া জনিত মেনিনজাইটিস হয়ে থাকে।পরিণত শিশুদের মেনিনজাইটিসের জন্য দায়ী নাইসেরিয়া মেনিনজাইটিডিস, স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনিয়া এবং হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ-বি।
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে শতকরা ৮০ ভাগ ব্যাকটেরিয়াল মেনিনজাইটিসের কারণ নাইসেরিয়া মেনিনজাইটিডিস ও স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনিয়া, মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস ইত্যাদি। পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তির ক্ষেত্রে লিস্টেরিয়া মনোসাইটোজিনেসিস জনিত মেনিনজাইটিসের হার অনেক বেশি।
খ) ভাইরাল মেনিনজাইটিস: ভাইরাস জনিত মেনিনজাইটিস ব্যাকটেরিয়া জনিত মেনিনজাইটিসের চাইতে তুলনামূলক ভাবে কম বিপদজনক। ভাইরাল মেনিনজাইটিসের প্রধান জীবানু এন্টেরোভাইরাস। এর বাইরেও কিছু ভাইরাস এই রোগের সৃষ্টি করে যা মশার মাধ্যমে একজনের কাছ থেকে অন্য জনে ছড়াতে পারে। যেসব ভাইরাস দিয়ে ভাইরাল মেনিনজাইটিস হয় তাদের মধ্যে আছে- মাস্পস ভাইরাস, হার্পিস ভাইরাস, মিসেলস ভাইরাস, ইনফ্লুয়েন্সা ভাইরাস, চিকেনপক্স ভাইরাস, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস, বিভিন্ন আরবোভাইরাস ইত্যাদি।
ঘ)ফাংগাল মেনিনজাইটিস: ফাঙ্গাস বা ছত্রাক দিয়েও মেনিনজাইটিস হতে পারে। ফাংগাল মেনিনজাইটিসের প্রধান জীবানু ক্রিপটোকক্কাস নিউফরমান্স। ফাংগাল মেনিনজাইটিসের প্রকোপ আফ্রিকা মহাদেশে সবচাইতে বেশি এবং তা ২০-২৫% এইডস আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর কারণ। অন্য যেসব ফাংগাস মেনিনজাইটিস ঘটায় সেগুলো হলো হিস্টোপ্লাজমা ক্যাপসুলাটাম, কক্কিডায়োআইডেস ইমিটিস, ব্লাস্টোমাইসেস ডার্মাটাইটিস, ক্যানডিডা স্পেসিস প্রভৃতি।
ঘ) প্যারাসাইটিক মেনিনজাইটিস: এই ধরনের মেনিনজাইটিসের প্রধান প্রধান জীবাণু অ্যানজিওস্ট্রনজাইলাস ক্যানটোনেসিস, গ্যান্থোসটোমা স্পিনিজেরাম, সিস্টোসোমা প্রভৃতি। এটি সাধারণত খাদ্য, পানি ও মাটির মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। এই মেনিনজাইটিস যে কারো হতে পারে, তবে যাদের কানে ,গলা বা নাকে অথবা সাইনাসে ইনফেকশন থাকে তাদের বেশি হয়। এর কারণ এ ধরণের ইনফেকশন সাধারণত যে ধরণের জীবাণু দিয়ে হয়, সেগুলো মেনিনজাইটিসও করতে পারে।
জীবাণুর বাইরেও কিছু কারণে মেনিনজাইটিস হতে পারে যার মধ্যে ক্যান্সারের বিস্তৃতি, কিছু বিশেষ ওষুধ সেবন (পেইনকিলার জাতীয় ওষুধ, ইমিউনোগ্লোবিন, অ্যান্টিবায়োটিক), কানেকটিভ টিস্যু ডিজঅর্ডার উল্লেখযোগ্য।
যদিও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মেনিনজাইটিস অতি অল্প সময়ের মাঝে শরীরে লক্ষণ প্রকাশ করে থাকে হয়ে, তবে দীর্ঘমেয়াদি মেনিনজাইটিসও হতে পারে। তাই বলা হয় মেনিনজাইটিস দুই ধরনের- অ্যাকিউট মেনিনজাইটিস যা জীবাণু প্রবেশের দুই সপ্তাহের মধ্যে হয় এবং ক্রনিক মেনিনজাইটিস যা জীবাণু শরীরে প্রবেশের চার সপ্তাহ বা তার বেশি সময় পরে প্রকাশ পায়।
তীব্র মাথা ব্যথার কারণঃ মেনিনজাইটিসে যে মারাত্মক প্রদাহ হয় তার কারণ ব্যাকটেরিয়ার সরাসরি আক্রমণ নয় বরং ব্যাকটেরিয়ার কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে অনুপ্রবেশের ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধকারী সিস্টেমের প্রতিরোধের চেষ্টা। মস্তিষ্ক ব্যাকটেরিয়া কোষের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধকারী সিস্টেম বেশি পরিমাণ সাইটোকাইন ও হরমোন জাতীয় পদার্থ নিঃসরণ করে, এতে করে ব্লাড ব্রেইন রেরিয়ার দুর্ভেদ্য থেকে ভেদ্য হয়ে উঠে এবং রক্তনালী থেকে তরল নির্গত হয়ে মস্তিষ্ক ফুলে উঠে। এমতাবস্থায় বেশি বেশি শ্বেত রক্ত কণিকা সেরেব্রো স্পাইনাল ফ্লুইডে প্রবেশ করে, চাপ বৃদ্ধি পায় এবং প্রদাহ আরও তীব্রতর হয়ে উঠে।
চিকিৎসাঃ রোগীর মেরুদণ্ডের ভেতর থাকা কশেরুকা থেকে সিএসএফ (এক ধরনের তরল পদার্থ, যা মস্তিষ্ক ও কশেরুকার ভেতর থাকে) বের করে তা পরীক্ষা করা হয়। সিএসএফে কোষসংখ্যা, প্রোটিন, গ্লুকোজের পরিমাণ এবং সিএসএফের গ্রাম স্টেইন, কালচার পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করা হয়। সঙ্গে কিছু কিছু ক্ষেত্রে রক্তের কালচার এবং সিবিসি ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়। রোগ নির্ণয়ের আগে শুধু লক্ষণ দেখেই চিকিৎসা শুরু করতে হবে, কারণ দ্রুত চিকিৎসা না শুরু করলে জীবন সংশয় দেখা দিতে পারে। ভাইরাসঘটিত মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণেও ভালো হতে পারে। এ ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা না নিলেও চলে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম, যথেষ্ট পানি ও তরল পান, জ্বর ও মাথা ব্যথার জন্য ওষুধ সেবন করলেই চলে। ব্যাকটেরিয়াজনিত মেনিনজাইটিসে বহু ক্ষেত্রে মৃত্যু হতে পারে। তবে রোগাক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ ও উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা প্রয়োজন। মেনিনজাইটিস প্রতিরোধ মেনিনজাইটিস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন বা টিকা আছে। আবার শিশু বয়সে আরো কিছু টিকা নিলে পরোক্ষভাবে তা মেনিনজাইটিস প্রতিরোধ করতে পারে। এগুলো হচ্ছে- MMR(এমএমআর বা মিসেলস-মাম্পস-রুবেলা), চিকেনপক্স, এইচআইবি বা হিব, নিউমোনিয়ার টিকা ইত্যাদি। ১৯৮০ সালের গোড়ার দিকে বিশ্বের অনেক দেশ তাদের বাচ্চাদের জন্য নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিতে হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ-বি’র টিকা অর্ন্তভুক্ত করেছে, কারণ এই জীবাণু ইনফ্লুয়েঞ্জার পাশাপাশি মেনিনজাইটিস সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। মেনিনগোকক্কাস ভ্যাকসিন গ্রুপ-এ, সি, ডাব্লিও-১৩৫ এবং ওয়াই মেনিনজাইটিসের বিরুদ্ধে কার্য্যকরী প্রতিরোধ গড়ে তোলে যা সর্বোচ্চ প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করে। এখানে লক্ষ্য করা যেতে পারে যে, যে সব দেশে মেনিনগোকক্কাস গ্রুপ-সি এর ভ্যাকসিন ব্যবহৃত হচ্ছে সেখানে মেনিনজাইটিসের প্রকোপ উল্লেখযোগ্য হারে কমে গিয়েছে।
বাংলাদেশেও মেনিনজাইটিসের বিরুদ্ধে কার্যকর ও মানসম্পন্ন ভ্যাকসিন বাজারে প্রচলিত ��ছে যা সর্বোচ্চ প্রতিরক্ষা দেয়।সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির আওতায় নিউমোকক্কাল মেনিনজাইটিস এবং হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ বি-এর টিকা শিশুদের বিনা মূল্যে প্রদান করছে। মেনিনগোকক্কাস ভ্যাকসিন গ্রুপ-এ, সি, ডাব্লিও-১৩৫ এবং ওয়াই-এর সুবিধা:
১। শরীরে মেনিনজাইটিসের বিরুদ্ধে দীর্ঘস্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। ২। ২ বছর বয়স থেকে ব্যবহার করা যায়। ৩। একবার ব্যবহার করলে পরবর্তীতে আর দিতে হয় না।
মেনিনজাইটিস এখন সহজে ভ্যাকসিন ও চিকিৎসার মাধ্যমে কাটিয়ে উঠা যায় বলে একে অবহেলা করার কোনো সু্যোগ নেই। ১৯৯১-২০১০ সালে আফ্রিকার দেশগুলোতে মেনিনজাইটিস আক্রান্ত প্রায় ১০লাখ রোগীর মাঝে মারা যায় প্রায় ১লাখ। কেবলমাত্র ২০০৯ সালেই ৮০হাজার আফ্রিকান এই মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হয় এবং সেখানেও মারা যায় ৪ হাজারের বেশি মানুষ। আফ্রিকাতে ২০১৩ সালে এই রোগে আক্রান্ত ১২৪৬৪টি রোগীর মাঝে মারা যায় ১১৩১ জন এবং ২০১৪ সালে ১৪৩১৭ জনের মাঝে মারা যায় ১৩০৪জন।[তথ্যসূত্রঃ Global Health Obserbatory(GHO) Data] আমেরিকাতেও প্রতিবছর প্রায় ৪০০০ মানুষ ব্যাকটেরিয়াজনিত মেনিনজাইটিস এ আক্রান্ত হয় এবং সেখানেও প্রায় ৫০০জনের অধিক মানুষ মারা যায়। নিউমোকক্কাল মেনিনজাইটিস এ আক্রান্ত হয় প্রায় ৬০০০ জন ও মেনিনগোকক্কাল মেনিনজাইটিসে ২৬০০জন।(তথ্যসূত্রঃ Statistics of Meningitis, Florida Hospital)
মেনিনজাইটিস এমন একটি রোগ যা ভয়াবহ অাকার ধারণ করলে চিকিৎসার জন্য ২৪ ঘণ্টারও কম সময় পাওয়া যায়। তাই মেনিনজাইটিসের কোনো উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। সঠিক সময়ে টিকা নেয়ার মাধ্যমে নিজেকে, নিজের পরিবারকে নিরাপদ রাখার পাশাপাশি তৈরি করতে হবে জনসচেতনতাও।
1 note · View note
gazisaifulbd-blog · 2 years
Text
Breast Cancer By Gazi Saiful Islam
স্তন ক্যান্সার ও ফাইব্রোয়্যাডেনোমা
(তৃতীয় কিস্তি)
ফাইব্রোয়্যাডেনোমা (fibroadenoma): ফাইব্রোয়্যাডেনোমা স্তনের নন ক্যান্সারাস টিউমার। সাধারণত গ্ল্যান্ডে (গ্ল্যান্ডুলার) ও কানেকটিভ টিস্যুতে (স্ট্রোমাল) উৎপন্ন হয়। বেশিরভাগ ফ্রাইব্রোয়্যাডেনোমা ক্যান্সার তৈরি করে না। কিন্তু জটিল ফ্রাইব্রোয়্যাডেনোমা ক্যান্সারে রূপ নিতে পারে। নিয়ে থাকে। হোমিওপ্যাথিক ওষুধ ফ্রাইব্রোয়্যাডেনোমার মত নন ক্যান্সারাস টিউমার নিরাময়ে বহু বছর ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। এমন কি ফ্রাইব্রোসিস্টিক, ফ্রাইব্রোয়্যাডেনোসিস রোগসহ স্তনের বাড়ন্ত নালী ঘা পর্যন্ত হোমিওপ্যাথি দ্রুত আরোগ্য করে থাকে। স্তনের উাইব্রোয়্যাডেনোমা, ফাইব্রোসিস্টিক ডিজিজ, অথবা ফাইব্রোয়্যাডেনোসিস সাধারণত ৩৫-৫০ বছর বয়সের মধ্যে হয়। ২৫-৩৫ বছরের মধ্যেও হয়-তবে সংখ্যায় অনেক কম। ২৫ বছরের নিচে বিরল। সন্তান জন্মদানের চূড়া সময়টাতেই এটি নারীস্তনকে বেছে নেয়। ফাইব্রাস টিউমারগুলো সাধারণত আকারে ১-৫ সিএম ব্যাসের হয়ে থাকে। এগুলোর সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো শক্ত, চারপাশে সমান পরিধিযুক্ত ও নড়াচড়া করে। দেহতত্ত্ববিজ্ঞান অথবা তন্তুবিন্যাসবিদ্যানুযায়ী(Histologically) তন্তুর টিস্যু কাঠামো(Epithelial elements) ও ফাঁকা কাঠামোর আস্তরণগুলোর (fibrous stroma) অত্যাধিক বৃদ্ধি দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। সাধারণত নালি ও ক্ষুদ্র উদগতাংশেই(ducts and lobules) এগুলো জন্ম নেয় ও বেড়ে ওঠে। এই পরিবর্তনগুলোকে রোগ প্রক্রিয়ার অংশ নয় বরং স্বাভাবিক স্তন গঠন ও বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিভ্রান্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অভ্যন্তরীণ কারণে যৌন হরমোন (Endogenous sex hormones) ক্ষরণে বিশৃঙ্খলা অথবা একই হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারেণই এ অবস্থা তৈরি হতে পারে। এখানে জানিয়ে রাখা আবশ্যক যে, কেবল বিশেষ এপিথেলিয়াল হাইপারপ্লাসিয়া-এপিথেলিওসিস স্তন ক্যান্সারের আশঙ্কা তৈরি করে। ফাইব্রোয়্যাডেনোমাসগুলো একা একটি, দলবদ্ধ কিংবা জটিল প্রকৃতির হতে পারে। সাধারণ একটিই মাংসপি- বেশি হতে দেখা যায়, ১০-১৫% মহিলার ক্ষেত্রে একাধিক মাংষপি- তৈরি হয়। কারও কারও দু’টি স্তনই আক্রান্ত হয়। যদি কারও ক্ষেত্রে একাধিক ও জটিল টিউমার হয়-এটি তার ক্ষেত্রে ক্যান্সারের সম্ভাবনা তৈরি করে। অজানা কারণে শ্বেতাঙ্গ মহিলাদের থেকে কৃষ্ণাঙ্গ মহিলাদের অল্প বয়সে বেশি ফাইব্রোয়াডেনোমা হতে দেখা যায়। কারণসমূহ(Causes): অল্প বয়সী মহিলাদের ক্ষেত্রে ফাইব্রোয়াডেনোমা হওয়ার কারণ অজানা। অধিকাংশ বয়স্ক মহিলাদের ক্ষেত্রে মাসিক ঋতুস্রাব সংক্রান্ত চক্রের গোলমালের সঙ্গে এটি সম্পর্কিত, বিশেষ করে, এস্ট্রোজেন হরমোনের ভারসাম্যহীনতা। ম্যানোপজের সময়ও ফাইব্রোয়াডেনোমা হতে পারে, হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে কিংবা হরমোন রিপ্লেজ থ্যারাপির( HRT) কারণে। চিহ্ন ও লক্ষণসমূহ( Signs & Symptoms): সাধারণ চিহ্ন ও লক্ষণ হলো সন্তান ধারণে সক্ষম মহলাদের স্তনে ব্যথাহীন, দৃঢ়, এক বা একাধিক, ক্রমবর্ধমান, এপাশওপাশে নড়ে এমন মাংসপিন্ডের উপস্থিতি। রোগ নির্ণয়( Diagnosis): ১। ফিজিক্যাল পরীক্ষা, ২। যান্ত্রিক পরীক্ষা যেমন: আলট্রাসাউন্ড বা ম্যামোগ্রাফি ৩। টিউমার স্যাম্পল থেকে বায়োপসি। খাদ্য ও পথ্য: চর্বিমুক্ত হাই ফাইবারযুক্ত শাকসব্জি জাতীয় খাবার। ক্যাফেইন খাওয়া কমাতে হবে। মাংস কমিয়ে চর্বিযুক্ত মাছ বেশি খেতে হবে। ভিটামিন সি, ই যুক্ত খাবার বাড়াতে হবে। মনে রাখতে হবে-ফাইব্রোয়াডেনোমা অপ্রতিরোধ্য। নিজস্ব পরীক্ষার মাধ্যমে যত কম সময়ে এটি ধরা পড়ে তত মঙ্গল। স্তনের ফাইব্রোয়্যাডেনোমার হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা: স্তনের ফাইব্রোয়্যাডেনোমা চিকিৎসায় সাধারণত ধাতুগত ওষুধ(Constitutional homeopathic medicine) প্রযুক্ত হয়। এতে রোগীর শারীরিক, মানসিক, আবেগিক ও আধ্যাত্ম লক্ষণগুলোকে বিবেচনায় নিয়ে সঠিক ওষুধটি নির্বাচন করা হয়। এই ওষুধ রোগীর সার্বিক ভাইটালিটির উন্নতি কওে এবং টিউমারের আকার ছোট করে। বাড়বাড়ন্তের প্রক্রিয়াটি আটকে দেয়। একই সময় টিউমার হওয়ার কারণ শারীরিক-মানসিক কারণ দূর করে। ফলে টিউমার ও ক্যান্সার দূও হয়। কনস্টিটিউশনাল ওষুধগুলো শারীরিক নিঃসরণ যন্ত্রগুলোর কার্যকারিতা বাড়ায় ফলে শরীর বিষাক্তমুক্ত হয়। মনে রাখতে হয়: শারীরিক-মানসিকত বিষাক্ততাই কঠিন রোগের কারণ। ১। মহিলাদের ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি ওষুধগুলো হরমোনাল ইমব্যালেন্স সংশোধন করে। এতে স্তনে ফাইব্রোয়্যাডেনোমা উৎপন্ন হওয়ার কাযকারণটি দূর হয়। ২। আক্রান্ত স্তনে প্রযুক্ত ওষুধ রক্ত সরবরাহ বৃদ্ধি করে আর লিম্ফ্যাটিক নালাগুলোর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ৩। ওষুধ কার্যক্রম শুরু করলে লাম বা মাংসপি- সংকোচিত হতে শুরু করে। ৪। ফাইব্রোয়্যাডেনো তৈরির শারীরিক প��রবণতা সংশোধন করে। ৫। এভাবে একজন রোগীর সার্জনের ছুরিকাঘাত থেকে বেঁচে যান। ৫৩ টির মত হোমিওপ্যাথিক ওষুধ রয়েছে স্তনের ফাইব্রোয়্যাডেনোমা, ফাইব্রোসিসটিক সমস্যা দূও করার জন্য। এর জন্য প্রয়োজন রোগীর যাবতীয় তথ্য তালাশ করা(একটি বিস্তারিত কেসটেকিং)। প্রধান ওষুধ: Phyto 30, 200, 1000, Hydrastis200, Carcinocin 30, 200, 1000, Thuja 30, 200, 1000, Thuja-Q for inner or external
use. ক্যান্সারের ক্ষেত্রে নিম্ন শক্তিই বেশি প্রযোজ্য। প্রথমেই কিংবা হঠাৎ উচ্চ শক্তির প্রয়োগে রোগের অতিরিক্ত বৃদ্ধি ঘটতে পারে, যা নিয়ন্ত্রণ অযোগ্য হতে পারে। চিকিৎসা: স্তন টিউমার বা স্তনের বাড়তি মাংসপি- সার্জারি করে বাদ দেওয়ার পর যে সকল জটিলতা দেখা দেয় হোমিওপ্যাথি সে সবও দূর করতে পারে। সংক্ষেপে আমরা সেটাকে সার্জারি পরবর্তী জটিলতা নামে আখ্যায়িত করি। ১। কিছু কিছু মহিলা সার্জারির পর স্তনে ব্যথা পান। ২। সার্জারি পরবর্তী ইনফেকশন: সার্জারির পরে যে কোনো সময় রোগিনীর স্তনে ইনফেকশন দেখা দিতে পারে। সাধারণত ৭-৮ দিনের মধ্যেই এমনটি ঘটে থাকে। ৩। সার্জারির পর কালশিটে দাগ কিংবা ত্বক অভ্যন্তরে রক্তপাতের চিহ্ন থেকে যেতে পারে। এগুলো সাধারণত মৃদুপ্রকৃতির সমস্যা, আপনিই সেরে যায়। কিন্তু কখনও কখনও রক্ত জমাট (blood clot) হয়ে রক্তর্বূদ (hematoma) হতে পারে। দ্বিতীয়বার সার্জারির মাধ্যমে এটি সংশোধন করা যেতে পারে। তবে একেবারে প্রাথমিক অবস্থায় হোমিওপ্যাথি ওষুধ ওই রক্ত সরিয়ে দিতে পারে। ৪। সার্জারি করে টিউমার বা মাংসপি- বাদ দেওয়ার পর নতুন করে স্তনে টিউমার দেখা দিতে পারে। হোমিওপ্যাথি সেটি আরোগ্য করতে পারে। ৫। সার্জারির পর স্তনের আকৃতি বদলে যেতে পারে। স্তনের পুনর্গঠনে হোমিওপ্যাথি হয়ত সহায়তা করতে পাওে না-কিন্তু এতে ব্যথা-যন্ত্রণা-অস্বস্তি দূর করতে পারে। ৬। সার্জারির পর রোগিনীর মানসিক, শারীরিক ও আর্থিক ক্ষতিজনিত জটিলতা তৈরি হতে পারে।এমন জটিলতাসমূহ অবিশ্বাস্যভাবে হোমিওপ্যাথি দূর করে দিতে পারে। বি.দ্র. হোমিওপ্যাথিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি একটি বিশষজ্ঞ আলোচনা। টিউমার, ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা নিরুৎসাহিত করা হলো। সোর্স: এ আর্টিক্যাল লেখার জন্য ইন্টারনেটের বহু সোর্স ব্যবহৃত হয়েছে।
C/Gazi Saiful Islam 10-12-21
0 notes
paathok · 5 years
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/77946
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগছেন? লক্ষণ চিনে নিন...
.
যকৃৎএ দীর্ঘদিনের প্রদাহ থেকেই গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যার সবত্রপাত হয়। তবে যদি দীর্ঘদিন ধরে তার কোনও চিকিৎসা শুরু না হয় সেখান থেকে কিন্তু ক্যান্সারের সম্ভাবনা থাকে। গ্যাস্ট্রিক হলে প্রথমেই যে সব লক্ষণ ধরা পড়ে এমনটা নয়। হেলিকোব্যাকটর ফাইলোরি নামক এক ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবেই গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যার সূত্রপাত হয়। তবুও প্রাথমিক যে লক্ষণ গুলি দ্খে আপনি বুঝবেন যে গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যায় ভুগছেন
বমি- বেশিক্ষণ পেট খালি থাকলেই যকৃৎ থেকে যে বিনি নির্গত হয় তা গলব্লাডারে জমা হয়। এই তরল হজমে বাধা দেয়। ফলে বারবার বমি, পিত্তবমির মতো লক্ষণ দেখা যায়। এছাড়াও খাবারের সংক্রমণ থেকে প্রায়শই পেটে ইনফেকশনের মতো সমস্যা দেখা দেয়। অ্যাসিড বেশিমাত্রায় ক্ষরণ হয় বলে গলা জ্বালা, পেট ব্যথার মতো সমস্যা দেখা যায়।
ভিটামিন বি১২ এর অভাব- ভিটামিন বি ১২ এর অভাব অনেক সময়ই আমরা বুঝতে পারি না। ডি এন এ এবং রক্ত সঞ্চালনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। এছাড়াও ডাইরিয়া,কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, ডিপ্রেশন, শ্বাসের সমস্যা দেখা যায়। যাঁরা গ্যাসট্রিকের সমস্যার ভুগছেন তাঁরা যদি ডিম,লো ফ্যাট মিল্ক, লো ফ্যাট মিল্কের দই, চিকেন ব্রেস্ট খেতে পারেন তাহলে উপকার পাবেন।
ডায়েরিয়া ও পেটে ব্যথা- প্রায়শই ডায়েরিয়া হয়? আপনি ভাবেন বোধহয় খাবার সমস্যা বা জলের থেকে কোনও কারণে হয়েছে। কিন্তু সাতদিন ছাড়াই যদি এই সমস্যা দেখা যায় তাহলে বুঝতে হয়ে গ্যাস্ট্রিকের জন্য এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এই সঙ্গে হঠাৎ করে পেট ব্যথা, বমি, ফুড পয়োজন মানেই সমস্যা অন্য।
খিদে পেলে খুব দ্রুত পেট ভরে যায়- অনেকক্ষণ হল খিদে পেয়েছে কিন্তু একটু খেলেই মনে হয় আর খেতে পারছি না এ কিন্তু গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ।
অভ্যন্তরীন ব্লিডিং- যদি বুঝতে পেরে থাকেন ভেতরে রক্তক্ষরণ হচ্ছে তাহলে প্রথমেই সতর্ক হল। রক্ত বমি, রক্ত আমাশা, র্কত্ পায়খানা হল এর লক্ষণ।
ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়া- বেশি ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়া, ওজন বেড়ে যাওয়া, বেশি পরিমাণ নুন খাওয়া প্রভৃতি কারণে পেটে মেদ জমে। এর ফলে শুধুই যে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় তা নয়, প্রায়শই গ্যাস, মেয়েদের মাসিক সংক্রান্ত সমস্যা
পেটে প্রায়শই ব্যথা- প্রায়শই পেটে ব্যথা হলে তা অবহেলা করবেন না। অনেক কিছুরই লক্ষণ হতে পারে।
0 notes
crime-protidin-blog · 5 years
Photo
Tumblr media
কেন প্রতিদিন ১০০ গ্রাম করে কাঁচা করলা খেতে বলছেন চিকিৎসকেরা? ক্রাইম প্রতিদিন, ঢাকা : সম্প্রতি একদল জাপানি বিজ্ঞানিদের করা একটি গবেষণা পত্র প্রকাশিত হয়েছে। আর ঠিক তার পর পরই হঠাৎ করেই করলাকে নিয়ে শোরগোল পরে গেছে চিকিৎসক মহলে। এত দিন পর্যন্ত তাচ্ছিল্যের শিকার হওয়া এই সবজিটি চলে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। আর কেন আসবে নাই বলুন! গবেষণাটিতে দেখে গাছে বর্তমান সময় যে যে মারণ রোগ সারা বিশ্বে দাপিয়ে বেরাচ্ছে,তাদের সমূলে উৎখাত করতে করলার কেনাও বিকল্প নেই বললেই চলে। তবে তার জন্য প্রতিদিন ১০০ গ্রাম করে কাঁচা করলা খাওয়া একান্ত প্রয়োজন। আসলে ১০০ গ্রাম কাঁচা করলায় মজুত রয়েছে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম,পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, বিটা-ক্যারোটিন, নানাবিধ উপকারি ভিটামিন এবং মিনারেল, যা শরীরে প্রবেশ করে রোগ প্রতিরোধক দেওয়ালে এতটাই শক্তিপোক্ত করে দেয় যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। শুধু তাই নয়, মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন ধরুন... ১. লিভার ফাংশনের উন্নতি ঘটে: ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ভিটামিন অ্যান্ড নিউট্রিশন পত্রিকায় প্রকাশিত একটি স্টাডি অনুসারে করলা খাওয়া মাত্র শরীরে বিশেষ কিছু এনজাইমের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে যার প্রভাবে লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়তে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, করলায় উপস্থিত মোমরোডিকা নামক একটি উপাদান লিভার ফেলিওর হওয়ার সম্ভাবনাকেও কমায়। এই কারণেই তো যাদের প্রতিদিন মদ্যপান করার অভ্যাস রয়েছে, তাদের নিয়মিত করলা খাওয়া পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। ২. ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়: অপূর্ব সুন্দরী হয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখলে রোজের ডায়েটে করলাকে অন্তর্ভুক্ত করতে ভুলবেন না যেন! কারণ এই সবজিটির অন্দরে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি, শরীরের প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে বলিরেখা গায়েব হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ত্বক টানটান হয়ে ওঠে। ফলে স্কিনের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, করলায় মজুত ভিটামিন এ, বায়োটিন এবং জিঙ্কও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে: প্রতিদিনের ডায়েটে করলাকে অন্তর্ভুক্ত করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ফলে নানাবিধ রোগের প্রকোপ নিমেষে হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে সংক্রমণ বা ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে। ৪. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে: এই ধরণার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে রক্তে উপস্থিত শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে করলা। আসলে এই সবজিটিতে উপস্থিত ক্য়ারেটিন নামে একটি উপাদান রক্তে বয়ে চলা ব্লাড সুগারের মাত্রা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো ডায়াবেটিস রোগীদের এই ঘরোয়া চিকিৎসাটির সাহায্য নিতে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কাঁচা করলা অথবা করলার রস খেতে হবে, তবেই কিন্তু মিলবে উপকার। ৫. ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ দূরে থাকে: করলায় উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান শরীরে ক্যান্সার সেল যাতে জন্ম নিতে পারে সেদিকে নজর রাখে। ফলে এই মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। প্রসঙ্গত, অ্যানিমিয়া এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগের চিকিৎসাতেও এই সবজিটি দারুনভাবে সাহায্য করে থাকে। ৬. বিষমুক্ত হয় শরীর: আমরা কতদিন সুস্থভাবে বেঁচে থাকবো তা অনেকাংশেই নির্ভর করে রক্ত কতটা শুদ্ধ রয়েছে তার উপর। তাই তো সুস্থভাবে বাঁচতে রক্তের দেখভাল করাটা একান্ত প্রয়োজন। আর এই কাজটি করবেন কীভাবে? প্রতিদিন করলা খাওয়া শুরু করুন। তাহলেই উপকার মিলবে। কারণ এই সবজিটিতে উপস্থিত "ব্লাড পিউরিফাইং এজেন্ট" রক্তকে পরিশুদ্ধ রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ৭. পাইলসের কষ্ট কমে: প্রতিদিন সকাল নিয়ম করে ১০০ গ্রাম করলা খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন এক মাসেই পাইলসের যন্ত্রণা একেবারে কমে যাবে। আর যদি কাঁচা করলা খাওয়া পাশাপাশি করলা গাছের মূল বেটে নিয়ে সেই পেস্ট পাইলসের উপর লাগাতে পারেন, তাহলে আরও দ্রুত উপকার পাওয়া যায়। ৮. পেটের রোগের প্রকোপ কমে: করলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা কনস্টিপেশনের মতো রোগের প্রকোপ কমানোর পাশাপাশি নানাবিধ স্টমাক ডিজঅর্ডারের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে ফাইবার শরীরে প্রবেশ করা মাত্র গ্যাস্ট্রিক জুসের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে নানাবিধ পেটের রোগের লক্ষণ কমতে শুরু করে। ৯. দৃষ্টিশক্তির উন্নত ঘটে: কাঁচা করলা অথবা করলার রস খাওয়া শরু করলে শরীরে প্রচুর মাত্রায় বিটা-ক্যারোটিনের প্রবেশ ঘটে, যা দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো বলি বন্ধু যারা দিনের বেশিরভাগ সময়ই কম্পিউটার বা মোবাইলে মাথা গুঁজে বসে থাকেন, তারা যদি চোখকে বাঁচাতে চান তাহলে নিয়মিত করলা খেতে ভুলবেন না যেন! ১০. ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে: অতিরিক্ত ওজনের কারণে কি চিন্তায় রয়েছেন? তাহলে আজ থেকেই করলার রস খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন অল্প দিনেই ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। আসলে এই পানীয়টি লিভার ফাংশন বাড়ানোর পাশাপাশি হজম ক্ষমতার বৃদ্ধি ঘটায়। আর একবার যদি হজম ঠিক মতো হতে থাকে, তাহলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি জমার সুযোগই পায় না। ফলে ওজন হ্রাস পেতে শুরু করে।
0 notes
mohdmamunchy · 5 years
Text
মরণব্যাধী কোলন ক্যান্সার : লক্ষণ ও প্রতিকার
মরণব্যাধী কোলন ক্যান্সার : লক্ষণ ও প্রতিকার
বৃহদান্তের ক্যান্সারকে বলা হয় বাওয়েল বা কোলন ক্যান্সার (Bowel or colon cancer)। ক্ষুদ্রান্তের তুলনায় বৃহদান্ত্রের ক্যান্সারের হার অনেক বেশি। কোলন ক্যান্সার পুরুষদের এবং পশ্চিমা বিশ্বের নারী-পুরুষদের বেশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ জন্যই মূলত পুরুষদের কোলন ক্যান্সার বলা হয়েছে। কারণ এ রোগটাতে পুরুষরাই বেশি ভুগে থাকেন। পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিদের এ রোগের আশঙ্কা বেশি থাকে।
#কোলন_ক্যান্সার :
বৃহদান্ত্রে যখন কোষ বিভাজনের নির্দিষ্ট ধারা ভঙ্গ হয় এবং কোষগুলো অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পায় তখন তাকে কোলন ক্যান্সার বলে। বেশিরভাগ কোলন ক্যান্সারই বিভিন্ন ধরনের পলিপ (adenomatous polyp)-এর অস্বাভাবিক বৃদ্ধির (proliferation) ফল। প্রথমে বৃহদন্ত বা অ্যাপেডিক্সের ক্ষুদ্রাকার কোষীয় পিণ্ডে পলিপ তৈরি হয়। ধীরে ধীরে পলিপ থেকে ক্যান্সার সৃষ্টি হয় এবং পরবর্তীতে দেহের অভ্যন্তরে ছড়িয়ে পড়ে সুস্থ টিস্যুকে আক্রমণ করে।
#কোলন_ক্যান্সারের_কারণ :
১. অন্ত্রের পলিপ (দীর্ঘস্থায়ী ক্ষেত্রে),
২. দীর্ঘস্থায়ী আলসারেটিভ কোলাইটিস রোগ
৩. বংশগত কারণে জিনের পরিবর্তন হতে পারে যা পরবর্তী সময়ে কোলন ক্যান্সারকে ত্বরান্বিত করে। এছাড়া কারো রক্তের সম্পর্কের কোনো আত্মীয়-পরিজন কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত থাকলে কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৪.অতিরিক্ত গরু বা ছাগলের মাংস খাওয়া, খাদ্যতালিকায় আঁশজাতীয় খাবারের অনুপস্থিতিতেও হয়ে থাকে।
#লক্ষণসমূহ :
১. তীব্র পেটব্যথা
২. ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য
৩. পেটের ভিতর থেকে খাবার উগড়ে আসা
৪. পায়খানার সঙ্গে রক্ত যাওয়া
৫. হঠাৎ ওজন হ্রাস
৬. রক্তশূন্যতা
৭. জন্ডিস
#প্রতিরোধ :
১. নিয়মিত ভিটামিন, মিনারেলযুক্ত খাবার গ্রহণ
২. খাদ্য তালিকায় আঁশযুক্ত এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার রাখা
৩. মদ্যপান না করা
৪. ধূমপান পরিহার করা
৫. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
৬. দৈনিক অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা
৭. রোগ নির্ণয়ের জন্য নিয়মিত স্ক্রিনিং বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো।
0 notes
gnews71 · 5 years
Photo
Tumblr media
“গলা, নাক ও মুখমণ্ডলে ক্যান্সারের লক্ষণ” * মুখের মধ্যে কোনো ঘা হলে এ ঘা যদি ১ থেকে ২ সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ চলে না যায় অথবা এ ঘা যদি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। * খাবার খেতে যদি সমস্যা হয় এবং এ সমস্যা যদি এন্টিবায়োটিক দ্বারা না যায়- বিশেষ করে যতদিন যাবে ততই যদি এ সমস্যা বাড়তে থাকে। * গলার স্বর বসে গেলে এবং কথা সম্পূর্ণ বন্ধ করার পরও যদি সমস্যা থেকে যায়। এন্টিবায়োটিক খাওয়ার পরও যদি গলার স্বর সম্পূর্ণ ভালো না হয়। বিশেষ করে গলার স্বর বসার সঙ্গে সঙ্গে যদি শ্বাসের কষ্ট যোগ হয়। * নাক দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করা এবং ধীরে ধীরে রক্তের মাত্রা বাড়তে থাকে। * গলার বা শ্বাসের বা কাশির কোনো সমস্যা শুরু হওয়া এবং যতদিন যাবে ততই এ সমস্যা বাড়তে থাকা। * গলার কোনো জায়গা ফুলে যাওয়া এবং ধীরে ধীরে এ ফুলা বাড়তে থাকা এবং এন্টিবায়োটিকে এ ফুলা সম্পূর্ণভাবে দূর না হওয়া এবং ধীরে ধীরে এটা আরও বড় হওয়া। এতে ব্যথা থাকতে পারে এবং এক সময় এটা ফেটে গিয়ে ঘায়ের সৃষ্টি করতে পারে। * যদি কারও এ সমস্যার কোনোটা অথবা এক বা একাধিক সমস্যা থাকে তাহলে অতি শিগগিরই একজন নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে। সময়ের সদ্ব্যবহার না হলে রোগীর জীবনের জন্য মারাত্মক হুমকির কারণ হতে পারে। * কারও যদি ক্যান্সার হয়েই থাকে তবে রোগীর পক্ষে চিকিৎসা ছাড়া বছরের পর বছর বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। গলার স্বর বসে যাওয়া যদি বছরের পর বছর ধরে চলতে থাকে তবে ধরে নিতে পা���েন আপনার গলায় কোনো ক্যান্সার হয়েছে। এর যথাযথ চিকিৎসা প্রয়োজন। অধ্যাপক ডা. জাহীর আল-আমিন নাক কান গলা রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ইমপালস হাসপাতাল, তেজগাঁও ঢাকা। মোবাইল ফোন : ০১৭১৫০১৬৭২৭
0 notes
bartatv-blog · 6 years
Photo
Tumblr media
সাবধান, এই লক্ষণগুলো ক্যান্সারের! ঘাতকব্যাধি ক্যান্সার। প্রাথমিক অবস্থায় এ রোগ সহজে ধরা পড়ে না। ফলে সঠিক চিকিৎসা নেওয়াও সম্ভব হয় না। আবার এখন পর্যন্ত ক্যান্সারের চিকিৎসায় পুরোপুরি কার্যকর কোনো ওষুধও আবিষ্কার হয়নি। তাই বর্তমান বিশ্বে এই রোগে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পরলে ক্যান্সার নিরাময় সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। শরীরের কোন অঙ্গ সুষ্ঠুভাবে কাজ সম্পন্ন করতে না পারলেই নানা উপসর্গ দেখা যায়। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- অসুস্থতা ও রোগ। আসলে এক একটি লক্ষণই হলো কোন একটি রোগের বার্তা। লক্ষণ এবং উপসর্গ দুটোর মানেই হলো বার্তা। এদের মধ্যে সুক্ষ্ণ পার্থক্যটা হলো- লক্ষণ বা চিহ্ন অন্যরা দেখতে পারে কিন্তু উপসর্গগুলো ব্যক্তি নিজেই অনুভব করেন। এগুলো অন্যের দৃষ্টিগোচর হয় না। উদাহরণস্বরূপ- জ্বর, দ্রুত শ্বাস এবং ফুসফুসের অস্বাভাবিক শব্দ হলে তা নিউমোনিয়ার লক্ষণ। এগুলো অন্যরা সহজেই দেখতে পারে। অন্যদিকে দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট এবং শ্বাসকষ্টের অনুভূতি এগুলো উপসর্গ। এগুলোও নিউমোনিয়ার কারণ হতে পারে। এবার ক্যান্সারবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ক্যান্সার ডট অর্জ’ অবলম্বনে জেনে নিন ক্যান্সারের লক্ষণ ও উপসর্গগুলো- ক্যান্সার হলো বিভিন্ন রোগের একটি গ্রুপ যেটি যে কোন চিহ্ন বা উপসর্গ প্রকাশ করে। আসলে শরীরের যে অংশে ক্যান্সার হয় এর লক্ষণ এবং উপসর্গগুলো তার উপর নির্ভর করে। ক্যান্সার যদি শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে তবে শরীরের বিভিন্ন অংশে এর উপসর্গগুলো প্রকাশ পায়। অনেক উপসর্গের মধ্যে কেবল একটি প্রকাশ পেলেই যে আপনার ক্যান্সার হয়েছে এমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই। তবে অনেকেদিন ধরে যদি এই লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় এবং ভবিষ্যতে খারাপের দিকে যাচ্ছে বুঝতে পারেন তাহলে ডাক্তারের কাছে যাওয়াই শ্রেয়। হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া ক্যান্সারে আক্রান্ত মানুষের ওজন হঠাৎ করে কমে যায়। আপনি যদি বুঝতে পারেন, কোনো কারণ ছাড়াই আপনার ওজন কমে যাচ্ছে তাহলে বুঝবেন এটি ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ। অগ্নাশয়, পাকস্থলী এবং ফুসফুসের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে সাধারণত এমনটি হয়ে থাকে। জ্বর ক্যান্সার হলে জ্বর খুবই সাধারণ একটি ব্যাপার। যখন ক্যান্সারের কোষগুলো শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে তখন এটা বেশি ঘটে থাকে। বেশিরভাগ ক্যান্সার রোগীদের সবসময় জ্বর থাকে। ক্যান্সারের চিকিৎসা চলার সময় ইমিউন সিস্টেমে এর প্রভাব পড়ার কারণেই এমনটি হয়। সাধারণত ব্লাডক্যান্সার হলে বার বার জ্বর আসে। ক্লান্তি অনেক ক্লান্ত বোধ করছেন? বিশ্রাম নিলেও ক্লান্তি যাচ্ছে না। এমনটি হলেও বুঝবেন ক্যান্সারের লক্ষণ। ক্যান্সার বড় হতে থাকার উপসর্গ এটি। লিউকোমিয়ার ক্যান্সারে এমনটি হতে পারে। এ ছাড়া কোলন ক্যান্সার কিংবা পাকস্থলীর ক্যান্সারের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। ব্যথা হাড়ের ক্যান্সার বা টেস্টিকুলার ক্যান্সারের প্রাথমিক উপসর্গ হতে পারে ব্যথা। চিকিৎসা করানোর পরও যদি আপনার মাথাব্যথা না সারে তবে তা মস্তিষ্কের টিউমারের উপসর্গ হতে পারে। এ ছাড়া পিঠে ব্যথা কোলন, মলদ্বার বা ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের উপসর্গ হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ার কারণেই সাধারণত ব্যথা বেড়ে যায়। ত্বকের পরিবর্তন ত্বকের ক্যান্সার হলে ত্বকের নানা পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। এগুলো মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- চামড়া কালো হয়ে যাওয়া, ত্বক ও চোখে হলুদাভ, ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, অত্যধিক চুল বড় হওয়া প্রভৃতি। নির্দিষ্ট কিছু ক্যান্সারের লক্ষণ এবং উপসর্গ- সাধারণ কিছু উপসর্গের পাশাপাশি এমন কিছু লক্ষণ ও উপসর্গ আছে যেগুলো ক্যান্সারের দিকে নির্দেশ করে। তবে প্রত্যেকটির ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা কারণ থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের কাছে যান। নতুবা দীর্ঘদিন ধরে সমস্যাগুলো থাকলে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি হবে আরও ভয়াবহ। মূত্রাশয়ের ক্রিয়াকর্মে পরিবর্তন দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া থাকলে তা কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ। এক্ষেত্রে যে সমস্যাগুলো হতে পারে তা হলো- প্রসাব করার সময় যন্ত্রণা, প্রসাবে রক্ত আসা, কখনও কখনও প্রসাব কম কিংবা অনেক বেশি হয়। প্রসাব কম-বেশি হওয়ার প্রোটেস্ট ক্যান্সারের সঙ্গে সম্পর্কিত। কাজেই এ রকম কোনো সমস্যা হলেই ডাক্তারের কাছে যান। ক্ষত সারে না ক্যান্সার হলে ত্বকের কোন ক্ষত সহজেই নিরাময় হতে চায় না। মুখে এ রকম কোনো সমস্যা হলে তা ওরাল ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। সাধারণত ধুমপান, তামাক এবং অ্যালকোহল পানে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। আবার লিঙ্গ বা যোনিতে ফুসকোড়ার সংক্রমণও ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। জিহবা বা মুখে সাদা দাগ জিহরা বা মুখের সাদা সাদা দাগ লিউকোপ্লাকিয়ার (এটি ক্যান্সার হওয়ার আগের অবস্থা নির্দেশ করে) জন্য দায়ী। ধুমপান এবং তামাক সেবক কারীরা এর ঝুঁকিতে বেশি থাকেন। এর ফলে মুখের ক্যান্সার হতে পারে। অস্বাভাবিক রক্তপাত অস্বাভাবিক রক্তপাতও ক্যান্সারের পূর্ব লক্ষণ। আবার কাশের সঙ্গে রক্ত আসলে ফুসফুসের ক্যান্সার হতে পারে। প্রসাবে রক্ত আসলে কিডনির ক্যান্সার এবং মলের সঙ্গে রক্ত আসলে তা কোলন ক্যান্সারের চিহ্ন। আর স্তন থেকে রক্তপাত হলে তা স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। হজমে সমস্যা খাবার গিলতে সমস্যা কিংবা হজমে সমস্যা হলে পাকস্থলীর ক্যান্সার হতে পারে। তবে শুধু যে ক্যান্সার হলেই এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয় এমনটি নয়, বরং অন্য কারণেও হজমে সমস্যা হতে পারে। ত্বকে পরিবর্তন ত্বকে যে কোনো পরিবর্তন দেখতে পেলেই ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। নতুবা ত্বকের ক্যান্সারে আক্রান্তের আশঙ্কা। বার বার কাশি বার বার কাশি হলে এবং তা সহজে থামতে না চাইলে এটি ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। আবার থাইরয়েড গ্রন্থির ক্যান্সারের জন্য দায়ী এই কাশি। অন্যান্য উপসর্গ শুধু উপরোক্ত চিহ্নগুলোই যে ক্যান্সারের লক্ষণ এমনটি নয়। বরং আরও কিছু লক্ষণ আছে। যদি দেখেন আপনার শরীরের কোন অঙ্গের বড় পরিবর্তন ঘটেছে এবং দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা হচ্ছে। তাহলে আর দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। সবসময় মনে রাখবেন, প্রাথমিক চিকিৎসায় ক্যান্সার নিরাময় সম্ভব।
0 notes
pinknutreview · 6 years
Text
সুস্থ সুন্দর দাঁতের জন্য ১০ পরামর্শ
সুস্থ সুন্দর দাঁতের জন্য ১০ পরামর্শ
অনলাইন ডেস্ক
সুস্থ সুন্দর দাঁতের রক্ষনাবেক্ষন অনেক জরুরী। আপনার হাসি, পুষ্টিকর খাদ্য হজমের জন্য সঠিকভাবে চিবিয়ে খাওয়া এমনকি অন্যান্য রোগ যেমন হূদরোগ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি থেকে নিজেকে রক্ষা করা। তাছাড়া দাঁতের ব্যথার যন্ত্রনা ও অস্বস্তিকর অবস্থা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা এবং সুস্থ, সুন্দর দাঁত দীর্ঘ দিন অখুন্ন রাখার জন্য বিশেষ কয়েকটি পরামর্শ মেনে চলা প্রয়োজন। যেমন-
১. শিশুর দাঁতের যত্ন: গবেণায় দেখা যায় প্রতি ৪ জন শিশুর মধ্যে ১ জনের দাঁতের ক্ষয় শুরু হয় শিশু বয়সে এবংে ১২ থেকে ১৫ বছরের প্রায় ৫০% শতাংশ ছেলেমেয়েদের দাঁতের ক্যারিজ থাকে। শিশুর দাঁতের যত্ন শুরু করতে হবে যখন থেকে তাদের দাঁত উঠা শুরু হয়, সাধারণত ছয় মাস বয়স থেকে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই সময় শিশুর দুধ দাঁত একটি পরিষ্কার ফ্লানেমের কাপড় বা নরম টুথব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করে দিতে হবে। দুই বছর বয়স থেকে শিশুকে নিজ হাতে দাঁত ব্রাশ করার জন্য উত্সাহিত করতে হবে, তবে সেই সাথে নজরদারীও রাখতে হবে।
২. ফিসার সিলেন্ট: মলারের স্থায়ী দাঁত চলে আসে সাধারণত ৬ বছর বয়সে। এই বয়সে সিসার সিলেন্ট ফিলিং দিয়ে ঐ মলার স্থায়ী দাঁত ভরে দিতে হবে। যাতে করে দন্তক্ষয় না হতে পারে। গবেষণায় দেখা যায় এই ফিলিং দাঁতের ক্ষয় অনেকাংশই প্রতিরোধ করে।
৩. ফ্লুরাইড ব্যবহার: মুখের স্বাস্থ্য রক্ষায় সবচেয়ে বড় যে আবিষ্কার তা হলো ফ্লুরাইড। এই ফ্লুরাইড ব্যবহারে দাঁতের এনামেল মজবুত হয় এবং ডেন্টাল ক্যারিজ থেকে রক্ষা করে। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র-এ এখন বেশিরভাগ মানুষ ফ্লুরাইড যুক্ত খাবার পানি গ্রহণ করে। তাছাড়া ফ্লুরাইড টুথপেষ্ট ব্যবহারে দাঁতের ক্ষয় রোগ কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। অতএব ফ্লুরাইড টুথপেষ্ট ব্যবহার করুন।
৪. প্রতিদিন দাঁত ব্রাশ ও ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার: মানবজীবনে দাঁতের ক্ষয় ও মাড়ির রোগ দুটি প্রধান সমস্যা। এই সমস্যা শুধু বয়স্কদের নয় তরুণদের মধ্যে তিন চতুতাংশই মাড়ির রোগে ভোগে এবং মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে। আমেরিকান ডেন্টাল এসোসিয়েশনের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিবছর অন্তত: ৩/৪ বার টুথব্রাশ পরিবর্তন করা প্রয়োজন, বিশেষত টুথব্রাশ ফাইবার গুলো যখন বাঁকা হয়ে যায়। যে সব মানুষ আকাবাকা দাঁতের জন্য ব্রেসসস ব্যবহার করেন বা যাদের নকল দাঁত বা ইমপ্লান্ট আছে তারা বিশেষভাবে তৈরি টুথব্রাশ ব্যবহার করবেন। বৃদ্ধ মানুষ যাদের আথ্রাইটিস আছে বা শারীরিক ভাবে অসুস্থ তাদের জন্য ইলেক্ট্রনিক টুথব্রাশ ব্যবহার করা প্রয়োজন।
৫. মুখ কুলকুচি করা: দাঁত ব্রাশ এবং ফ্লাশিং ছাড়াও আরও একটি বিশেষ করনীয় হচ্ছে জীবানু নাশক মাউথ ওয়াশ দিয়ে মুখ কুলকুচি করা। তাতে দাঁতের ক্ষয় রোগ, মাড়ির রোগ বেশিরভাগই প্রতিরোধ করা যায়। খাবার পর স��গার ফ্রি চুইংগাম ব্যবহারেও অনেক ক্ষেত্রে মুখের লালা প্রবাহ বাড়িয়ে এনামেলকে ক্ষয় থেকে প্রতিরোধ করে এবং ব্যাকটেরিয়া মুক্ত করে এবং এসিডিটির মাত্রাকে সমতায় নিয়ে আসে।
৬. মুখের উপর যে কোন আঘাত থেকে রক্ষা করা: বিভিন্ন খেলাধুলা বা জিমনাটিক কাজ আমাদের দেহ গঠনে সাহায্য করে তবে অনেক ক্ষেত্রে অসাবধানতার কারণে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। আঘাত লাগতে পারে দাঁতে। ফলে দাঁত ভেঙ্গে যেতে পারে অথবা সম্পূর্ণ উপড়ে যেতে পারে। এসব ক্ষেত্রে মাউথ গার্ড ব্যবহার করে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।
৭. ধূমপান ও তামাক জর্দ্দা ব্যবহার: ধূমপান ও তামাক জর্দ্দা যে শুধু দাঁতের স্বাভাবিক সুন্দর রঙকে বিবর্ণ করে বা কালো করে তাই নয়, এই ধূমপান, তামাক ব্যবহারের ফলে মানুষের ক্যান্সারও হতে পারে। অতএব সুস্থ দাঁত ও মুখের নিশ্চয়তার জন্য তামাক বর্জন করা জরুরী।
৮. দাঁত ও মাড়ির সুস্থতার জন্য পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা জরুরি। বিজ্ঞানীরা মনে করেন কোন কোন মায়েদের মধ্যে ওমেগা ও ফ্যাট আছে তা দাঁত ও মাড়ির প্রদাহ প্রতিরোধ করে। তবে প্রতিদিন কিছু শাক সবজি যেমন লাল শাক, পালং শাক, পুই শাক, গাজর, টমেটো, শশা, লেবু  এবং ফলের মধ্যে কমলালেবু, জাম্বুরা, কামরাঙ্গা, আমড়া, পেয়ারা, কলা ইত্যাদি দাঁত ও মাড়িকে শক্ত রাখে।
৯. শকরা ও মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার করে মুখের বিভিন্ন ধরণের ব্যাক্টেরিয়া মিষ্টি বা শরকরা জাতীয় খাবারের সাথে মিশে গিয়ে এসিড তৈরী করে ফলে দাঁতের ক্ষয় এনামেল তাড়াতাড়ি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। সুতরাং মিষ্টি জাতীয় খাবার গ্রহণের পর দাঁত ব্রাশ করা বা কুলকুচি করা জরুরী। বিশেষ করে শিশুরা রাতে শোবার আগে ফিডারে যদি দুধ খায় এবং তাতে চিনি মিশ্রিত থাকে অথবা চকলেট খায় তবে দাঁত অবশ্যই ব্রাশ করে নেয়া প্রয়োজন। তবে দাঁতের ক্ষয় প্রতিরোধ করা সম্ভব।
১০. গবেষকগণ মনে করেন প্রতি ছয় মাস অন্তর ডেন্টাল চেক আপ করানো, দাঁতের রুটিন ডেন্টাল স্কেলিং এর মাধ্যমে প্লাস পরিষ্কার করা হলে দাঁতের ক্যারিজ ও মাড়ির রোগ অনেক প্রতিরোধ করা সম্ভব। ডেন্টাল চেকআপের ফলে আরো যে উপকার পাওয়া যায় তা হলো- মুখের ভিতর ক্যান্সারের পূর্বাবস্থায় কোন লক্ষণ দেখা দিলে তা নির্ণয় করে দ্রুত প্রতিরোধ করা সম্ভব। প্রতি ১০টি মুখের ক্যান্সার ৯ টিকে পূর্বে থেকে সনাক্ত করা গেলে সুস্থ করা সম্ভব। দাঁতের মাড়ির ক্ষয় প্রতিরাধ করা সম্ভব। যারা দেহের অন্যান্য রোগের কারণে যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি রোগ, হূদরোগ তাদের ওষুধ গ্রহণের কারণে মুখে প্রভাব পড়তে পারে। যেমন শুষ্ক মুখ, সেটাও পূর্ব থেকে নির্ণয় করা গেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হতে পারে।
অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী, সাম্মানিক উপদেষ্টা, বারডেম হাসপাতাল
১৫/এ , গ্রীন স্কয়ার, গ্রীনরোড, ঢাকা-১২০৫
ইত্তেফাক/আনিসুর
(function() { var referer="";try{if(referer=document.referrer,"undefined"==typeof referer)throw"undefined"}catch(exception){referer=document.location.href,(""==referer||"undefined"==typeof referer)&&(referer=document.URL)}referer=referer.substr(0,700); var rcel = document.createElement("script"); rcel.id = 'rc_' + Math.floor(Math.random() * 1000); rcel.type = 'text/javascript'; rcel.src = "http://trends.revcontent.com/serve.js.php?w=75227&t="+rcel.id+"&c="+(new Date()).getTime()+"&width="+(window.outerWidth || document.documentElement.clientWidth)+"&referer="+referer; rcel.async = true; var rcds = document.getElementById("rcjsload_83982d"); rcds.appendChild(rcel); })();
© ittefaq.com.bd
from The Daily Ittefaq :: The Daily Ittefaq RSS Feed RSS http://ift.tt/2Bhnvew via IFTTT
0 notes
amadernikli · 7 years
Text
জেনে নিন ক্যান্সারের দশ লক্ষণ
জেনে নিন ক্যান্সারের দশ লক্ষণ
আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
ক্যান্সারের কিছু লক্ষণ আছে, যা মানুষ নিজের অজান্তেই এড়িয়ে যায়। অথচ রোগবালাই শুরুতে ধরা পড়লে চিকিৎসা অনেক সহজ হয়। এখানে জানা যাবে ক্যান্সারের দশটি লক্ষণের কথা, যেগুলো সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব।
ঘনঘন কাশি মাঝে মাঝে কাশি হলে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। কিন্তু ঘনঘন কাশি কিংবা কফের সাথে রক্ত বের হলে, উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো ব্যাপার বৈকি! বেশিরভাগ কাশি বিপদের না হলেও কিছুক্ষেত্রে তা…
View On WordPress
0 notes
Text
জানি কি মেনিনজাইটিস সম্পর্কে?
Tumblr media
“বেশ কয়েকদিন ধরে তোকে দেখছিনা কেন? ক্লাসেও আসিস না! কি হইছে?” কাফির দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলো তাহমিদ। “দেখবি কি করে! আমার যে জ্বর যাচ্ছে সেটা ত খেয়াল রাখিস না” কিছুটা রেগেই উত্তর দিলো কাফি। “জ্বর! কি বলিস! কবে থেকে? তুইও ত কিছু জানালি না। ডাক্তার দেখাইছিস?” এক নিশ্বাসে সবগুলো প্রশ্ন করে বসলো তাহমিদ। “না, ডাক্তার দেখাইনি। জ্বর হুট করে আসে যায়। আর মাথা আর ঘাড় ব্যথা। লাইটের আলো চোখে পড়লে ত আরো মাথা ব্যথা বেড়ে যায়” বিষন্ন কণ্ঠে জানালো কাফি।
শুনে কিছুক্ষণ চুপ দুইজন। খানিকবাদে তাহমিদ বললো, “চিন্তা করিস না। শুনে মনে হচ্ছে মাইগ্রেন এর সমস্যা। আমারো লাইটের আলোতে মাথা ব্যথা হয় মাঝে মধ্যে। আর জ্বর ত সিজন পরিবর্তন হওয়ায় সবারই হচ্ছে। জ্বরের ওষুধ আজকেই কিনে নিয়ে যাবি।” তাতে নিরবে সায় জানালো কাফিও।
এতোক্ষণ আমরা দুইজন বন্ধুর মধ্যকার একটি অতি সাধারণ কথোপকথন পড়লাম। উপরের ঘটনাটি আমাদের সাথে হলে হয়তো আমরাও ঠিক এভাবেই জ্বরের জন্য নাপা জাতীয় ওষুধ খাওয়ার কথা বন্ধুকে বলতাম। কিন্তু এই জ্বর ও তীব্র মাথা ব্যথা হতে পারতো আরো অনেক সমস্যার লক্ষণ। তেমনি একটি সমস্যা নিয়ে আজ আমরা জানবো।
মানুষের মস্তিষ্ক তিনটি সুরক্ষা স্তর দ্বারা আবৃত- ড্যুরা স্তর, অ্যরাকনয়েড স্তর ও পিআ স্তর। এই তিনটি সুরক্ষা স্তরকে একত্রে বলা হয় মেনিনজেস যা আমাদের সম্পূর্ণ মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ডকে ঢেকে রাখে। আর এই মেনিনজেসে কোনো ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণে ব্যথা হলে তখন সেটাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলে মেনিনজাইটিস(মেডিকেলের ভাষায় কোনো শব্দের শেষে itis দ্বারা প্রদাহ বোঝায়)। মেনিনজাইটিস এর অস্তিত্ব মিলে প্রাচীন ইতিহাসেই। হিপোক্রিটাস তার কাজের মাঝে এর বিবরণ দিয়ে গেছেন বলে ধারণা করা হয়। এমনকি ইবনে সিনাও এই মেনিনজাইটিস সম্পর্কে জানতো যদিও তখন এই সমস্যাকে বলা হত ‘ড্রপসি’। থমাস উইলসের বিবরণ থেকে ১৬৬১ সালে জ্বরসহ মে��িনজাইটিস সমস্যায় আক্রান্ত রোগীর খোঁজ মিলে।১৭৬৮ সালে যক্ষার জীবাণু সংক্রমিত মেনিনজাইটিস এর বিবরণ মিলে স্যার রবার্ট হুইট একটি রিপোর্টে।গেস্পার্ড ভিয়োসসে, এলিসা নর্থ, আন্দ্রে মেথ্যিও সহ আরো বেশকয়েকজন তখন জেনেভা, ইউরোপ ও আমেরিকাতে এর বর্ণনা দেয়। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে মেনিনজাইটিস এর লক্ষণ সম্পর্কে মানুষ বিস্তারিত জানতে পারে।১৮৮২ সালে রাশিয়ান পদার্থবিজ্ঞানী ভ্লাদিমির কার্ণিগ ও ১৯০৯ সালে পোল্যান্ডের বিজ্ঞানী জোসেফ ব্রডযিন্সকি মেনিনজাইটিসের লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দেয়।
জেনেভাতে ১৮০৫ সালে ও আফ্রিকাতে ১৮৪০ সালে সর্বপ্রথম এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। ১৯০৫ থেকে ১৯০৮ সালের মাঝে এটি নাইজেরিয়াতে ভয়ানক আকার ধারণ করে, মারা যায় অনেক মানুষ। তখন মানুষ মেনিনজাইটিস সম্পর্কে না জানলেও এখন বিজ্ঞানের আধুনিকতায় মেনিনজাইটিস আজ আর অজানা নয়। মেনিনজাইটিক সমস্যায় প্রথম দিকে ফ্লু বা সর্দিকাশির মতো সাধারণ জ্বরের উপসর্গ থাকে। দুই বছরের বেশি বয়সীদের পরে আরো যে সমস্যাগুলো দেখা দেয়- (১)হঠাৎ তীব্র জ্বর হয়।প্রচণ্ড মাথা ব্যথা হয়, যা সাধারণ মাথা ব্যথার মতো নয়। (২)ঘাড় শক্ত হয়ে যায়, এদিক-ওদিক নাড়ানো কঠিন হয়। (৩)প্রায় ৭৫ শতাংশ রোগী জ্বরে অজ্ঞান হয়ে যায়।সাথে খিঁচুনি দেখা দেয়। (৪)ঘুম-ঘুম ভাব হয়, হাঁটতে অসুবিধা হয়। (৫)আলোর দিকে তাকাতে তীব্র অস্বস্তি বোধ (৬)কানের মধ্যে সংক্রমণের ফলে ঘা ও বধিরতা সৃষ্টি হয়। (৭)হাত-পা অবশ হয়, নাড়ানো যায় না। (৮) দৃষ্টিভ্রম হয়, একই বস্তু একাধিক দেখা যায়। (৯) কথা বলতে অসুবিধা হতে পারে।
মেনিনজাইটিসে মস্তিষ্কের সমস্যা ছাড়াও শরীরের অন্যান্য স্থানেও সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন—ফুসফুসে ঘা হওয়া ও শ্বাসকষ্ট হওয়া, সেফটিসেমিয়ার কারণে গিঁটে গিঁটে ব্যথা হওয়া, অনুচক্রিকা রক্ত উপাদান কমার কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্ত ঝরা।
নবজাতকের শিশুর ক্ষেত্রে লক্ষণীয় বিষয়গুলো হলো- ভীষণ জ্বর থাকে, ঘাড় ও শরীর শক্ত হয়ে আসা, অনবরত কান্না, দুর্বল হয়ে যাওয়া, সারাক্ষণ ঘুম-ঘুম ভাব, শরীর ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া, বমি করা, মাথার তালুর নরম জায়গা ফুলে ওঠা, অজ্ঞান হওয়া ইত্যাদি।
মেনিনজাইটিসের কারণঃ অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেনিনজাইটিসের কারণ হল বিভিন্ন প্রকারের ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ফাংগাস। তাছাড়া বিভিন্ন পরজীবীও এর জন্য দায়ী। ক)ব্যাকটেরিয়াল মেনিনজাইটিস: বয়সভেদে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ভিন্ন ভিন্ন ব্যাকটেরিয়াল মেনিনজাইটিসের জন্য দায়ী। সদ্যজাত থেকে শুরু করে ৩ মাস বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে প্রধানত গ্রুপ-বি স্ট্রেপটেকক্কি ও লিস্টেরিয়া জনিত মেনিনজাইটিস হয়ে থাকে।পরিণত শিশুদের মেনিনজাইটিসের জন্য দায়ী নাইসেরিয়া মেনিনজাইটিডিস, স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনিয়া এবং হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ-বি।
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে শতকরা ৮০ ভাগ ব্যাকটেরিয়াল মেনিনজাইটিসের কারণ নাইসেরিয়া মেনিনজাইটিডিস ও স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনিয়া, মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস ইত্যাদি। পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তির ক্ষেত্রে লিস্টেরিয়া মনোসাইটোজিনেসিস জনিত মেনিনজাইটিসের হার অনেক বেশি।
খ) ভাইরাল মেনিনজাইটিস: ভাইরাস জনিত মেনিনজাইটিস ব্যাকটেরিয়া জনিত মেনিনজাইটিসের চাইতে তুলনামূলক ভাবে কম বিপদজনক। ভাইরাল মেনিনজাইটিসের প্রধান জীবানু এন্টেরোভাইরাস। এর বাইরেও কিছু ভাইরাস এই রোগের সৃষ্টি করে যা মশার মাধ্যমে একজনের কাছ থেকে অন্য জনে ছড়াতে পারে। যেসব ভাইরাস দিয়ে ভাইরাল মেনিনজাইটিস হয় তাদের মধ্যে আছে- মাস্পস ভাইরাস, হার্পিস ভাইরাস, মিসেলস ভাইরাস, ইনফ্লুয়েন্সা ভাইরাস, চিকেনপক্স ভাইরাস, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস, বিভিন্ন আরবোভাইরাস ইত্যাদি।
ঘ)ফাংগাল মেনিনজাইটিস: ফাঙ্গাস বা ছত্রাক দিয়েও মেনিনজাইটিস হতে পারে। ফাংগাল মেনিনজাইটিসের প্রধান জীবানু ক্রিপটোকক্কাস নিউফরমান্স। ফাংগাল মেনিনজাইটিসের প্রকোপ আফ্রিকা মহাদেশে সবচাইতে বেশি এবং তা ২০-২৫% এইডস আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর কারণ। অন্য যেসব ফাংগাস মেনিনজাইটিস ঘটায় সেগুলো হলো হিস্টোপ্লাজমা ক্যাপসুলাটাম, কক্কিডায়োআইডেস ইমিটিস, ব্লাস্টোমাইসেস ডার্মাটাইটিস, ক্যানডিডা স্পেসিস প্রভৃতি।
ঘ) প্যারাসাইটিক মেনিনজাইটিস: এই ধরনের মেনিনজাইটিসের প্রধান প্রধান জীবাণু অ্যানজিওস্ট্রনজাইলাস ক্যানটোনেসিস, গ্যান্থোসটোমা স্পিনিজেরাম, সিস্টোসোমা প্রভৃতি। ��টি সাধারণত খাদ্য, পানি ও মাটির মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। এই মেনিনজাইটিস যে কারো হতে পারে, তবে যাদের কানে ,গলা বা নাকে অথবা সাইনাসে ইনফেকশন থাকে তাদের বেশি হয়। এর কারণ এ ধরণের ইনফেকশন সাধারণত যে ধরণের জীবাণু দিয়ে হয়, সেগুলো মেনিনজাইটিসও করতে পারে।
জীবাণুর বাইরেও কিছু কারণে মেনিনজাইটিস হতে পারে যার মধ্যে ক্যান্সারের বিস্তৃতি, কিছু বিশেষ ওষুধ সেবন (পেইনকিলার জাতীয় ওষুধ, ইমিউনোগ্লোবিন, অ্যান্টিবায়োটিক), কানেকটিভ টিস্যু ডিজঅর্ডার উল্লেখযোগ্য।
যদিও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মেনিনজাইটিস অতি অল্প সময়ের মাঝে শরীরে লক্ষণ প্রকাশ করে থাকে হয়ে, তবে দীর্ঘমেয়াদি মেনিনজাইটিসও হতে পারে। তাই বলা হয় মেনিনজাইটিস দুই ধরনের- অ্যাকিউট মেনিনজাইটিস যা জীবাণু প্রবেশের দুই সপ্তাহের মধ্যে হয় এবং ক্রনিক মেনিনজাইটিস যা জীবাণু শরীরে প্রবেশের চার সপ্তাহ বা তার বেশি সময় পরে প্রকাশ পায়।
তীব্র মাথা ব্যথার কারণঃ মেনিনজাইটিসে যে মারাত্মক প্রদাহ হয় তার কারণ ব্যাকটেরিয়ার সরাসরি আক্রমণ নয় বরং ব্যাকটেরিয়ার কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে অনুপ্রবেশের ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধকারী সিস্টেমের প্রতিরোধের চেষ্টা। মস্তিষ্ক ব্যাকটেরিয়া কোষের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধকারী সিস্টেম বেশি পরিমাণ সাইটোকাইন ও হরমোন জাতীয় পদার্থ নিঃসরণ করে, এতে করে ব্লাড ব্রেইন রেরিয়ার দুর্ভেদ্য থেকে ভেদ্য হয়ে উঠে এবং রক্তনালী থেকে তরল নির্গত হয়ে মস্তিষ্ক ফুলে উঠে। এমতাবস্থায় বেশি বেশি শ্বেত রক্ত কণিকা সেরেব্রো স্পাইনাল ফ্লুইডে প্রবেশ করে, চাপ বৃদ্ধি পায় এবং প্রদাহ আরও তীব্রতর হয়ে উঠে।
চিকিৎসাঃ রোগীর মেরুদণ্ডের ভেতর থাকা কশেরুকা থেকে সিএসএফ (এক ধরনের তরল পদার্থ, যা মস্তিষ্ক ও কশেরুকার ভেতর থাকে) বের করে তা পরীক্ষা করা হয়। সিএসএফে কোষসংখ্যা, প্রোটিন, গ্লুকোজের পরিমাণ এবং সিএসএফের গ্রাম স্টেইন, কালচার পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করা হয়। সঙ্গে কিছু কিছু ক্ষেত্রে রক্তের কালচার এবং সিবিসি ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়। রোগ নির্ণয়ের আগে শুধু লক্ষণ দেখেই চিকিৎসা শুরু করতে হবে, কারণ দ্রুত চিকিৎসা না শুরু করলে জীবন সংশয় দেখা দিতে পারে। ভাইরাসঘটিত মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণেও ভালো হতে পারে। এ ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা না নিলেও চলে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম, যথেষ্ট পানি ও তরল পান, জ্বর ও মাথা ব্যথার জন্য ওষুধ সেবন করলেই চলে। ব্যাকটেরিয়াজনিত মেনিনজাইটিসে বহু ক্ষেত্রে মৃত্যু হতে পারে। তবে রোগাক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ ও উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা প্রয়োজন। মেনিনজাইটিস প্রতিরোধ মেনিনজাইটিস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন বা টিকা আছে। আবার শিশু বয়সে আরো কিছু টিকা নিলে পরোক্ষভাবে তা মেনিনজাইটিস প্রতিরোধ করতে পারে। এগুলো হচ্ছে- MMR(এমএমআর বা মিসেলস-মাম্পস-রুবেলা), চিকেনপক্স, এইচআইবি বা হিব, নিউমোনিয়ার টিকা ইত্যাদি। ১৯৮০ সালের গোড়ার দিকে বিশ্বের অনেক দেশ তাদের বাচ্চাদের জন্য নিয়মিত টিকা��ান কর্মসূচিতে হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ-বি’র টিকা অর্ন্তভুক্ত করেছে, কারণ এই জীবাণু ইনফ্লুয়েঞ্জার পাশাপাশি মেনিনজাইটিস সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। মেনিনগোকক্কাস ভ্যাকসিন গ্রুপ-এ, সি, ডাব্লিও-১৩৫ এবং ওয়াই মেনিনজাইটিসের বিরুদ্ধে কার্য্যকরী প্রতিরোধ গড়ে তোলে যা সর্বোচ্চ প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করে। এখানে লক্ষ্য করা যেতে পারে যে, যে সব দেশে মেনিনগোকক্কাস গ্রুপ-সি এর ভ্যাকসিন ব্যবহৃত হচ্ছে সেখানে মেনিনজাইটিসের প্রকোপ উল্লেখযোগ্য হারে কমে গিয়েছে।
বাংলাদেশেও মেনিনজাইটিসের বিরুদ্ধে কার্যকর ও মানসম্পন্ন ভ্যাকসিন বাজারে প্রচলিত আছে যা সর্বোচ্চ প্রতিরক্ষা দেয়।সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির আওতায় নিউমোকক্কাল মেনিনজাইটিস এবং হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ বি-এর টিকা শিশুদের বিনা মূল্যে প্রদান করছে। মেনিনগোকক্কাস ভ্যাকসিন গ্রুপ-এ, সি, ডাব্লিও-১৩৫ এবং ওয়াই-এর সুবিধা:
১। শরীরে মেনিনজাইটিসের বিরুদ্ধে দীর্ঘস্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। ২। ২ বছর বয়স থেকে ব্যবহার করা যায়। ৩। একবার ব্যবহার করলে পরবর্তীতে আর দিতে হয় না।
মেনিনজাইটিস এখন সহজে ভ্যাকসিন ও চিকিৎসার মাধ্যমে কাটিয়ে উঠা যায় বলে একে অবহেলা করার কোনো সু্যোগ নেই। ১৯৯১-২০১০ সালে আফ্রিকার দেশগুলোতে মেনিনজাইটিস আক্রান্ত প্রায় ১০লাখ রোগীর মাঝে মারা যায় প্রায় ১লাখ। কেবলমাত্র ২০০৯ সালেই ৮০হাজার আফ্রিকান এই মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হয় এবং সেখানেও মারা যায় ৪ হাজারের বেশি মানুষ। আফ্রিকাতে ২০১৩ সালে এই রোগে আক্রান্ত ১২৪৬৪টি রোগীর মাঝে মারা যায় ১১৩১ জন এবং ২০১৪ সালে ১৪৩১৭ জনের মাঝে মারা যায় ১৩০৪জন।[তথ্যসূত্রঃ Global Health Obserbatory(GHO) Data] আমেরিকাতেও প্রতিবছর প্রায় ৪০০০ মানুষ ব্যাকটেরিয়াজনিত মেনিনজাইটিস এ আক্রান্ত হয় এবং সেখানেও প্রায় ৫০০জনের অধিক মানুষ মারা যায়। নিউমোকক্কাল মেনিনজাইটিস এ আক্রান্ত হয় প্রায় ৬০০০ জন ও মেনিনগোকক্কাল মেনিনজাইটিসে ২৬০০জন।(তথ্যসূত্রঃ Statistics of Meningitis, Florida Hospital)
মেনিনজাইটিস এমন একটি রোগ যা ভয়াবহ অাকার ধারণ করলে চিকিৎসার জন্য ২৪ ঘণ্টারও কম সময় পাওয়া যায়। তাই মেনিনজাইটিসের কোনো উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। সঠিক সময়ে টিকা নেয়ার মাধ্যমে নিজেকে, নিজের পরিবারকে নিরাপদ রাখার পাশাপাশি তৈরি করতে হবে জনসচেতনতাও।
0 notes
gnews71 · 6 years
Photo
Tumblr media
“কোলন ক্যান্সার বুঝবেন যেভাবে” কোলন ক্যান্সার একটি জটিল রোগ। সাধারণত পুরুষ ও কৃষ্ণাঙ্গরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। বয়স ৫০ পেরুলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।অতিরিক্ত গরু বা ছাগলের মাংস খাওয়া,খাদ্যতালিকায় আঁশজাতীয় খাবারের অনুপস্থিতি, ধূমপান ও মদ্যপান এই ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়। কোলন ক্যান্সার কী? পরিবেশ বা বংশগত প্রভাবের কারণে মলাশয়ের মিউকোসাল এপিথেলিয়ামের টিউমারটি ম্যালিগন্যান্ট টিউমারে পরিণত হলে তখন তাকে কোলন বা মলাশয়ের ক্যান্সার বলে। এটি সাধারণত মলাশয় এবং মলদ্বারের সংযোগস্থানে হয়। সম্ভাবনার দিক দিয়ে গ্যাস্ট্রিক, খাদ্যনালী এবং কোলন ক্যান্সারের মধ্যে এর স্থান দ্বিতীয়। সাধারণত ৪০-৫০ বছর বয়সী রোগীদের ক্ষেত্রে এই ক্যান্সার বেশী দেখা যায়। এছাড়া ৪০ বছরের নিচে কোলন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা ১৫% । ক্যান্সার নির্ণয়ে প্রাথমিক লক্ষণ হার্নিয়া না অন্য কিছু, পাইলস বা অর্শরোগ, ফিস্টুলা বা ভগন্দর, বিরক্তিকর পেটের সমস্যা, এনাল ফিশার। আসুন জেনে নেই কোলন ক্যান্সার বুঝবেন যেভাবে। কোলন ক্যান্সার নির্ণয় প্রাথমিকভাবে কোলন ক্যান্সার নির্ণয় অত্যন্ত কঠিন। কেননা প্রথমদিকে রোগটির তেমন কোনো উপসর্গ বোঝা যায় না।কোলন বা মলাশয়ের কোন জায়গায় ক্যান্সার রয়েছে তার উপর ভিত্তি করে উপসর্গের বিভিন্নতা দেখা যায়। রক্ত কিংবা পেটে ব্যথা কোলন ক্যান্সার প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে পায়খানার সঙ্গে রক্ত কিংবা পেটে ব্যথা।অধিকাংশ রোগী প্রথম এই সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য মলত্যাগের অভ্যাস পরিবর্তন অথ্যাৎ কখনও ডায়রিয়া, কখনও কোষ্ঠকাঠিন্য, রক্তশূন্যতা, দূর্বলতা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি রোগটির প্রাথমিক লক্ষণ। অতিরিক্ত ওজনশূন্যতা অতিরিক্ত ওজনশূন্যতা, পেটে চাকা, পেটে পানি, কাশির সঙ্গে রক্ত ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেবে। রোগ নির্ণয় প্রধান উপাদান কোলন্সকোপি ও বায়োপসি। বায়োপসি’র মাধ্যমে ক্যান্সার নির্ণয়ের পর সিটি স্ক্যান, রক্তে এন্টিজেন (CEA) এর পরিমাণ ইত্যাদি বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সারের ধাপ নির্ণয় (staging) করা হয়। চিকিৎসা কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসা এক-কথায় অপারেশন। অপারেশনের আগে বা পরে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। সচেতন হতে হবে ক্যান্সার কঠিন রোগ হলেও এর উপযুক্ত চিকিৎসা রয়েছে। রোগীদের সচেতনতা এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসা ব্যয় সরকারী হাসপাতালগুলোতে অত্যন্ত কম। রোগীদের প্রতি অনুরোধ যে কোনো রোগ সম্পর্কে পরিচিত জনের পরামর্শ না নিয়ে নূন্যতম এমবিবিএস চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
0 notes
gnews71 · 6 years
Photo
Tumblr media
ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পূর্বে যে লক্ষনগুলো দেখা দেয়! বর্তমানে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে অনেক বেশী। এবং প্রতিদিনই আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ধূমপান, সূর্যের রশ্মি, রাসায়নিক পদার্থ, বাড়তি ওজন সহ আরও নানান কারণে কান্সারে আক্রান্ত হতে পারেন যে কোনো মানুষ। জরিপে দেখা যায় সাধারণত প্রতি ৪ জন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে মারা যান ১ জন ব্যক্তি। কিন্তু চিকিৎসার অভাব ও অবহেলার কারণে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ জন পর্যন্ত। অনেক সময় ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো ভালো ভাবে না জানার কারণে শরীরে ছড়িয়ে পরে ক্যান্সার। যা বেশি মাত্রায় ছড়ানোর পর চিকিৎসা করে ভালো করা সম্ভব হয় না। ক্যান্সারের লক্ষণগুলোকে ভালো ভাবে জানলে প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসার মাধ্যমে ক্যান্সারকে নির্মূল করা সম্ভব হয়। তাই আমাদের জানতে হবে ক্যান্সারের লক্ষণগুলোকে। অতিরিক্ত মাত্রায় ওজন কমে যাওয়া কোন কষ্ট না করেও ওজন কমতে থাকলে খুব খুশি হওয়ার কিছুই নেই। এটা হতে পারে ক্যান্সারের লক্ষণ। ডায়েটিং কিংবা খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে ওজন কমতে থাকলে সমস্যা নয়। সমস্যা হলো কোন প্রকার ডায়েটিং কিংবা খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন না করে ওজন কমতে থাকলে। এবং বেশি মাত্রায় কমতে থাকলে। অবশ্যই ডাক্তারের কাছে চেকআপের জন্য যাওয়া দরকার। ক্রমাগত জ্বর এবং কাশি হওয়া ঠাণ্ডা কিংবা ঋতু পরিবর্তনের সময় একটু আধটু জ্বর বা কাশি হওয়াকে আমরা কেউই পাত্তা দিই না। কিন্তু যদি টানা জ্বর উঠা এবং কাশি থাকা শুরু করে তবে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাওয়া প্রয়োজন। কারন ক্রমাগত জ্বর ওঠা এবং কাশি হতে পারে ব্লাড ক্যান্সার, লিম্ফোমা, লিউকোমিয়ার লক্ষণ। ক্রমাগত জ্বর এবং কাশি থাকা অবহেলা করবেন না কখনোই। অতিরিক্ত এবং প্রায়ই মাথা ব্যথা এবং মেরুদণ্ড ব্যথা হওয়া মাইগ্রেনের কারণে অনেকেই মাথা ব্যথায় ভুগে থাকেন। ঠাণ্ডা লেগেও অনেকের মাথা ব্যথা হয়। কিন্তু একটানা অতিরিক্ত মাথা ব্যথা হওয়া ভালো লক্ষণ নয়। ডাক্তারের কাছে পরামর্শের জন্য চেকআপ করান। কারণ অতিরিক্ত মাথা ব্যথা হতে পারে ‘ব্রেইন ক্যান্সারের’ লক্ষণ। আবার একটানা বসে থাকলে পিঠ না মেরুদণ্ড ব্যথা হয় বলে আমরা মেরুদণ্ড ব্যথাকে পাত্তা দেই না। কিন্তু এটিও হতে পারে ক্যান্সারের লক্ষণ। সুতরাং অবহেলা না করে চেকআপ করান। চামড়ার নিচে ফোলা বা দলা ভাব ক্যান্সারের প্রথম এবং প্রধান লক্ষণ হচ্ছে শরীরের চামড়ার নিচে গুটি গুটি হয়ে ফুলে ওঠা বা দলা পাকানো গোটার মতো অনুভব করা। তবে এই গুটি গুলো বুক বা বুকের আশে পাশে অথবা যৌনাঙ্গে দেখা দিলে ক্যান্সারের লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়। শরীরের অন্যান্য অংশ যেমন হাত, পায়ে দেখা দিলে ভয়ের কিছু নেই। অস্বাভাবিক রক্তপাত কফ বা কাশির সাথে রক্ত যাওয়া ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়। এছাড়া পস্রাব-পায়খানার সাথে রক্ত পরাও হতে পারে ব্লাডার ক্যান্সারের কারন। স্তন থেকে রক্ত পরা স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ। এইসব লক্ষণ দেখার সাথে সাথে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন। শরীরের চামড়ায় পরিবর্তন চামড়ায় ছোট ছোট দানা হওয়া কিংবা শরীরের চামড়ার মাঝে মাঝে রঙের পরিবর্তন, কোন কারণ ছাড়াই জখমের মত দাগ হওয়া সবই মেলানোমার লক্ষণ। অর্থাৎ চামড়ার ক্যান্সারের লক্ষণ। এইসব দাগ কিংবা পরিবর্তনের দিকে লক্ষ রাখুন। চামড়ায় কোনো ধরনের পরিবর্তনে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। খুব দ্রুত ক্লান্ত এবং অবসাদগ্র��্থ হয়ে পড়া অনেক সময় কাজের ব্যস্ততায় কিংবা কাজের মধ্যে থাকলে আমরা ক্লান্তি বোধ করি। এমনকি মাঝে মাঝেই ক্লান্ত এবং অবসাদগ্রস্থ থাকি বলে এই নিয়েই কাজ করি। অনেক সময় বিস্রাম নেয়ার পরও এই ক্লান্তি দূর হয় না বলে আমরা ভাবি আমাদের পরিমিত বিশ্রাম হচ্ছে না। কিন্তু আমরা ভাবতেও পারি না এটিও হতে পারে ক্যান্সারের লক্ষণ। সামান্যতেই ক্লান্ত এবং অবসাদবোধ হওয়াকে অবহেলা না করে চেকআপের জন্য ডাক্তারের কাছে যান।
0 notes
bartatv-blog · 6 years
Photo
Tumblr media
জিভের রং দেখে চিনে নিন স্বাস্থ্য সমস্যা বার্তা টিভি অনলাইন ডেস্কঃ  ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তাররা প্রায়ই আমাদেরকে জিভের রং দেখেন । জিভ বের করে দেখাতে বললে বেশ বিব্রতবোধ করেন অনেকেই। ভাবেন, জিভের সাথে আবার শরীরের কি সম্পর্ক! অদ্ভুত হলেও সত্যি যে জিভের সাথেও আছে শারীরিক নানান সমস্যার সম্পর্ক। জিভের রং কিংবা অবস্থা দেখেই ধারণা করা যায় নানান রকম শারীরিক সমস্যা সম্পর্কে। জেনে নিন জিভ দেখে স্বাস্থ্য সমস্যা জানার উপায় সম্পর্কে। ফ্যাকাসে গোলাপি জিভ আপনার জিভ যদি ফ্যাকাসে হয় তাহলে আপনার রক্তশূন্যতা থাকার সম্ভাবনা আছে। শরীরে রক্ত কম থাকলে সাধারণত জিভের রং ফ্যাকাশে দেখায়। তাই আপনার জিভ যদি ফ্যাকাশে গোলাপি মনে হয় তাহলে রক্তশূন্যতা আছে কিনা সেটা পরীক্ষা করিয়ে নিন। সাদাটে জিভ আপনার জিভ যদি সাদাটে বর্ণ ধারণ করে থাকে এবং জিভের উপরে সাদা রুক্ষ আবরণ থাকে যা পরিষ্কার করলেও যেতে চায় না তাহলে আপনার শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিয়েছে। পানির অভাবে সাধারণত জিভ সাদাটে হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে বেশি করে পানি খেলে এই সাদাটে ভাব ধীরে ধীরে দূর হয়ে যায়। লালচে দানাদার জিভ আপনার জিভ যদি লালচে অথবা গাঢ় গোলাপি বর্ণ ধারণ করে এবং জিভে স্ট্রবেরির দানার মতো ছোট ছোট দানা অনুভব করেন তাহলে দুধরনের শারীরিক সমস্যা থাকতে পারে আপনার। জ্বরের কারণে জীভ লাল এবং দানাদার হয়ে যায় অনেক সময়। আবার ফলিক এসিড ও ভিটামিন বি ১২ এর অভাবেই জিভ এমন লালচে দানাদার হতে পারে। খয়েরী দাগ জিভের একটি স্থানে বেশ গাঢ় খয়েরী দাগ দেখা দিলে জরুরী ভিত্তিতে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। কারণ এধরনের দাগ হতে পারে ক্যান্সারের লক্ষণ। জিভের জড়তা জিভে যদি জড়তা অনুভভ করেন কিংবা জিভ অবশ মনে হয় তাহলে সেটা মস্তিষ্কের কোনো সমস্যার কারণে হতে পারে। স্ট্রোক, নার্ভের কোনো সমস্যার কারণে এধরণের অনুভুতি হতে পারে আপনার।
0 notes
gnews71 · 6 years
Photo
Tumblr media
জিভের রং দেখে জেনে নিন কোন ধরণের স্বাস্থ্য সমস্যা ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তাররা প্রায়ই রোগীদের জিহ্বার রং দেখেন। জিভ বের করে দেখাতে বললে অনেকেই বেশ বিব্রতবোধ করেন। ভাবেন, জিভের সঙ্গে আবার শরীরের কি সম্পর্ক! অদ্ভুত হলেও সত্যি যে জিভের সঙ্গেও আছে শারীরিক নানা সমস্যার সম্পর্ক। ফ্যাকাসে গোলাপি জিভ জিভ যদি ফ্যাকাসে হয় তাহলে আপনার রক্তশূন্যতা থাকার আশংকা আছে। শরীরে রক্ত কম থাকলে সাধারণত জিভের রং ফ্যাকাশে দেখায়। তাই আপনার জিভ যদি ফ্যাকাশে গোলাপি মনে হয় তাহলে রক্তশূন্যতা আছে কিনা সেটা পরীক্ষা করিয়ে নিন। সাদাটে জিভ জিভ যদি সাদাটে বর্ণ ধারণ করে থাকে এবং জিভের ওপরে সাদা রুক্ষ আবরণ থাকে যা পরিষ্কার করলেও যেতে চায় না তাহলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিয়েছে। পানির অভাবে সাধারণত জিভ সাদাটে হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে বেশি করে পানি খেলে এ সাদাটে ভাব ধীরে ধীরে দূর হয়ে যায়। লালচে দানাদার জিভ জিভ যদি লালচে অথবা গাঢ় গোলাপি বর্ণ ধারণ করে এবং জিভে স্ট্রবেরির দানার মতো ছোট ছোট দানা অনুভব করেন তাহলে দু’ধরনের শারীরিক সমস্যা থাকতে পারে। জ্বরের কারণে জিভ লাল এবং দানাদার হয়ে যায় অনেক সময়। ফলিক এসিড ও ভিটামিন বি ১২-এর অভাবেও জিভ এম��� লালচে দানাদার হতে পারে। খয়েরি দাগ জিভের একটি স্থানে বেশ গাঢ় খয়েরি দাগ দেখা দিলে জরুরি ভিত্তিতে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। কারণ এ ধরনের দাগ ক্যান্সারের লক্ষণ। জিভের জড়তা জিভে যদি জড়তা অনুভব করেন কিংবা জিভ অবশ মনে হয় তাহলে সেটা মস্তিষ্কের কোনো সমস্যার কারণে হতে পারে। স্ট্রোক, নার্ভের কোনো সমস্যার কারণে এ ধরনের অনুভূতি হতে পারে।
0 notes
gnews71 · 6 years
Photo
Tumblr media
ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পূর্বে যে লক্ষনগুলো দেখা দেয় বর্তমানে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে অনেক বেশী। এবং প্রতিদিনই আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ধূমপান, সূর্যের রশ্মি, রাসায়নিক পদার্থ, বাড়তি ওজন সহ আরও নানান কারণে কান্সারে আক্রান্ত হতে পারেন যে কোনো মানুষ। জরিপে দেখা যায় সাধারণত প্রতি ৪ জন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে মারা যান ১ জন ব্যক্তি। কিন্তু চিকিৎসার অভাব ও অবহেলার কারণে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ জন পর্যন্ত। অনেক সময় ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো ভালো ভাবে না জানার কারণে শরীরে ছড়িয়ে পরে ক্যান্সার। যা বেশি মাত্রায় ছড়ানোর পর চিকিৎসা করে ভালো করা সম্ভব হয় না। ক্যান্সারের লক্ষণগুলোকে ভালো ভাবে জানলে প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসার মাধ্যমে ক্যান্সারকে নির্মূল করা সম্ভব হয়। তাই আমাদের জানতে হবে ক্যান্সারের লক্ষণগুলোকে। অতিরিক্ত মাত্রায় ওজন কমে যাওয়া কোন কষ্ট না করেও ওজন কমতে থাকলে খুব খুশি হওয়ার কিছুই নেই। এটা হতে পারে ক্যান্সারের লক্ষণ। ডায়েটিং কিংবা খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে ওজন কমতে থাকলে সমস্যা নয়। সমস্যা হলো কোন প্রকার ডায়েটিং কিংবা খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন না করে ওজন কমতে থাকলে। এবং বেশি মাত্রায় কমতে থাকলে। অবশ্যই ডাক্তারের কাছে চেকআপের জন্য যাওয়া দরকার। ক্রমাগত জ্বর এবং কাশি হওয়া ঠাণ্ডা কিংবা ঋতু পরিবর্তনের সময় একটু আধটু জ্বর বা কাশি হওয়াকে আমরা কেউই পাত্তা দিই না। কিন্তু যদি টানা জ্বর উঠা এবং কাশি থাকা শুরু করে তবে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাওয়া প্রয়োজন। কারন ক্রমাগত জ্বর ওঠা এবং কাশি হতে পারে ব্লাড ক্যান্সার, লিম্ফোমা, লিউকোমিয়ার লক্ষণ। ক্রমাগত জ্বর এবং কাশি থাকা অবহেলা করবেন না কখনোই। অতিরিক্ত এবং প্রায়ই মাথা ব্যথা এবং মেরুদণ্ড ব্যথা হওয়া মাইগ্রেনের কারণে অনেকেই মাথা ব্যথায় ভুগে থাকেন। ঠাণ্ডা লেগেও অনেকের মাথা ব্যথা হয়। কিন্তু একটানা অতিরিক্ত মাথা ব্যথা হওয়া ভালো লক্ষণ নয়। ডাক্তারের কাছে পরামর্শের জন্য চেকআপ করান। কারণ অতিরিক্ত মাথা ব্যথা হতে পারে ‘ব্রেইন ক্যান্সারের’ লক্ষণ। আবার একটানা বসে থাকলে পিঠ না মেরুদণ্ড ব্যথা হয় বলে আমরা মেরুদণ্ড ব্যথাকে পাত্তা দেই না। কিন্তু এটিও হতে পারে ক্যান্সারের লক্ষণ। সুতরাং অবহেলা না করে চেকআপ করান। চামড়ার নিচে ফোলা বা দলা ভাব ক্যান্সারের প্রথম এবং প্রধান লক্ষণ হচ্ছে শরীরের চামড়ার নিচে গুটি গুটি হয়ে ফুলে ওঠা বা দলা পাকানো গোটার মতো অনুভব করা। তবে এই গুটি গুলো বুক বা বুকের আশে পাশে অথবা যৌনাঙ্গে দেখা দিলে ক্যান্সারের লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়। শরীরের অন্যান্য অংশ যেমন হাত, পায়ে দেখা দিলে ভয়ের কিছু নেই। অস্বাভাবিক রক্তপাত কফ বা কাশির সাথে রক্ত যাওয়া ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়। এছাড়া পস্রাব-পায়খানার সাথে রক্ত পরাও হতে পারে ব্লাডার ক্যান্সারের কারন। স্তন থেকে রক্ত পরা স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ। এইসব লক্ষণ দেখার সাথে সাথে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন। শরীরের চামড়ায় পরিবর্তন চামড়ায় ছোট ছোট দানা হওয়া কিংবা শরীরের চামড়ার মাঝে মাঝে রঙের পরিবর্তন, কোন কারণ ছাড়াই জখমের মত দাগ হওয়া সবই মেলানোমার লক্ষণ। অর্থাৎ চামড়ার ক্যান্সারের লক্ষণ। এইসব দাগ কিংবা পরিবর্তনের দিকে লক্ষ রাখুন। চামড়ায় কোনো ধরনের পরিবর্তনে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। খুব দ্রুত ক্লান্ত এবং অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়া অনেক সময় কাজের ব্যস্ততায় কিংবা কাজের মধ্যে থাকলে আমরা ক্লান্তি বোধ করি। এমনকি মাঝে মাঝেই ক্লান্ত এবং অবসাদগ্রস্থ থাকি বলে এই নিয়েই কাজ করি। অনেক সময় বিস্রাম নেয়ার পরও এই ক্লান্তি দূর হয় না বলে আমরা ভাবি আমাদের পরিমিত বিশ্রাম হচ্ছে না। কিন্তু আমরা ভাবতেও পারি না এটিও হতে পারে ক্যান্সারের লক্ষণ। সামান্যতেই ক্লান্ত এবং অবসাদবোধ হওয়াকে অবহেলা না করে চেকআপের জন্য ডাক্তারের কাছে যান।
0 notes