Tumgik
#লোকাল ট্রেনের টিকিট
banglakhobor · 9 months
Text
লোকাল ট্রেনের টিকিটে কি ট্রেন বদলে বারবার যাতায়াত করেন? সাবধান হয়ে যান এখনই
নিউ দিল্লি: প্যাসেঞ্জার ট্রেনে এসি, স্লিপার এবং জেনারেল ৩ ধরনের কোচ থাকে। এর মধ্যে জেনারেল কোচকে অসংরক্ষিত ক্যাটাগরিও বলা হয়। এর টিকিট সবচেয়ে সস্তা এবং এতে বসার জন্য কোনও সংরক্ষিত আসন নেই। প্রায়শই যাত্রীরা অল্প দূরত্বে একটু দ্রুত ভ্রমণ করার জন্য এক্সপ্রেস ট্রেনের সাধারণ টিকিট নেন। এমতাবস্থায় অনেকের মনে একটা প্রশ্ন আসে যে, কেউ যদি একটি ট্রেনের জেনারেল বগি থেকে নেমে অন্য ট্রেনের জেনারেল বগিতে…
View On WordPress
0 notes
the-best-guide · 8 months
Text
রেলপথে নেভিগেটিং:
 ট্রেনে কোচবিহার পৌঁছানোর জন্য একটি ব্যাপক নির্দেশিকা
ভূমিকা:
কোচবিহার, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি মনোরম শহর, তার সমৃদ্ধ ইতিহাস, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। ট্রেনে করে এই মোহনীয় গন্তব্যে ভ্রমণ করা একটি প্রাকৃতিক এবং নিমগ্ন অভিজ্ঞতা প্রদান করে, যা আপনাকে এই অঞ্চলের বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং অনন্য আকর্ষণে ভিজতে দেয়। এই বিস্তৃত নির্দেশিকা আপনাকে ট্রেনে কোচবিহারে পৌঁছানোর প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হেঁটে যাবে, প্রধান রেলস্টেশন, ট্রেনের রুট, টিকিট বুকিং এবং একটি মসৃণ এবং আনন্দদায়ক যাত্রা নিশ্চিত করার জন্য ব্যবহারিক ভ্রমণ টিপস সম্পর্কে তথ্য প্রদান করবে।
1। কোচবিহারের রেলওয়ে সংযোগ বোঝা:
A: কোচবিহার জংশন: 
কোচবিহার ভারতীয় রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সাথে কোচবিহার জংশন (COB), একটি প্রধান রেলওয়ে স্টেশন যা শহরের প্রবেশদ্বার হিসাবে কাজ করে এর মাধ্যমে ভালভাবে সংযুক্ত।
B. কাছাকাছি স্টেশন:
 আলিপুরদুয়ার জংশন (APDJ) এবং নিউ জলপাইগুড়ি জংশন (NJP) হল অন্যান্য আশেপাশের রেলওয়ে স্টেশন যা কোচবিহারে সুবিধাজনক প্রবেশাধিকার দেয়। এই স্টেশনগুলি ভ্রমণকারীদের তাদের উত্স এবং ভ্রমণের পছন্দগুলির উপর ভিত্তি করে বেছে নেওয়ার জন্য অতিরিক্ত বিকল্প সরবরাহ করে।
2। সঠিক ট্রেন রুট নির্বাচন করা:
A: কলকাতা থেকে রুট:
কলকাতা থেকে কোচবিহার ট্রেনগুলি একাধিক রুটে চলে, যা যাত্রীদের ভ্রমণের সময়কাল এবং আরামের মাত্রার পছন্দের প্রস্তাব দেয়।
"কলকাতা থেকে আলিপুরদুয়ার" রুট একটি সাধারণ পছন্দ। কোচবিহার পৌঁছানোর জন্য যাত্রীরা আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে লোকাল ট্রেন বা ট্যাক্সি নিতে পারেন।
B. অন্যান্য প্রধান শহর থেকে রুট:
দিল্লি, মুম্বাই এবং চেন্নাইয়ের মতো প্রধান শহরগুলি ট্রেনে কোচবিহারের সাথে ভালভাবে সংযুক্ত, যদিও দূরত্বের কারণে দীর্ঘ ভ্রমণের সময় জড়িত।
3. ট্রেনের টিকিট বুকিং:
A: অনলাইন বুকিং: 
ভারতীয় রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, আইআরসিটিসি (ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন), অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বুক করার প্রাথমিক প্ল্যাটফর্ম।
IRCTC ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করুন, আপনার পছন্দসই ট্রেনটি অনুসন্ধান করুন, ক্লাস নির্বাচন করুন এবং বুকিং প্রক্রিয়ার সাথে এগিয়ে যান।
B. অফলাইন বুকিং: 
রেলওয়ে স্টেশন কাউন্টার বা অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্ট থেকেও ট্রেনের টিকিট কেনা যাবে।
C. বিবেচ্য বিষয়:
 আপনার পছন্দের ট্রেন এবং ক্লাস সুরক্ষিত করতে, বিশেষ করে পিক ট্র্যাভেল সিজনে আগে থেকেই টিকিট বুক করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
READMORE:
0 notes
dailynobobarta · 4 years
Text
ট্রেনে শিথিল হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি
New Post has been published on https://is.gd/r7An85
ট্রেনে শিথিল হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি
Tumblr media
করোনায় প্রায় সাড়ে ছয় মাস বন্ধ থাকার পর আগামী ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ফের চালু হচ্ছে আরো ১৯ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন। এদিকে করোনা সংক্রান্ত বিধি-নিষেধের কিছু বিষয় শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। আজ মঙ্গলবার রেলপথ মন্ত্রণালয় নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল আলম গণমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রেল উপপরিচালক (ট্রাফিক ট্রান্সপোর্টেশন) খায়রুল কবিরের সই করা এ সংক্রান্ত নির্দেশনা আজ জারি করা হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যাত্রার ৫ দিন আগে থেকে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট বিক্রির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ দিন আগে থেকে টিকেট বিক্রি করা হবে। ৫ সেম্টেম্বর থেকে রাত্রিকালীন উচ্চশ্রেণির যাত্রীদের জন্য চাদর, কম্বল ও বালিশ সরবরাহ করা হবে, যা গত কিছু দিন বন্ধ ছিল। এ ছাড়া ট্রেনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চা, কফি, বোতলজাত পানি, চিপস-বিস্কুটসহ প্যাকেটজাত খাবার সরবরাহ শুরু হবে। এ ছাড়া রেলওয়ে পাস এবং ও মিলিটারি ওয়ারেন্টের টিকেট আগের মতো ইস্যু করার ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয় নির্দেশনায়। জানা গেছে, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর থেকে সব মিলিয়ে ৬৭ জোড়া ট্রেন চালু হবে। এর মধ্যে চার জোড়া কমিউটার, এক জোড়া লোকাল ট্রেন। অর্থাৎ বাকি ৬২ জোড়াই আন্তঃনগর ট্রেন। রেলে সব মিলিয়ে ৩৫৫টি যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করে। করোনার কারণে গত মার্চের শেষ সপ্তাহে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ৩১ মে সীমিত আকারে চালু হয়। তখন সিদ্ধান্ত হয় প্রতিটি ট্রেনের অর্ধেক আসনের টিকিট বিক্রি করা হবে।
0 notes
paathok · 4 years
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/110163
আজ থেকে চলবে আরও ১১ জোড়া ট্রেন
.
নতুন করে আরও ১১ জোড়া আন্তনগর ট্রেন আজ বুধবার থেকে চালু হচ্ছে। সব মিলিয়ে আজ থেকে ১৯ জোড়া ট্রেন চলবে। প্রথম দফায় গত রোববার আট জোড়া ট্রেন চালু হলেও খুব একটা যাত্রাবিরতি ছিল না। তবে নতুন ১১ জোড়া ট্রেনে চালু হওয়ায় যাত্রাবিরতি তুলনামূলকভাবে কিছুটা বেশি হবে বলে জানান রেল কর্মকর্তারা।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে এখন ট্রেনে মোট আসনের অর্ধেক টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। স্টেশনে ভিড় এড়াতে শতভাগ টিকিট বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে।
স্বাভাবিক সময়ে রেলের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে ৫২ জোড়া আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ ৬৬ দিন বন্ধ থাকার পর গত রোববার থেকে সীমিত আকারে চালু হয়েছে। আগামী ১৫ দিন ১৯ জোড়া ট্রেন চালিয়ে দেখার পর সব কয়টি আন্তনগর ট্রেন চালু করা হতে পারে বলে রেলের কর্মকর্তারা জানান।
তারা বলছেন, রেলে প্রায় দুই শতাধিক লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলে। লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চালু করার জন্য সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত লাগবে।
এ ছাড়া স্বাভাবিক সময়ে সব ট্রেন বিমানবন্দর স্টেশনে থামে। উত্তরা, খিলক্ষেত, টঙ্গীসহ ঢাকার উত্তর অংশের অফিসগামী মানুষের একটা বড় অংশ ট্রেনে কমলাপুর–বিমানবন্দর পথে চলাচল করেন। এখন তা বন্ধ আছে।
রেলের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামান বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন চালানোর বি��য়ে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। লোকাল ও মেইল ট্রেন চালুর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ ছাড়া স্টেশনের কাউন্টারে শিগগিরই টিকিট বিক্রি হচ্ছে না।
আজ থেকে যেসব ট্রেন চলবে
প্রথম দফায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে কোনো ট্রেন চালু হয়নি। এই দফায় তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি চালু হতে যাচ্ছে।
ঢাকা–নোয়াখালী অঞ্চলের একমাত্র আন্তনগর ট্রেন উপকূল এক্সপ্রেস আজ থেকে তা চালু হচ্ছে। এ ছাড়া খুলনা–চিলাহাটি পথের রূপসা, খুলনা–রাজশাহী পথের কপোতাক্ষ, রাজশাহী–গোয়ালন্দঘাট পথের মধুমতি ও চট্টগ্রাম–চাঁদপুর পথের মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনের চলাচল শুরু হচ্ছে আজ।
এর বাইরে বেনাপোল এক্সপ্রেস (ঢাকা–বেনাপোল), নীলসাগর এক্সপ্রেস (ঢাকা–চিলাহাটি), কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস (ঢাকা–কিশোরগঞ্জ), কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস (ঢাকা–কুড়িগ্রাম)।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকার পথে আমবাহী লাগেজ ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আগামী শুত্রবার থেকে তা চলবে। এই ট্রেন দিয়ে আমের পাশাপাশি সব ধরনের শবজি, ফলমূল, ডিমসহ কৃষিপণ্য পরিবহন করা যাবে।
0 notes
boishakhi · 4 years
Text
কাউন্টারে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু
কাউন্টারে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর কাউন্টারে রেলের টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দেয়া হয়। সাড়ে পাঁচমাস পর শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে আবারো কমিউটার-মেইল-লোকাল ট্রেনের পাশাপাশি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট কাউন্টারে বিক্রি শুরু হয়েছে।
রেল সূত্র জানায়, করোনাভাইরাসের কারণে দেশের প্রতিটি ট্রেনের মোট আসন সংখ্যার ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হচ্ছে। এতদিন যার সবগুলোই অনলাইনে বিক্রি হচ্ছিল। আজ…
View On WordPress
0 notes
dhaka18 · 4 years
Text
কাউন্টারে টিকিট বিক্রি শুরু
কাউন্টারে টিকিট বিক্রি শুরু
ঢাকা১৮ প্রতিবেদক: মহামারি করোনাভাইরাস বিশ্বের ২১৫টি দেশে চালাচ্ছে তাণ্ডব। বাদ পড়েনি বাংলাদেশও। এমন পরিস্থিতি পুরোপুরি বন্ধ ছিল রেল চলাচল। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় পর্যায়ক্রমে খুলে দেওয়া হয়েছে রেল সেবা। প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস পর কমিউটার-মেইল-লোকাল ট্রেনের পাশাপাশি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিটও পাওয়া যাচ্ছে কাউন্টারে।
জানা গেছে, প্রতিটি ট্রেনে মোট আসন সংখ্যার ৫০ শতাংশ টিকিট অনলাইনে বিক্রি হচ্ছিল। আজ…
View On WordPress
0 notes
bartaprotikkhon · 4 years
Text
কাউন্টারে মিলছে ট্রেনের টিকিট
কাউন্টারে মিলছে ট্রেনের টিকিট
করোনা পরিস্থিতির কারণে সাড়ে পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর আজ শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে কাউন্টারে পাওয়া যাচ্ছে ট্রেনের টিকিট। কমিউটার-মেইল-লোকাল ট্রেনের পাশাপাশি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিটও পাওয়া যাচ্ছে কাউন্টারে।
কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারোয়ার গণমাধ্যম কে জানান, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর পর্যায়ক্রমে সব ট্রেন চালু হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় কাউন্টারে টিকিট বিক্রিও শুরু হয়েছে।
ক…
View On WordPress
0 notes
sentoornetwork · 4 years
Text
পুজোর আগেই চলতে পারে, রেলকে চিঠি রাজ্যের
New Post has been published on https://sentoornetwork.com/metro-and-local-train-service-will-be-resumed-before-puja-in-west-bengal/
পুজোর আগেই চলতে পারে, রেলকে চিঠি রাজ্যের
নিজস্ব সংবাদদাতা: গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনোদ কুমারকে রেল পরিষেবা শুরু করার বিষয়ে চিঠি দেন। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, বিধি মেনে ট্রেন এবং মেট্রো চললে তাতে রাজ্য সরকারের কোন আপত্তি নেই। কেন্দ্রের তরফ থেকে অবশ্য আগেই ঘোষণা করা হয়েছে যে, ট্রেন-মেট্রো চলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার। পূর্ব, দক্ষিণ – পূর্ব এবং মেট্রো রেল সূত্রের খবর অনুযায়ী, কোভিড আবহে যাত্রী সুরক্ষার বিষয়টি সামলাতে তারা প্রস্তুত। শিয়ালদহ স্টেশনটিকেও নতুন ভাবে গড়ে তোলা হয়েছে। উন্নত হয়েছে সিগনালিং ব্যবস্থাও। মেট্রো রেলের ক্ষেত্রেও সুরক্ষার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। টিকিট নেওয়ার সময় দূরত্ব বিধি মেনে চলতে হবে। কতটা দূর থেকে টিকিট নিতে হবে তা বোঝানোর জন্য দাগ কাটা হয়েছে। কাউন্টারে যারা বসবেন তাঁদের গ্লাভস আর মাস্ক পরতে হবে। লোকাল ট্রেনের ক্ষেত্রেও যাতে ভিড় কম করা যায় তার জন্য নিয়ম চালু হতে পারে। রেল সূত্রের খবর অনুযায়ী, এ বিষয়ে তারা রাজ্য সরকারের সহযোগিতা চান। এখন শুধু দিন গোনা চাকা ঘোরার জন্য।
ছবি: গুগল আরও পড়ুন:ফের করোনার হানা রাজার ঘরে
0 notes
bangladaily · 4 years
Text
লোকাল ট্রেন বন্ধ, আন্তঃনগন ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ
অনলাইনঃ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় আগামী বৃহস্পতিবার থেকে (২৬ মার্চ) সব ধরনের ট্রেন বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া আজ থেকে বন্ধ হচ্ছে রেলওয়ের সব লোকাল ও মেইল ট্রেন। এ ছাড়া সোমবার রাত ১২টা থেকে সব লোকাল, মেইল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল বন্ধ করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ আলম। তিনি জানান, ২৬ মার্চ থে‌কে সব ট্রেনের টি‌কিট বি‌ক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে। এখনও অফিস আদেশ হয়নি। ত‌বে আদেশ হ‌বে ব‌লে আমাকে জা‌নি‌য়ে‌ছেন ট্রা‌ফিক ডি‌রেক্টর। মঙ্গলবার থেকে লোকাল ও মেইল ট্রেন বন্ধ করা হয়েছে। রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামছুজ্জামান বলেন, ‘আগামী ২৬ মার্চ থেকে দেশে সব ধরনের ট্রেনের টিকিট বিক্রিও বন্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাস প্রাণঘাতি হয়ে উঠেছে। আমরা ধীরে ধীরে সবগুলো ট্রেন বন্ধ করে দেবো। প্রাথমিকভাবে সব লোকাল মেইল বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ থেকে সব লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকবে। ভাইরাসটি যাতে সব অঞ্চলে ছড়িয়ে না পড়তে পারে সে কারণে আমরা ট্রেন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছি।’ তিনি জানান, আগামী ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ সরকারি ছুটি শুরু হওয়ায় ওই দিন থেকে ট্রেনের যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে। -এসবি Read the full article
0 notes
gnews71 · 5 years
Photo
Tumblr media
“ভারতে ঘুরতে যেতে চাইলে যা করবেন” এক দেশে একই সময়ে শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা। উত্তরে যখন বরফ পড়ে; দক্ষিণে তখন গরম। একপাশে দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত। অন্যপাশে পাহাড় আর মরুভূমি। পাশের দেশ ভারতের দৃশ্য এমনই। সময় পেলে অনেকেই ঘুরে আসতে পারেন ভারত থেকে। কিভাবে যাবেন? কোথায় যাবেন? কী দেখবেন? এসব চিন্তায় আর যাওয়া হয়ে ওঠে না। তাদের জন্যই এই লেখা- পাসপোর্ট চাই বিদেশে যেতে চাইলে প্রথমে প্রয়োজন হয় পাসপোর্ট। আপনার কাছের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে এখন খুব সহজেই পাসপোর্ট করতে পারেন। পড়ুন - নতুন পাসপোর্ট করতে চান? ডলার এনডোর্সমেন্ট দেশের বাইরে যেতে হলে সঙ্গে নিতে হবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা বা মার্কিন ডলার। ভারতে যেতে চাইলে অবশ্যই আপনার পাসপোর্টে ২০০ ডলার এনডোর্স করতে হবে। যে কোন ব্যাংক থেকে ২০০ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ টাকার বিনিময়ে ও নির্ধারিত ফি দিয়ে পাসপোর্ট ডলার এনডোর্স করতে পারেন। যেভাবে ভিসা করবেন ভারতীয় ভিসার জন্য অনলাইনে এই ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করতে হবে। প্রয়োজনীয় তথ্য ও ছবি দিয়ে আবেদনপত্র পূরণ করুন। সঠিকভাবে পূরণ করার পর ফরমের পিডিএফ কপি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করুন। এবার ফরমের উপরে নির্ধারিত জায়গায় ২/২ ইঞ্চি সাইজের ছবি আঠা দিয়ে যুক্ত করুন। ছবি অবশ্যই সবশেষ ৩ মাসের মধ্যে তোলা হতে হবে। এরপর এই ওয়েবসাইটে গিয়ে ভিসা ফি পরিশোধ করুন। ফরম ও ভিসা ফি পরিশোধের প্রিন্ট কপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, পেশার সার্টিফিকেট বা এনওসি, বর্তমান ঠিকানার যে কোন বিলের ফটোকপি, পাসপোর্টে ডলার এনডোর্সমেন্টের কপি ও পাসপোর্ট আপনার কাছের ভারতীয় ভিসার সেন্টারে গিয়ে জমা দিন। জমার দেওয়ার পর ভিসা সেন্টার থেকে স্লিপ বুঝে নিন। যেখানে আপনার পাসপোর্ট ডেলিভারির সময় উল্লেখ থাকবে। এরপর নির্ধারিত দিনে গিয়ে পাসপোর্ট সংগ্রহ করুন। ভিসা আবেদনের জন্য পাসপোর্টে ডলার এনডোর্সমেন্টের পরিবর্তে আপনার সবশেষ ৬ মাসের ব্যাংকিং লেনদেনের বিবরণও দিতে পারেন। ভারতে গেলে আগ্রার তাজমহল দেখতে ভুলবেন না। গতিমান এক্সপ্রেসে সহজেই দিল্লি থেকে আগ্রার তাজমহল ঘুরে আসতে পারেন। ট্রাভেল প্ল্যান যে কোন কাজেই প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা। তাই ঘুরতে যাওয়ার আগে ট্রাভেল প্ল্যান করে ফেলুন। কোথায় কোথায় ঘুরবেন? কিভাবে যাবেন? কোথায় থাকবেন? সঙ্গে কী নেবেন? এমন সবকিছু লিখে ফেলুন। ঘোরার সময় পরিকল্পনার ব্যতিক্রম হতেই পারে। কিন্তু আগে থেকেই যদি সবকিছু পরিকল্পনায় থাকে তবে আপনার ভ্রমণ হবে ঝামেলাহীন ও স্বাচ্ছন্দ্যময়। হোটেল বুকিং ইন্টারনেটের এই সময়ে ঘরে বসেই দিতে পারেন হোটেল বুকিং। কোন ধরনের চার্জ বা অগ্রিম টাকা পরিশোধ না করে বাংলাদেশ থেকে ভারতের অনেক জায়গার হোটেল বুকিং দেওয়া যায়। হোটেল বুকিংয়ের জন্য জনপ্রিয় ওয়েবসাইটগুলো হচ্ছে- www.agoda.com, www.oyorooms.com, www.booking.com, www.makemytrip.com, www.trivago.in, www.yatra.com প্রভৃতি। এয়ার টিকিট এয়ারে ভারতে যাওয়ার জন্য দেশি-বিদেশি অনেকগুলো এয়ারলাইন্স রয়েছে। আপনার যাওয়ার দিন থেকে যত আগে এয়ার টিকিট সংগ্রহ করবেন টিকিটের দাম তত কম লাগবে। যে কোন ট্রাভেল এজেন্সি বা অনলাইন থেকে এয়ার টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন। এয়ারলাইন্স অনুযায়ী ঢাকা থেকে ভারতের কলকাতায় যাওয়া আসায় গড়ে ১০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। ট্রেনের টিকিট ট্রেনে ভারত যাওয়ার জন্য ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে মৈত্রী ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। টিকিট সংগ্রহের সময় পাসপোর্ট ও ভিসার কপি প্রয়োজন হবে। মৈত্রী ট্রেন ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে সকাল আটটা পনেরো মিনিটে ভারতের কলকাতার উদ্দেশে ছাড়ে। এই ট্রেনে এসি সিটে ভ্রমণে লাগবে ৩৪০০ টাকা এবং এসি চেয়ারে লাগবে ২৫০০ টাকা। এছাড়া খুলনা থেকে বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনে ভারত যাওয়া যায়। এই ট্রেনে এসি সিট ২০০০ এবং এসি চেয়ার ১৫০০ টাকা। খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে বন্ধন এক্সপ্রেস ভারতের কলকাতার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বাস টিকিট ঢাকার কমলাপুর, আরামবাগ, ফকিরাপুল, কল্যাণপুর, কলাবাগান বাসস্ট্যান্ড থেকে ভারতে কলকাতা, শিলং, শিলিগুড়িতে সরাসরি যাওয়ার বাস টিকিট পাওয়া যায়। এছাড়া ঢাকা থেকে আপনার পছন্দের ভারতীয় সীমান্ত পর্যন্ত বাসে যেতে পারেন। ট্রাভেল ট্যাক্স ভারত যেতে চাইলে দিতে হবে ৫০০ টাকা ভ্রমণ কর বা ট্রাভেল ট্যাক্স। ঢাকার মতিঝিলে সোনালী ব্যাংকের লোকাল ব্রাঞ্চসহ জেলা শহরের সোনালী ব্যাংকে ট্রাভেল ট্যাক্স দেওয়া যায়। এছাড়াও বাংলাদেশের যে কোন ইমিগ্রেশনের কাস্টমসে ট্রাভেল ট্যাক্স দেওয়া যায়। ঝামেলা ও ভিড় এড়াতে ভ্রমণের আগেই ট্রাভেল ট্যাক্স পরিশোধ করে রশিদ সংরক্ষণ করুন। কারণ বাংলাদেশ ও ভারতে ইমিগ্রেশনে এই রশিদ দেখাতে হবে। তবে এয়ার বা ট্রেনে যেতে চাইলে টিকিটের মূল্যের সঙ্গেই ট্রাভেল ট্যাক্স যুক্ত থাকে। ইমিগ্রেশন ফরম বাংলাদেশ ছাড়ার সময় ইমিগ্রেশনে যাওয়ার আগে পূরণ করতে হবে ইমিগ্রেশন ফরম। যেখানে আপনার ব্যক্তিগত ও পাসপোর্টের তথ্য, ভ্রমণের উদ্দেশ্যসহ কিছু তথ্য দিতে হবে। এছাড়া ভারতের ইমিগ্রেশনেও সে দেশের ইমিগ্রেশন ফরম পূরণ করে জমা দিতে হবে। মানি এক্সচেঞ্জ ভারতের যে কোন মানি এক্সচেঞ্জ থেকে আপনার সঙ্গে থাকা মার্কিন ডলারের বিনিময়ে রুপি সংগ্রহ করতে পারেন।
0 notes
a-somnambulist-blog · 6 years
Text
ভ্রমণ রসায়ন
মাসকাবারি পত্রিকায় নভেম্বর ২০১৭ তে প্রকাশিত
অন্যান্য জীব জন্তুদের মধ্যে মনে হয় মানুষই একমাত্র প্রজাতি যারা অকারণে বেড়াতে পছন্দ করে। জোর করে এক রাশ ঝামেলা ঘাড়ে নিয়ে মানুষ বেড়াতে যায়। ঝামেলা বলে ঝামেলা - ট্রেনের টিকিট থেকে শুরু করে ফেরার পর অফিসে ছুটি মঞ্জুর হওয়া - পুরোটাই তো চাপ মশাই! কি দরকার বলুন তো এই উটকো ঝামেলা ঘাড়ে নেওয়ার। কোথায় পাহাড়ে সূর্য উঠল, কোন সমুদ্রে সূর্য ডুবল, কোন ঝর্নার জল গড়িয়ে গেল, কোন জঙ্গলে কোন বাইসন উঁকি দিল, কোথাকার কোন ভাঙ্গাচোরা কেল্লায় কে কবে যুদ্ধ করেছিল.........এই সব দেখার জন্য এত হ্যাপা পোষায় !
হয়ত পোষায় ! তাই আমার মত অনেক লোক সেই ঝামেলা ঘাড়ে নিয়েই বেড়াতে যায়। মুখবই এ ছবি দেয়। না বেড়াতে য���তে পারলে গোমড়া মুখে অফিস ��রে। দীর্ঘশ্বাস ফেলতে ফেলতে ওই মুখবইতেই  অন্যের বেড়ানোর ছবিতে 'Like' দিয়ে সামাজিক কর্তব্য পালন করে। এ হেন পরিস্থিতিতে ভ্রমণ বিষয়ক লেখা নির্ভেজাল উস্কানির কাজ দেয়। 'খাবার নিয়ে আড্ডা' আর 'বেড়ানো নিয়ে গল্প' বাঙ্গালীর প্রিয়তম দুর্বলতা।
বেশিরভাগ বেড়ানোর গল্পে আপনি ভূগোল পাবেন, অনেকটা ইতিহাস পাবেন আর জমা-খরচ বা সময়-দুরত্বের অঙ্ক পাবেন। কিন্তু বেড়ানো মানে কি শুধু তাই ? একটি বিবাহিত জীবনের আসল মজা যেমন তার রোজনামচা টকমিষ্টি রসায়নে তেমনি প্রত্যেকটি বেড়ানোর আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকে এমন অনেক কিছু যা ' অতি সাধারণ' বলে আর কোথাও বলা বা লেখা হয় না...... বাকিটা নয়... 'পুরোটাই ব্যাক্তিগত'। এহেন বেড়ানোর 'রসায়নে' আমার কাছে প্রথম এবং প্রধান অংশ হোল ট্রেন এবং তার আনুষঙ্গিক। বেড়ানো বলতে আমি ট্রেনে চেপে বেড়ানোকেই বুঝি। আমার ছাপোষা বুদ্ধি তে আমি বাস বলতে 'অফিস' আর ' প্লেন' বলতে ' বিদেশ' বুঝি। দুটোর মধ্যেই সব থেকেও যেন কি একটা নেই।  সে তুলনায় ট্রেন অনেক বেশী কাছের......অনেক বেশী রোমাঞ্চকর। কোথাও একটা পড়েছিলাম "There's something about the sound of a train that's very romantic and nostalgic and hopeful."  আপনার আমার ট্রেন জার্নির কিছু এড়িয়ে যাওয়া অংশ গুলো নিয়েই আমার এই 'ভ্রমণ রসায়ন'......। সব মিলিয়ে ছ টি পর্ব।
প্রথম পর্ব ঃ টিকিট
অদ্ভুত একটা শিরশিরানি অনুভব করছি 'টিকিট' শব্দটার লিখে। আপনার বেড়ানোর প্রথম আমেজ ওই একরত্তি কাগজের মধ্যে। যারা আঁচিয়েছেন তারাই জানেন ওই 'একরত্তি' কাগজের কি মহিমা। হালের পৃথিবীতে এক অসীম সাধনা ছাড়া যাকে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। সারা জীবনে কতই না টিকিট কেটেছেন আপনি......তবে তার মধ্যে 'ট্রেনের টিকিট' হল গিয়ে যাকে বলে 'চেরি অন্য দা টপ'। পূজো বা গরমের ছুটি হলে তো আর কথাই নেই। টিকিট তো নয়...... যেন রাক্ষসকুলে অমৃত বিতরিত হচ্ছে। অবশ্যই যদি আপনি এই রাক্ষসকুলে 'দেবতাস্বরূপ' দালালদের শরণাপন্ন না হতে চান.........তাহলে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিন। টিকিট এর আবির্ভাবের দিন ভোরবেলা থেকে আপনার যুদ্ধ শুরু। ঘড়ির কাঁটা দুর্বার গতিতে ছুটবে আর ততোধিক বাড়বে আপনার রক্তচাপ। নিজ কম্পিউটারে বসে যারা ওই প্রথম দশ মিনিটের মধ্যে নিজও গুণে নিজও রুচির টিকিট কাটতে পারেন তাদের সাফল্য বর্ণনা করার ভাষা আমার কাছে নেই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এক অসীম চাপ মাথায় নিয়ে আপনি একটুর জন্য 'ভালো খেলিয়াও পরাজিত' হইবেন। সমকালীন আর এক যুদ্ধ চলে টিকিট বুকিং অফিস গুলোর সামনে এর সামনে। ভোর তিনটে, কি মাঝরাত থেকে আপনি বা আপনার সহৃদয় বন্ধু লাইন এ আছেন, জনা আট দশ জনের পেছনে। যারা এভাবে রাত কাটিয়েছেন...... তারা জানেন কি দারুণ উত্তেজনা কেবল একটি জানলার দিকে তাকিয়ে। স্মাধ্যমিকের Result বেরনোর দিনও মনেহয় না এত টেনশন করেছিলেন। যুদ্ধ জয় করার পরেও যে টেনশন থেকেই যায় 'ফেরার টিকিট টা পাব তো' ! যাই বলুন এই 'টিকিট' পর্বে কোনও রস বা রসায়ন কিছু নেই...। আছে শুধু পদার্থ বিজ্ঞান...... চাপ এবং চাপের সূত্র।
দ্বিতীয় পর্ব ঃ বার্থ
নিজের নামে বিছানা? ভাবা যায় না মশায়।  এই রাজকীয়তা নিজের বাড়িতেই বা কটা লোক পায় বলুন তো ? তা ট্রেনের বিছানার সাহেবি নাম 'বার্থ'। বার্থ পাঁচ প্রকার ...অনেকটা পঞ্চ পাণ্ডবের মত !!!!!  পঞ্চ পাণ্ডবের মত তাদের আবেদনও ভিন্ন। একটি লোয়ার বার্থ পেলে আপনি ভীমের মত হিরো, নইলে সাইড লোয়ারে আপনি অর্জুনের মত তরুণ তুর্কি। রইল বাকি তিন। এদের মধ্যে একটি পেলেও...... যা অনেকটা 'টিকিট তো পেয়েছি' টাইপের স্বান্তনা পুরস্কারের মত। ট্রেনের কোনও সহৃদয় সহযাত্রী কে বলে ঠিক ব্যাবস্থা করে নেবেন......এই আশা তেই দিন কাটে আপনার। ভুলে যান আপনি যে সেই সহৃদয় সহযাত্রীটিও যে এখন কলার তুলে ঘুরছেন ভীম বা অর্জুনের মত। তিনিও বা খামোখা নকুল হতে চাইবেন কোন দুঃখে। সবচাইতে দুঃখ বোধ করি মিডল বার্থ পেলে। কি রকম পরজীবী প্রাণীর মত লাগে নিজেকে। হাজার ঘুম পেলেও লোয়ার বার্থ এর সহযাত্রীকে না ঘুম পাড়িয়ে আপনি ঘুমোতে যেতে পারবেন না আর সকালে তার ঘুম না ভাঙ্গা অবধি ঘাড় গুঁজে বসে থাকবেন। আর দুর্ভাগ্যক্রমে আপনার বার্থ যদি RAC (Running After Conductor?) হয় তাহলে তো কথাই নেই। ঈশ্বরের বরপ্রাপ্তির আশায় আপনি জেল পালানো আসামীর মতো বসে থাকবেন কারোর পায়ের কাছে কিম্বা মাথার পাশে - শেষে 'হেঁটমুণ্ড ঊর্ধ্বপদ' অবস্থায় নিশিযাপন। কিছু মানুষকে দেখেছি এসব 'বার্থ' নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথা ব্যাথা নেই। তারা ট্রেন এ উঠে নিজ বা অন্যের বার্থ  এ ('বার্থ' Right নাকি?) অবলীলায় শুয়ে পরেন। তবে বাজি ফেলে বলতে পারি...এনারা বেড়াতে যাওয়ার দলে পরেন না। বেড়াতে যাওয়া লোকেরা এত বেরসিক হয় নাকি!
তৃতীয় পর্ব ঃ বাক্স এবং প্যাঁটরা
বেড়ানো কি সবার কাছে সমান নাকি? আপনিও বেড়াতে যান আবার ফা হিয়েন-ও গেছিলেন। কি বললেন......... ওটা 'বেড়ানো' নয় .........'পরিব্রাজন'। অত শত জানি না দাদা......। ইতিহাস বইতে দেখেছি ভদ্রলোক কে। কাঁধে শুধু একটি ঝোলা ...... ব্যাস। যাই বলুন......ব্যাপারটা খুব একটা বিশ্বাসযোগ্য ঠেকে কি আপনার ? ইন্টারনেট- এ অনেক খুঁজেও ভদ্রলোকের লাগেজ পরিবৃত অবস্থায় একটা সেলফি পেলাম না।
যাইহোক............ বেড়াতে যাব আর সঙ্গে বাক্স প্যাঁটরা থাকবে না তা আবার হয় নাকি। বাড়িতে তখন সাজো সাজো রব। বছরভর অবহেলিত ব্যাগ, সুটকেস, ঝোলা, ঝম্পপ ---- নিবেদিত প্রাণ ভোটারদের মত আপনার সামনে। 'কি কি নেবেন' এর থেকেও ' কি কি নেবেন না' - র অঙ্ক টা বোধকরি বেশী জটিল। সঙ্গে দু একটা কচি কাঁচা থাকলে তো আর কথাই নেই। অতি সাবধানী হয়ে বাড়ির পাপোষ টি ও প্রায় স্থান পায় আপনার বাক্সে এবং অবধারিত ভাবেই আপনি বাহুবলি-র ভায়রা ভাই। সামনে ওভারব্রিজ পড়ুক বা বিন্ধ্য পর্বত, আপনাকে তখন আটকায় কার সাধ্যি। এই লাগেজ সৈন্যকুল সমেত প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে একটা সেলফি............ আপনার বেড়ানোর প্রথম ছবি... যা আঙ্গুলের টোকায় আপনি জানিয়ে দিতে পারেন গোটা বিশ্বকে। পোশাকি নামটিও চমৎকার 'স্ট্যাটাস আপডেট'। তবে এই ছবি যে অনেকের বুকে হাহাকার তুলবে সে কথা আপনিও বিলক্ষণ জানেন।
অবশেষে তার দেখা পাবেন......দুলকি চালে ধীরগতিতে তিনি এসে দাঁড়াবেন আপনার সামনে। পরের দশ পনেরো মিনিট ---- আপনার টার্গেট এক ওভারে পনেরো রান। ছোটখাটো একটা ঝড় - হাঁকডাক, দৌড়োদৌড়ি, ঠেলাঠেলি, টানা হেঁচড়া.........। সমীকরণটি খুব সহজ  - "নির্দিষ্ট সময়ে আপনার উত্তেজনা বৃদ্ধির হার আপনার লাগেজের পরিমাণের সাথে সমানুপাতিক'। ক্যাপ্টেন কুল এর মত মাথা ঠাণ্ডা রেখে আপনি ম্যাচ বার করবেন ...আপনার সবকটি লাগেজ কে কুক্ষিগত করে। সবকিছু মিটিয়ে নিজের status এ Like এর সংখ্যা গুনবেন বলে ভাবছেন এমন সময় প্রয়োজন পরবে লাগেজের মধ্যে রাখা সেই জিনিস টির কথা যেটির অবস্থান শত চেষ্টাতেও মনে করতে পারবেন না। অগত্যা........লজ্জার মাথা খেয়ে এবার আপনি বাহুবলি পার্ট-২। হয়ত তখনই বিদ্যুতগতিতে আপনার মনে পরবে "Had I packed my toothbrush?" সেই ছোটবেলায় পড়া Jerome সাহেবের Packing গল্প থেকে।
চতুর্থ পর্ব ঃ খাওয়া দাওয়া
মিনিট পাঁচেক হল সরাইঘাট এক্সপ্রেস হাওড়া ছেড়েছে। দীপন আর সৌরভ দরজা থেকে ট্রেনের ল্যাজের দিকে যতদূর দেখা যায় শেষবারের মতো তাকিয়ে ফিরে এলো নিজেদের সিটে।
'নাহ... কৌশিকরা সত্যিই ট্রেনটা miss করল।' --- দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল সৌরভ।
হাওড়া ব্রিজে তুমুল জ্যাম।' দীপন অনেকবার পই পই করে বলেছিল হাতে সময় নিয়ে বেরতে ... কিন্তু কৌশিক বরাবরই এ রকম - পরীক্ষা হোক বা সিনেমা --- সবকিছুতেই 'লাস্ট মিনিট পাবলিক'।
"হোপ লেস একেবারে" - গজ গজ করতে করতে সিটের পাশে রাখা খাবারের ব্যাগটার দিকে তাকাল দীপন।
In fact কৌশিকরা না যেতে পারায় ওদের যে খুব দুঃখ হচ্ছে তাও নয়। আসল চাপটা তো অন্য!
ওদের ব্যাগের ভেতরে রয়েছে শুধু সতেরোটা রুটি......... আর কৌশিকদের সাথে সাথে ট্রেনটা miss করেছে সাধের চিলি চিকেন টাও।
***********
ট্রেনের সবচাইতে রকমারি (ঝকমারি ও বটে!) জিনিস টি বোধহয় ট্রেনের খাওয়া দাওয়া। সত্যিই যেন 'দাওয়ায়' বসে 'খাওয়া'। জন্ম থেকে মৃত্যু...... আজীবন আমরা 'খেয়েই' চলেছি। ছোটবেলার 'গ্যাস' আর বড়বেলার 'কেস' এসব বাদ দিন......... আমি প্রোটিন আর স্নেহ সমৃদ্ধ খাবারের কথা বলছি আর কি ! ট্রেনে বসে সময় কাটানোই যখন প্রধান অন্তরায়...... তখন খাবারের থেকে ভালো কিছু আর হয় নাকি?
রাজধানী বা শতাব্দী হলে আপনার যাত্রা যেন 'গল্প হলেও সত্যি'। সবকিছুই যেন স্বপ্নের মতন। সকালের বেড টি থেকে রাতের খাওয়ার পরের 'খড়কে কাঠি' ---- 'ফর্দ' মিলিয়ে সবই আসবে দারুণ নিয়মানুবর্তিতার সাথে। আর বাকি ট্রেনগুলো?---- যেন 'হাম আপকে হ্যায় কৌন'। ভাবখানা এমন যে 'আপনার উদর --- আপনিই বুঝুন --- তার দায় রেল কোম্পানি নিতে যাবে কোন দুঃখে'? অগত্যা আপনার ট্রেনের ভৌগোলিক অবস্থান আর দিনকালের মাপকাঠিতে তৈরি হবে আপনার 'মেনু কার্ড' --- শেষপর্যন্ত যা পরিণত হবে আপনার কনিষ্ঠতম লাগেজে। ছোট বলেই হয়ত তার আদরও বেশী...... খেয়াল-ও বেশী। সত্যিই তাকে কাছ-ছাড়া করতে আপনার মন চায় না - সামান্য হেলে পরলেও আপনি বিচলিত হন। কিছুটা পক্ষপাতদুষ্ট হয়েই সে যাত্রা করে আপনার পাশে বসেই...... সিটের তলায় নয়........।
ট্রেনের খাদক যাত্রীবিশেষ কে মোটামুটি তিনটি শ্রেণিতে ফেলা যায় -  ১। 'স্বপাক',  ২। 'নরম-পাক' আর ৩। 'গুরুপাক'। 'স্বপাক' শ্রেণীর লোকেরা ট্রেনের মিল (নাকি 'গরমিল'?) কে ছুঁয়ে ও দেখেন না এবং কেবল বাড়ি থেকে আনা খাবার ই খান। এক গুজরাতি পরিবার কে দেখেছিলাম প্রায় টানা আড়াই দিন কেবল শুকনো পরোটা আর আচার খেয়ে চলেছেন তিন বেলা করে। ধন্যি এদের সাধনা। বলাই বাহুল্য যে এই দলে বাঙ্গালীরা পড়ে না। অন্যদিকে 'নরম-পাক' শ্রেণীর লোকেদের মধ্যে 'টাকরা' না 'স্বাস্থ্য' - এই দ্বন্দ্ব প্রবল। বাড়ি থেকে আনা স্টক ফুরলে বা সঙ্গীদের চাপে পরে টুক টাক বাইরের খাবার খান, কিছুটা অনিচ্ছাসত্ত্বে। কম বেশী দুবেলার ভাত-রুটি , দু এক ভাঁড় চা আর ঝালমুড়ি......... এই হল এদের উদরপূর্তির যোগাড়। আর 'গুরুপাক' শ্রেণীর লোকেরা ? কোনও এক ভুতের রাজার বরে এদের পাচন ক্ষমতা ট্রেনে উঠলেই অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যায়। অনেকটা সেহওয়াগ এর মত প্রথম বল থেকেই তারা অবলীলায় চার ছয় হাঁকিয়ে যান। দুবেলার 'মিল-খাবার' ছাড়াও, পথচলতি ( নাকি ট্রেন চলতি ? ) চা, কফি, ঝালমুড়ি, চানা মসলা, শসা, সিঙ্গারা, আলুর চপ, ডিম সেদ্ধ থেকে শুরু করে মায় বিরিয়ানি অবধি কিছুই বাদ দেন না। তবে যাই বলুন, আমদের কলকাতা এবং শহরতলির লোকাল ট্রেনগুলো এসবব ক্ষেত্রে স্বর্গ মশায়।  দূরপাল্লার ট্রেনে এই 'গুরুপাক' শ্রেণীর উদরপূর্তি হলেও রসনা তৃপ্তি হয় না। তবে আমার মতে রাতের ট্রেনের প্রিয়তম মেনু বোধহয় লুচি আর আলুর দম, যা হালের চাউমিন বা বিরিয়ানি কে হাসতে হাসতে দশ গোল দেবে।
খেতে খেতে দুলুন বা দুলে দুলে খান --- choice টা আপনার।
পঞ্চম পর্ব ঃ সহযাত্রী
আমি সেবার SU24, পাশের L17 আর U19 এ ষাটোর্ধ স্বামী- স্ত্রী। কথা প্রসঙ্গে জানতে পারি যে ওনারা বাড়ি থেকে পালিয়েছেন এবং যাচ্ছেন গৌহাটি। ছেলে, বউমা, নাতনি --- কাউকে নাকি কিছু না জানিয়ে ওনারা প্রত্যেক বছর দিন সাতেকের জন্য 'নিয়মিত পালান'। প্রথমবার নাকি ছেলে থানায় অবধি গিয়েছিল --- তবে এখন নাকি ওদেরও ব্যাপারটা গা সওয়া হয়ে গেছে। সুগার-প্রেসারের ওষুধের সাথে সাথে টুকটাক খুনসুটি সবই চলছিল। ভদ্রলোক ট্রেনের শিঙ্গাড়া খেতে চাইলে ভদ্রমহিলার মুখে শুনেছি 'গামছারও শখ হয় ধোপা বাড়ি যাওয়ার......' আবার ভদ্রলোক রাত্রে আপার বার্থে উঠতে উঠতে বিড় বিড় করছিলেন 'আই উইল গো টু দ্য টপ.... দ্য টপ..... দ্য টপ।'
'নায়ক' থেকে হালের 'প্রাক্তন' বা 'চেন্নাই এক্সপ্রেস' ...... ট্রেন ও সহযাত্রী র সেই 'সাড়ে বত্রিশ ভাজা' সর্বকালীন মুচমুচে। আপনার সহযাত্রী ----- মানে উনি আপনার কাছে বা আপনি ওনার কাছে যাকে বলে 'সারপ্রাইজ প্যাকেজ'।
একদল অচেনা অজানা চরিত্রের সাথে ঘণ্টার পড় ঘণ্টা সময় কাটিয়ে --- নিজ নিজ স্টেশনে নেমে যাওয়া------ জীবনের এক মস্ত অভিজ্ঞতা ---- কিছুটা জীবনের মতোই। পাউলো কোহেলহো তো বলেই গেছেন ' Life is the train, not the station'.
লালমোহনবাবু আর ফেলুদার প্রথম আলাপ কিন্তু ট্রেনেই। ভাবতে অবাক লাগে যে গোটা পৃথিবী বাদ দিয়ে কেন সত্যজিৎ রায় শেষে ট্রেনকেই বেছে নিয়েছিলেন তাদের প্রথম সাক্ষাতের জন্য। আসলে ট্রেনে আমরা সবাই 'কাঠ বেকার' - 'খাই দাই আর বগল বাজাই' টাইপের আর কি !  তার ওপর দুজনেই বাঙ্গালী আর তাই জিনগত ভাবেই 'আড্ডাবাজ'। তাই ফেলুদা বা লালমোহন বাবুর মতো দুই চূড়ান্ত ব্যস্ত চরিত্রের একটা দীর্ঘস্থায়ী 'আড্ডাবাজ' সম্পর্কের শুরুওয়াতির জন্য ট্রেনের থেকে ভালো কিছু হতে পারত কি? রেল কোম্পানিকে ধন্যবাদ ওনাদের টিকিটটা একসাথে ফেলার জন্য ---- না হলে আমার আপনার কি হত বলুন তো? ভুলে যাবেন না ওই একই কামরায় এক গোমড়া মুখো সহযাত্রীও (ইনি অবাঙ্গালী - মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন !) ফেলুদাদের সাথে যাত্রা করছিলেন। তিনি তার মতো কমলালেবু খেতেই ব্যস্ত ছিলেন......ফেলুদার সাথে 'ঝুলে পরার' কোনও প্রবৃত্তি তার হয় নি। (ব্যাপারটা logical না বায়ো-logical সে বিতর্কে যাচ্ছি না।)
আপনি বা আপনার সহযাত্রী --- পুরোটাই তো সেই ছোটবেলার ইংরেজি পরীক্ষার মতো 'Unseen'। তাই আগাম প্রস্তুতি আর কি নেবেন ?  তবে খান কতক বাড়তি জলভরা সন্দেশ বা একটু ভালো মুখশুদ্ধি সঙ্গে থাকলে 'ব্যাপারটা' সহজ হলেও হতে পারে। তবে সেই জটায়ু উবাচ 'আপনি কি শুয়োর?' গোছের মন্তব্য থেকে অনুপ্রাণিত না হওয়াই বোধকরি ভালো ---- তাতে বিপদ বাড়ার সমূহ সম্ভাবনা। আপনার সব সহযাত্রীর যে লালমোহন বাবুর মতো রসবোধ আর ফেলুদার মতো ধৈর্য থাকবে - সে গ্যারান্টি কে দিচ্ছে ? শেষে 'ঠাস ঠাস দ্রুম দ্রাম' অবস্থা হোক আর কি !
সহযাত্রীর রকমফের? টেনিদার ভাষায় বলতে গেলে 'পুদিচ্চেরি' - মানে ব্যাপারটা ঘোরালো। আর সুকুমারী বুদ্ধিতে দু রকম - কিছু হলেন 'মাজা-গলা চাঁচা সুর' আর কিছু 'আহ্লাদে ভরপুর'। প্রথম পক্ষের সহযাত্রী আপনাকে বিনা যুদ্ধে সুচাগ্র মেদিনীও ছাড়বেন না আর দ্বিতীয় পক্ষ  হাসিমুখে মেনে নেবেন আপনার সব আবদার। শুরুতে আপনি শান্ত......... আড় চোখে তাদের গতিবিধি লক্ষ্য করে বোঝার চেষ্টা করবেন যে এই পিচে বল 'ঘুরবে' না 'ব্যাটে  আসবে'। তারপর বল বুঝে ব্যাটিং করবেন ---- হয় বিরক্তিতে এড়িয়ে যাবেন বা হয়ত ভাব জমানোর চেষ্টা করবেন। তবে একবার ভাব জমে গেলে আপনার ট্রেন জার্নির পয়সা উশুল আর বেড়ানোর মজা এক লাফে তিনগুণ। এও শোনা গেছে যে ট্রেনে প্রথমবার আলাপ হওয়া এক ভদ্রলোক আর একজন ভদ্রলোক ও তার পরিবারকে হাওড়া অবধি যেতে দেননি। সাঁতরাগাছি তে জোর করে নামিয়ে নিজের বাড়িতে মাছ-ভাত খাইয়ে তবে বিদায় দিয়েছিলেন।
তবে এখন দিনকাল পালটেছে। ধরুন সাল টা ২০১৭। কানপুর স্টেশনে লাল সুটকেস হাতে আপনার কামরায় ঢুকলেন লালমোহন গাঙ্গুলি। আপনার উল্টোদিকে ধপ করে বসে কপালেরর ঘাম মুছে বলে উঠলেন 'আপ লোগ কিত না দূর তাক যা রাহে হো' ? আপনি হয় নিজের ল্যাপটপে মুখগুজে কোনও একটা হাই ভোল্টেজ সিনেমায় বুঁদ হয়ে আছেন নয়ত কানে 'স্তেথো' গুঁজে লজেঞ্চুস ধ্বংসে (Candy Crash) ব্যস্ত। বেচারা জটায়ু ? আপনার এই 'তং মাত করো' গোছের হাবভাবে তিনি আর কিই বা করবেন ? বার কতক গলা খাকরানি --- একটু উশখুশ করে নিজের হাতঘড়ি টা খুলে পকেটে রাখবেন। কাঁধের ঝোলা থেকে ওনার 'সাম্প্রতিকতম উপন্যাআস' - 'উগান্ডায় উৎপাত' টা বার করে নেড়েচেড়ে দেখে আবার ব্যাগেই ঢুকিয়ে রাখবেন। ফিসফিস করে আপন মনেই বল���েন - 'হাইলি সাসপিশাস'। আর শেষে একটা বিশাল হাই তুলে উপরের বার্থে গিয়ে শুয়ে পরবেন। আর ভাবা যাচ্ছে না মশায়। গায়ে কাঁটা দিচ্ছে......
ষষ্ঠ পর্ব ঃ  ঘুম
"ট্রেন এর ঝাঁকুনি তে আপনার ঘুম হয়? " ফেলুদা প্রশ্ন করল লালমোহন বাবুকে।
"ঝাঁকুনিটা তো হেল্প করে মশাই" ---- লালমোহন বাবুর অকপট স্বীকারোক্তি।
ট্রেনের ঘুম কিন্তু বেশ বিলিতি ঘরানার। নিজ জীবনে নিয়মিত রাত সাড়ে বারোটা অবধি জেগে থাকা লোকও ট্রেন এ উঠে Early to Bed। টানটান চাদর পাতা বিছানায় 'আমরা সবাই রাজা'। রাত এগিয়ে চলার সাথে আপনার এই শয়নকক্ষের চারপাশের বিভিন্ন সুর তাল ও লয়ের নাসিকা গর্জন আপনাকে নিয়ে যাবে এক অন্য জগতে। এ বিষয়ে সঙ্গে অবশ্যই পাবেন 'তেনাদের' উদ্দেশ্যে করা কিছু রসিক সহযাত্রীর বিশেষ টিপ্পনী।  যাই হোক...... শেষমেশ এই 'আমরা - ওরা' বাদ দিয়ে আপনি নিজের সাধের পাশবালিশ টির কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমনোর চেষ্টা করবেন এবং একসময়ে ঘুমিয়েও পরবেন। পরদিন সকালবেলায় কোনও এক চা ওয়ালাই তখন আপনার 'অ্যালার্ম ঘড়ি' cum 'Enquiry Counter'. আপনার বেড টি- এর সাথে 'কোন স্টেশন?' 'ট্রেন কতক্ষণ Late?' এইসব জেনে নিয়ে 'আর একটু ঘুমনোর' সিদ্ধান্তটা আপনার একান্ত ব্যাক্তিগত।
তবে ট্রেনের ঘুম নিয়ে সর্বজনবিদিত একটা "ঘটি-বাঙ্গাল" ন্যায় বিতর্ক হল যে এক পক্ষ বলে 'দারুণ ঘুমেয়েছি' আর আর পক্ষ বলে 'একটুও ঘুম হয়নি'। সত্যি মিথ্যে জানি না তবে আমি এই দুইয়ের কোনও দলেই পড়ি না। ছোটবেলা থেকেই ট্রেনে ঘুমোনো আমার না পসন্দ। জানলা দিয়ে রাতের অন্ধকারে বাইরের গা ছমছমে ''আমার রাত জাগা তারা' বা কোনও নাম না জানা 'তারায় ভরা স্টেশন' ........ আমার কাছে বেড়াতে যাওয়ার 'উপরি পাওনা'।  সমুদ্র বা পাহাড়ের মত অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকা যায় ওই চলমান অন্ধকারের দিকে...... তবে অবশ্যই সুমনবাবুকে সঙ্গে করে।
"আমারও তো বয়স হচ্ছে          রাত বিরেতে কাশি
কাশির দমক থামলে কিন্তু        বাঁচতে ভালবাসি ----
বন্ধু তোমার ভালবাসার          স্বপ্ন টা  কে রেখো
বেঁচে নেবার স্বপ্ন টা কে          জাপটে ধরে থেকো" ---
0 notes
ektibd · 6 years
Photo
Tumblr media
প্রাণবন্ত তালশহর রেলষ্টেশন এখন নিস্প্রাণ মোঃ সাইফুল ইসলাম, আশুগঞ্জ : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার যাত্রী সেবাই কয়েকটি ট্রেনের যাত্রাবিরতি দিলেই তালশহর রেলষ্টেশনটি ফিরে পাবে তার পূর্ণ যৌবন। বঙ্গবন্ধুর উন্নয়নের অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নের অগ্রদূত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের রূপকল্পে রেল- কে তার পূর্ণযৌবন দিতে সারাদেশকে রেলওয়ের নের্টওয়ার্কের আওতায় আনার কাজ করে যাচ্ছে সরকার তা আজ দূশ্যমান। দেশের প্রতিটি জেলায় রেল- লাইন স্হাপনের কাজ চলছে। যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ইতি মধ্যে বেশ কয়েকটি নতুন আন্ত ঃ নগর ট্রেনের শুভ উদ্ভোধন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।প্রতিটি ষ্টেশন থেকে ট্রেনে যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে নির্যুম কাজ করে যাচ্ছেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের রেল- বিভাগ। প্রশ্ন হলো এক সময়ের গুরুত্বপূর্ণ রেল- তালশহর রেলষ্টেশন আজ পরিত্যক্ত। এক সময় অনেক জমজমাট ছিল এই রেলষ্টেশনটি। রেলষ্টেশনকে কেন্দ্র করে বহু লোকের চায়ের দোকান পাট ব্যবসা প্রতিষ্টান গড়ে উঠে প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শত শত যাত্রীর কলরব আওয়াজে অনেক জমজমাট হয়ে উঠত। প্রতিদিন আট থেকে দশটি ট্রেনের স্ট্রোপিজ ( যাত্রাবিরতি) ছিল বর্তমানে আন্তঃ নগর ট্রেন তো দূরের কথা লোকাল কোনো ট্রেনের ও যাত্রাবিরতি নেই। ফলে যাত্রীদের সদর উপস্হিতি আর আগের মতো এখন চোখে পড়ে না। তালশহর রেলষ্টেশনটি বর্তমানে যে অবস্হায় আছে যা পরিত্যক্ত পর্যায়। তালশহর গ্রামসহ আশে পাশের প্রায় ১০/১২ টি গ্রামের কয়ে�� হাজার মানুষের প্রাণের দাবী যাত্রী ভূগান্তি কমাতে। এখন ঢকা- সিলেট রেল- পথে ও ঢকা- চট্রগাম রেল- পথে চট্রলা, তিতাস, সুরমা মেইল, নাসিরাবাদ, ডেমু, এই ট্রেন গুলোর আপ- ডাউন যাত্রাবিরতি দেওয়া হলে এক দিকে যেমন এই অর্ঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ দিনের যাতায়তের কষ্ট দূরদর্শা থেকে পরিত্যাণ পাবে। অন্যদিকে সরকার টিকিট বা মালামাল দ্বারা সরকারের রাজস্ব আয় করতে পারবে। আর তালশহর রেলষ্টেশনটি ফিরে পাবে তার পূর্ণযৌবন নিস্প্রাণ  রেলষ্টেশনটি আবার প্রাণবন্তর হয়ে উঠবে।
0 notes
adarbepari · 7 years
Text
ট্রাভেল কার্ডই হতে পারে আপনার ইন্ডিয়া ভ্রমণে ১০০% নিরাপদ কিন্তু কিভাবে? এমনকি মেডিসিন দোকানেও বিল দিতে পারবেন, আসুন বিস্তারিত জেনে নেই। নিম্নের ছবি ৩টি দেখুন, তাহলে কিছুতা বুঝতে পারবেন।
This slideshow requires JavaScript.
যারা ইন্ডিয়াতে আসবেন বা আসতে চাচ্ছেন তারা নিশ্চয়ই ভিসা করতে কাগজ পত্র জমা দিবেন ইন্ডিয়ান ভিসা সেন্টারে যেমন খুলনা, যশোর, ঢাকার গুলশান শাখা ইত্যাদি। যদি মেডিকেল ভিসা করতে দেন তাহলে আপনাকে ডলার ইন্ডোরসমেন্ট করা বাধ্যতামূলক। সেক্ষেত্রে ১৫০ ডলার মিনিমাম ইন্ডোরসমেন্ট করতে হয় ১ টা পাসপোর্ট এর জন্য। অনেকে বিভিন্ন ব্যাংকে গিয়ে পাসপোর্ট আর ন্যাশনাল আইডি কার্ড দেখিয়ে ডলার হাতে হাতে নিয়ে নেন। কিন্তু আপনি যদি ইন্ডিয়া ভ্রমণ করেন সেক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ হচ্ছে State Bank of India তে গিয়ে এই কাজটি সহজেই করতে পারেন কোন ঝামেলা ছাড়া। এই ব্যাংক থেকে ডলার ইন্ডোরসমেন্ট করলে আপনাকে নগদ ডলার দিবে না বরং একটা ট্রাভেল কার্ড দিবে যা আপনার টাকা ওই কার্ডে ডলার হিসেবে লোড করা থাকবে। আর এই কার্ড ইন্ডিয়া ছাড়াও বিশ্বের ম্যাক্সিমাম দেশে ব্যবহার করতে পারবেন শুধু ইজরাইল ও পাকিস্তান বাদে।
এই কার্ড হয়তো আপনার কাছে ঝামেলা মনে হতে পারে কিন্তু এই কার্ড দিয়েই আপনি ইন্ডিয়ার ৯০% যায়গা ব্যবহার করতে পারবেন যেমন ডা: দেখাতে গেলে যে কোন হাসপাতাল যেমন CMS Hospital of vellore, Sangkara Nethralay of chennai, Apollo hospital of chennai, Nimhas hospital of Bangalore, TATA cancer Hospital of Mumbai এছাড়াও আরো অনেক ভালো, মাঝারি হাসপাতালে। আবার আপনার শপিং করার ইচ্ছা হচ্ছে তাহলে ইন্ডিয়ার ম্যাক্সিমাম যায়গাতে এই কার্ড ব্যবহার করে আপনার বিল পরিশোধ করতে পারবেন। যেমন চেন্নাইয়ের পন্ডি বাজার শপিং এরিয়া, টি নগর শপিং এরিয়া, প্যারিস কর্নার শপিং এরিয়া, ভেলর সিটি ইত্যাদি।
আবার আপনি যদি কোন ওষুধ কিনতে চান সেখানেও ওষুধ এর বিল এই কার্ড দিয়েই পরিশোধ করতে পারবেন সেটা যদি ৪০০ টাকাও বিল হয় তাও পারবেন। এমনকি আপনি যদি Greams road এ থাকেন তাহলে ওই খানের কিছু লোকাল মেডিসিন দোকানেও বিল পরিশোধ করতে পারবেন। তাদেরকে বললেই হবে যে কার্ড দিয়ে পরিশোধ করতে চাচ্ছি তাহলে ওরা আপনার সামনে মেশিন এগিয়ে দিবে।
মজার ব্যাপার হচ্ছে ৬০% মেডিসিন দোকান গুলোতে খুব ক্ষুদ্র আকারের মেশিন আছে যা শুধু কার্ড প্রবেশ করলেই আর আপনার মোবাইল নম্বর দিলে তা সাথে সাথে মোবাইলে মেসেস চলে আসে যে কত রুপি আপনার কার্ড থেকে কেটে নিল এমনকি আলাদা অনলাইন ভাউচারের লিংক ও চলে আসে মেসেস এর মাধ্যমে। আপনি মোবাইল থেকে মেসেসে প্রবেশ করে লিংকে ক্লিক করলেই ভাউচার দেখা যাবে।
এমনকি এই কার্ড দিয়ে আপনি ইন্ডিয়ার ভিসা লেখা আছে যে কোন বুথ থেকে প্রতিদিন ১০,০০০ রুপি পর্যন্ত উঠাতে পারবেন। আর স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার বুথ তো ম্যাক্সিমাম যায়গাতে আছে। তাহলে বুঝতেই পারছেন একটা ট্রাভেল কার্ড কাছে থাকলে কত সুবিধা। টাকা পকেটে রাখারও কোন ঝামেলা নেই তবে মাছের বাজার, খাবার হোটেলে এই সুবিধা তেমন নেই তাই কিছু নগদ রুপি নিয়ে যাওয়া ভালো আর বুথ থেকে তো উঠাতে পারছেন, সো নো টেনশন।
একটা ট্রাভেল কার্ডে আপনি ৫০০০ ডলার পর্যন্ত লোড করে আনতে পারবেন যদি ইন্ডিয়া, শ্রীলংকা মানে Saarc ভুক্ত দেশ হয়ে থাকে আর অন্য দেশ হলে ৭০০০ ডলার পর্যন্ত মানে প্রায় ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা আর ইন্ডিয়াতে ৪ লাখ টাকার মতো।
ট্রাভেল কার্ড করা কি সহজ?
জি, খুব ই সহজ। কোন ঝামেলা নেই। যে কোন ব্যাংকে গেলেই এই কার্ড করতে পারবেন তবে সরকারি ও দুই/একটা প্রাইভেট ব্যাংক বাদে। তবে আগামি বছর সমস্ত ব্যাংক এই কার্ড দেওয়া শুরু করবে আশা করি।
কিভাবে ট্রাভেল কার্ড করবেন?
আপনি যদি ইন্ডিয়া ভ্রমণে করতে চান তাহলে State Bank of India থেকে করাই ভালো হবে। অনেকটা মনের প্রশান্তিও বলতে পারেন এই ছাড়া আর কিছুই না।
কার্ড প্রসেসিং সিস্টেমঃ
প্রথমে আপনার পাসপোর্ট থাকতে হবে তবেই এই ট্রাভেল কার্ড করতে পারবেন ভিসা হওয়ার আগেই মানে ইন্ডিয়ান ভিসাতে এপ্লাই করার আগে। মাত্র ১৫ মিনিটস লাগবে এই কার্ড করতে।
১। আপনার পাসপোর্ট এর মেইন পেজ ১ কপি ফটোকপি মানে যে পেজে ছবি ও ঠিকানা দেওয়া আছে। ২। আপনার ন্যাশনাল আইডির ১ কপি ফটোকপি ৩। ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। ৪। মুল পাসপোর্ট সাথে নিয়ে যেতে হবে। ৫। মিনিমাম ১৫০ ডলার সমমুল্যের টাকা যেমন ৮০ টাকা ধরে
তাহলে ১৫০*৮০ = ১২,০০০ টাকা + ১৩৫০ টাকা কার্ড ফি লাইফ টাইম = ১৩,০৫০ টাকা। তবে একটু বেশি নিয়ে যাবেন কারণ ডলার রেট ৮১/৮২ টাকাও হতে পারে। আর কার্ড এর মেয়াদ ৫ বছর থাকবে। কার্ড ফি একবার ই দেওয়া লাগে কার্ড করার সময় কিন্তু এই কার্ড আপনি পাচ বছর পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন। এমনকি প্রতিবার ইন্ডিয়া/অন্য কোন দেশে যাওয়ার সময় স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া থেকে ডলার লোড করে নিয়ে যেতে পারবেন। সেজন্য ডলার লোড ফি বাবদ ২৫০ টাকা + ট্যাক্স বাবদ মোট = ৪৫০ টাকার মতো কেটে রাখবে এই ছাড়া আর কোন ফি নেই।
এই সমস্ত কাগজ নিয়ে গেলেই আপনাকে ১৫ মিনিটের মধ্যে কার্ড করে দিবে। আপনি ব্যাংকে প্রবেশ করার পর জিজ্ঞেস করবেন যে ট্রাভেল কার্ড করবো। তাহলে বাকি কাজ ওরাই করে দিবে। তারপর ও বলছি, ব্যাংকে গেলে আপনার কাছে সমস্ত পেপারস চাইবে। পেপারস গুলোর সব ফটোকপি দেওয়ার পর আপনাকে ৩/৪ মিনিটস অপেক্ষা করতে হবে। তারপর আপনাকে ৩ পাতার একটা ফর্ম দিবে। এবার ওই ফর্ম এর ৩ জায়গায় সাক্ষর করবেন। এরপর কিছু সময় পর একটা প্রিন্ট করা স্লিপ দিবে। ওটা নিয়ে ক্যাশ কাউন্টারে গিয়ে টাকা জমা দিন। আর ৪/৫ মি অপেক্ষা করুণ, আপনার কার্ড ও পিন কোড দিয়ে দিবে ওদের খামে করে। ব্যাংক থেকে বের হওয়ার আগে চেক করে নিন কার্ড ও পিনের পেজ ঠিক আছে কিনা।
আপনার যদি ভ্রমণ, ট্রিটমেন্ট সংক্রান্ত, এয়ার টিকিট বা ইন্ডিয়ার ট্রেনের টিকিট নিয়ে কোন তথ্য দরকার হয় তাহলে এখানে মেসেস বা কমেন্টস করতে পারেন।
বি:দ্র: এখানে State Bank of India কে সাপোর্ট করেছি কারণ ইন্ডিয়া যেহেতু যাবেন তাই এই কার্ড বা ডলার ইন্ডোরসমেন্ট করলে ভিসা দ্রুত পাবেন, বলতে পারেন সাইকোলজিক্যাল। কিন্তু চাইলে যে কেউ অন্য ব্যাংক থেকেও কার্ড নিতে পারেন তাতে কোন সমস্যা নেই।
ট্রাভেল কার্ড কিভাবে করবেন এবং এর উপকারীতা জেনে নিন। ট্রাভেল কার্ডই হতে পারে আপনার ইন্ডিয়া ভ্রমণে ১০০% নিরাপদ কিন্তু কিভাবে? এমনকি মেডিসিন দোকানেও বিল দিতে পারবেন, আসুন বিস্তারিত জেনে নেই। নিম্নের ছবি ৩টি দেখুন, তাহলে কিছুতা বুঝতে পারবেন।
0 notes
Photo
Tumblr media
কুড়িগ্রামে রেল যোগাযোগের বেহাল দশা বাঁশ ও গাছের ডাল দিয়ে রেল লাইন মেরামত প্রায় ২ যুগ ধরে লক্কর-ঝক্কর ট্রেনে চলেছেন যাত্রীরা সাইফুর রহমান শামীম ,কুড়িগ্রাম প্র‌তি‌নি‌ধিঃ প্রায় ২ যুগ ধরে লক্কর-ঝক্কর পুরোনো ট্রেনে জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করছেন উত্তরের সীমান্ত ঘেষা জেলা কুড়িগ্রামের যাত্রীরা। জেলার প্রায় ২০ লাখ মানুষের জন্য দীর্ঘদিন ধরে একটি মাত্র লোকাল ট্রেন বরাদ্দ থাকলেও ঝুকিপুর্ণ রেল লাইনে ধীর গতিতে আসা-যাওয়া করছে সে ট্রেনটি।তিস্তা-কুড়িগ্রাম রেল পথের টগরাইহাট রেল স্টেশনের কাছে জোতগোবরধন এলাকায় প্রায় ৫০ মিটার রেল সেতুর উপর রেল লাইন ঠিক রাখার জন্য কাঠের স্লিপারে বাঁশের ফালি লাগানো হয়েছে। বাঁশের ফালি লাগানো হয়েছে কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সংলগ্ন মুক্তারাম ত্রিমোহনী এলাকায় একটি বক্সকালভার্টের উপর।সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, ট্রেনের চালকরা বরাবরই জীবনের ঝুকি নিয়ে এ লাইনে ট্রেন নিয়ে আসতে চায়না বলেই রেল যোগাযোগে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।এদিকে ট্রেন যোগাযোগ সচল রাখেতে তিস্তা-কুড়িগ্রাম রেল পথের বিভিন্ন স্থানে রেল সেতুর উপর কাঠের স্লিপার বাঁশ দিয়ে বেধে দেয়া হয়েছে। রেল লাইনের উভয় দিকে গাছের সরু ডাল দিয়ে ঠেস দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না থাকায় এই উপায়ে রেল লাইন সচল রাখা হয়েছে বলে জানান রেল কর্তৃপক্ষ। তবে তিস্তা থেকে কুড়িগ্রাম পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার রেল পথ সংস্কার কাজ চলছে বলে জানান রেল কতৃপক্ষ।এদিকে কুড়িগ্রামের রমনা থেকে ঢাকা ভাওয়াইয়া এক্সপ্রেস নামে আন্তনগর ট্রেন চালুর দাবীতে দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন করে আসছেন রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি নামে একটি সংগঠন। তাদের দাবীর মুখে একটি ট্রেন ঘন্টায় ২৫ কিলোমিটার গতিতে তিস্তা থেকে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা স্টেশন পর্যন্ত আসা-যাওয়া করছে। এমন ট্রেনে উঠেন না বেশির ভাগ যাত্রী। এ ট্রেনে শুধু দিনমজুর শ্রেনীর মানুষ টাকা ছাড়াই যাতায়াতের জন্য উঠে থাকেন। গণকমিটির দাবী তিস্তা থেকে রমনা পর্যন্ত রেল পথ সংস্কার করার।অন্যদিকে কুড়িগ্রাম জেলার অভ্যন্তরে প্রায় ৪৩ কিলোমিটার রেল লাইনে ৭ টি স্টেশনের অবস্থা একেবারেই নাজুক। এ স্টেশন গুলো কোন রকমে সংস্কার করা হলেও অনেক স্টেশনে নেই টিকিট কাউন্টার। পাশাপাশি ট্রেনে চেকার না থাকায় টিকিট কেটে ট্রেনে ওঠেন না বেশির ভাগ যাত্রী।কুড়িগ্রাম রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি প্রধান সমন্বয়ক নাহিদ নলেজ জানান, আমাদের এ গণকমিটির দীর্ঘদিন ধরে রমনা থেকে ঢাকা পর্যন্ত ভাওয়াইয়া এক্সপ্রেস নামে আন্তনগর ট্রেন চালু, চিলমারী-সুন্দরগঞ্জ প্রস্তাবিত দ্বিতীয় তিস্তা সেতুতে রেল লাইন সংযোগোরের দাবীতে আন্দোলন করে আসছি। আমাদের দাবীর মুখে রেলের মহাপরিদর্শক আকতারুজ্জামান গত ৫ ডিসেম্বর রেল পথ পরিদর্শনে আসেন। তিনি রেল পথ সংস্কারসহ আন্তনগর ট্রেন চালুর বিষয়ে আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা দাবী করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে তিস্তা থেকে রমনা পর্যন্ত রেল পথ সংস্কারসহ আমাদের দাবী গুলো পুরন করা হোক। এতে করে পিছিয়ে পড়া এ জনপদের মানুষের যাতায়াতের পথ সুগম হবে। উন্নয়নের ছোয়া লাগবে সর্বক্ষেত্রে। খোজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তা থেকে কুড়িগ্রাম পর্যন্ত প্রায় ৫৭ কিলোমিটার রেল লাইনের বেশির ভাগ স্লিপার নষ্ট এবং রেল লাইন অনেক পুরোনো ও ব্যবহার অনুপযোগী। এই রেল লাইনের সংযোগ স্থলের অনেক জায়গায় প্রয়োজনীয় নাট-বল্টুও নেই। এ অবস্থায় রেল লাইনে বাঁশ ও গাছের ডাল ব্যবহার করায় ট্রেন যোগাযোগের ঝুকি আরো বেড়ে গেছে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে ট্রেনের চালক জানান, তিস্তা থেকে কুড়িগ্রাম হয়ে চিলমারীর রমনা স্টেশন পর্যন্ত ৫৭ কিলোমিটার রেল লাইন অত্যন্ত ঝুকিপ��র্ণ। আমরা এ রেল পথে জীবনের ঝুকি নিয়ে ট্রেন নিয়ে আসতে চাই না। কিন্তু উপরের নির্দেশে আসতে হচ্ছে।রেল সেতুতে বাঁশের ফালি ও লাইনে গাছের ডাল লাগোনো সর্ম্পকে জানতে চাইলে লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, রেল লাইনে গাছের ডাল ও সেতুতে বাঁশ ব্যবহার করায় কোন সমস্য নেই। আমরা সাধারণত বড় বা মেজর সেতুতে কাঠের স্লিপার যাতে স্থানচ্যুত না হয় সেজন্য লোহারপাত ব্যবহার করি। কিন্তু তিস্তা-কুড়িগ্রাম রেল পথের সেতু গুলো মাইনর সেতু হওয়ায় সেগুলোতে বাঁশের ফালি লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় উপকরন পাওয়া না যাওয়ায় আমরা স্থানীয় ভাবে এটা করেছি। তিনি রেল লাইন ঝুকিপুর্ণ হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, কয়েক বছর যাবৎ এই পথে ২৫ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করছে। রেল লাইন সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চেয়ে কয়েকদফায় উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট চিঠি লেখা হলেও কোন বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। এজন্য রেল লাইন সোজা রাখার জন্য গাছের ডাল দিয়ে ঠেস দেয়া হয়েছে। তবে রেল পথ সংস্কার হলে কোন সমস্যা থাকবে না।
0 notes
sentoornetwork · 4 years
Text
আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ট্রেনের সকল টিকিট বাতিল
New Post has been published on https://sentoornetwork.com/rail-ticket-cancel-till-30-th-june/
আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ট্রেনের সকল টিকিট বাতিল
  নিজস্ব সংবাদদাতা: ৩০ জুন পর্যন্ত রেলের সমস্ত টিকিট বাতিল করল রেল। যাত্রীদের বুকিং করা ট্রেনের টিকিট ভাড়া ফেরত দেবে রেল, জানালেন রেল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার সকালে একটি বিবৃতি দিয়ে এই খবর জানাল রেল। বাতিল হয়ে যাওয়া এই ট্রেন তালিকায় রয়েছে প্যাসেঞ্জার ট্রেন, এক্সপ্রেস ট্রেন এবং লোকাল ট্রেন। তবে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য যে স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে সরকার তা নির্ধারিত সূচি মেনেই চলবে। এর আগে ২২ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বুক করা টিকিটের মূল্য ফেরত দিয়েছে রেল। তারপর রবিবার ফের ধাপে ধাপে রেল চালুর সিদ্ধান্ত নেয় রেল।
আরও পড়ুন:  শাল গাছ কাটা নিয়ে অভিনব আন্দোলন আদিবাসীদের
0 notes
a-somnambulist-blog · 6 years
Text
ভ্রমণ রসায়ন
মাসকাবারি পত্রিকায় নভেম্বর ২০১৭ তে প্রকাশিত
অন্যান্য জীব জন্তুদের মধ্যে মনে হয় মানুষই একমাত্র প্রজাতি যারা অকারণে বেড়াতে পছন্দ করে। জোর করে এক রাশ ঝামেলা ঘাড়ে নিয়ে মানুষ বেড়াতে যায়। ঝামেলা বলে ঝামেলা - ট্রেনের টিকিট থেকে শুরু করে ফেরার পর অফিসে ছুটি মঞ্জুর হওয়া - পুরোটাই তো চাপ মশাই! কি দরকার বলুন তো এই উটকো ঝামেলা ঘাড়ে নেওয়ার। কোথায় পাহাড়ে সূর্য উঠল, কোন সমুদ্রে সূর্য ডুবল, কোন ঝর্নার জল গড়িয়ে গেল, কোন জঙ্গলে কোন বাইসন উঁকি দিল, কোথাকার কোন ভাঙ্গাচোরা কেল্লায় কে কবে যুদ্ধ করেছিল.........এই সব দেখার জন্য এত হ্যাপা পোষায় !
হয়ত পোষায় ! তাই আমার মত অনেক লোক সেই ঝামেলা ঘাড়ে নিয়েই বেড়াতে যায়। মুখবই এ ছবি দেয়। না বেড়াতে যেতে পারলে গোমড়া মুখে অফিস করে। দীর্ঘশ্বাস ফেলতে ফেলতে ওই মুখবইতেই  অন্যের বেড়ানোর ছবিতে 'Like' দিয়ে সামাজিক কর্তব্য পালন করে। এ হেন পরিস্থিতিতে ভ্রমণ বিষয়ক লেখা নির্ভেজাল উস্কানির কাজ দেয়। 'খাবার নিয়ে আড্ডা' আর 'বেড়ানো নিয়ে গল্প' বাঙ্গালীর প্রিয়তম দুর্বলতা।
বেশিরভাগ বেড়ানোর গল্পে আপনি ভূগোল পাবেন, অনেকটা ইতিহাস পাবেন আর জমা-খরচ বা সময়-দুরত্বের অঙ্ক পাবেন। কিন্তু বেড়ানো মানে কি শুধু তাই ? একটি বিবাহিত জীবনের আসল মজা যেমন তার রোজনামচা টকমিষ্টি রসায়নে তেমনি প্রত্যেকটি বেড়ানোর আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকে এমন অনেক কিছু যা ' অতি সাধারণ' বলে আর কোথাও বলা বা লেখা হয় না...... বাকিটা নয়... 'পুরোটাই ব্যাক্তিগত'। এহেন বেড়ানোর 'রসায়নে' আমার কাছে প্রথম এবং প্রধান অংশ হোল ট্রেন এবং তার আনুষঙ্গিক। বেড়ানো বলতে আমি ট্রেনে চেপে বেড়ানোকেই বুঝি। আমার ছাপোষা বুদ্ধি তে আমি বাস বলতে 'অফিস' আর ' প্লেন' বলতে ' বিদেশ' বুঝি। দুটোর মধ্যেই সব থেকেও যেন কি একটা নেই।  সে তুলনায় ট্রেন অনেক বেশী কাছের......অনেক বেশী রোমাঞ্চকর। কোথাও একটা পড়েছিলাম "There's something about the sound of a train that's very romantic and nostalgic and hopeful."  আপনার আমার ট্রেন জার্নির কিছু এড়িয়ে যাওয়া অংশ গুলো নিয়েই আমার এই 'ভ্রমণ রসায়ন'......। সব মিলিয়ে ছ টি পর্ব।
প্রথম পর্ব ঃ টিকিট
অদ্ভুত একটা শিরশিরানি অনুভব করছি 'টিকিট' শব্দটার লিখে। আপনার বেড়ানোর প্রথম আমেজ ওই একরত্তি কাগজের মধ্যে। যারা আঁচিয়েছেন তারাই জানেন ওই 'একরত্তি' কাগজের কি মহিমা। হালের পৃথিবীতে এক অসীম সাধনা ছাড়া যাকে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। সারা জীবনে কতই না টিকিট কেটেছেন আপনি......তবে তার মধ্যে 'ট্রেনের টিকিট' হল গিয়ে যাকে বলে 'চেরি অন্য দা টপ'। পূজো বা গরমের ছুটি হলে তো আর কথাই নেই। টিকিট তো নয়...... যেন রাক্ষসকুলে অমৃত বিতরিত হচ্ছে। অবশ্যই যদি আপনি এই রাক্ষসকুলে 'দেবতাস্বরূপ' দালালদের শরণাপন্ন না হতে চান.........তাহলে যুদ্ধের প্রস্তুতি ���িন। টিকিট এর আবির্ভাবের দিন ভোরবেলা থেকে আপনার যুদ্ধ শুরু। ঘড়ির কাঁটা দুর্বার গতিতে ছুটবে আর ততোধিক বাড়বে আপনার রক্তচাপ। নিজ কম্পিউটারে বসে যারা ওই প্রথম দশ মিনিটের মধ্যে নিজও গুণে নিজও রুচির টিকিট কাটতে পারেন তাদের সাফল্য বর্ণনা করার ভাষা আমার কাছে নেই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এক অসীম চাপ মাথায় নিয়ে আপনি একটুর জন্য 'ভালো খেলিয়াও পরাজিত' হইবেন। সমকালীন আর এক যুদ্ধ চলে টিকিট বুকিং অফিস গুলোর সামনে এর সামনে। ভোর তিনটে, কি মাঝরাত থেকে আপনি বা আপনার সহৃদয় বন্ধু লাইন এ আছেন, জনা আট দশ জনের পেছনে। যারা এভাবে রাত কাটিয়েছেন...... তারা জানেন কি দারুণ উত্তেজনা কেবল একটি জানলার দিকে তাকিয়ে। স্মাধ্যমিকের Result বেরনোর দিনও মনেহয় না এত টেনশন করেছিলেন। যুদ্ধ জয় করার পরেও যে টেনশন থেকেই যায় 'ফেরার টিকিট টা পাব তো' ! যাই বলুন এই 'টিকিট' পর্বে কোনও রস বা রসায়ন কিছু নেই...। আছে শুধু পদার্থ বিজ্ঞান...... চাপ এবং চাপের সূত্র।
দ্বিতীয় পর্ব ঃ বার্থ
নিজের নামে বিছানা? ভাবা যায় না মশায়।  এই রাজকীয়তা নিজের বাড়িতেই বা কটা লোক পায় বলুন তো ? তা ট্রেনের বিছানার সাহেবি নাম 'বার্থ'। বার্থ পাঁচ প্রকার ...অনেকটা পঞ্চ পাণ্ডবের মত !!!!!  পঞ্চ পাণ্ডবের মত তাদের আবেদনও ভিন্ন। একটি লোয়ার বার্থ পেলে আপনি ভীমের মত হিরো, নইলে সাইড লোয়ারে আপনি অর্জুনের মত তরুণ তুর্কি। রইল বাকি তিন। এদের মধ্যে একটি পেলেও...... যা অনেকটা 'টিকিট তো পেয়েছি' টাইপের স্বান্তনা পুরস্কারের মত। ট্রেনের কোনও সহৃদয় সহযাত্রী কে বলে ঠিক ব্যাবস্থা করে নেবেন......এই আশা তেই দিন কাটে আপনার। ভুলে যান আপনি যে সেই সহৃদয় সহযাত্রীটিও যে এখন কলার তুলে ঘুরছেন ভীম বা অর্জুনের মত। তিনিও বা খামোখা নকুল হতে চাইবেন কোন দুঃখে। সবচাইতে দুঃখ বোধ করি মিডল বার্থ পেলে। কি রকম পরজীবী প্রাণীর মত লাগে নিজেকে। হাজার ঘুম পেলেও লোয়ার বার্থ এর সহযাত্রীকে না ঘুম পাড়িয়ে আপনি ঘুমোতে যেতে পারবেন না আর সকালে তার ঘুম না ভাঙ্গা অবধি ঘাড় গুঁজে বসে থাকবেন। আর দুর্ভাগ্যক্রমে আপনার বার্থ যদি RAC (Running After Conductor?) হয় তাহলে তো কথাই নেই। ঈশ্বরের বরপ্রাপ্তির আশায় আপনি জেল পালানো আসামীর মতো বসে থাকবেন কারোর পায়ের কাছে কিম্বা মাথার পাশে - শেষে 'হেঁটমুণ্ড ঊর্ধ্বপদ' অবস্থায় নিশিযাপন। কিছু মানুষকে দেখেছি এসব 'বার্থ' নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথা ব্যাথা নেই। তারা ট্রেন এ উঠে নিজ বা অন্যের বার্থ  এ ('বার্থ' Right নাকি?) অবলীলায় শুয়ে পরেন। তবে বাজি ফেলে বলতে পারি...এনারা বেড়াতে যাওয়ার দলে পরেন না। বেড়াতে যাওয়া লোকেরা এত বেরসিক হয় নাকি!
তৃতীয় পর্ব ঃ বাক্স এবং প্যাঁটরা
বেড়ানো কি সবার কাছে সমান নাকি? আপনিও বেড়াতে যান আবার ফা হিয়েন-ও গেছিলেন। কি বললেন......... ওটা 'বেড়ানো' নয় .........'পরিব্রাজন'। অত শত জানি না দাদা......। ইতিহাস বইতে দেখেছি ভদ্রলোক কে। কাঁধে শুধু একটি ঝোলা ...... ব্যাস। যাই বলুন......ব্যাপারটা খুব একটা বিশ্বাসযোগ্য ঠেকে কি আপনার ? ইন্টারনেট- এ অনেক খুঁজেও ভদ্রলোকের লাগেজ পরিবৃত অবস্থায় একটা সেলফি পেলাম না।
যাইহোক............ বেড়াতে যাব আর সঙ্গে বাক্স প্যাঁটরা থাকবে না তা আবার হয় নাকি। বাড়িতে তখন সাজো সাজো রব। বছরভর অবহেলিত ব্যাগ, সুটকেস, ঝোলা, ঝম্পপ ---- নিবেদিত প্রাণ ভোটারদের মত আপনার সামনে। 'কি কি নেবেন' এর থেকেও ' কি কি নেবেন না' - র অঙ্ক টা বোধকরি বেশী জটিল। সঙ্গে দু একটা কচি কাঁচা থাকলে তো আর কথাই নেই। অতি সাবধানী হয়ে বাড়ির পাপোষ টি ও প্রায় স্থান পায় আপনার বাক্সে এবং অবধারিত ভাবেই আপনি বাহুবলি-র ভায়রা ভাই। সামনে ওভারব্রিজ পড়ুক বা বিন্ধ্য পর্বত, আপনাকে তখন আটকায় কার সাধ্যি। এই লাগেজ সৈন্যকুল সমেত প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে একটা সেলফি............ আপনার বেড়ানোর প্রথম ছবি... যা আঙ্গুলের টোকায় আপনি জানিয়ে দিতে পারেন গোটা বিশ্বকে। পোশাকি নামটিও চমৎকার 'স্ট্যাটাস আপডেট'। তবে এই ছবি যে অনেকের বুকে হাহাকার তুলবে সে কথা আপনিও বিলক্ষণ জানেন।
অবশেষে তার দেখা পাবেন......দুলকি চালে ধীরগতিতে তিনি এসে দাঁড়াবেন আপনার সামনে। পরের দশ পনেরো মিনিট ---- আপনার টার্গেট এক ওভারে পনেরো রান। ছোটখাটো একটা ঝড় - হাঁকডাক, দৌড়োদৌড়ি, ঠেলাঠেলি, টানা হেঁচড়া.........। সমীকরণটি খুব সহজ  - "নির্দিষ্ট সময়ে আপনার উত্তেজনা বৃদ্ধির হার আপনার লাগেজের পরিমাণের সাথে সমানুপাতিক'। ক্যাপ্টেন কুল এর মত মাথা ঠাণ্ডা রেখে আপনি ম্যাচ বার করবেন ...আপনার সবকটি লাগেজ কে কুক্ষিগত করে। সবকিছু মিটিয়ে নিজের status এ Like এর সংখ্যা গুনবেন বলে ভাবছেন এমন সময় প্রয়োজন পরবে লাগেজের মধ্যে রাখা সেই জিনিস টির কথা যেটির অবস্থান শত চেষ্টাতেও মনে করতে পারবেন না। অগত্যা........লজ্জার মাথা খেয়ে এবার আপনি বাহুবলি পার্ট-২। হয়ত তখনই বিদ্যুতগতিতে আপনার মনে পরবে "Had I packed my toothbrush?" সেই ছোটবেলায় পড়া Jerome সাহেবের Packing গল্প থেকে।
চতুর্থ পর্ব ঃ খাওয়া দাওয়া
মিনিট পাঁচেক হল সরাইঘাট এক্সপ্রেস হাওড়া ছেড়েছে। দীপন আর সৌরভ দরজা থেকে ট্রেনের ল্যাজের দিকে যতদূর দেখা যায় শেষবারের মতো তাকিয়ে ফিরে এলো নিজেদের সিটে।
'নাহ... কৌশিকরা সত্যিই ট্রেনটা miss করল।' --- দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল সৌরভ।
হাওড়া ব্রিজে তুমুল জ্যাম।' দীপন অনেকবার পই পই করে বলেছিল হাতে সময় নিয়ে বেরতে ... কিন্তু কৌশিক বরাবরই এ রকম - পরীক্ষা হোক বা সিনেমা --- সবকিছুতেই 'লাস্ট মিনিট পাবলিক'।
"হোপ লেস একেবারে" - গজ গজ করতে করতে সিটের পাশে রাখা খাবারের ব্যাগটার দিকে তাকাল দীপন।
In fact কৌশিকরা না যেতে পারায় ওদের যে খুব দুঃখ হচ্ছে তাও নয়। আসল চাপটা তো অন্য!
ওদের ব্যাগের ভেতরে রয়েছে শুধু সতেরোটা রুটি......... আর কৌশিকদের সাথে সাথে ট্রেনটা miss করেছে সাধের চিলি চিকেন টাও।
***********
ট্রেনের সবচাইতে রকমারি (ঝকমারি ও বটে!) জিনিস টি বোধহয় ট্রেনের খাওয়া দাওয়া। সত্যিই যেন 'দাওয়ায়' বসে 'খাওয়া'। জন্ম থেকে মৃত্যু...... আজীবন আমরা 'খেয়েই' চলেছি। ছোটবেলার 'গ্যাস' আর বড়বেলার 'কেস' এসব বাদ দিন......... আমি প্রোটিন আর স্নেহ সমৃদ্ধ খাবারের কথা বলছি আর কি ! ট্রেনে বসে সময় কাটানোই যখন প্রধান অন্তরায়...... তখন খাবারের থেকে ভালো কিছু আর হয় নাকি?
রাজধানী বা শতাব্দী হলে আপনার যাত্রা যেন 'গল্প হলেও সত্যি'। সবকিছুই যেন স্বপ্নের মতন। সকালের বেড টি থেকে রাতের খাওয়ার পরের 'খড়কে কাঠি' ---- 'ফর্দ' মিলিয়ে সবই আসবে দারুণ নিয়মানুবর্তিতার সাথে। আর বাকি ট্রেনগুলো?---- যেন 'হাম আপকে হ্যায় কৌন'। ভাবখানা এমন যে 'আপনার উদর --- আপনিই বুঝুন --- তার দায় রেল কোম্পানি নিতে যাবে কোন দুঃখে'? অগত্যা আপনার ট্রেনের ভৌগোলিক অবস্থান আর দিনকালের মাপকাঠিতে তৈরি হবে আপনার 'মেনু কার্ড' --- শেষপর্যন্ত যা পরিণত হবে আপনার কনিষ্ঠতম লাগেজে। ছোট বলেই হয়ত তার আদরও বেশী...... খেয়াল-ও বেশী। সত্যিই তাকে কাছ-ছাড়া করতে আপনার মন চায় না - সামান্য হেলে পরলেও আপনি বিচলিত হন। কিছুটা পক্ষপাতদুষ্ট হয়েই সে যাত্রা করে আপনার পাশে বসেই...... সিটের তলায় নয়........।
ট্রেনের খাদক যাত্রীবিশেষ কে মোটামুটি তিনটি শ্রেণিতে ফেলা যায় -  ১। 'স্বপাক',  ২। 'নরম-পাক' আর ৩। 'গুরুপাক'। 'স্বপাক' শ্রেণীর লোকেরা ট্রেনের মিল (নাকি 'গরমিল'?) কে ছুঁয়ে ও দেখেন না এবং কেবল বাড়ি থেকে আনা খাবার ই খান। এক গুজরাতি পরিবার কে দেখেছিলাম প্রায় টানা আড়াই দিন কেবল শুকনো পরোটা আর আচার খেয়ে চলেছেন তিন বেলা করে। ধন্যি এদের সাধনা। বলাই বাহুল্য যে এই দলে বাঙ্গালীরা পড়ে না। অন্যদিকে 'নরম-পাক' শ্রেণীর লোকেদের মধ্যে 'টাকরা' না 'স্বাস্থ্য' - এই দ্বন্দ্ব প্রবল। বাড়ি থেকে আনা স্টক ফুরলে বা সঙ্গীদের চাপে পরে টুক টাক বাইরের খাবার খান, কিছুটা অনিচ্ছাসত্ত্বে। কম বেশী দুবেল���র ভাত-রুটি , দু এক ভাঁড় চা আর ঝালমুড়ি......... এই হল এদের উদরপূর্তির যোগাড়। আর 'গুরুপাক' শ্রেণীর লোকেরা ? কোনও এক ভুতের রাজার বরে এদের পাচন ক্ষমতা ট্রেনে উঠলেই অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যায়। অনেকটা সেহওয়াগ এর মত প্রথম বল থেকেই তারা অবলীলায় চার ছয় হাঁকিয়ে যান। দুবেলার 'মিল-খাবার' ছাড়াও, পথচলতি ( নাকি ট্রেন চলতি ? ) চা, কফি, ঝালমুড়ি, চানা মসলা, শসা, সিঙ্গারা, আলুর চপ, ডিম সেদ্ধ থেকে শুরু করে মায় বিরিয়ানি অবধি কিছুই বাদ দেন না। তবে যাই বলুন, আমদের কলকাতা এবং শহরতলির লোকাল ট্রেনগুলো এসবব ক্ষেত্রে স্বর্গ মশায়।  দূরপাল্লার ট্রেনে এই 'গুরুপাক' শ্রেণীর উদরপূর্তি হলেও রসনা তৃপ্তি হয় না। তবে আমার মতে রাতের ট্রেনের প্রিয়তম মেনু বোধহয় লুচি আর আলুর দম, যা হালের চাউমিন বা বিরিয়ানি কে হাসতে হাসতে দশ গোল দেবে।
খেতে খেতে দুলুন বা দুলে দুলে খান --- choice টা আপনার।
পঞ্চম পর্ব ঃ সহযাত্রী
আমি সেবার SU24, পাশের L17 আর U19 এ ষাটোর্ধ স্বামী- স্ত্রী। কথা প্রসঙ্গে জানতে পারি যে ওনারা বাড়ি থেকে পালিয়েছেন এবং যাচ্ছেন গৌহাটি। ছেলে, বউমা, নাতনি --- কাউকে নাকি কিছু না জানিয়ে ওনারা প্রত্যেক বছর দিন সাতেকের জন্য 'নিয়মিত পালান'। প্রথমবার নাকি ছেলে থানায় অবধি গিয়েছিল --- তবে এখন নাকি ওদেরও ব্যাপারটা গা সওয়া হয়ে গেছে। সুগার-প্রেসারের ওষুধের সাথে সাথে টুকটাক খুনসুটি সবই চলছিল। ভদ্রলোক ট্রেনের শিঙ্গাড়া খেতে চাইলে ভদ্রমহিলার মুখে শুনেছি 'গামছারও শখ হয় ধোপা বাড়ি যাওয়ার......' আবার ভদ্রলোক রাত্রে আপার বার্থে উঠতে উঠতে বিড় বিড় করছিলেন 'আই উইল গো টু দ্য টপ.... দ্য টপ..... দ্য টপ।'
'নায়ক' থেকে হালের 'প্রাক্তন' বা 'চেন্নাই এক্সপ্রেস' ...... ট্রেন ও সহযাত্রী র সেই 'সাড়ে বত্রিশ ভাজা' সর্বকালীন মুচমুচে। আপনার সহযাত্রী ----- মানে উনি আপনার কাছে বা আপনি ওনার কাছে যাকে বলে 'সারপ্রাইজ প্যাকেজ'।
একদল অচেনা অজানা চরিত্রের সাথে ঘণ্টার পড় ঘণ্টা সময় কাটিয়ে --- নিজ নিজ স্টেশনে নেমে যাওয়া------ জীবনের এক মস্ত অভিজ্ঞতা ---- কিছুটা জীবনের মতোই। পাউলো কোহেলহো তো বলেই গেছেন ' Life is the train, not the station'.
লালমোহনবাবু আর ফেলুদার প্রথম আলাপ কিন্তু ট্রেনেই। ভাবতে অবাক লাগে যে গোটা পৃথিবী বাদ দিয়ে কেন সত্যজিৎ রায় শেষে ট্রেনকেই বেছে নিয়েছিলেন তাদের প্রথম সাক্ষাতের জন্য। আসলে ট্রেনে আমরা সবাই 'কাঠ বেকার' - 'খাই দাই আর বগল বাজাই' টাইপের আর কি !  তার ওপর দুজনেই বাঙ্গালী আর তাই জিনগত ভাবেই 'আড্ডাবাজ'। তাই ফেলুদা বা লালমোহন বাবুর মতো দুই চূড়ান্ত ব্যস্ত চরিত্রের একটা দীর্ঘস্থায়ী 'আড্ডাবাজ' সম্পর্কের শুরুওয়াতির জন্য ট্রেনের থেকে ভালো কিছু হতে পারত কি? রেল কোম্পানিকে ধন্যবাদ ওনাদের টিকিটটা একসাথে ফেলার জন্য ---- না হলে আমার আপনার কি হত বলুন তো? ভুলে যাবেন না ওই একই কামরায় এক গোমড়া মুখো সহযাত্রীও (ইনি অবাঙ্গালী - মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন !) ফেলুদাদের সাথে যাত্রা করছিলেন। তিনি তার মতো কমলালেবু খেতেই ব্যস্ত ছিলেন......ফেলুদার সাথে 'ঝুলে পরার' কোনও প্রবৃত্তি তার হয় নি। (ব্যাপারটা logical না বায়ো-logical সে বিতর্কে যাচ্ছি না।)
আপনি বা আপনার সহযাত্রী --- পুরোটাই তো সেই ছোটবেলার ইংরেজি পরীক্ষার মতো 'Unseen'। তাই আগাম প্রস্তুতি আর কি নেবেন ?  তবে খান কতক বাড়তি জলভরা সন্দেশ বা একটু ভালো মুখশুদ্ধি সঙ্গে থাকলে 'ব্যাপারটা' সহজ হলেও হতে পারে। তবে সেই জটায়ু উবাচ 'আপনি কি শুয়োর?' গোছের মন্তব্য থেকে অনুপ্রাণিত না হওয়াই বোধকরি ভালো ---- তাতে বিপদ বাড়ার সমূহ সম্ভাবনা। আপনার সব সহযাত্রীর যে লালমোহন বাবুর মতো রসবোধ আর ফেলুদার মতো ধৈর্য থাকবে - সে গ্যারান্টি কে দিচ্ছে ? শেষে 'ঠাস ঠাস দ্রুম দ্রাম' অবস্থা হোক আর কি !
সহযাত্রীর রকমফের? টেনিদার ভাষায় বলতে গেলে 'পুদিচ্চেরি' - মানে ব্যাপারটা ঘোরালো। আর সুকুমারী বুদ্ধিতে দু রকম - কিছু হলেন 'মাজা-গলা চাঁচা সুর' আর কিছু 'আহ্লাদে ভরপুর'। প্রথম পক্ষের সহযাত্রী আপনাকে বিনা যুদ্ধে সুচাগ্র মেদিনীও ছাড়বেন না আর দ্বিতীয় পক্ষ  হাসিমুখে মেনে নেবেন আপনার সব আবদার। শুরুতে আপনি শান্ত......... আড় চোখে তাদের গতিবিধি লক্ষ্য করে বোঝার চেষ্টা করবেন যে এই পিচে বল 'ঘুরবে' না 'ব্যাটে  আসবে'। তারপর বল বুঝে ব্যাটিং করবেন ---- হয় বিরক্তিতে এড়িয়ে যাবেন বা হয়ত ভাব জমানোর চেষ্টা করবেন। তবে একবার ভাব জমে গেলে আপনার ট্রেন জার্নির পয়সা উশুল আর বেড়ানোর মজা এক লাফে তিনগুণ। এও শোনা গেছে যে ট্রেনে প্রথমবার আলাপ হওয়া এক ভদ্রলোক আর একজন ভদ্রলোক ও তার পরিবারকে হাওড়া অবধি যেতে দেননি। সাঁতরাগাছি তে জোর করে নামিয়ে নিজের বাড়িতে মাছ-ভাত খাইয়ে তবে বিদায় দিয়েছিলেন।
তবে এখন দিনকাল পালটেছে। ধরুন সাল টা ২০১৭। কানপুর স্টেশনে লাল সুটকেস হাতে আপনার কামরায় ঢুকলেন লালমোহন গাঙ্গুলি। আপনার উল্টোদিকে ধপ করে বসে কপালেরর ঘাম মুছে বলে উঠলেন 'আপ লোগ কিত না দূর তাক যা রাহে হো' ? আপনি হয় নিজের ল্যাপটপে মুখগুজে কোনও একটা হাই ভোল্টেজ সিনেমায় বুঁদ হয়ে আছেন নয়ত কানে 'স্তেথো' গুঁজে লজেঞ্চুস ধ্বংসে (Candy Crash) ব্যস্ত। বেচারা জটায়ু ? আপনার এই 'তং মাত করো' গোছের হাবভাবে তিনি আর কিই বা করবেন ? বার কতক গলা খাকরানি --- একটু উশখুশ করে নিজের হাতঘড়ি টা খুলে পকেটে রাখবেন। কাঁধের ঝোলা থেকে ওনার 'সাম্প্রতিকতম উপন্যাআস' - 'উগান্ডায় উৎপাত' টা বার করে নেড়েচেড়ে দেখে আবার ব্যাগেই ঢুকিয়ে রাখবেন। ফিসফিস করে আপন মনেই বলবেন - 'হাইলি সাসপিশাস'। আর শেষে একটা বিশাল হাই তুলে উপরের বার্থে গিয়ে শুয়ে পরবেন। আর ভাবা যাচ্ছে না মশায়। গায়ে কাঁটা দিচ্ছে......
ষষ্ঠ পর্ব ঃ  ঘুম
"ট্রেন এর ঝাঁকুনি তে আপনার ঘুম হয়? " ফেলুদা প্রশ্ন করল লালমোহন বাবুকে।
"ঝাঁকুনিটা তো হেল্প করে মশাই" ---- লালমোহন বাবুর অকপট স্বীকারোক্তি।
ট্রেনের ঘুম কিন্তু বেশ বিলিতি ঘরানার। ��িজ জীবনে নিয়মিত রাত সাড়ে বারোটা অবধি জেগে থাকা লোকও ট্রেন এ উঠে Early to Bed। টানটান চাদর পাতা বিছানায় 'আমরা সবাই রাজা'। রাত এগিয়ে চলার সাথে আপনার এই শয়নকক্ষের চারপাশের বিভিন্ন সুর তাল ও লয়ের নাসিকা গর্জন আপনাকে নিয়ে যাবে এক অন্য জগতে। এ বিষয়ে সঙ্গে অবশ্যই পাবেন 'তেনাদের' উদ্দেশ্যে করা কিছু রসিক সহযাত্রীর বিশেষ টিপ্পনী।  যাই হোক...... শেষমেশ এই 'আমরা - ওরা' বাদ দিয়ে আপনি নিজের সাধের পাশবালিশ টির কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমনোর চেষ্টা করবেন এবং একসময়ে ঘুমিয়েও পরবেন। পরদিন সকালবেলায় কোনও এক চা ওয়ালাই তখন আপনার 'অ্যালার্ম ঘড়ি' cum 'Enquiry Counter'. আপনার বেড টি- এর সাথে 'কোন স্টেশন?' 'ট্রেন কতক্ষণ Late?' এইসব জেনে নিয়ে 'আর একটু ঘুমনোর' সিদ্ধান্তটা আপনার একান্ত ব্যাক্তিগত।
তবে ট্রেনের ঘুম নিয়ে সর্বজনবিদিত একটা "ঘটি-বাঙ্গাল" ন্যায় বিতর্ক হল যে এক পক্ষ বলে 'দারুণ ঘুমেয়েছি' আর আর পক্ষ বলে 'একটুও ঘুম হয়নি'। সত্যি মিথ্যে জানি না তবে আমি এই দুইয়ের কোনও দলেই পড়ি না। ছোটবেলা থেকেই ট্রেনে ঘুমোনো আমার না পসন্দ। জানলা দিয়ে রাতের অন্ধকারে বাইরের গা ছমছমে ''আমার রাত জাগা তারা' বা কোনও নাম না জানা 'তারায় ভরা স্টেশন' ........ আমার কাছে বেড়াতে যাওয়ার 'উপরি পাওনা'।  সমুদ্র বা পাহাড়ের মত অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকা যায় ওই চলমান অন্ধকারের দিকে...... তবে অবশ্যই সুমনবাবুকে সঙ্গে করে।
"আমারও তো বয়স হচ্ছে          রাত বিরেতে কাশি
কাশির দমক থামলে কিন্তু        বাঁচতে ভালবাসি ----
বন্ধু তোমার ভালবাসার          স্বপ্ন টা  কে রেখো
বেঁচে নেবার স্বপ্ন টা কে          জাপটে ধরে থেকো" ---
ছবিঃ  লেখক
0 notes