Tumgik
#সাওয়াব
irdfoundation · 4 months
Text
ইসলামে গুনাহে জারিয়া: এর পরিণাম ও বাঁচার উপায় | Gunahe Jariya in Islam: Consequences, How to Avoid
ইসলামে গুনাহে জারিয়ার কথা আপনি কতটা জানেন? এই শর্ট ভিডিওতে, এর ভয়াবহ পরিণাম এবং কীভাবে আমরা এটি থেকে বাঁচতে পারি, সে সম্পর্কে জানুন। কুরআন-হাদিসের আলোকে ইসলামী শিক্ষা নিন এবং নিজেকে ও আপনার প্রিয়জনদের রক্ষা করুন। এখনই দেখুন এবং শেয়ার করুন!
এমন আরও হাদিস জানতে ঘুরে আস্তে পারেন, আল হাদিসঃ https://ihadis.com/ এই ওয়েবসাইটিতে।
এছাড়াও ভিজিট করেতে পারেনঃ
কোরআন মাজিদঃ https://quranmazid.com/
দোয়া ও রুকাইয়াঃ https://duaruqyah.com/
IRD Foundation: https://irdfoundation.com/
0 notes
ilyforallahswt · 1 month
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
যাকাত আদায়
Collection of Zakat
জাকাত কাকে বলে
প্রত্যেক স্বাধীন, পূর্ণবয়স্ক মুসলমান নর-নারীকে প্রতি বছর স্বীয় আয় ও সম্পত্তির একটি নির্দিষ্ট অংশ, যদি তা ইসলামী শরিয়ত নির্ধারিত সীমা (নিসাব পরিমাণ) অতিক্রম করে তবে, গরীব-দুঃস্থদের মধ্যে বিতরণের নিয়মকে যাকাত বলা হয়।
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
জাকাত হল একটি ইসলামী অর্থ পরিভাষা যা একজন ব্যক্তিকে প্রতি বছর দাতব্য কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট অনুপাত সম্পদ দান করতে হয় এমন বাধ্যবাধকতাকে নির্দেশ করে।
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
জাকাত হল একটি ইসলামী অর্থ পরিভাষা যা একজন ব্যক্তিকে প্রতি বছর দাতব্য কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট অনুপাত সম্পদ দান করতে হয় এমন বাধ্যবাধকতাকে নির্দেশ করে।
যাকাত কি?
যাকাত হল একটি দাতব্য সংস্থা যা আল্লাহ্‌ মুসলমানদেরকে তাদের অর্থ, সম্পত্তি এবং ফসলের উপর বাৎসরিক বা ফসল কাটার সময় দিতে বাধ্য করেন। যাকাত এর অর্থ প্রদান করা হয় আটটি শ্রেণির দরিদ্র, অরক্ষিত এবং যোগ্যদের জন্য যা আল্লাহ নিজেই কুরআনে উল্লেখ করেছেন (সূরা আল-তওবাহ, 9:60)। নবী মুহাম্মদ, তাঁর উপর শান্তি, জাকাতকে ইসলামের বিখ্যাত পাঁচটি স্তম্ভের তৃতীয় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
(ফরয) স্বাদক্বাসমূহ শুধুমাত্র নিঃস্ব,অভাবগ্রস্ত এবং জাকাত (আদায়ের) কাজে নিযুক্ত কর্মচারীদের জন্য, যাদের মনকে ইসলামের প্রতি অনুরাগী করা আবশ্যক তাদের জন্য, দাসমুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে (সংগ্রামকারী) ও (বিপদগ্রস্ত) মুসাফিরের জন্য। এ হল আল্লাহর পক্ষ হতে নির্ধারিত (ফরয বিধান)। আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।  আল কোরআন, সূরা তাওবা আয়াত ৬০
যাকাত ইসলামের প্রধান আর্থিক ইবাদাত। সুষম সমাজ গঠনের লক্ষ্যে এটি আল্লাহ প্রদত্ত ইসলামি অর্থব্যবস্থার মূলভিত্তি ও ইসলামের মৌল স্তম্ভের উল্লেখযোগ্য একটি বুনিয়াদ। ঈমানের পর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য ইবাদাত হল সালাত ও যাকাত। কুরআন মাজীদে বহু স্থানে সালাত ও যাকাতের আদেশ করা হয়েছে এবং আল্লাহর অনুগত বান্দাদের জন্য অশেষ সাওয়াব, রহমত ও মাগফিরাতের পাশাপাশি আত্মশুদ্ধিরও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “তোমরা সালাত আদায় কর এবং যাকাত প্রদান কর। তোমরা যে উত্তম কাজ নিজেদের জন্য অগ্রে প্রেরণ করবে তা আল্লাহর নিকটে পাবে। নিশ্চয়ই তোমরা যা কর আল্লাহ তা দেখছেন।” [সূরা বাকারা : ১১০] আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, “তোমরা সালাত আদায় কর, যাকাত দাও এবং রাসূলের আনুগত্য কর যাতে তোমরা অনুগ্রহভাজন হতে পার।’’ [সূরা নূর : ৫৬] হাদস শরীফে একে ইসলামের সেতুবন্ধন বলা হয়েছে। কারণ, এটি ধনী ও গরীবের মাঝে অর্থনৈতিক সেতুবন্ধন। মুসলিম সমাজ থেকে দরিদ্রতা দূরীকরণে এবং সমাজে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নে যাকাতের ভূমিকা অপরিসীম।
যাকাতের উপকারিতা
সম্পদের যাকাত আদায় করা মহান আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশ। আল্লাহর সন্তুষ্টির অন্যতম মাধ্যম। পার্থিব কোন উপকারিতা থাকুক আর না থাকুক, আল্লাহর নির্দেশ পালনে মুমিন সর্বদা বাধ্য। তবে আল্লাহর কোন নির্দেশ-ই পার্থিব উপকারিতা মুক্ত নয়। তেমনি যাকাতের মাঝেও রয়েছে ধর্মীয় অনুশাসন পালনের পাশাপাশি পার্থিব অনেক উপকারিতা। আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন, “আল্লাহ তা‘আলা সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দান খয়রাতকে বর্ধিত করেন। আল্লাহ পছন্দ করেন না কোন অবিশ্বাসী পাপীকে।” [ সূরা বাকারা : ২৭৬ ]
যাকাত যাদের দেওয়া যাবে
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “যাকাত তো কেবল নিঃস্ব, অভাবগ্রস্ত ও যাকাতের কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য, যাদের মনোরঞ্জন উদ্দেশ্য তাদের জন্য, দাসমুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে জিহাদকারী ও মুসাফিরের জন্য। এ আল্লাহর বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।” [সূরা তাওবা : ৬০]
আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের দিকে এগিয়ে এসে বলেনঃ হে মুহাজিরগণ! তোমরা পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। তবে আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি যেন তোমরা তার সম্মুখীন না হও। যখন কোন জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে তখন সেখানে মহামারী আকারে প্লেগরোগের প্রাদুর্ভাব হয়। তাছাড়া এমন সব ব্যাধির উদ্ভব হয়, যা পূর্বেকার লোকেদের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি। যখন কোন জাতি ওযন ও পরিমাপে কারচুপি করে তখন তাদের উপর নেমে আসে দুর্ভিক্ষ, শাসকের তরফ থেকে অত্যাচার কঠিন বিপদ-মুসীবত এবং যখন যাকাত আদায় করে না তখন আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ বন্ধ করে দেয়া হয়। যদি ভূ-পৃষ্ঠে চতুস্পদ জন্তু ও নির্বাক প্রাণী না থাকতো তাহলে আর কখনো বৃষ্টিপাত হতো না। যখন কোন জাতি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, তখন আল্লাহ তাদের উপর তাদের বিজাতীয় দুশমনকে ক্ষমতাশীন করেন এবং সে তাদের সহায়-সম্পদ কেড়ে নেয়। যখন তোমাদের শাসকবর্গ আল্লাহর কিতাব মোতাবেক মীমাংসা করে না এবং আল্লাহর নাযিলকৃত বিধানকে গ্রহণ করে না, তখন আল্লাহ তাদের পরস্পরের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দেন।
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
youtube
আপনার উপর যাকাত ফরয হয়েছে কিভাবে বুঝবেন │
youtube
যেসব সম্পদের ওপর যাকাত ফরজ
youtube
স্বর্ণের যাকাত।
youtube
যাকাতের হিসাব নিয়ে সকল সমস্যার সমাধান
যাকাত আদায়
Collection of Zakat
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
0 notes
myreligionislam · 1 month
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
যাকাত আদায়
Collection of Zakat
জাকাত কাকে বলে
প্রত্যেক স্বাধীন, পূর্ণবয়স্ক মুসলমান নর-নারীকে প্রতি বছর স্বীয় আয় ও সম্পত্তির একটি নির্দিষ্ট অংশ, যদি তা ইসলামী শরিয়ত নির্ধারিত সীমা (নিসাব পরিমাণ) অতিক্রম করে তবে, গরীব-দুঃস্থদের মধ্যে বিতরণের নিয়মকে যাকাত বলা হয়।
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
জাকাত হল একটি ইসলামী অর্থ পরিভাষা যা একজন ব্যক্তিকে প্রতি বছর দাতব্য কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট অনুপাত সম্পদ দান করতে হয় এমন বাধ্যবাধকতাকে নির্দেশ করে।
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
জাকাত হল একটি ইসলামী অর্থ পরিভাষা যা একজন ব্যক্তিকে প্রতি বছর দাতব্য কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট অনুপাত সম্পদ দান করতে হয় এমন বাধ্যবাধকতাকে নির্দেশ করে।
যাকাত কি?
যাকাত হল একটি দাতব্য সংস্থা যা আল্লাহ্‌ মুসলমানদেরকে তাদের অর্থ, সম্পত্তি এবং ফসলের উপর বাৎসরিক বা ফসল কাটার সময় দিতে বাধ্য করেন। যাকাত এর অর্থ প্রদান করা হয় আটটি শ্রেণির দরিদ্র, অরক্ষিত এবং যোগ্যদের জন্য যা আল্লাহ নিজেই কুরআনে উল্লেখ করেছেন (সূরা আল-তওবাহ, 9:60)। নবী মুহাম্মদ, তাঁর উপর শান্তি, জাকাতকে ইসলামের বিখ্যাত পাঁচটি স্তম্ভের তৃতীয় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
(ফরয) স্বাদক্বাসমূহ শুধুমাত্র নিঃস্ব,অভাবগ্রস্ত এবং জাকাত (আদায়ের) কাজে নিযুক্ত কর্মচারীদের জন্য, যাদের মনকে ইসলামের প্রতি অনুরাগী করা আবশ্যক তাদের জন্য, দাসমুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে (সংগ্রামকারী) ও (বিপদগ্রস্ত) মুসাফিরের জন্য। এ হল আল্লাহর পক্ষ হতে নির্ধারিত (ফরয বিধান)। আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।  আল কোরআন, সূরা তাওবা আয়াত ৬০
যাকাত ইসলামের প্রধান আর্থিক ইবাদাত। সুষম সমাজ গঠনের লক্ষ্যে এটি আল্লাহ প্রদত্ত ইসলামি অর্থব্যবস্থার মূলভিত্তি ও ইসলামের মৌল স্তম্ভের উল্লেখযোগ্য একটি বুনিয়াদ। ঈমানের পর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য ইবাদাত হল সালাত ও যাকাত। কুরআন মাজীদে বহু স্থানে সালাত ও যাকাতের আদেশ করা হয়েছে এবং আল্লাহর অনুগত বান্দাদের জন্য অশেষ সাওয়াব, রহমত ও মাগফিরাতের পাশাপাশি আত্মশুদ্ধিরও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “তোমরা সালাত আদায় কর এবং যাকাত প্রদান কর। তোমরা যে উত্তম কাজ নিজেদের জন্য অগ্রে প্রেরণ করবে তা আল্লাহর নিকটে পাবে। নিশ্চয়ই তোমরা যা কর আল্লাহ তা দেখছেন।” [সূরা বাকারা : ১১০] আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, “তোমরা সালাত আদায় কর, যাকাত দাও এবং রাসূলের আনুগত্য কর যাতে তোমরা ��নুগ্রহভাজন হতে পার।’’ [সূরা নূর : ৫৬] হাদস শরীফে একে ইসলামের সেতুবন্ধন বলা হয়েছে। কারণ, এটি ধনী ও গরীবের মাঝে অর্থনৈতিক সেতুবন্ধন। মুসলিম সমাজ থেকে দরিদ্রতা দূরীকরণে এবং সমাজে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নে যাকাতের ভূমিকা অপরিসীম।
যাকাতের উপকারিতা
সম্পদের যাকাত আদায় করা মহান আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশ। আল্লাহর সন্তুষ্টির অন্যতম মাধ্যম। পার্থিব কোন উপকারিতা থাকুক আর না থাকুক, আল্লাহর নির্দেশ পালনে মুমিন সর্বদা বাধ্য। তবে আল্লাহর কোন নির্দেশ-ই পার্থিব উপকারিতা মুক্ত নয়। তেমনি যাকাতের মাঝেও রয়েছে ধর্মীয় অনুশাসন পালনের পাশাপাশি পার্থিব অনেক উপকারিতা। আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন, “আল্লাহ তা‘আলা সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দান খয়রাতকে বর্ধিত করেন। আল্লাহ পছন্দ করেন না কোন অবিশ্বাসী পাপীকে।” [ সূরা বাকারা : ২৭৬ ]
যাকাত যাদের দেওয়া যাবে
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “যাকাত তো কেবল নিঃস্ব, অভাবগ্রস্ত ও যাকাতের কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য, যাদের মনোরঞ্জন উদ্দেশ্য তাদের জন্য, দাসমুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে জিহাদকারী ও মুসাফিরের জন্য। এ আল্লাহর বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।” [সূরা তাওবা : ৬০]
আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের দিকে এগিয়ে এসে বলেনঃ হে মুহাজিরগণ! তোমরা পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। তবে আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি যেন তোমরা তার সম্মুখীন না হও। যখন কোন জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে তখন সেখানে মহামারী আকারে প্লেগরোগের প্রাদুর্ভাব হয়। তাছাড়া এমন সব ব্যাধির উদ্ভব হয়, যা পূর্বেকার লোকেদের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি। যখন কোন জাতি ওযন ও পরিমাপে কারচুপি করে তখন তাদের উপর নেমে আসে দুর্ভিক্ষ, শাসকের তরফ থেকে অত্যাচার কঠিন বিপদ-মুসীবত এবং যখন যাকাত আদায় করে না তখন আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ বন্ধ করে দেয়��� হয়। যদি ভূ-পৃষ্ঠে চতুস্পদ জন্তু ও নির্বাক প্রাণী না থাকতো তাহলে আর কখনো বৃষ্টিপাত হতো না। যখন কোন জাতি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, তখন আল্লাহ তাদের উপর তাদের বিজাতীয় দুশমনকে ক্ষমতাশীন করেন এবং সে তাদের সহায়-সম্পদ কেড়ে নেয়। যখন তোমাদের শাসকবর্গ আল্লাহর কিতাব মোতাবেক মীমাংসা করে না এবং আল্লাহর নাযিলকৃত বিধানকে গ্রহণ করে না, তখন আল্লাহ তাদের পরস্পরের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দেন।
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
youtube
আপনার উপর যাকাত ফরয হয়েছে কিভাবে বুঝবেন │
youtube
যেসব সম্পদের ওপর যাকাত ফরজ
youtube
স্বর্ণের যাকাত।
youtube
যাকাতের হিসাব নিয়ে সকল সমস্যার সমাধান
যাকাত আদায়
Collection of Zakat
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
0 notes
allahisourrabb · 1 month
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
যাকাত আদায়
Collection of Zakat
জাকাত কাকে বলে
প্রত্যেক স্বাধীন, পূর্ণবয়স্ক মুসলমান নর-নারীকে প্রতি বছর স্বীয় আয় ও সম্পত্তির একটি নির্দিষ্ট অংশ, যদি তা ইসলামী শরিয়ত নির্ধারিত সীমা (নিসাব পরিমাণ) অতিক্রম করে তবে, গরীব-দুঃস্থদের মধ্যে বিতরণের নিয়মকে যাকাত বলা হয়।
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
জাকাত হল একটি ইসলামী অর্থ পরিভাষা যা একজন ব্যক্তিকে প্রতি বছর দাতব্য কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট অনুপাত সম্পদ দান করতে হয় এমন বাধ্যবাধকতাকে নির্দেশ করে।
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
জাকাত হল একটি ইসলামী অর্থ পরিভাষা যা একজন ব্যক্তিকে প্রতি বছর দাতব্য কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট অনুপাত সম্পদ দান করতে হয় এমন বাধ্যবাধকতাকে নির্দেশ করে।
যাকাত কি?
যাকাত হল একটি দাতব্য সংস্থা যা আল্লাহ্‌ মুসলমানদেরকে তাদের অর্থ, সম্পত্তি এবং ফসলের উপর বাৎসরিক বা ফসল কাটার সময় দিতে বাধ্য করেন। যাকাত এর অর্থ প্রদান করা হয় আটটি শ্রেণির দরিদ্র, অরক্ষিত এবং যোগ্যদের জন্য যা আল্লাহ নিজেই কুরআনে উল্লেখ করেছেন (সূরা আল-তওবাহ, 9:60)। নবী মুহাম্মদ, তাঁর উপর শান্তি, জাকাতকে ইসলামের বিখ্যাত পাঁচটি স্তম্ভের তৃতীয় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
(ফরয) স্বাদক্বাসমূহ শুধুমাত্র নিঃস্ব,অভাবগ্রস্ত এবং জাকাত (আদায়ের) কাজে নিযুক্ত কর্মচারীদের জন্য, যাদের মনকে ইসলামের প্রতি অনুরাগী করা আবশ্যক তাদের জন্য, দাসমুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে (সংগ্রামকারী) ও (বিপদগ্রস্ত) মুসাফিরের জন্য। এ হল আল্লাহর পক্ষ হতে নির্ধারিত (ফরয বিধান)। আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।  আল কোরআন, সূরা তাওবা আয়াত ৬০
যাকাত ইসলামের প্রধান আর্থিক ইবাদাত। সুষম সমাজ গঠনের লক্ষ্যে এটি আল্লাহ প্রদত্ত ইসলামি অর্থব্যবস্থার মূলভিত্তি ও ইসলামের মৌল স্তম্ভের উল্লেখযোগ্য একটি বুনিয়াদ। ঈমানের পর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য ইবাদাত হল সালাত ও যাকাত। কুরআন মাজীদে বহু স্থানে সালাত ও যাকাতের আদেশ করা হয়েছে এবং আল্লাহর অনুগত বান্দাদের জন্য অশেষ সাওয়াব, রহমত ও মাগফিরাতের পাশাপাশি আত্মশুদ্ধিরও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “তোমরা সালাত আদায় কর এবং যাকাত প্রদান কর। তোমরা যে উত্তম কাজ নিজেদের জন্য অগ্রে প্রেরণ করবে তা আল্লাহর নিকটে পাবে। নিশ্চয়ই তোমরা যা কর আল্লাহ তা দেখছেন।” [সূরা বাকারা : ১১০] আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, “তোমরা সালাত আদায় কর, যাকাত দাও এবং রাসূলের আনুগত্য কর যাতে তোমরা অনুগ্রহভাজন হতে পার।’’ [সূরা নূর : ৫৬] হাদস শরীফে একে ইসলামের সেতুবন্ধন বলা হয়েছে। কারণ, এটি ধনী ও গরীবের মাঝে অর্থনৈতিক সেতুবন্ধন। মুসলিম সমাজ থেকে দরিদ্রতা দূরীকরণে এবং সমাজে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নে যাকাতের ভূমিকা অপরিসীম।
যাকাতের উপকারিতা
সম্পদের যাকাত আদায় করা মহান আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশ। আল্লাহর সন্তুষ্টির অন্যতম মাধ্যম। পার্থিব কোন উপকারিতা থাকুক আর না থাকুক, আল্লাহর নির্দেশ পালনে মুমিন সর্বদা বাধ্য। তবে আল্লাহর কোন নির্দেশ-ই পার্থিব উপকারিতা মুক্ত নয়। তেমনি যাকাতের মাঝেও রয়েছে ধর্মীয় অনুশাসন পালনের পাশাপাশি পার্থিব অনেক উপকারিতা। আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন, “আল্লাহ তা‘আলা সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দান খয়রাতকে বর্ধিত করেন। আল্লাহ পছন্দ করেন না কোন অবিশ্বাসী পাপীকে।” [ সূরা বাকারা : ২৭৬ ]
যাকাত যাদের দেওয়া যাবে
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “যাকাত তো কেবল নিঃস্ব, অভাবগ্রস্ত ও যাকাতের কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য, যাদের মনোরঞ্জন উদ্দেশ্য তাদের জন্য, দাসমুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে জিহাদকারী ও মুসাফিরের জন্য। এ আল্লাহর বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।” [সূরা তাওবা : ৬০]
আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের দিকে এগিয়ে এসে বলেনঃ হে মুহাজিরগণ! তোমরা পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। তবে আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি যেন তোমরা তার সম্মুখীন না হও। যখন কোন জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে তখন সেখানে মহামারী আকারে প্লেগরোগের প্রাদুর্ভাব হয়। তাছাড়া এমন সব ব্যাধির উদ্ভব হয়, যা পূর্বেকার লোকেদের মধ্যে কখনো দেখা যা��়নি। যখন কোন জাতি ওযন ও পরিমাপে কারচুপি করে তখন তাদের উপর নেমে আসে দুর্ভিক্ষ, শাসকের তরফ থেকে অত্যাচার কঠিন বিপদ-মুসীবত এবং যখন যাকাত আদায় করে না তখন আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ বন্ধ করে দেয়া হয়। যদি ভূ-পৃষ্ঠে চতুস্পদ জন্তু ও নির্বাক প্রাণী না থাকতো তাহলে আর কখনো বৃষ্টিপাত হতো না। যখন কোন জাতি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, তখন আল্লাহ তাদের উপর তাদের বিজাতীয় দুশমনকে ক্ষমতাশীন করেন এবং সে তাদের সহায়-সম্পদ কেড়ে নেয়। যখন তোমাদের শাসকবর্গ আল্লাহর কিতাব মোতাবেক মীমাংসা করে না এবং আল্লাহর নাযিলকৃত বিধানকে গ্রহণ করে না, তখন আল্লাহ তাদের পরস্পরের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দেন।
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
youtube
আপনার উপর যাকাত ফরয হয়েছে কিভাবে বুঝবেন │
youtube
যেসব সম্পদের ওপর যাকাত ফরজ
youtube
স্বর্ণের যাকাত।
youtube
যাকাতের হিসাব নিয়ে সকল সমস্যার সমাধান
যাকাত আদায়
Collection of Zakat
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
0 notes
mylordisallah · 1 month
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
যাকাত আদায়
Collection of Zakat
জাকাত কাকে বলে
প্রত্যেক স্বাধীন, পূর্ণবয়স্ক মুসলমান নর-নারীকে প্রতি বছর স্বীয় আয় ও সম্পত্তির একটি নির্দিষ্ট অংশ, যদি তা ইসলামী শরিয়ত নির্ধারিত সীমা (নিসাব পরিমাণ) অতিক্রম করে তবে, গরীব-দুঃস্থদের মধ্যে বিতরণের নিয়মকে যাকাত বলা হয়।
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
জাকাত হল একটি ইসলামী অর্থ পরিভাষা যা একজন ব্যক্তিকে প্রতি বছর দাতব্য কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট অনুপাত সম্পদ দান করতে হয় এমন বাধ্যবাধকতাকে নির্দেশ করে।
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
জাকাত হল একটি ইসলামী অর্থ পরিভাষা যা একজন ব্যক্তিকে প্রতি বছর দাতব্য কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট অনুপাত সম্পদ দান করতে হয় এমন বাধ্যবাধকতাকে নির্দেশ করে।
যাকাত কি?
যাকাত হল একটি দাতব্য সংস্থা যা আল্লাহ্‌ মুসলমানদেরকে তাদের অর্থ, সম্পত্তি এবং ফসলের উপর বাৎসরিক বা ফসল কাটার সময় দিতে বাধ্য করেন। যাকাত এর অর্থ প্রদান করা হয় আটটি শ্রেণির দরিদ্র, অরক্ষিত এবং যোগ্যদের জন্য যা আল্লাহ নিজেই কুরআনে উল্লেখ করেছেন (সূরা আল-তওবাহ, 9:60)। নবী মুহাম্মদ, তাঁর উপর শান্তি, জাকাতকে ইসলামের বিখ্যাত পাঁচটি স্তম্ভের তৃতীয় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
(ফরয) স্বাদক্বাসমূহ শুধুমাত্র নিঃস্ব,অভাবগ্রস্ত এবং জাকাত (আদায়ের) কাজে নিযুক্ত কর্মচারীদের জন্য, যাদের মনকে ইসলামের প্রতি অনুরাগী করা আবশ্যক তাদের জন্য, দাসমুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে (সংগ্রামকারী) ও (বিপদগ্রস্ত) মুসাফিরের জন্য। এ হল আল্লাহর পক্ষ হতে নির্ধারিত (ফরয বিধান)। আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।  আল কোরআন, সূরা তাওবা আয়াত ৬০
যাকাত ইসলামের প্রধান আর্থিক ইবাদাত। সুষম সমাজ গঠনের লক্ষ্যে এটি আল্লাহ প্রদত্ত ইসলামি অর্থব্যবস্থার মূলভিত্তি ও ইসলামের মৌল স্তম্ভের উল্লেখযোগ্য একটি বুনিয়াদ। ঈমানের পর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য ইবাদাত হল সালাত ও যাকাত। কুরআন মাজীদে বহু স্থানে সালাত ও যাকাতের আদেশ করা হয়েছে এবং আল্লাহর অনুগত বান্দাদের জন্য অশেষ সাওয়াব, রহমত ও মাগফিরাতের পাশাপাশি আত্মশুদ্ধিরও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “তোমরা সালাত আদায় কর এবং যাকাত প্রদান কর। তোমরা যে উত্তম কাজ নিজেদের জন্য অগ্রে প্রেরণ করবে তা আল্লাহর নিকটে পাবে। নিশ্চয়ই তোমরা যা কর আল্লাহ তা দেখছেন।” [সূরা বাকারা : ১১০] আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, “তোমরা সালাত আদায় কর, যাকাত দাও এবং রাসূলের আনুগত্য কর যাতে তোমরা অনুগ্রহভাজন হতে পার।’’ [সূরা নূর : ৫৬] হাদস শরীফে একে ইসলামের সেতুবন্ধন বলা হয়েছে। কারণ, এটি ধনী ও গরীবের মাঝে অর্থনৈতিক সেতুবন্ধন। মুসলিম সমাজ থেকে দরিদ্রতা দূরীকরণ��� এবং সমাজে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নে যাকাতের ভূমিকা অপরিসীম।
যাকাতের উপকারিতা
সম্পদের যাকাত আদায় করা মহান আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশ। আল্লাহর সন্তুষ্টির অন্যতম মাধ্যম। পার্থিব কোন উপকারিতা থাকুক আর না থাকুক, আল্লাহর নির্দেশ পালনে মুমিন সর্বদা বাধ্য। তবে আল্লাহর কোন নির্দেশ-ই পার্থিব উপকারিতা মুক্ত নয়। তেমনি যাকাতের মাঝেও রয়েছে ধর্মীয় অনুশাসন পালনের পাশাপাশি পার্থিব অনেক উপকারিতা। আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন, “আল্লাহ তা‘আলা সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দান খয়রাতকে বর্ধিত করেন। আল্লাহ পছন্দ করেন না কোন অবিশ্বাসী পাপীকে।” [ সূরা বাকারা : ২৭৬ ]
যাকাত যাদের দেওয়া যাবে
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “যাকাত তো কেবল নিঃস্ব, অভাবগ্রস্ত ও যাকাতের কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য, যাদের মনোরঞ্জন উদ্দেশ্য তাদের জন্য, দাসমুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে জিহাদকারী ও মুসাফিরের জন্য। এ আল্লাহর বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।” [সূরা তাওবা : ৬০]
আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের দিকে এগিয়ে এসে বলেনঃ হে মুহাজিরগণ! তোমরা পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। তবে আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি যেন তোমরা তার সম্মুখীন না হও। যখন কোন জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে তখন সেখানে মহামারী আকারে প্লেগরোগের প্রাদুর্ভাব হয়। তাছাড়া এমন সব ব্যাধির উদ্ভব হয়, যা পূর্বেকার লোকেদের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি। যখন কোন জাতি ওযন ও পরিমাপে কারচুপি করে তখন তাদের উপর নেমে আসে দুর্ভিক্ষ, শাসকের তরফ থেকে অত্যাচার কঠিন বিপদ-মুসীবত এবং যখন যাকাত আদায় করে না তখন আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ বন্ধ করে দেয়া হয়। যদি ভূ-পৃষ্ঠে চতুস্পদ জন্তু ও নির্বাক প্রাণী না থাকতো তাহলে আর কখনো বৃষ্টিপাত হতো না। যখন কোন জাতি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, তখন আল্লাহ তাদের উপর তাদের বিজাতীয় দুশমনকে ক্ষমতাশীন করেন এবং সে তাদের সহায়-সম্পদ কেড়ে নেয়। যখন তোমাদের শাসকবর্গ আল্লাহর কিতাব মোতাবেক মীমাংসা করে না এবং আল্লাহর নাযিলকৃত বিধানকে গ্রহণ করে না, তখন আল্লাহ তাদের পরস্পরের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দেন।
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
youtube
আপনার উপর যাকাত ফরয হয়েছে কিভাবে বুঝবেন │
youtube
যেসব সম্পদের ওপর যাকাত ফরজ
youtube
স্বর্ণের যাকাত।
youtube
যাকাতের হিসাব নিয়ে সকল সমস্যার সমাধান
যাকাত আদায়
Collection of Zakat
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
0 notes
prankyboys · 1 year
Text
কুরবানী না দিয়েও কুরবানীর সাওয়াব। Pranky Boys Shorts
0 notes
boishakhi · 1 year
Text
আল্লামা ফুলতলী (রহ.)-এর ঈসালে সাওয়াব মাহফিল ১৫ জানুয়ারী
আল্লামা ফুলতলী (রহ.)-এর ঈসালে সাওয়াব মাহফিল ১৫ জানুয়ারী
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: উপমহাদেশের প্রখ্যাত বুযুর্গ, শামসুল উলামা হযরত আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.)-এর ১৫ তম বার্ষিক ঈসালে সাওয়াব মাহফিল আগামী ১৫ জানুয়ারি, ২০২৩ রবিবার, জকিগঞ্জস্থ ফুলতলী ছাহেব বাড়িতে অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টা থেকে পরদিন ফজর পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য মাহফিলে সমবেতদের উদ্দেশ্যে তা’লীম ও তরবিয়ত প্রদান করবেন মুরশিদে বরহক হযরত আল্লামা ইমাদ উদ্দীন চৌধুরী বড় ছাহেব কিবলাহ ফুলতলী। এছাড়া…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
ynx1 · 3 years
Text
জাফর আস-সাদিক রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন :
তাক্বওয়ার চেয়ে বেশি সাওয়াব অর্জনের আর কোন উপায় নেই।নীরবতার চেয়ে ভালো আর কিছু নেই (যখন কথা বলার সময় কোন উপকার নেই)। এবং অজ্ঞতার চেয়ে ক্ষতিকারক আর কোন শত্রু নেই।
[ সিরুন আলামু আন-নুবালা ৬/২৬৩ ]
অনুবাদক : তারিক সাফওয়ান
1 note · View note
Link
ইসলাম নারী জাতিকে দান করেছে এক বিশেষ মর্যাদা। একমাত্র ইসলামই প্রতিষ্ঠা করেছে নারীর পূর্ণ অধিকার। তাকে দিয়েছে তার নিজস্ব গন্ডিতে ব্যাপক স্বাধীনতা। মহান রবের পক্ষ থেকে নারী পুরুষের মাঝে সাওয়াব ও প্রতিদানের ক্ষেত্রে কোন প্রকার তারতম্য সৃষ্টি করা হয়নি।
1 note · View note
israfil625 · 5 years
Text
মৃত্যু পরবর্তী বিদআতী আমলসমূহ
মৃত্যু পরবর্তী বিদআতী আমলসমূহ
সংকলনেঃ মোহাম্মাদ ইস্রাফিল হোসাইন।
মৃত্যু জন্য ইছালে সাওয়াব এর নামে বিভিন্ন বিদআতী আমল করে থাকে।
আপন জন বিশেষ করে পিতা মাতার প্রতি সবার ভালবাসা থাকে অসীম। তাদের জন্য ভাল কিছু একটা করা সকলের কাম্য বিশেষ করে তাদের মৃত্যুর পর, সংসারে ভাল কোন কাজ হলে বা সংসারে উন্নতী হলে তাদের কথা আরও বেশী মনে পরে। তখন তাদের জন্য কিছু একটা করার অপরিসীম ইচ্ছা জাগে কিন্তু তারা যে আর পৃথিবীতে নেই। তাই তাদের জান্য কিছু…
View On WordPress
2 notes · View notes
khutbahs · 2 years
Photo
Tumblr media
বাবা মার জন্য সন্তানের দোয়া ও ১২ করণীয়
দুনিয়ার জীবনে সন্তানের জন্য শ্রেষ্ঠ সম্পদ বাবা-মা। যার বাবা-মা বেঁচে নেই দুনিয়তে ওই ব্যক্তি সবচেয়ে বেশি অসহায়। বাবা-মার অভাব কখনো ধন-সম্পদ দিয়ে হয় না। বাবা-মার অভাব পূরণে কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনাও চলে না। সে কারণেই বাবা-মার জীবিত থাকুক আর না থাকুক তাদের জন্য সব সময় আল্লাহর কাছে দোয়া করার বিকল্প নেই। আবার মৃত বাবা-মার জন্য কুরআন-সুন্নাহ নির্দেশিত অনেক করণীয় রয়েছে। কী সেই করণীয়?
বাবা মার জন্য দোয়া আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে বাবা-মার জন্য বিশেষ ৩টি দোয়া উল্লেখ করেছেন। বাবা জীবিত থাকুক আর না থাকুক, তাদের জন্য সব সময় কুরআনে বর্ণিত দোয়াগুলো জরুরি। এ সব দোয়ায় আছে নিজেদের জন্য কল্যাণ পাওয়া ঘোষণা। তাহলো- ১. رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا উচ্চারণ : ‘রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানি সাগিরা।’ অর্থ : (হে আমাদের) পালনকর্তা! তাদের উভয়ের প্রতি দয়া কর; যেভাবে তারা আমাকে শৈশবে লালন-পালন করেছেন।’ (সুরা বনি ইসরাইল : আয়াত ২৪)
২. رَبَّنَا ٱغْفِرْ لِى وَلِوَٰلِدَىَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ ٱلْحِسَابُ উচ্চারণ : ‘রাব্বানাগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়্যা ওয়া লিলমুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব।’ অর্থ : ‘হে আমাদের রব! যেদিন হিসাব কায়েম হবে, সেদিন আপনি আমাকে, আমার বাবা-মাকে ও মুমিনদেরকে ক্ষমা করে দেবেন।’ (সুরা ইবরাহিম : আয়াত ৪১)
৩. رَّبِّ ٱغْفِرْ لِى وَلِوَٰلِدَىَّ وَلِمَن دَخَلَ بَيْتِىَ مُؤْمِنًا وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَٱلْمُؤْمِنَٰتِ وَلَا تَزِدِ ٱلظَّٰلِمِينَ إِلَّا تَبَارًۢا উচ্চারণ : ‘রাব্বিগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়্যা ওয়া লিমান দাখালা বাইতিয়া মুমিনাও ওয়া লিলমুমিনিনা ওয়াল মুমিনাত ওয়া লা তাযিদিজ জ্বালিমিনা ইল্লা তাবারা।’ অর্থ : ‘হে আমার রব! আমাকে, আমার বাবা-মাকে, যে আমার ঘরে ঈমানদার হয়ে প্রবেশ করবে তাকে এবং মুমিন নারী-পুরুষকে ক্ষমা করুন আর আপনি জালিমদের ধ্বংস ছাড়া আর কিছুই বাড়িয়ে দেবেন না।’ (সুরা নুহ : আয়াত ২৮)
বাবা-মার জন্য করণীয় দুনিয়ার সবচেয়ে মধুময় শব্দ ‘বাবা ও মা’। শব্দ দুইটির কোনো পরিমাপ বা তুলনা হয় না। কেননা প্রতিটি বাবা-মা সন্তানের জন্য যে অকৃত্রিম ভালো ও শ্রম দেন তা পরিমা��� করার কোনো উপায় নেই। সে কারণে বাবা-মার জন্য সন্তানের রয়েছে বেশ কিছু করণীয়। তাহলো-
১. বাবা-মার জন্য দান-সাদকাহ করা বাবা-মা বেঁচে থাকতে সন্তানের যত্ন নিতে গিয়ে কিংবা কোনো কারণে দান-সাদকাহ করে যেতে পারেননি অথবা বেঁচে থাকলে হয়তো আরও বেশি দান-সদকাহ করতেন। সে জন্য বাবা-মার পক্ষ থেকে সন্তানের উচিত বেশি বেশি দান করা। হাদিসে এসেছে- হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! হঠাৎ করে আমার মা মারা গেছেন এবং কোনো ওয়াসিয়ত করে যেতে পারেননি। আমার মনে হয়- তিনি যদি কথা বলতে পারতেন তাহলে ওয়াসিত করে যেতেন। এখন আমি যদি তার পক্ষ থেকে সাদকাহ করি তাহলে কি তিনি এর সাওয়াব পাবেন? উত্তরে তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ’।’ (মুসলিম)
সুতরাং বাবা-মার জন্য সাদকায়ে জারিয়া করাই উত্তম। তা হতে পারে- পানির কুপ খনন করা, (নলকুপ বসানো), দ্বীনী মাদরাসা প্রতিষ্ঠা, কুরআন শিক্ষার জন্য মক্তব ও প্রতিষ্ঠান তৈরি করা, স্থায়ী জনকল্যাণমূলক কাজ করা ইত্যাদি কাজ করা।
২. মা-বাবার জন্য রোজা রাখা মা-বাবা জীবিত নেই। যদি তাদের কোনো মানতের বা কাজা রোজা থাকে তবে তাদের পক্ষ থেকে এ রোজা পালন করার নির্দেশ রয়েছে হাদিসে। এতে তাদের মানতের ও কাজা রোজা আদায় হয়ে যাবে। এছাড়াও সন্তানরা তাদের উদ্দেশ্যে যে কোনো দিনে রোজা রাখতে পারেন। হাদিসে এসেছে- হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘রোজার কাজা (যিম্মায়) রেখে যদি কোনো ব্যক্তি মারা যায় তবে তার অভিভাবক (রেখে যাওয়া সন্তান বা আপনজন) তার পক্ষ থেকে সওম বা রোজা আদায় করবে।’ (বুখারি)
তবে অনেক ইসলামিক স্কলার বাবা-মার জন্য সন্তানের রোজা রাখার বিষয়ে শুধু ফরজ ও ওয়াজিব রোজা রাখার বিষয়টি নির্ধারণ করেছেন। নফল রোজা রাখার ব্যাপারে কোনো প্রমাণ যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন।
৩. বাবা-মার জন্য হজ ও ওমরাহ করা মা-বাবার পক্ষ থেকে হজ ও ওমরাহ করা। বাবা-মার উদ্দেশ্যে হজ ও ওমরাহ করলে তা আদায় হয়ে যাবে। হাদিসে এসেছে- হজরত ইবনে আববাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, জুহাইনা গোত্রের এক নারী রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বললেন, আমার মা হজের মান্নত করেছিলেন; তবে তিনি হজ করার আগেই ইন্তেকাল করেছেন। আমি কি তার পক্ষ থেকে হজ করতে পারি? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘তার পক্ষ থেকে তুমি হজ আদায় কর। তুমি এ ব্যাপারে কি মনে কর যে, ‘যদি তোমার মার উপর কোনো ঋণ থাকত, তাহলে কি তুমি তা আদায় করতে না?
সুতরাং আল্লাহর হক (হজের মান্নত) আদায় করে দাও। কেননা আল্লাহর হকই সবচেয়ে বেশি আদায়যোগ্য।’ (বুখারি)
তবে বাবা-মার পক্ষ থেকে হজ আদায় করার আগে নিজের হজ বা ওমরাহ আদায় করতে হবে। নিজের হজ-ওমরাহ আদায়ের পর বাবা-মার পক্ষ থেকে হজ ও ওমরাহ আদায় করবে।
৪. মা-বাবার জন্য কুরবানি মৃত বাবা-মার জন্য সাওয়াবের উদ্দেশ্যে বাবা-মার পক্ষ থেকে সন্তনরা কুরবানি করতে পারবে। তাতে তারা সাওয়াবের অধিকারী হবে। হাদিসে এসেছে- হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুরবানি করার জন্য দুই শিং বিশিষ্ট দুম্বা আনতে আদেশ দেন। যেটি কালোর মধ্যে চলাফেরা করতো (সেটির পায়ের গোড়া কালো ছিল)। কালোর মধ্যে শুইতো (পেটের নিম্নাংশ কালো ছিল)। আর কালোর মধ্য দিয়ে দেখতো (চোখের চারদিকে কালো ছিল)। সেটি আনা হলে তিনি আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে বললেন, ‘ছুরিটি নিয়ে এসো। তারপর বললেন, ওটা পাথরে ধার দাও। আমি (হজরত আয়েশা) ধার দিলাম। পরে তিনি সেটি নিলেন এবং দুম্বাটি ধরে শোয়ালেন। অতঃপর সেটা জবেহ করলেন এবং বললেন- بِاسْمِ اللَّهِ اللَّهُمَّ تَقَبَّلْ مِنْ مُحَمَّدٍ وَآلِ مُحَمَّدٍ وَمِنْ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ অর্থ : আল্লাহর নামে (জবাই করছি)। হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মদ, মুহাম্মাদ পরিবার ও তার উম্মাতের পক্ষ থেকে এটা কবুল করে নাও। এরপর এটা কুরবানি করেন।’ (মুসলিম)
৫. বাবা-মার ওসিয়ত পূরণ করা বাবা-মা যদি ইসলামি শরিয়ত সম্মত কোনো ওসিয়ত করে যান তবে তা পূরণ করা সন্তানের ওপর আবশ্যক। হাদিসে এসেছে- হজরত শারিদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, তাঁর মা তাঁকে তাঁর (মায়ের) পক্ষ থেকে একজন মুমিন দাসী আজাদ করার জন্য ওসীয়ত করে যান। তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছ উপস্থিত হয়ে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আমার মা (তাঁর মৃত্যুর সময়) তাঁর পক্ষে একজন মুমিন দাসী আজাদ করার জন্য ওসিয়ত করে গেছেন। এখন আমার কাছে হাবশের 'নূবিয়্যা' অঞ্চলের একজন দাসী আছে। এরপর আগের হাদিসে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে, তাহলো- ‘তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তাঁকে আমার কাছে নিয়ে আস। রাবি বলেন, তখন আমি তাকে নিয়ে আস। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে জিজ্ঞাসা করেন- আল্লাহ কোথায়? সে বলে, আসমানে। এরপর তিনি জিজ্ঞাসা করেন- আমি কে? সে বলে, আপনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘তাকে আজাদ করে দাও। সে মুমিন।’ (আবু দাউদ)
৬. বাবা-মার বন্ধু-বান্ধবীদের সম্মান করা বাবা-মার বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা, উত্তম আচরণ করা, সম্মান করা এবং তাদেরকে দেখতে যাওয়া ও তাদের জন্য হাদিয়া (উপহার) নেওয়া। হাদিসে এসেছে- হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, মক্কার এক রাস্তায় আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুর সঙ্গে এক বেদুঈনের দেখা হলো। আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু তাকে সালাম দিলেন এবং তিনি যে গাধার পিঠে আরোহণ করতেন, সে গাধটি তাকে আরোহণের জন্য দিয়ে দিলেন। তিনি তার মাথার পাগড়ীটিও তাকে দান করলেন।
তখন (উপস্থিত) আব্দুল্লাহ ইবনে দীনার রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাকে বললেন যে, আমরা তাকে বললাম- ‘আল্লাহ আপনার কল্যাণ করুন। বেদুঈনরা তো অল্পেই সন্তুষ্ট হয়ে যায়। (এতো দেওয়ার প্রয়োজন কী ছিল?) তখন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, এ ব্যক্তির (বেদুইনের) বাবা ওমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহুর বন্ধু ছিলেন।
আর আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, ‘কোনো ব্যক্তির সর্বোত্তম নেকির কাজ হচ্ছে তার বাবার বন্ধুর সঙ্গে সহমর্মিতার সম্পর্ক বজায় রাখা।’(মুসলিম)
৭. বাবা-মার আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা বাবা-মার আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা সন্তানের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে বিশ্বনবি বলেছেন- مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَصِلَ أَبَاهُ فِي قَبْرِهِ،فَلْيَصِلْ إِخْوَانَ أَبِيهِ بَعْدَهُ ‘যে ব্যক্তি তার বাবার সঙ্গে কবরে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে ভালোবাসে, সে যেন বাবার মৃত্যুর পর তার ভাইদের সাথে সুসম্পর্ক রাখে।’ (ইবন হিববান)
৮. বাবা-মার ঋণ পরিশোধ করা দুনিয়াতে বেঁচে থাকাকালীন সময়ে বাবা-মা কোনো ঋণ করার পর তা পরিশোধ করার আগে মারা গেলে সন্তানের জন্য আবশ্যক বাবা-মার ঋণ পরিশোধ করা। কেননা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঋণ পরিশোধ করার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। হাদিসে এসেছে- হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মুমিন ব্যক্তির রূহ তার ঋণের কারণে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে, যতক্ষণ না তা পরিশোধ করা হয়।’ (ইবনে মাজাহ)
এমনকি ঋণ পরিশোধ না করার কারণে জান্নাতের যাওয়���র পথও বন্ধ হয়ে যায়; যদি সে আল্লাহর রাস্তায় শহিদও হয়। হাদিসে এসেছে- ‘যতক্ষণ পর্যন্ত বান্দার ঋণ পরিশোধ না করা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।’ (নাসাঈ, তাবরানি, মুসতাদরাকে হাকেম)
৯. বাবা-মার কাফফারা আদায় করা শপথ, ভুলকৃত হত্যাসহ যে কোনো কারণে যদি বাবা-মার কাফফারা বাকি থাকে তবে তা আদায় করা সন্তানের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য। হাদিসে এসেছে- হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে গভীর রাত পর্যন্ত দেরি করে (ইশার নামাজ পড়ে)। এরপর তার পরিবারের কাছে গিয়ে দেখে যে, বাচ্চারা ঘুমিয়ে পড়েছে। তার স্ত্রী তার খাবার নিয়ে এলে সে সন্তানদের কারণে কসম করলো যে, সে খাবে না। পরে তার ভাবান্তর ঘটলো এবং সে খেয়ে নিল। তারপর সে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে আসে ও তাঁকে এ ঘটনা বলে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, যে ব্যক্তি কোনো বিষয়ে কসম করে, পরে তার বিপরীতটিকে তা থেকে উত্তম মনে করে, সে যেন তা করে ফেলে এবং নিজের কসমের কাফফারা দেয়।’ (মুসলিম)
কাফফারার এ বিধান জীবিত-মৃত সবার জন্য সমভাবে প্রযোজ্য। যদি কোনো বাবা-মার এ রকম কোনো কাফফারা বাকি থাকে তবে সন্তানের ওপর তা আদায় করা আবশ্যক।
১০. বাবা-মার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা মা-বাবার জন্য আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করা গুরুত্বপূর্ণ আমল। সন্তান মা-বাবার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাআলা তাদের মর্যাদা বাড়িয়ে দেন। হাদিসে এসেছে- হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, মৃত্যুর পর কোনো বান্দাহর মর্যাদা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। তখন সে বলে- হে আমার রব! আমি তো এতো মর্যাদার আমল করিনি, কীভাবে এ আমল এলো? তখন বলা হবে- তোমার সন্তান তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করায় এ মর্যাদা তুমি পেয়েছ।’ (আদাবুল মুফরাদ)
১১. বাবা-মার কবর জিয়ারত করা বাবা-মার কবর জিয়ারত করা সন্তানের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য। এর মাধ্যমে সন্তান এবং মা-বাবা উভয়ই উপকৃত হয়। হাদিসে এসেছে- হজরত সুলাইমান ইবনে বুরাইদা রাহমাতুল্লাহি আলাইহি তার বাবার সূত্রে বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আমি তোমাদের কবর জিয়ারাত করতে নিষেধ করেছিলাম। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তার মায়ের কবর জিয়ারত করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সুতরাং তোমরা কবর জিয়ারত কর। কেননা, তা পরকালের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।’ (তিরমিজি)
তবে কবর জিয়ারতে কোনো দিনকে নির্দিষ্ট না করা উত্তম। কবর জিয়ারত করার সময় এ দোয়া পড়া- السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الدِّيَارِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ لَلَاحِقُونَ أَسْأَلُ اللَّهَ لَنَا وَلَكُمْ الْعَافِيَةَ উচ্চারণ :‘ আস-সালামু আলাইকুম আহলাদদিয়ারি মিনাল মুমিনিনা ওয়াল মুসলিমনিা ওয়া ইন্না ইনশাআল্লাহু লা লাহিকুনা আসআলুল্লাহু লানা ওয়া লাকুমুল আফিয়াতি।’ অর্থ : ‘হে ক্ববরবাসী ঈমানদার মুসলিমগণ! তোমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। আল্লাহর ইচ্ছায় আমরাও তোমাদের সাথে মিলিত হব। আমি আমাদের ও তোমাদের জন্য আল্লাহর কাছে নিরাপত্তার আবেদন জানাচ্ছি।’ (মুসলিম)
১২. কোনো গোনাহের কাজ করে গেলে তা বন্ধ করা বাবা-মা বেঁচে থাকতে কোনো গোনাহের কাজের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকলে বা চালু করে গেলে তা বন্ধ করা আবশ্যক। হাদিসে এসেছে- হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে লোক সঠিক পথের দিকে ডাকে তার জন্য সে পথের অনুসারীদের প্রতিদানের সমান প্রতিদান রয়েছে। এতে তাদের প্রতিদান হতে সামান্য ঘাটতি হবে না। আর যে লোক বিভ্রান্তির দিকে ডাকে তার উপর সে রাস্তার অনুসারীদের পাপের অনুরূপ পাপ বর্তাবে। এতে তাদের পাপরাশি সামান্য হালকা হবে না।’ (মুসলিম)
অল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জীবিত-মৃত বাবা-মার জন্য বেশি বেশি দোয়া করা। বাবা-মার মৃত্যুর পর হাদিসে নির্দেশিত করণীয়গুলো যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
https://www.youtube.com/watch?v=1Gpjw5aBoOQ
https://www.youtube.com/watch?v=sqwGeG_Lp0Y
https://www.youtube.com/watch?v=A-PK1pX0hGs
https://www.youtube.com/watch?v=g1aAvbfymAU
https://www.youtube.com/watch?v=e7-CF_VPldw
0 notes
ilyforallahswt · 2 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
শেষ দশকে ইতিকাফ
Itikaf in the last decade
ইতিকাফ শেষ দশকে
 
আল্লাহ তাআলার আনুগত্যের উদ্দেশে বিশেষ নিয়তে, বিশেষ অবস্থায় মসজিদে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে। ইতিকাফ একটি বিশেষ ইবাদত। মদিনায় অবস্থানকালে রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতিবছরই ইতিকাফ পালন করেছেন। রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করা সুন্নাতে মুআক্কাদায়ে কেফায়া।
অর্থাৎ পুরো মহল্লার কেউ ইতিকাফ না করলে সবাই গুনাহগার হবে। আর একজনও যদি আদায় করে, তাহলে সবাই রেহাই পাবে। এই ইতিকাফের জন্য রমজানের ২০ তারিখ সূর্য অস্ত যাওয়ার আগে মসজিদে প্রবেশ করতে হবে। আর ঈদের চাঁদ উদিত হলে ইতিকাফকারী মসজিদ থেকে বের হতে পারবে।
তবে ঈদের নামাজ আদায় করে বের হওয়া উত্তম। কেননা এতে ঈদের রাতে বিশেষ ফজিলতপূর্ণ ইবাদত করা যায়।
ইতিকাফরত অবস্থায় বান্দা নিজেকে আল্লাহর ইবাদতের জন্য দুনিয়ার অন্য সব বিষয় থেকে আলাদা করে নেয়। ঐকান্তিকভাবে মশগুল হয়ে পড়ে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের নিরন্তর সাধনায়।
কোরআনুল কারিমে বিভিন্নভাবে ইতিকাফ সম্পর্কে বর্ণনা এসেছে। ইব্রাহিম (আ.) ও ইসমাইল (আ.)-এর সম্পর্কে বলা হয়েছে : ‘আমি ইব্রাহিম ও ইসমাইলকে আদেশ করলাম, তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকু-সেজদাকারীদের জন্য পবিত্র করো।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১২৫)
হাদিসেও ইতিকাফ সম্পর্কে বিভিন্ন বর্ণনা এসেছে। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘ইন্তেকাল পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করেছেন, এরপর তাঁর স্ত্রীগণ ইতিকাফ করেছেন।’ (বুখারি, হাদিস : ১৮৬৮, মুসলিম, হাদিস : ২০০৬)
ইতিকাফের রুকন হলো মসজিদে অবস্থান করা। হানাফি মাজহাব মতে ইতিকাফের জন্য রোজা শর্ত। মুসলমান হওয়া শর্ত। কেননা কাফিরের ইবাদত গ্রহণযোগ্য হয় না। ইতিকাফকারীকে বোধশক্তিসম্পন্ন হতে হবে, কেননা নির্বোধ ব্যক্তির কাজের কোনো উদ্দেশ্য থাকে না, আর উদ্দেশ্য ছাড়া কাজ শুদ্ধ হতে পারে না। ভালোমন্দ পার্থক্য করার জ্ঞান থাকতে হবে, কেননা কম বয়সী, যে ভালোমন্দের পার্থক্য করতে পারে না, তার নিয়তও শুদ্ধ হয় না। ইতিকাফের নিয়ত করতে হবে, কেননা মসজিদে অবস্থান হয়তো ইতিকাফের নিয়তে হবে অথবা অন্য কোনো নিয়তে। আর এ দুটির মধ্যে পার্থক্য করার জন্য নিয়তের প্রয়োজন। রাসুল (সা.) তো বলেছেন : ‘প্রত্যেক কাজের নির্ভরতা নিয়তের ওপর, যে যা নিয়ত করবে সে কেবল তা-ই পাবে।’ (বুখারি, হাদিস : ১) 
বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী সবচেয়ে কম সময়ের ওয়াজিব ইতিকাফ হলো, এক দিন-এক রাত কিংবা এর বেশির ভাগ সময়। তবে নফল ইতিকাফ অল্প সময়ের জন্য, এমনকি এক মুহূর্তের জন্যও হতে পারে বলে ইমাম মুহাম্মদ (রহ.) মত দিয়েছেন। সর্বোচ্চ কত দিনের জন্য ইতিকাফ করা যায়—এ ব্যাপারে ওলামাদের মতামত হলো, এ ব্যাপারে নির্ধারিত কোনো সীমারেখা নেই।
ইতিকাফের জন্য সর্বোত্তম স্থান হলো বাইতুল্লাহ শরিফ। বাইতুল্লাহ শরিফের পর মসজিদে নববী। এরপর বাইতুল মুকাদ্দাস। তারপর জুমা আদায় করা হয় এমন মসজিদ। এরপর মহল্লার যে মসজিদে নামাজির সংখ্যা বেশি হয়। ইতিকাফের ফজিলত সম্পর্কে ইমাম জুহুরি (রহ.) বলেন, রাসুল (সা.) অনেক নফল কাজ কখনো করতেন, কখনো ছেড়ে দিতেন। কিন্তু মদিনায় হিজরত করার পর থেকে ওফাত পর্যন্ত কখনো রমজান মাসের শেষ ১০ দিনের ইতিকাফ কাজা করেননি। আফসোসের বিষয়, মানুষ তাঁর পুরোপুরি পাবন্দি করে না।
আবু হুরাইরা (রা) বলেন : ‘রাসুল (সা.) প্রতি রমজানে ১০ দিন ইতিকাফ করতেন, তবে যে বছর তিনি পরলোকগত হন, সে বছর ২০ দিন ইতিকাফে কাটান। (বুখারি, হাদিস : ১৯০৩)
এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘ইতিকাফকারী গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে এবং তার জন্য আমল করা ছাড়াই অন্য নেককারদের ন্যায় নেকি বরাদ্দ করা হয়।’
অন্য এক হাদিসে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করবে, তাকে দুটি হজ ও দুটি ওমরাহ পালন করার সাওয়াব দান করা হবে।’
কাজেই এটি সাওয়াব হাসিলের মহা সুযোগ। পুরুষের মতো নারীরাও ইতিকাফ করতে পারবে। এ জন্য উল্লিখিত শর্তাবলির সঙ্গে স্বামীর অনুমতির বিষয়টি যোগ করতে হবে। আর নারীরা ঘরের কোণে আলাদা কোনো বিশেষ স্থানে ইতিকাফ করবেন।
এমন কিছু কাজ রয়েছে, যা করার দ্বারা ইতিকাফ ভেঙে যায়। যেমন—মসজিদ বা ইতিকাফের স্থান থেকে কোনো প্রয়োজন ছাড়া বের হওয়া। ইতিকাফ অবস্থায় ইসলাম ত্যাগ করে অন্য ধর্ম গ্রহণ করা। অজ্ঞান, পাগল বা মাতাল হয়ে যাওয়া। নারীদের মাসিক শুরু হওয়া। গর্ভপাত হওয়া। সহবাস করলে। বীর্যপাত ঘটলে। ইতিকাফকারীকে জোরপূর্বক মসজিদ বা ইতিকাফের স্থান থেকে বের করে দিলেও ইতিকাফ ভেঙে যাবে। একান্ত প্রয়োজনসহ আরো কিছু কারণে ইতিকাফকারী মসজিদ বা ইতিকাফের স্থান থেকে বাইরে বের হতে পারবেন। আর তা হলো প্রস্রাব-পায়খানা। ফরজ গোসল। খাবার পৌঁছে দেওয়ার লোক না থাকলে খাবার খাওয়ার জন্য। যে মসজিদে ইতিকাফ করছেন সেটা যদি জামে মসজিদ না হয়, তাহলে জুমার নামাজ আদায় করার জন্য ইত্যাদি অবস্থায় ইতিকাফকারী মসজিদ থেকে বের হতে পারবেন।
ইতিকাফের গুরুত্ব ও ফজিলত
যেহেতু মসজিদ আল্লাহর ঘর, সেহেতু ইতেকাফকারী আল্লাহর প্রতিবেশী বা আল্লাহর ঘরের মেহমান হয়ে যান। ইতেকাফের ফজিলত অনেক বেশি। রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ইতেকাফ করলে ২৭ রমজান যদি শবে কদর না-ও হয়, তবু এ ১০ দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট শবে কদরের ইবাদত ইতেকাফে আদায় হয়ে যায় এবং এর ফলে কদরের রাতের ফজিলতও লাভ করা যায়।
ইতিকাফ’ আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো অবস্থান করা, আবদ্ধ করা বা আবদ্ধ রাখা। ইসলামি পরিভাষায় ইতিকাফ হলো ইবাদতের উদ্দেশ্যে ইতিকাফের নিয়তে নিজেকে নির্দিষ্ট জায়গায় নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আবদ্ধ রাখা। যিনি ইতিকাফ করেন, তাঁকে ‘মুতাকিফ’ বলে। আল্লাহ তাআলা বলেন: যখন আমি কাবা গৃহকে মানুষের জন্য সম্মিলন স্থল ও শান্তির আলয় করলাম, আর তোমরা ইব্রাহিমের দাঁড়ানোর জায়গাকে (মাকামে ইব্রাহিম) নামাজের জায়গা বানাও এবং আমি ইব্রাহিম ও ইসমাইলকে আদেশ করলাম, তোমরা আমার গৃহকে তওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকু সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র রাখো। আর যতক্ষণ তোমরা ইতিকাফ অবস্থায় মসজিদে অবস্থান করো, ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীদের সঙ্গে মিশো না। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক বেঁধে দেওয়া সীমানা। অতএব, এর কাছেও যেয়ো না। এমনিভাবে বর্ণনা করেন আল্লাহ তাঁর আয়াতগুলো মানুষের জন্য, যাতে তারা তাকওয়া লাভ করতে পারে। (সুরা-২ [৮৭] আল বাকারা (মাদানি), রুকু: ১৫/১৫, আয়াত: ১২৫, মঞ্জিল: ১, পারা: ১ আলিফ লাম মিম, পৃষ্ঠা: ২০/১৮)। হজরত আয়িশা (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সা.) আজীবন রমজানের শেষ দশকগুলো ইতিকাফ করেছেন। তাঁর ওফাতের পরও তাঁর বিবিগণ ইতিকাফ করতেন। (বুখারি ও মুসলিম; আলফিয়্যাতুল হাদিস: ৫৪৬, পৃষ্ঠা: ১২৯)।
ইতিকাফ একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত ইবাদাত। ইতিকাফের মাধ্যমে মানুষ দুনিয়ার সবকিছু ছেড়ে আক্ষরিক অর্থেই বাহ্যত আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে যায়। রমজানের শেষ দশক তথা ২০ রমজান সূর্যাস্তের পূর্ব থেকে ঈদের চাঁদ তথা শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়া বা ৩০ রমজান পূর্ণ হয়ে ওই দিন সূর্যাস্ত পর্যন্ত (৯ দিন বা ১০ দিন) ইতিকাফ করা সুন্নাতে মুআক্কাদাহ কিফায়াহ। কোনো মসজিদে মহল্লার কয়েকজন বা কোনো একজন আদায় করলে সবাই দায়মুক্ত হবে। আর কেউই আদায় না করলে সবাই দায়ী থাকবে। তবে আদায়ের ক্ষেত্রে যিনি বা যাঁরা আদায় করবেন, শুধু তিনি বা তাঁরাই সওয়াবের অধিকারী হবেন।
১০ দিনের কম যেকোনো পরিমাণ সময় ইতিকাফ করলে তা নফল ইতিকাফ হিসেবে গণ্য হবে। নফল ইতিকাফও অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল; তাই সম্পূর্ণ সুন্নত ইতিকাফ পালন করতে না পারলে যত দূর সম্ভব নফল ইতিকাফ করাও গুরুত্বপূর্ণ। ইতিকাফের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো শবে কদরপ্রাপ্তি; রমজানের শেষ দশক ইতিকাফ করলে শবে কদরপ্রাপ্তি নিশ্চিত হয়। পুরুষদের মসজিদে ইতিকাফ করতে হয়; নারীরা নির্দিষ্ট ঘরে বা নির্ধারিত কক্ষেইতিকাফ করবেন। নফল ইতিকাফও অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল; তাই সম্পূর্ণ সুন্নত ইতিকাফ পালন করতে না পারলে যত দূর সম্ভব নফল ইতিকাফ করাও গুরুত্বপূর্ণ। নফল ইতিকাফ বছরের যেকোনো সময়ই করা যায়। ইতিকাফের জন্য রোজা শর্ত; কিন্তু স্বল্প সময় (এক দিনের কম সময়) ইতিকাফ করলে তার জন্য রোজা রাখা শর্ত নয়। নফল ইতিকাফ মান্নত করলে বা আরম্ভ করে ছেড়ে দিলে, তা পূর্ণ করা ওয়াজিব। এর জন্য রোজা শর্ত এবং এটি এক দিনের (২৪ ঘণ্টা) কমে হবে না।
আজকাল কোনো কোনো মসজিদে দেখা যায় ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদিম বা মসজিদ কমিটির লোকজন, এমনকি স্থানীয় মুসল্লিদের কেউই ইতিকাফ করছেন না। বরং বাইরে থেকে ভাড়াটে কাউকে এনে কিছু টাকাপয়সা দিয়ে ইতিকাফ করান। এতে ইতিকাফের লক্ষ্য অর্জন হয় না। হ্যাঁ, যে কেউ যেকোনো মসজিদে ইতিকাফ করতে পারেন এবং যে কাউকে যে কেউ হাদিয়া বা উপঢৌকন দিতে পারেন। একজন পরহেজগার লোককে সম্মানিত করা বা সহযোগিতা করাতে দোষ নেই; কিন্তু এটি যেন ইবাদতের উদ্দেশ্যকে ব্যাহত না করে। (মাজমুআ ফাতাওয়া)।
নারীরা নিজ ঘরে বা নির্দিষ্ট কক্ষে ইতিকাফ করবেন। প্রাকৃতিক প্রয়োজন ও একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ওই ঘর বা কক্ষ থেকে বের হবেন না। তবে দরকার হলে ওই কক্ষের ভেতর থেকে বাইরের কাউকে ডাকতে পারবেন এবং কেউ ভেতরে এলে তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা বলতে পারবেন। ইতিকাফ কক্ষটি যদি শয়নকক্ষÿ হয় এবং একই কক্ষে বা একই বিছানায় অন্য যে কেউ অবস্থান করেন, তাতেও কোনো ক্ষতি নেই; এমনকি স্বামীও পাশে থাকতে পারবেন, তবে স্বামী-স্ত্রীসুলভ আচরণ ইতিকাফ অবস্থায় নিষিদ্ধ; এর দ্বারা ইতিকাফ নষ্ট হয়ে যাবে। ইতিকাফের সময় ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন। (মাজমুআ ফাতাওয়া ও ফাতাওয়া হিন্দিয়া)। আল্লাহ তাআলা বলেন: ‘আর তোমরা স্ত্রীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ো না, যখন তোমরা ইতিকাফরত থাকবে মসজিদে (নির্দিষ্ট স্থানে)। (সুরা-২ [৮৭] আল বাকারা (মাদানি), রুকু: ২৩/৭, আয়াত: ১৮৭, মঞ্জিল: ১, পারা: ২ সাইয়াকুল, পৃষ্ঠা: ২৯/৭)।
ইতিকাফ অবস্থায় ইতিকাফকারী ফরজ ইবাদতের বাইরে কোনো নফল ইবাদত না করলেও ইতিকাফের সওয়াব পাবেন। তবে অতিরিক্ত নফল ইবাদত করলে আরও বেশি ফজিলতের অধিকারী হবেন। যেমন: কোরআন শরিফ তিলাওয়াত করা, নফল নামাজ পড়া, কাজা নামাজ আদায় করা, দোয়া–দরুদ পাঠ করা, জিকির আসকার করা, তাসবিহ তাহলিল পাঠ করা।
এ ছাড়া দিনি কথাবার্তা ও ধর্মীয় জ্ঞানচর্চা করাও সওয়াবের কাজ। যেমন: কোরআন, হাদিস, ফিকাহ, তাফসির ইত্যাদি পাঠ করা ও তালিম করা। ইতিকাফ অবস্থায় এমন সব কথা বলা ও কাজ করা বৈধ, যাতে কোনো গুনাহ নেই। প্রয়োজনীয় সাংসারিক কথাবার্তা বলতেও নিষেধ নেই; তবে অহেতুক অযথা বেহুদা কথাবার্তা দ্বারা ইবাদতের পরিবেশ নষ্ট করা যাবে না। ইতিকাফকারী মসজিদের মধ্যে ইতিকাফরত অবস্থায় সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারবেন এবং মাথায়, দাঁড়িতে ও চুলে তেল লাগাতে পারবেন। মাথার চুলে ও দাড়িতে চিরুনি করতে পারবেন। (আল বাদায়ে ওয়াস সানায়ে)। যাঁরা শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত, তাঁরা ইতিকাফ অবস্থায় মসজিদের ভেতরে তালিম দিতে পারবেন। (খোলাসা)।
ইতিকাফ সর্বনিম্ন কত ঘন্টা ।। সর্বোচ্চ কত দিন রাখা যাবে ।
https://www.youtube.com/watch?v=rnG339BmGDg
 
ইতেকাফে বসার সঠিক নিয়ম কী?
youtube
ইতেকাফ কীভাবে করবেন, ইতেকাফের নিয়ম ও বিশেষ ফজিলত
youtube
শেষ দশকে ইতিকাফ
Itikaf in the last decade
ইতিকাফ শেষ দশকে
ইতিকাফের গুরুত্ব ও ফজিলত
0 notes
myreligionislam · 2 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
শেষ দশকে ইতিকাফ
Itikaf in the last decade
ইতিকাফ শেষ দশকে
 
আল্লাহ তাআলার আনুগত্যের উদ্দেশে বিশেষ নিয়তে, বিশেষ অবস্থায় মসজিদে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে। ইতিকাফ একটি বিশেষ ইবাদত। মদিনায় অবস্থানকালে রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতিবছরই ইতিকাফ পালন করেছেন। রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করা সুন্নাতে মুআক্কাদায়ে কেফায়া।
অর্থাৎ পুরো মহল্লার কেউ ইতিকাফ না করলে সবাই গুনাহগার হবে। আর একজনও যদি আদায় করে, তাহলে সবাই রেহাই পাবে। এই ইতিকাফের জন্য রমজানের ২০ তারিখ সূর্য অস্ত যাওয়ার আগে মসজিদে প্রবেশ করতে হবে। আর ঈদের চাঁদ উদিত হলে ইতিকাফকারী মসজিদ থেকে বের হতে পারবে।
তবে ঈদের নামাজ আদায় করে বের হওয়া উত্তম। কেননা এতে ঈদের রাতে বিশেষ ফজিলতপূর্ণ ইবাদত করা যায়।
ইতিকাফরত অবস্থায় বান্দা নিজেকে আল্লাহর ইবাদতের জন্য দুনিয়ার অন্য সব বিষয় থেকে আলাদা করে নেয়। ঐকান্তিকভাবে মশগুল হয়ে পড়ে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের নিরন্তর সাধনায়।
কোরআনুল কারিমে বিভিন্নভাবে ইতিকাফ সম্পর্কে বর্ণনা এসেছে। ইব্রাহিম (আ.) ও ইসমাইল (আ.)-এর সম্পর্কে বলা হয়েছে : ‘আমি ইব্রাহিম ও ইসমাইলকে আদেশ করলাম, তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকু-সেজদাকারীদের জন্য পবিত্র করো।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১২৫)
হাদিসেও ইতিকাফ সম্পর্কে বিভিন্ন বর্ণনা এসেছে। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘ইন্তেকাল পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করেছেন, এরপর তাঁর স্ত্রীগণ ইতিকাফ করেছেন।’ (বুখারি, হাদিস : ১৮৬৮, মুসলিম, হাদিস : ২০০৬)
ইতিকাফে��� রুকন হলো মসজিদে অবস্থান করা। হানাফি মাজহাব মতে ইতিকাফের জন্য রোজা শর্ত। মুসলমান হওয়া শর্ত। কেননা কাফিরের ইবাদত গ্রহণযোগ্য হয় না। ইতিকাফকারীকে বোধশক্তিসম্পন্ন হতে হবে, কেননা নির্বোধ ব্যক্তির কাজের কোনো উদ্দেশ্য থাকে না, আর উদ্দেশ্য ছাড়া কাজ শুদ্ধ হতে পারে না। ভালোমন্দ পার্থক্য করার জ্ঞান থাকতে হবে, কেননা কম বয়সী, যে ভালোমন্দের পার্থক্য করতে পারে না, তার নিয়তও শুদ্ধ হয় না। ইতিকাফের নিয়ত করতে হবে, কেননা মসজিদে অবস্থান হয়তো ইতিকাফের নিয়তে হবে অথবা অন্য কোনো নিয়তে। আর এ দুটির মধ্যে পার্থক্য করার জন্য নিয়তের প্রয়োজন। রাসুল (সা.) তো বলেছেন : ‘প্রত্যেক কাজের নির্ভরতা নিয়তের ওপর, যে যা নিয়ত করবে সে কেবল তা-ই পাবে।’ (বুখারি, হাদিস : ১) 
বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী সবচেয়ে কম সময়ের ওয়াজিব ইতিকাফ হলো, এক দিন-এক রাত কিংবা এর বেশির ভাগ সময়। তবে নফল ইতিকাফ অল্প সময়ের জন্য, এমনকি এক মুহূর্তের জন্যও হতে পারে বলে ইমাম মুহাম্মদ (রহ.) মত দিয়েছেন। সর্বোচ্চ কত দিনের জন্য ইতিকাফ করা যায়—এ ব্যাপারে ওলামাদের মতামত হলো, এ ব্যাপারে নির্ধারিত কোনো সীমারেখা নেই।
ইতিকাফের জন্য সর্বোত্তম স্থান হলো বাইতুল্লাহ শরিফ। বাইতুল্লাহ শরিফের পর মসজিদে নববী। এরপর বাইতুল মুকাদ্দাস। তারপর জুমা আদায় করা হয় এমন মসজিদ। এরপর মহল্লার যে মসজিদে নামাজির সংখ্যা বেশি হয়। ইতিকাফের ফজিলত সম্পর্কে ইমাম জুহুরি (রহ.) বলেন, রাসুল (সা.) অনেক নফল কাজ কখনো করতেন, কখনো ছেড়ে দিতেন। কিন্তু মদিনায় হিজরত করার পর থেকে ওফাত পর্যন্ত কখনো রমজান মাসের শেষ ১০ দিনের ইতিকাফ কাজা করেননি। আফসোসের বিষয়, মানুষ তাঁর পুরোপুরি পাবন্দি করে না।
আবু হুরাইরা (রা) বলেন : ‘রাসুল (সা.) প্রতি রমজানে ১০ দিন ইতিকাফ করতেন, তবে যে বছর তিনি পরলোকগত হন, সে বছর ২০ দিন ইতিকাফে কাটান। (বুখারি, হাদিস : ১৯০৩)
এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘ইতিকাফকারী গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে এবং তার জন্য আমল করা ছাড়াই অন্য নেককারদের ন্যায় নেকি বরাদ্দ করা হয়।’
অন্য এক হাদিসে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করবে, তাকে দুটি হজ ও দুটি ওমরাহ পালন করার সাওয়াব দান করা হবে।’
কাজেই এটি সাওয়াব হাসিলের মহা সুযোগ। পুরুষের মতো নারীরাও ইতিকাফ করতে পারবে। এ জন্য উল্লিখিত শর্তাবলির সঙ্গে স্বামীর অনুমতির বিষয়টি যোগ করতে হবে। আর নারীরা ঘরের কোণে আলাদা কোনো বিশেষ স্থানে ইতিকাফ করবেন।
এমন কিছু কাজ রয়েছে, যা করার দ্বারা ইতিকাফ ভেঙে যায়। যেমন—মসজিদ বা ইতিকাফের স্থান থেকে কোনো প্রয়োজন ছাড়া বের হওয়া। ইতিকাফ অবস্থায় ইসলাম ত্যাগ করে অন্য ধর্ম গ্রহণ করা। অজ্ঞান, পাগল বা মাতাল হয়ে যাওয়া। নারীদের মাসিক শুরু হওয়া। গর্ভপাত হওয়া। সহবাস করলে। বীর্যপাত ঘটলে। ইতিকাফকারীকে জোরপূর্বক মসজিদ বা ইতিকাফের স্থান থেকে বের করে দিলেও ইতিকাফ ভেঙে যাবে। একান্ত প্রয়োজনসহ আরো কিছু কারণে ইতিকাফকারী মসজিদ বা ইতিকাফের স্থান থেকে বাইরে বের হতে পারবেন। আর তা হলো প্রস্রাব-পায়খানা। ফরজ গোসল। খাবার পৌঁছে দেওয়ার লোক না থাকলে খাবার খাওয়ার জন্য। যে মসজিদে ইতিকাফ করছেন সেটা যদি জামে মসজিদ না হয়, তাহলে জুমার নামাজ আদায় করার জন্য ইত্যাদি অবস্থায় ইতিকাফকারী মসজিদ থেকে বের হতে পারবেন।
ইতিকাফের গুরুত্ব ও ফজিলত
যেহেতু মসজিদ আল্লাহর ঘর, সেহেতু ইতেকাফকারী আল্লাহর প্রতিবেশী বা আল্লাহর ঘরের মেহমান হয়ে যান। ইতেকাফের ফজিলত অনেক বেশি। রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ইতেকাফ করলে ২৭ রমজান যদি শবে কদর না-ও হয়, তবু এ ১০ দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট শবে কদরের ইবাদত ইতেকাফে আদায় হয়ে যায় এবং এর ফলে কদরের রাতের ফজিলতও লাভ করা যায়।
ইতিকাফ’ আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো অবস্থান করা, আবদ্ধ করা বা আবদ্ধ রাখা। ইসলামি পরিভাষায় ইতিকাফ হলো ইবাদতের উদ্দেশ্যে ইতিকাফের নিয়তে নিজেকে নির্দিষ্ট জায়গায় নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আবদ্ধ রাখা। যিনি ইতিকাফ করেন, তাঁকে ‘মুতাকিফ’ বলে। আল্লাহ তাআলা বলেন: যখন আমি কাবা গৃহকে মানুষের জন্য সম্মিলন স্থল ও শান্তির আলয় করলাম, আর তোমরা ইব্রাহিমের দাঁড়ানোর জায়গাকে (মাকামে ইব্রাহিম) নামাজের জায়গা বানাও এবং আমি ইব্রাহিম ও ইসমাইলকে আদেশ করলাম, তোমরা আমার গৃহকে তওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকু সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র রাখো। আর যতক্ষণ তোমরা ইতিকাফ অবস্থায় মসজিদে অবস্থান করো, ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীদের সঙ্গে মিশো না। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক বেঁধে দেওয়া সীমানা। অতএব, এর কাছেও যেয়ো না। এমনিভাবে বর্ণনা করেন আল্লাহ তাঁর আয়াতগুলো মানুষের জন্য, যাতে তারা তাকওয়া লাভ করতে পারে। (সুরা-২ [৮৭] আল বাকারা (মাদানি), রুকু: ১৫/১৫, আয়াত: ১২৫, মঞ্জিল: ১, পারা: ১ আলিফ লাম মিম, পৃষ্ঠা: ২০/১৮)। হজরত আয়িশা (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সা.) আজীবন রমজানের শেষ দশকগুলো ইতিকাফ করেছেন। তাঁর ওফাতের পরও তাঁর বিবিগণ ইতিকাফ করতেন। (বুখারি ও মুসলিম; আলফিয়্যাতুল হাদিস: ৫৪৬, পৃষ্ঠা: ১২৯)।
ইতিকাফ একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত ইবাদাত। ইতিকাফের মাধ্যমে মানুষ দুনিয়ার সবকিছু ছেড়ে আক্ষরিক অর্থেই বাহ্যত আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে যায়। রমজানের শেষ দশক তথা ২০ রমজান সূর্যাস্তের পূর্ব থেকে ঈদের চাঁদ তথা শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়া বা ৩০ রমজান পূর্ণ হয়ে ওই দিন সূর্যাস্ত পর্যন্ত (৯ দিন বা ১০ দিন) ইতিকাফ করা সুন্নাতে মুআক্কাদাহ কিফায়াহ। কোনো মসজিদে মহল্লার কয়েকজন বা কোনো একজন আদায় করলে সবাই দায়মুক্ত হবে। আর কেউই আদায় না করলে সবাই দায়ী থাকবে। তবে আদায়ের ক্ষেত্রে যিনি বা যাঁরা আদায় করবেন, শুধু তিনি বা তাঁরাই সওয়াবের অধিকারী হবেন।
১০ দিনের কম যেকোনো পরিমাণ সময় ইতিকাফ করলে তা নফল ইতিকাফ হিসেবে গণ্য হবে। নফল ইতিকাফও অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল; তাই সম্পূর্ণ সুন্নত ইতিকাফ পালন করতে না পারলে যত দূর সম্ভব নফল ইতিকাফ করাও গুরুত্বপূর্ণ। ইতিকাফের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো শবে কদরপ্রাপ্তি; রমজানের শেষ দশক ইতিকাফ করলে শবে কদরপ্রাপ্তি নিশ্চিত হয়। পুরুষদের মসজিদে ইতিকাফ করতে হয়; নারীরা নির্দিষ্ট ঘরে বা নির্ধারিত কক্ষেইতিকাফ করবেন। নফল ইতিকাফও অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল; তাই সম্পূর্ণ সুন্নত ইতিকাফ পালন করতে না পারলে যত দূর সম্ভব নফল ইতিকাফ করাও গুরুত্বপূর্ণ। নফল ইতিকাফ বছরের যেকোনো সময়ই করা যায়। ইতিকাফের জন্য রোজা শর্ত; কিন্তু স্বল্প সময় (এক দিনের কম সময়) ইতিকাফ করলে তার জন্য রোজা রাখা শর্ত নয়। নফল ইতিকাফ মান্নত করলে বা আরম্ভ করে ছেড়ে দিলে, তা পূর্ণ করা ওয়াজিব। এর জন্য রোজা শর্ত এবং এটি এক দিনের (২৪ ঘণ্টা) কমে হবে না।
আজকাল কোনো কোনো মসজিদে দেখা যায় ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদিম বা মসজিদ কমিটির লোকজন, এমনকি স্থানীয় ম���সল্লিদের কেউই ইতিকাফ করছেন না। ��রং বাইরে থেকে ভাড়াটে কাউকে এনে কিছু টাকাপয়সা দিয়ে ইতিকাফ করান। এতে ইতিকাফের লক্ষ্য অর্জন হয় না। হ্যাঁ, যে কেউ যেকোনো মসজিদে ইতিকাফ করতে পারেন এবং যে কাউকে যে কেউ হাদিয়া বা উপঢৌকন দিতে পারেন। একজন পরহেজগার লোককে সম্মানিত করা বা সহযোগিতা করাতে দোষ নেই; কিন্তু এটি যেন ইবাদতের উদ্দেশ্যকে ব্যাহত না করে। (মাজমুআ ফাতাওয়া)।
নারীরা নিজ ঘরে বা নির্দিষ্ট কক্ষে ইতিকাফ করবেন। প্রাকৃতিক প্রয়োজন ও একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ওই ঘর বা কক্ষ থেকে বের হবেন না। তবে দরকার হলে ওই কক্ষের ভেতর থেকে বাইরের কাউকে ডাকতে পারবেন এবং কেউ ভ��তরে এলে তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা বলতে পারবেন। ইতিকাফ কক্ষটি যদি শয়নকক্ষÿ হয় এবং একই কক্ষে বা একই বিছানায় অন্য যে কেউ অবস্থান করেন, তাতেও কোনো ক্ষতি নেই; এমনকি স্বামীও পাশে থাকতে পারবেন, তবে স্বামী-স্ত্রীসুলভ আচরণ ইতিকাফ অবস্থায় নিষিদ্ধ; এর দ্বারা ইতিকাফ নষ্ট হয়ে যাবে। ইতিকাফের সময় ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন। (মাজমুআ ফাতাওয়া ও ফাতাওয়া হিন্দিয়া)। আল্লাহ তাআলা বলেন: ‘আর তোমরা স্ত্রীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ো না, যখন তোমরা ইতিকাফরত থাকবে মসজিদে (নির্দিষ্ট স্থানে)। (সুরা-২ [৮৭] আল বাকারা (মাদানি), রুকু: ২৩/৭, আয়াত: ১৮৭, মঞ্জিল: ১, পারা: ২ সাইয়াকুল, পৃষ্ঠা: ২৯/৭)।
ইতিকাফ অবস্থায় ইতিকাফকারী ফরজ ইবাদতের বাইরে কোনো নফল ইবাদত না করলেও ইতিকাফের সওয়াব পাবেন। তবে অতিরিক্ত নফল ইবাদত করলে আরও বেশি ফজিলতের অধিকারী হবেন। যেমন: কোরআন শরিফ তিলাওয়াত করা, নফল নামাজ পড়া, কাজা নামাজ আদায় করা, দোয়া–দরুদ পাঠ করা, জিকির আসকার করা, তাসবিহ তাহলিল পাঠ করা।
এ ছাড়া দিনি কথাবার্তা ও ধর্মীয় জ্ঞানচর্চা করাও সওয়াবের কাজ। যেমন: কোরআন, হাদিস, ফিকাহ, তাফসির ইত্যাদি পাঠ করা ও তালিম করা। ইতিকাফ অবস্থায় এমন সব কথা বলা ও কাজ করা বৈধ, যাতে কোনো গুনাহ নেই। প্রয়োজনীয় সাংসারিক কথাবার্তা বলতেও নিষেধ নেই; তবে অহেতুক অযথা বেহুদা কথাবার্তা দ্বারা ইবাদতের পরিবেশ নষ্ট করা যাবে না। ইতিকাফকারী মসজিদের মধ্যে ইতিকাফরত অবস্থায় সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারবেন এবং মাথায়, দাঁড়িতে ও চুলে তেল লাগাতে পারবেন। মাথার চুলে ও দাড়িতে চিরুনি করতে পারবেন। (আল বাদায়ে ওয়াস সানায়ে)। যাঁরা শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত, তাঁরা ইতিকাফ অবস্থায় মসজিদের ভেতরে তালিম দিতে পারবেন। (খোলাসা)।
ইতিকাফ সর্বনিম্ন কত ঘন্টা ।। সর্বোচ্চ কত দিন রাখা যাবে ।
https://www.youtube.com/watch?v=rnG339BmGDg
 
ইতেকাফে বসার সঠিক নিয়ম কী?
youtube
ইতেকাফ কীভাবে করবেন, ইতেকাফের নিয়ম ও বিশেষ ফজিলত
youtube
শেষ দশকে ইতিকাফ
Itikaf in the last decade
ইতিকাফ শেষ দশকে
ইতিকাফের গুরুত্ব ও ফজিলত
0 notes
allahisourrabb · 2 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
শেষ দশকে ইতিকাফ
Itikaf in the last decade
ইতিকাফ শেষ দশকে
 
আল্লাহ তাআলার আনুগত্যের উদ্দেশে বিশেষ নিয়তে, বিশেষ অবস্থায় মসজিদে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে। ইতিকাফ একটি বিশেষ ইবাদত। মদিনায় অবস্থানকালে রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতিবছরই ইতিকাফ পালন করেছেন। রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করা সুন্নাতে মুআক্কাদায়ে কেফায়া।
অর্থাৎ পুরো মহল্লার কেউ ইতিকাফ না করলে সবাই গুনাহগার হবে। আর একজনও যদি আদায় করে, তাহলে সবাই রেহাই পাবে। এই ইতিকাফের জন্য রমজানের ২০ তারিখ সূর্য অস্ত যাওয়ার আগে মসজিদে প্রবেশ করতে হবে। আর ঈদের চাঁদ উদিত হলে ইতিকাফকারী মসজিদ থেকে বের হতে পারবে।
তবে ঈদের নামাজ আদায় করে বের হওয়া উত্তম। কেননা এতে ঈদের রাতে বিশেষ ফজিলতপূর্ণ ইবাদত করা যায়।
ইতিকাফরত অবস্থায় বান্দা নিজেকে আল্লাহর ইবাদতের জন্য দুনিয়ার অন্য সব বিষয় থেকে আলাদা করে নেয়। ঐকান্তিকভাবে মশগুল হয়ে পড়ে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের নিরন্তর সাধনায়।
কোরআনুল কারিমে বিভিন্নভাবে ইতিকাফ সম্পর্কে বর্ণনা এসেছে। ইব্রাহিম (আ.) ও ইসমাইল (আ.)-এর সম্পর্কে বলা হয়েছে : ‘আমি ইব্রাহিম ও ইসমাইলকে আদেশ করলাম, তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকু-সেজদাকারীদের জন্য পবিত্র করো।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১২৫)
হাদিসেও ইতিকাফ সম্পর্কে বিভিন্ন বর্ণনা এসেছে। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘ইন্তেকাল পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করেছেন, এরপর তাঁর স্ত্রীগণ ইতিকাফ করেছেন।’ (বুখারি, হাদিস : ১৮৬৮, মুসলিম, হাদিস : ২০০৬)
ইতিকাফের রুকন হলো মসজিদে অবস্থান করা। হানাফি মাজহাব মতে ইতিকাফের জন্য রোজা শর্ত। মুসলমান হওয়া শর্ত। কেননা কাফিরের ইবাদত গ্রহণযোগ্য হয় না। ইতিকাফকারীকে বোধশক্তিসম্পন্ন হতে হবে, কেননা নির্বোধ ব্যক্তির কাজের কোনো উদ্দেশ্য থাকে না, আর উদ্দেশ্য ছাড়া কাজ শুদ্ধ হতে পারে না। ভালোমন্দ পার্থক্য করার জ্ঞান থাক��ে হবে, কেননা কম বয়সী, যে ভালোমন্দের পার্থক্য করতে পারে না, তার নিয়তও শুদ্ধ হয় না। ইতিকাফের নিয়ত করতে হবে, কেননা মসজিদে অবস্থান হয়তো ইতিকাফের নিয়তে হবে অথবা অন্য কোনো নিয়তে। আর এ দুটির মধ্যে পার্থক্য করার জন্য নিয়তের প্রয়োজন। রাসুল (সা.) তো বলেছেন : ‘প্রত্যেক কাজের নির্ভরতা নিয়তের ওপর, যে যা নিয়ত করবে সে কেবল তা-ই পাবে।’ (বুখারি, হাদিস : ১) 
বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী সবচেয়ে কম সময়ের ওয়াজিব ইতিকাফ হলো, এক দিন-এক রাত কিংবা এর বেশির ভাগ সময়। তবে নফল ইতিকাফ অল্প সময়ের জন্য, এমনকি এক মুহূর্তের জন্যও হতে পারে বলে ইমাম মুহাম্মদ (রহ.) মত দিয়েছেন। সর্বোচ্চ কত দিনের জন্য ইতিকাফ করা যায়—এ ব্যাপারে ওলামাদের মতামত হলো, এ ব্যাপারে নির্ধারিত কোনো সীমারেখা নেই।
ইতিকাফের জন্য সর্বোত্তম স্থান হলো বাইতুল্লাহ শরিফ। বাইতুল্লাহ শরিফের পর মসজিদে নববী। এরপর বাইতুল মুকাদ্দাস। তারপর জুমা আদায় করা হয় এমন মসজিদ। এরপর মহল্লার যে মসজিদে নামাজির সংখ্যা বেশি হয়। ইতিকাফের ফজিলত সম্পর্কে ইমাম জুহুরি (রহ.) বলেন, রাসুল (সা.) অনেক নফল কাজ কখনো করতেন, কখনো ছেড়ে দিতেন। কিন্তু মদিনায় হিজরত করার পর থেকে ওফাত পর্যন্ত কখনো রমজান মাসের শেষ ১০ দিনের ইতিকাফ কাজা করেননি। আফসোসের বিষয়, মানুষ তাঁর পুরোপুরি পাবন্দি করে না।
আবু হুরাইরা (রা) বলেন : ‘রাসুল (সা.) প্রতি রমজানে ১০ দিন ইতিকাফ করতেন, তবে যে বছর তিনি পরলোকগত হন, সে বছর ২০ দিন ইতিকাফে কাটান। (বুখারি, হাদিস : ১৯০৩)
এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘ইতিকাফকারী গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে এবং তার জন্য আমল করা ছাড়াই অন্য নেককারদের ন্যায় নেকি বরাদ্দ করা হয়।’
অন্য এক হাদিসে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করবে, তাকে দুটি হজ ও দুটি ওমরাহ পালন করার সাওয়াব দান করা হবে।’
কাজেই এটি সাওয়াব হাসিলের মহা সুযোগ। পুরুষের মতো নারীরাও ইতিকাফ করতে পারবে। এ জন্য উল্লিখিত শর্তাবলির সঙ্গে স্বামীর অনুমতির বিষয়টি যোগ করতে হবে। আর নারীরা ঘরের কোণে আলাদা কোনো বিশেষ স্থানে ইতিকাফ করবেন।
এমন কিছু কাজ রয়েছে, যা করার দ্বারা ইতিকাফ ভেঙে যায়। যেমন—মসজিদ বা ইতিকাফের স্থান থেকে কোনো প্রয়োজন ছাড়া বের হওয়া। ইতিকাফ অবস্থায় ইসলাম ত্যাগ করে অন্য ধর্ম গ্রহণ করা। অজ্ঞান, পাগল বা মাতাল হয়ে যাওয়া। নারীদের মাসিক শুরু হওয়া। গর্ভপাত হওয়া। সহবাস করলে। বীর্যপাত ঘটলে। ইতিকাফকারীকে জোরপূর্বক মসজিদ বা ইতিকাফের স্থান থেকে বের করে দিলেও ইতিকাফ ভেঙে যাবে। একান্ত প্রয়োজনসহ আরো কিছু কারণে ইতিকাফকারী মসজিদ বা ইতিকাফের স্থান থেকে বাইরে বের হতে পারবেন। আর তা হলো প্রস্রাব-পায়খানা। ফরজ গোসল। খাবার পৌঁছে দেওয়ার লোক না থাকলে খাবার খাওয়ার জন্য। যে মসজিদে ইতিকাফ করছেন সেটা যদি জামে মসজিদ না হয়, তাহলে জুমার নামাজ আদায় করার জন্য ইত্যাদি অবস্থায় ইতিকাফকারী মসজিদ থেকে বের হতে পারবেন।
ইতিকাফের গুরুত্ব ও ফজিলত
যেহেতু মসজিদ আল্লাহর ঘর, সেহেতু ইতেকাফকারী আল্লাহর প্রতিবেশী বা আল্লাহর ঘরের মেহমান হয়ে যান। ইতেকাফের ফজিলত অনেক বেশি। রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ইতেকাফ করলে ২৭ রমজান যদি শবে কদর না-ও হয়, তবু এ ১০ দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট শবে কদরের ইবাদত ইতেকাফে আদায় হয়ে যায় এবং এর ফলে কদরের রাতের ফজিলতও লাভ করা যায়।
ইতিকাফ’ আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো অবস্থান করা, আবদ্ধ করা বা আবদ্ধ রাখা। ইসলামি পরিভাষায় ইতিকাফ হলো ইবাদতের উদ্দেশ্যে ইতিকাফের নিয়তে নিজেকে নির্দিষ্ট জায়গায় নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আবদ্ধ রাখা। যিনি ইতিকাফ করেন, তাঁকে ‘মুতাকিফ’ বলে। আল্লাহ তাআলা বলেন: যখন আমি কাবা গৃহকে মানুষের জন্য সম্মিলন স্থল ও শান্তির আলয় করলাম, আর তোমরা ইব্রাহিমের দাঁড়ানোর জায়গাকে (মাকামে ইব্রাহিম) নামাজের জায়গা বানাও এবং আমি ইব্রাহিম ও ইসমাইলকে আদেশ করলাম, তোমরা আমার গৃহকে তওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকু সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র রাখো। আর যতক্ষণ তোমরা ইতিকাফ অবস্থায় মসজিদে অবস্থান করো, ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীদের সঙ্গে মিশো না। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক বেঁধে দেওয়া সীমানা। অতএব, এর কাছেও যেয়ো না। এমনিভাবে বর্ণনা করেন আল্লাহ তাঁর আয়াতগুলো মানুষের জন্য, যাতে তারা তাকওয়া লাভ করতে পারে। (সুরা-২ [৮৭] আল বাকারা (মাদানি), রুকু: ১৫/১৫, আয়াত: ১২৫, মঞ্জিল: ১, পারা: ১ আলিফ লাম মিম, পৃষ্ঠা: ২০/১৮)। হজরত আয়িশা (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সা.) আজীবন রমজানের শেষ দশকগুলো ইতিকাফ করেছেন। তাঁর ওফাতের পরও তাঁর বিবিগণ ইতিকাফ করতেন। (বুখারি ও মুসলিম; আলফিয়্যাতুল হাদিস: ৫৪৬, পৃষ্ঠা: ১২৯)।
ইতিকাফ একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত ইবাদাত। ইতিকাফের মাধ্যমে মানুষ দুনিয়ার সবকিছু ছেড়ে আক্ষরিক অর্থেই বাহ্যত আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে যায়। রমজানের শেষ দশক তথা ২০ রমজান সূর্যাস্তের পূর্ব থেকে ঈদের চাঁদ তথা শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়া বা ৩০ রমজান পূর্ণ হয়ে ওই দিন সূর্যাস্ত পর্যন্ত (৯ দিন বা ১০ দিন) ইতিকাফ করা সুন্নাতে মুআক্কাদাহ কিফায়াহ। কোনো মসজিদে মহল্লার কয়েকজন বা কোনো একজন আদায় করলে সবাই দায়মুক্ত হবে। আর কেউই আদায় না করলে সবাই দায়ী থাকবে। তবে আদায়ের ক্ষেত্রে যিনি বা যাঁরা আদায় করবেন, শুধু তিনি বা তাঁরাই সওয়াবের অধিকারী হবেন।
১০ দিনের কম যেকোনো পরিমাণ সময় ইতিকাফ করলে তা নফল ইতিকাফ হিসেবে গণ্য হবে। নফল ইতিকাফও অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল; তাই সম্পূর্ণ সুন্নত ইতিকাফ পালন করতে না পারলে যত দূর সম্ভব নফল ইতিকাফ করাও গুরুত্বপূর্ণ। ইতিকাফের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো শবে কদরপ্রাপ্তি; রমজানের শেষ দশক ইতিকাফ করলে শবে কদরপ্রাপ্তি নিশ্চিত হয়। পুরুষদের মসজিদে ইতিকাফ করতে হয়; নারীরা নির্দিষ্ট ঘরে বা নির্ধারিত কক্ষেইতিকাফ করবেন। নফল ইতিকাফও অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল; তাই সম্পূর্ণ সুন্নত ইতিকাফ পালন করতে না পারলে যত দূর সম্ভব নফল ইতিকাফ করাও গুরুত্বপূর্ণ। নফল ইতিকাফ বছরের যেকোনো সময়ই করা যায়। ইতিকাফের জন্য রোজা শর্ত; কিন্তু স্বল্প সময় (এক দিনের কম সময়) ইতিকাফ করলে তার জন্য রোজা রাখা শর্ত নয়। নফল ইতিকাফ মান্নত করলে বা আরম্ভ করে ছেড়ে দিলে, তা পূর্ণ করা ওয়াজিব। এর জন্য রোজা শর্ত এবং এটি এক দিনের (২৪ ঘণ্টা) কমে হবে না।
আজকাল কোনো কোনো মসজিদে দেখা যায় ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদিম বা মসজিদ কমিটির লোকজন, এমনকি স্থানীয় মুসল্লিদের কেউই ইতিকাফ করছেন না। বরং বাইরে থেকে ভাড়াটে কাউকে এনে কিছু টাকাপয়সা দিয়ে ইতিকাফ করান। এতে ইতিকাফের লক্ষ্য অর্জন হয় না। হ্যাঁ, যে কেউ যেকোনো মসজিদে ইতিকাফ করতে পারেন এবং যে কাউকে যে কেউ হাদিয়া বা উপঢৌকন দিতে পারেন। একজন পরহেজগার লোককে সম্মানিত করা বা সহযোগিতা করাতে দোষ নেই; কিন্তু এটি যেন ইবাদতের উদ্দেশ্যকে ব্যাহত না করে। (মাজমুআ ফাতাওয়া)।
নারীরা নিজ ঘরে বা নির্দিষ্ট কক্ষে ইতিকাফ করবেন। প্রাকৃতিক প্রয়োজন ও একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ওই ঘর বা কক্ষ থেকে বের হবেন না। তবে দরকার হলে ওই কক্ষের ভেতর থেকে বাইরের কাউকে ডাকতে পারবেন এবং কেউ ভেতরে এলে তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা বলতে পারবেন। ইতিকাফ কক্ষটি যদি শয়নকক্ষÿ হয় এবং একই কক্ষে বা একই বিছানায় অন্য যে কেউ অবস্থান করেন, তাতেও কোনো ক্ষতি নেই; এমনকি স্বামীও পাশে থাকতে পারবেন, তবে স্বামী-স্ত্রীসুলভ আচরণ ইতিকাফ অবস্থায় নিষিদ্ধ; এর দ্বারা ইতিকাফ নষ্ট হয়ে যাবে। ইতিকাফের সময় ইবাদত-বন্দেগিতে ���শগুল থাকবেন। (মাজমুআ ফাতাওয়া ও ফাতাওয়া হিন্দিয়া)। আল্লাহ তাআলা বলেন: ‘আর তোমরা স্ত্রীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ো না, যখন তোমরা ইতিকাফরত থাকবে মসজিদে (নির্দিষ্ট স্থানে)। (সুরা-২ [৮৭] আল বাকারা (মাদানি), রুকু: ২৩/৭, আয়াত: ১৮৭, মঞ্জিল: ১, পারা: ২ সাইয়াকুল, পৃষ্ঠা: ২৯/৭)।
ইতিকাফ অবস্থায় ইতিকাফকারী ফরজ ইবাদতের বাইরে কোনো নফল ইবাদত না করলেও ইতিকাফের সওয়াব পাবেন। তবে অতিরিক্ত নফল ইবাদত করলে আরও বেশি ফজিলতের অধিকারী হবেন। যেমন: কোরআন শরিফ তিলাওয়াত করা, নফল নামাজ পড়া, কাজা নামাজ আদায় করা, দোয়া–দরুদ পাঠ করা, জিকির আসকার করা, তাসবিহ তাহলিল পাঠ করা।
এ ছাড়া দিনি কথাবার্তা ও ধর্মীয় জ্ঞানচর্চা করাও সওয়াবের কাজ। যেমন: কোরআন, হাদিস, ফিকাহ, তাফসির ইত্যাদি পাঠ করা ও তালিম করা। ইতিকাফ অবস্থায় এমন সব কথা বলা ও কাজ করা বৈধ, যাতে কোনো গুনাহ নেই। প্রয়োজনীয় সাংসারিক কথাবার্তা বলতেও নিষেধ নেই; তবে অহেতুক অযথা বেহুদা কথাবার্তা দ্বারা ইবাদতের পরিবেশ নষ্ট করা যাবে না। ইতিকাফকারী মসজিদের মধ্যে ইতিকাফরত অবস্থায় সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারবেন এবং মাথায়, দাঁড়িতে ও চুলে তেল লাগাতে পারবেন। মাথার চুলে ও দাড়িতে চিরুনি করতে পারবেন। (আল বাদায়ে ওয়াস সানায়ে)। যাঁরা শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত, তাঁরা ইতিকাফ অবস্থায় মসজিদের ভেতরে তালিম দিতে পারবেন। (খোলাসা)।
ইতিকাফ সর্বনিম্ন কত ঘন্টা ।। সর্বোচ্চ কত দিন রাখা যাবে ।
https://www.youtube.com/watch?v=rnG339BmGDg
 
ইতেকাফে বসার সঠিক নিয়ম কী?
youtube
ইতেকাফ কীভাবে করবেন, ইতেকাফের নিয়ম ও বিশেষ ফজিলত
youtube
#শেষ দশকে ইতিকাফ
Itikaf in the last decade
ইতিকাফ শেষ দশকে
ইতিকাফের গুরুত্ব ও ফজিলত
0 notes
mylordisallah · 2 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
শেষ দশকে ইতিকাফ
Itikaf in the last decade
ইতিকাফ শেষ দশকে
 
আল্লাহ তাআলার আনুগত্যের উদ্দেশে বিশেষ নিয়তে, বিশেষ অবস্থায় মসজিদে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে। ইতিকাফ একটি বিশেষ ইবাদত। মদিনায় অবস্থানকালে রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতিবছরই ইতিকাফ পালন করেছেন। রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করা সুন্নাতে মুআক্কাদায়ে কেফায়া।
অর্থাৎ পুরো মহল্লার কেউ ইতিকাফ না করলে সবাই গুনাহগার হবে। আর একজনও যদি আদায় করে, তাহলে সবাই রেহাই পাবে। এই ইতিকাফের জন্য রমজানের ২০ তারিখ সূর্য অস্ত যাওয়ার আগে মসজিদে প্রবেশ করতে হবে। আর ঈদের চাঁদ উদিত হলে ইতিকাফকারী মসজিদ থেকে বের হতে পারবে।
তবে ঈদের নামাজ আদায় করে বের হওয়া উত্তম। কেননা এতে ঈদের রাতে বিশেষ ফজিলতপূর্ণ ইবাদত করা যায়।
ইতিকাফরত অবস্থায় বান্দা নিজেকে আল্লাহর ইবাদতের জন্য দুনিয়ার অন্য সব বিষয় থেকে আলাদা করে নেয়। ঐকান্তিকভাবে মশগুল হয়ে পড়ে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের নিরন্তর সাধনায়।
কোরআনুল কারিমে বিভিন্নভাবে ইতিকাফ সম্পর্কে বর্ণনা এসেছে। ইব্রাহিম (আ.) ও ইসমাইল (আ.)-এর সম্পর্কে বলা হয়েছে : ‘আমি ইব্রাহিম ও ইসমাইলকে আদেশ করলাম, তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকু-সেজদাকারীদের জন্য পবিত্র করো।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১২৫)
হাদিসেও ইতিকাফ সম্পর্কে বিভিন্ন বর্ণনা এসেছে। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘ইন্তেকাল পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করেছেন, এরপর তাঁর স্ত্রীগণ ইতিকাফ করেছেন।’ (বুখারি, হাদিস : ১৮৬৮, মুসলিম, হাদিস : ২০০৬)
ইতিকাফের রুকন হলো মসজিদে অবস্থান করা। হানাফি মাজহাব মতে ইতিকাফের জন্য রোজা শর্ত। মুসলমান হওয়া শর্ত। কেননা কাফিরের ইবাদত গ্রহণযোগ্য হয় না। ইতিকাফকারীকে বোধশক্তিসম্পন্ন হতে হবে, কেননা নির্বোধ ব্যক্তির কাজের কোনো উদ্দেশ্য থাকে না, আর উদ্দেশ্য ছাড়া কাজ শুদ্ধ হতে পারে না। ভালোমন্দ পার্থক্য করার জ্ঞান থাকতে হবে, কেননা কম বয়সী, যে ভালোমন্দের পার্থক্য করতে পারে না, তার নিয়তও শুদ্ধ হয় না। ইতিকাফের নিয়ত করতে হবে, কেননা মসজিদে অবস্থান হয়তো ইতিকাফের নিয়তে হবে অথবা অন্য কোনো নিয়তে। আর এ দুটির মধ্যে পার্থক্য করার জন্য নিয়তের প্রয়োজন। রাসুল (সা.) তো বলেছেন : ‘প্রত্যেক কাজের নির্ভরতা নিয়তের ওপর, যে যা নিয়ত করবে সে কেবল তা-ই পাবে।’ (বুখারি, হাদিস : ১) 
বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী সবচেয়ে কম সময়ের ওয়াজিব ইতিকাফ হলো, এক দিন-এক রাত কিংবা এর বেশির ভাগ সময়। তবে নফল ইতিকাফ অল্প সময়ের জন্য, এমনকি এক মুহূর্তের জন্যও হতে পারে বলে ইমাম মুহাম্মদ (রহ.) মত দিয়েছেন। সর্বোচ্চ কত দিনের জন্য ইতিকাফ করা যায়—এ ব্যাপারে ওলামাদের মতামত হলো, এ ব্যাপারে নির্ধারিত কোনো সীমারেখা নেই।
ইতিকাফের জন্য সর্বোত্তম স্থান হলো বাইতুল্লাহ শরিফ। বাইতুল্লাহ শরিফের পর মসজিদে নববী। এরপর বাইতুল মুকাদ্দাস। তারপর জুমা আদায় করা হয় এমন মসজিদ। এরপর মহল্লার যে মসজিদে নামাজির সংখ্যা বেশি হয়। ইতিকাফের ফজিলত সম্পর্কে ইমাম জুহুরি (রহ.) বলেন, রাসুল (সা.) অনেক নফল কাজ কখনো করতেন, কখনো ছেড়ে দিতেন। কিন্তু মদিনায় হিজরত করার পর থেকে ওফাত পর্যন্ত কখনো রমজান মাসের শেষ ১০ দিনের ইতিকাফ কাজা করেননি। আফসোসের বিষয়, মানুষ তাঁর পুরোপুরি পাবন্দি করে না।
আবু হুরাইরা (রা) বলেন : ‘রাসুল (সা.) প্রতি রমজানে ১০ দিন ইতিকাফ করতেন, তবে যে বছর তিনি পরলোকগত হন, সে বছর ২০ দিন ইতিকাফে কাটান। (বুখারি, হাদিস : ১৯০৩)
এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘ইতিকাফকারী গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে এবং তার জন্য আমল করা ছাড়াই অন্য নেককারদের ন্যায় নেকি বরাদ্দ করা হয়।’
অন্য এক হাদিসে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করবে, তাকে দুটি হজ ও দুটি ওমরাহ পালন করার সাওয়াব দান করা হবে।’
কাজেই এটি সাওয়াব হাসিলের মহা সুযোগ। পুরুষের মতো নারীরাও ইতিকাফ করতে পারবে। এ জন্য উল্লিখিত শর্তাবলির সঙ্গে স্বামীর অনুমতির বিষয়টি যোগ করতে হবে। আর নারীরা ঘরের কোণে আলাদা কোনো বিশেষ স্থানে ইতিকাফ করবেন।
এমন কিছু কাজ রয়েছে, যা করার দ্বারা ইতিকাফ ভেঙে যায়। যেমন—মসজিদ বা ইতিকাফের স্থান থেকে কোনো প্রয়োজন ছাড়া বের হওয়া। ইতিকাফ অবস্থায় ইসলাম ত্যাগ করে অন্য ধর্ম গ্রহণ করা। অজ্ঞান, পাগল বা মাতাল হয়ে যাওয়া। নারীদের মাসিক শুরু হওয়া। গর্ভপাত হওয়া। সহবাস করলে। বীর্যপাত ঘটলে। ইতিকাফকারীকে জোরপূর্বক মসজিদ বা ইতিকাফের স্থান থেকে বের করে দিলেও ইতিকাফ ভেঙে যাবে। একান্ত প্রয়োজনসহ আরো কিছু কারণে ইতিকাফকারী মসজিদ বা ইতিকাফের স্থান থেকে বাইরে বের হতে পারবেন। আর তা হলো প্রস্রাব-পায়খানা। ফরজ গোসল। খাবার পৌঁছে দেওয়ার লোক না থাকলে খাবার খাওয়ার জন্য। যে মসজিদে ইতিকাফ করছেন সেটা যদি জামে মসজিদ না হয়, তাহলে জুমার নামাজ আদায় করার জন্য ইত্যাদি অবস্থায় ইতিকাফকারী মসজিদ থেকে বের হতে পারবেন।
ইতিকাফের গুরুত্ব ও ফজিলত
যেহেতু মসজিদ আল্লাহর ঘর, সেহেতু ইতেকাফকারী আল্লাহর প্রতিবেশী বা আল্লাহর ঘরের মেহমান হয়ে যান। ইতেকাফের ফজিলত অনেক বেশি। রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ইতেকাফ করলে ২৭ রমজান যদি শবে কদর না-ও হয়, তবু এ ১০ দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট শবে কদরের ইবাদত ইতেকাফে আদায় হয়ে যায় এবং এর ফলে কদরের রাতের ফজিলতও লাভ করা যায়।
ইতিকাফ’ আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো অবস্থান করা, আবদ্ধ করা বা আবদ্ধ রাখা। ইসলামি পরিভাষায় ইতিকাফ হলো ইবাদতের উদ্দেশ্যে ইতিকাফের নিয়তে নিজেকে নির্দিষ্ট জায়গায় নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আবদ্ধ রাখা। যিনি ইতিকাফ করেন, তাঁকে ‘মুতাকিফ’ বলে। আল্লাহ তাআলা বলেন: যখন আমি কাবা গৃহকে মানুষের জন্য সম্মিলন স্থল ও শান্তির আলয় করলাম, আর তোমরা ইব্রাহিমের দাঁড়ানোর জায়গাকে (মাকামে ইব্রাহিম) নামাজের জায়গা বানাও এবং আমি ইব্রাহিম ও ইসমাইলকে আদেশ করলাম, তোমরা আমার গৃহকে তওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকু সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র রাখো। আর যতক্ষণ তোমরা ইতিকাফ অবস্থায় মসজিদে অবস্থান করো, ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীদের সঙ্গে মিশো না। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক বেঁধে দেওয়া সীমানা। অতএব, এর কাছেও যেয়ো না। এমনিভাবে বর্ণনা করেন আল্লাহ তাঁর আয়াতগুলো মানুষের জন্য, যাতে তারা তাকওয়া লাভ করতে পারে। (সুরা-২ [৮৭] আল বাকারা (মাদানি), রুকু: ১৫/১৫, আয়াত: ১২৫, মঞ্জিল: ১, পারা: ১ আলিফ লাম মিম, পৃষ্ঠা: ২০/১৮)। হজরত আয়িশা (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সা.) আজীবন রমজানের শেষ দশকগুলো ইতিকাফ করেছেন। তাঁর ওফাতের পরও তাঁর বিবিগণ ইতিকাফ করতেন। (বুখারি ও মুসলিম; আলফিয়্যাতুল হাদিস: ৫৪৬, পৃষ্ঠা: ১২৯)।
ইতিকাফ একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত ইবাদাত। ইতিকাফের মাধ্যমে মানুষ দুনিয়ার সবকিছু ছেড়ে আক্ষরিক অর্থেই বাহ্যত আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে যায়। রমজানের শেষ দশক তথা ২০ রমজান সূর্যাস্তের পূর্ব থেকে ঈদের চাঁদ তথা শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়া বা ৩০ রমজান পূর্ণ হয়ে ওই দিন সূর্যাস্ত পর্যন্ত (৯ দিন বা ১০ দিন) ইতিকাফ করা সুন্নাতে মুআক্কাদাহ কিফায়াহ। কোনো মসজিদে মহল্লার কয়েকজন বা কোনো একজন আদায় করলে সবাই দায়মুক্ত হবে। আর কেউই আদায় না করলে সবাই দায়ী থাকবে। তবে আদায়ের ক্ষেত্রে যিনি বা যাঁরা আদায় করবেন, শুধু তিনি বা তাঁরাই সওয়াবের অধিকারী হবেন।
১০ দিনের কম যেকোনো পরিমাণ সময় ইতিকাফ করলে তা নফল ইতিকাফ হিসেবে গণ্য হবে। নফল ইতিকাফও অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল; তাই সম্পূর্ণ সুন্নত ইতিকাফ পালন করতে না পারলে যত দূর সম্ভব নফল ইতিকাফ করাও গুরুত্বপূর্ণ। ইতিকাফের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো শবে কদরপ্রাপ্তি; রমজানের শেষ দশক ইতিকাফ করলে শবে কদরপ্রাপ্তি নিশ্চিত হয়। পুরুষদের মসজিদে ইতিকাফ করতে হয়; নারীরা নির্দিষ্ট ঘরে বা নির্ধারিত কক্ষেইতিকাফ করবেন। নফল ইতিকাফও অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল; তাই সম্পূর্ণ সুন্নত ইতিকাফ পালন করতে না পারলে যত দূর সম্ভব নফল ইতিকাফ করাও গুরুত্বপূর্ণ। নফল ইতিকাফ বছরের যেকোনো সময়ই করা যায়। ইতিকাফের জন্য রোজা শর্ত; কিন্তু স্বল্প সময় (এক দিনের কম সময়) ইতিকাফ করলে তার জন্য রোজা রাখা শর্ত নয়। নফল ইতিকাফ মান্নত করলে বা আরম্ভ করে ছেড়ে দিলে, তা পূর্ণ করা ওয়াজিব। এর জন্য রোজা শর্ত এবং এটি এক দিনের (২৪ ঘণ্টা) কমে হবে না।
আজকাল কোনো কোনো মসজিদে দেখা যায় ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদিম বা মসজিদ কমিটির লোকজন, এমনকি স্থানীয় মুসল্লিদের কেউই ইতিকাফ করছেন না। বরং বাইরে থেকে ভাড়াটে কাউকে এনে কিছু টাকাপয়সা দিয়ে ইতিকাফ করান। এতে ইতিকাফের লক্ষ্য অর্জন হয় না। হ্যাঁ, যে কেউ যেকোনো মসজিদে ইতিকাফ করতে পারেন এবং যে কাউকে যে কেউ হাদিয়া বা উপঢৌকন দিতে পারেন। একজন পরহেজগার লোককে সম্মানিত করা বা সহযোগিতা করাতে দোষ নেই; কিন্তু এটি যেন ইবাদতের উদ্দেশ্যকে ব্যাহত না করে। (মাজমুআ ফাতাওয়া)।
নারীরা নিজ ঘরে বা নির্দিষ্ট কক্ষে ইতিকাফ করবেন। প্রাকৃতিক প্রয়োজন ও একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ওই ঘর বা কক্ষ থেকে বের হবেন না। তবে দরকার হলে ওই কক্ষের ভেতর থেকে বাইরের কাউকে ডাকতে পারবেন এবং কেউ ভেতরে এলে তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা বলতে পারবেন। ইতিকাফ কক্ষটি যদি শয়নকক্ষÿ হয় এবং একই কক্ষে বা একই বিছানায় অন্য যে কেউ অবস্থান করেন, তাতেও কোনো ক্ষতি নেই; এমনকি স্বামীও পাশে থাকতে পারবেন, তবে স্বামী-স্ত্রীসুলভ আচরণ ইতিকাফ অবস্থায় নিষিদ্ধ; এর দ্বারা ইতিকাফ নষ্ট হয়ে যাবে। ইতিকাফের সময় ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন। (মাজমুআ ফাতাওয়া ও ফাতাওয়া হিন্দিয়া)। আল্লাহ তাআলা বলেন: ‘আর তোমরা স্ত্রীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ো না, যখন তোমরা ইতিকাফরত থাকবে মসজিদে (নির্দিষ্ট স্থানে)। (সুরা-২ [৮৭] আল বাকারা (মাদানি), রুকু: ২৩/৭, আয়াত: ১৮৭, মঞ্জিল: ১, পারা: ২ সাইয়াকুল, পৃষ্ঠা: ২৯/৭)।
ইতিকাফ অবস্থায় ইতিকাফকা��ী ফরজ ইবাদতের বাইরে কোনো নফল ইবাদত না করলেও ইতিকাফের সওয়াব পাবেন। তবে অতিরিক্ত নফল ইবাদত করলে আরও বেশি ফজিলতের অধিকারী হবেন। যেমন: কোরআন শরিফ তিলাওয়াত করা, নফল নামাজ পড়া, কাজা নামাজ আদায় করা, দোয়া–দরুদ পাঠ করা, জিকির আসকার করা, তাসবিহ তাহলিল পাঠ করা।
এ ছাড়া দিনি কথাবার্তা ও ধর্মীয় জ্ঞানচর্চা করাও সওয়াবের কাজ। যেমন: কোরআন, হাদিস, ফিকাহ, তাফসির ইত্যাদি পাঠ করা ও তালিম করা। ইতিকাফ অবস্থায় এমন সব কথা বলা ও কাজ করা বৈধ, যাতে কোনো গুনাহ নেই। প্রয়োজনীয় সাংসারিক কথাবার্তা বলতেও নিষেধ নেই; তবে অহেতুক অযথা বেহুদা কথাবার্তা দ্বারা ইবাদতের পরিবেশ নষ্ট করা যাবে না। ইতিকাফকারী মসজিদের মধ্যে ইতিকাফরত অবস্থায় সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারবেন এবং মাথায়, দাঁড়িতে ও চুলে তেল লাগাতে পারবেন। মাথার চুলে ও দাড়িতে চিরুনি করতে পারবেন। (আল বাদায়ে ওয়াস সানায়ে)। যাঁরা শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত, তাঁরা ইতিকাফ অবস্থায় মসজিদের ভেতরে তালিম দিতে পারবেন। (খোলাসা)।
ইতিকাফ সর্বনিম্ন কত ঘন্টা ।। সর্বোচ্চ কত দিন রাখা যাবে ।
https://www.youtube.com/watch?v=rnG339BmGDg
 
ইতেকাফে বসার সঠিক নিয়ম কী?
youtube
ইতেকাফ কীভাবে করবেন, ইতেকাফের নিয়ম ও বিশেষ ফজিলত
youtube
শেষ দশকে ইতিকাফ
Itikaf in the last decade
ইতিকাফ শেষ দশকে
ইতিকাফের গুরুত্ব ও ফজিলত
0 notes
Text
বিসমিল্লাহির রহমানুর রহিম,
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ,,
আলহামদুলিল্লাহ সমাজ কল্যাণ সংগঠনের আরো একটি নতুন সদস্য মোঃ দবির হোসেন । আল্লাহতালা মোঃ দবির হোসেন ভাইকে মানবতার কল্যাণে কেউ কবুল করুক আমীন।
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন লোককে সৎ কাজের দিকে আহ্বান করবে, তার জন্যও সে পরিমাণ সাওয়াব রয়েছে যা তার অনুসারীদের জন্য রয়েছে, অথচ তাদের সাওয়াবের কোন অংশ একটুও কমবে না। [মিশকাতঃ ১৫৮]
Tumblr media
0 notes