শিল্পী এস এম সুলতান | S M Sultan
View On WordPress
0 notes
সোমেন চন্দ (২৪ মে, ১৯২০— ৮ই মার্চ, ১৯৪২) একজন মার্কসবাদী আন্দোলনকারী সাহিত্যিক এবং ট্রেড ইউনিয়ন নেতা ছিলেন। তিনিই বাংলা সাহিত্যে প্রথম গণসাহিত্যের উপর কাজ করেন। ১৯৪১ সালে সোমেন চন্দ প্রগতি লেখক সংঘের সম্পাদক নির্বাচিত হন।
0 notes
বাংলাদেশে মে মাসে ভয়াল যত ঘূর্ণিঝড় (১৯৪১-২০২২)
বাংলাদেশে মে মাসে ঘূর্ণিঝড়ের অভিজ্ঞতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়গুলো ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টি করেছে, যার ফলে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি, অবকাঠামো ধ্বংস এবং ফসল ও গবাদিপশুর ক্ষতি হয়েছে।
‘বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়: ঐতিহাসিক ওভারভিউ এবং প্রভাব (মে ১৯৪১-২০২২) শীর্ষক’ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সরকারের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রাম (এটুআই)। প্রতিবেদনে মে মাসে দেশে আঘাত হানা বড় ঘূর্ণিঝড়ের একটি…
View On WordPress
0 notes
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনী | Rabindranath Tagore Biography in Bengali
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী
নাম:
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
জন্মতারিখ:
১৮৬১ সালের ৭ই মে
জন্মস্থান:
কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি
পিতার নাম:
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
মাতার নাম:
সারদাসুন্দরী দেবী
স্ত্রীয়ের নাম:
মৃণালিনী দেবী
পুরস্কার:
সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার
ছদ্মনাম:
ভানুসিংহ
মৃত্যুতারিখ:
১৯৪১ সালের ৭ই আগস্ট
মৃত্যুস্থান:
কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি
ভূমিকা:
“আজি এ প্রভাতে রবির করকেমনে পশিল…
View On WordPress
0 notes
নারী জাগরণের মধ্যেই সবাইকে একসঙ্গে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হবে : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
নারী জাগরণের মধ্যেই সবাইকে একসঙ্গে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হবে : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বেগম রোকেয়া দিবস-২০২২’ ও ‘বেগম রোকেয়া পদক-২০২২’ বিতরণ অনুষ্ঠান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নারী জাগরণের মধ্যেই আমাদের সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহণে বাংলাদেশকে একটি উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। নারী জাগরণের মধ্য দিয়েই ১৯৪১ সাল নাগাদ সেই বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এ জন্য ডেল্টা প্ল্যান ও করেদিলাম যাকে ভিত্তি…
View On WordPress
0 notes
Shantiniketan: শাল গাছের আঘাতে ভেঙে গুঁড়িয়ে গেছে শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী ছাতিমতলা
সুরশ্রী রায় চৌধুরী: এক নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে শনিবার সকালে শাল গাছের আঘাতে ভেঙে গুঁড়িয়ে গেছে শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী ছাতিমতলা। দুটি শাল গাছের ডাল ভেঙে 'প্রাণের আরাম, মনের আনন্দ, আত্মার শান্তি' লেখা বেদিটি সম্পূর্ণ ভেঙে যায়৷ এর আগে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে প্রাচীন বটবৃক্ষ উপড়ে গিয়ে ঐতিহ্যবাহী ঘন্টাতলা ভেঙে গিয়েছিল৷ এবার ভেঙে পড়ল ছাতিমতলা৷
এখানে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অস্থি রয়েছে। ১৯৪১ সালের ৭ অগাস্ট প্রয়াত হয়েছিলেন কবিগুরু। কলকাতায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়৷ তার পর গুরুদেবের অস্থি নিয়ে আসা হয় শান্তিনিকেতনে। এই ছাতিমতলাতেই রয়েছে গুরুদেবের শেষ স্মৃতি। পৌষমেলার থেকে শুরু করে ২৫ বৈশাখ, ২২ শ্রাবণ দিনগুলিতে এখানেই বিশেষ উপাসনা হয়৷ জানা গিয়েছে, ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ এই ছাতিমতলার সংস্কার করবে। আপাতত এটি ঘিরে রাখা হয়েছে৷ এর আগেও বেশ কয়েকবার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্য নষ্ট হয়েছে। কিন্তু গাছের তলায় চাপা পড়েছে সেই ফলক, যেখানে লেখা, 'তিনি আমার প্রাণের আরাম, মনের আনন্দ, আত্মার শান্তি'।
শোনা যায়, ১৮৬৩ সালের ১ মার্চ ভুবনডাঙার পুকুর-সহ বছরে ৫ টাকা খাজনার বিনিময়ে ২০ বিঘা জমির মৌরসীপাট্টা নেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। শান্তিনিকেতন আশ্রম প্রতিষ্ঠার পরে এই ছাতিমতলাতেই উপাসনা করতেন তিনি৷ অর্থাৎ, শান্তিনিকেতন আশ্রম ও বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠার সূত্র বাঁধা এই ছাতিমতলা থেকেই। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিভিন্ন সময় এখানে উপাসনা, বৈদিক মন্ত্রপাঠ ও বিশ্বভারতীর নানা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। তবে ঐতিহ্যবাহী বেদির সেই মার্বেলের আসনটি ভেঙে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠছে রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে।
Read the full article
0 notes
রুপনারানের কূলে এ কোন রবীন্দ্রনাথ?
রুপনারানের কূলে এ কোন রবীন্দ্রনাথ?
রূপনারানের কূলে
জেগে উঠিলাম,
জানিলাম এ জগৎ
স্বপ্ন নয়।
রক্তের অক্ষরে দেখিলাম
আপনার রূপ,
চিনিলাম আপনারে
আঘাতে আঘাতে
বেদনায় বেদনায়;
সত্য যে কঠিন,
কঠিনেরে ভালোবাসিলাম,
সে কখনো করে না বঞ্চনা।
আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা এ জীবন,
সত্যের দারুণ মূল্য লাভ করিবারে,
মৃত্যুতে সকল দেনা শোধ করে দিতে।
উদয়ন শান্তিনিকেতন ১৩ মে ১৯৪১ রাত্রি ৩-১৫ মিঃ
একজন রোমান্টিক কবি যখন বলেন, এ জগৎ স্বপ্ন নয়, তখন বেশ চমক লাগে।…
View On WordPress
0 notes
ওরা মুছে দিতে পারেনি স্বাধীনতার স্থপতির নাম
ওরা মুছে দিতে পারেনি স্বাধীনতার স্থপতির নাম
ঊনিশ বছর বয়সেই জড়িয়ে পড়েছিলেন সক্রিয় রাজনীতিতে। মুসলিম লীগ নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে কলকাতায় গিয়ে দেখা করেছিলেন ১৯৩৯ সালে।
এরপর ফিরে এসে গোপালগঞ্জে গঠন করেন মুসলিম ছাত্রলীগ ও মুসলিম লীগ। দায়িত্ব নেন মুসলিম ছাত্রলীগের সম্পাদক পদে। ১৯৪১ সালে মেট্রিক পাস করে কলকাতায় ইসলামিয়া কলেজে পড়াকালীন সময়েও ব্যস্ত থাকতেন রাজনীতি নিয়ে। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনের সময়…
View On WordPress
0 notes
বাইশে শ্রদ্ধার্ঘ্য:রাজীব দত্ত
বাইশে শ্রদ্ধার্ঘ্য:রাজীব দত্ত
আজও নির্জন দুপুরে
একাকী ভারাক্রান্ত মনে,
মনের অজান্তেই
গুনগুনি ওঠে মনের ভেতর
তোমারই গান,
তোমার ছন্দে, তোমার ভাবনায়,
পরিতৃপ্তি পায় আমদের মন।
বিশ্ব ভুবনে আপামর বাঙালির,
অন্যতম মেরুদন্ড তুমি,
শান্তির – শান্তিনিকেতন তোমারই জন্য,
বিশ্বজোড়া পরিচিত ভূমি।
তুমি আছো…
রক্তে শিরায়, ধমনীতে,
১৯৪১ এর এমনই বিরহদিনে
তোমার চির বিদায়,
হাজারো অনুগামী আর ভক্তের
ছিন্ন ভিন্ন…
View On WordPress
0 notes
ইতিহাসের এই দিনে
নিউজনাউ ডেস্ক: আজ ৩ জুলাই, ২০২২, রবিবার। নিউজনাউয়ের পাঠকদের জন্য ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যুসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো:
ঘটনা:
১৯১৯ – বিশ্বভারতীর যাত্রা শুরু হয়।
১৯২১ – মস্কোয় বিপ্লবী ট্রেড ইউনিয়নগুলোর আন্তর্জাতিক কংগ্রেস শুরু হয়।
১৯৪১ – মিত্রবাহিনীর কাছে সিরিয়ার আত্মসমর্পণ।
১৯৪৭ – ভারতবর্ষকে দুটি ডেমিনিয়নে বিভক্ত করার জন্য…
View On WordPress
0 notes
গৌরীপুর সুবল আফতাব উচ্চ বিদ্যালয়ের উৎপত্তি।
“ডক্টর জসীম উদ্দীন আহমেদ রচয়িত”
আজ থেকে ১০০ বছর পূর্বের কথা। আমার তখন জন্ম হয়নি। আমার জন্ম ১৯৩৩ খৃষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে। ১৯০৩ থেকে আমার বুঝ-জ্ঞান হওয়ার বয়স পর্যন্ত গৌরীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের স্থাপনার ঘটনাপ্রবাহ আমি স্বচক্ষে দেখিনি। আমার পিতা মৌলভী ওয়াজউদ্দিন আহম্মেদ সাহেবের কাছ থেকে শুনেছি। এ সমস্ত ঘটনাবলী কোনদিন লেখা হয়নি, কেবল এলাকার জনসাধারণের মুখে মুখে প্রচলিত ছিল। সে সময়ের যুবক বৃদ্ধ সকলেই পৃথিবী থেকে অনেক আগেই বিদায় নিয়েছেন। তাদের তিরোধানের সাথে সাথে সে সময়ের কথা ও ঘটনার বিষয়গুলোও বিলীন হয়ে গেছে।
গলিয়ারচর নিবাসী মৌলভী ওয়াজউদ্দিন আহমেদ ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা থেকে পড়াশুনা শেষ করে ১৯০৩ বা ১৯০৪ সালে গৌরীপুরে ফিরে আসেন। গৌরীপুরে সে সময় উল্লেখযােগ্য কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল না। যুবক মৌলভী ওয়াজউদ্দিন আহমেদ সমাজে শিক্ষা বিস্তারের চিন্তা-ভাবনা করেন। প্রথমে তিনি গৌরীপুরের যেখানে বর্তমান উচ্চ বিদ্যালয় অবস্থিত, সেখানে কোরআন ও হাদিস শিক্ষার জন্য একটি মক্তব শুরু করেন । তিন বছর তিনি বিনা পারিশ্রমিকে সেখানে শিক্ষকতা করেন। পরবর্তীতে তিনি বুঝতে পারেন, এলাকার লোকজনের উন্নতির জন্য ইংরেজি শিক্ষা ও সাথে সাথে অন্যান্য বিষয়ের শিক্ষার প্রয়োজন। তখন তিনি এ কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন।
এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে তিনি ইংরেজি বিদ্যালয় স্থাপনের ব্যাপারে পরামর্শ ও আলাপ আলোচনা করতে থাকেন। এ সকল বিশিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে অন্যতম ছিলেন গোপচর নিবাসী পাট ব্যবসায়ী ও বিত্তশালী সুবল চন্দ্র সাহা। তিনি মৌলভী ওয়াজউদ্দিন আহমেদকে উৎসাহ দিলেন।
এখানে উল্লেখযোগ্য যে, বর্তমান বিদ্যালয় এলাকায়ই অধর বাবুর একটি ছোট বিদ্যাপীঠ ছিল। এটা অধর বাবুর টোল নামে পরিচিত ছিল । মৌলভী ওয়াজউদ্দিন আহমেদ প্রথমে সেই টোলে ইংরেজি শিক্ষার সূচনা করেন। কিছুদিনের মধ্যে বিত্তশালী সুবল সাহা মৌলভী ওয়াজউদ্দিন আহমেদকে তার একটি পাটের বালি গুদাম ঘর ব্যবহার করতে দেন। এই পাটের গুদামটি পুলের গোড়ায় দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে অবস্থিত ছিল। সে পাটের গুদামটি ১৯৪০ দশক পর্যন্ত বিদ্যমান ছিল। স্কুলের কাজ ক্রমে ক্রমে এলাকার জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করায় ছাত্রসংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। পাটের গুদাম ঘরটিতে বস্তুত জানালা না থাকার কারণে আলো-বাতাস লাগতো না। এই অসুবিধার কথা মৌলভী ওয়াজউদ্দিন আহমেদ জমিদার সুবল সাহাকে জানান। এবং পৃথকভাবে একটি স্কুল ঘর তৈরি করার জন্য অনুরোধ করেন। এই প্রস্তাবে তিনি রাজি হন এবং একটি লম্বা ছনের ঘর খালের পূর্ব পার্শ্বে নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। কম খরচে কাজটি করার জন্য মৌলভী ওয়াজউদ্দিন আহমেদ একটি প্রস্তাব দেন যাতে উদয়পুর (বর্তমানে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের অধীন) থেকে বাঁশ ও ছনের চালান আনা হয়। সিদ্ধান্ত নেয়ার পর মৌলভী ওয়াজউদ্দিন আহমেদ পায়ে হেটে ৪০ মাইল দূরে উদয়পুরে যান। তখনকার দিনে নৌকা বা পায়ে হাঁটা ছাড়া অন্য কোন বিকল্প ব্যবস্থা ছিল না।
বাঁশ ও ছন দিয়ে তৈরি স্কুল ঘরটি রথ ঘর ও কালী মন্দিরের মাঝামাঝি জায়গায় স্থাপিত হয়। ক্রমান্বয়ে ছাত্রসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বড় আকারের স্কুল ঘর তৈরি করার চিন্তা-ভাবনা করা হয়। এ সময় জানা গেল ১৯১১ সনে সম্রাট পঞ্চম জর্জ ভারত সফরে আসবেন। সে উপলক্ষে সারা বৃটিশ ভারতে নতুন নতুন প্রকল্পের হিড়িক পড়ে যায় । মৌলভী ওয়াজউদ্দিন আহমেদ জমিদার সুবল সাহার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কাঠ ও ঢেউ টিন দিয়ে বড় আকারের একটি মাধ্যমিক ইংলিশ স্কুল তৈরির প্রস্তাব দেন, যার নাম হবে গৌরীপুর সুবল মিডল ইংলিশ স্কুল । এতে রাজি হয়ে জমিদার সুবল সাহা মৌলভী ওয়াজউদ্দিন আহমেদকে এই দায়িত্ব অর্পণ করেন।
মৌলভী ওয়াজউদ্দিন আহমেদ স্কুলের কাঠ ক্রয়ের জন্য পায়ে হেঁটে উদয়পুর চলে যান। শুনেছি ৪০ মাইল পথ তিনি একদিনে চলে যেতেন। ফিরে আসার সময় সকালে রওয়ানা দিয়ে রাতের প্রথম প্রহরে বাড়ি এসে পৌছতেন। তখনকার দিন বনজঙ্গলে পরিপূর্ণ উদয়পুরের রাস্তায় চলাফেরা সহজ ছিল না । মৌলভী ওয়াজউদ্দিন আহমেদ প্রায় ছয় ফুট লম্বা, সুস্বাস্থ্যের | অধিকারী, সাহসী ও শক্তিশালী পুরুষ ছিলেন। কাঠ ও ঢেউ টিন দিয়ে স্কুল ঘর তৈরি হলো। স্কুলের | এই স্কুল ঘরটিতে শিক্ষকদের জন্য একটি কমনরুম এবং ক্লাস ওয়ান থেকে ক্লাস সিক্স পর্যন্ত ছয়টি রুম ছিল। কঠোর পরিশ্রম করে কম খরচে মৌলভী ওয়াজউদ্দিন আহমেদ স্কুল ঘরটি তৈরি করতে সক্ষম হন এবং তখনকার দিনে মোট ১ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হয়। শুনেছি সে সময় এক মণ চালের মূল্য এক টাকার মতো ছিল । ১৯১১ সালে অর্থাৎ যে বছর সম্রাট পঞ্চম জর্জ ভারত সফর করেন সে বছর স্কুলটি “গৌরীপুর সুবল মিডল ইংলিশ স্কুল” নামে খোলা হয়। মৌলভী ওয়াজউদ্দিন আহমেদ এই স্কুলে শিক্ষকতা করতে থাকেন। প্রথম কে হেড মাস্টার ছিলেন আমার জানা নেই, তবে স্কুলের প্রথমাবস্থায় | গৌরীপুর গ্রামের কাদিম আলী মাস্টার সাহেব হেড মাস্টার ছিলেন। পরবর্তীতে বানিয়াপাড়ার রোস্তম আলী মাস্টার সাহেব | হেড মাস্টার ছিলেন অনেক বছর । এই স্কুলটি উচ্চ বিদ্যালয় হওয়ার পরও তিনি অনেক বছর শিক্ষকতা করেন। এই মিডল স্কুলের শিক্ষকদের মধ্যে যাদের কথা সবসময় মনে উদয় হয় তারা হলেন রোস্তম আলী মাস্টার, আমার পিতা মৌলভী ওয়াজউদ্দিন আহমেদ, জিংলাতলীর অশ্বিনী কুমার সাহা, গোপালপুরের কুমুদ চন্দ্র সাহা এবং বিক্রমপুরের হেরম্ব চন্দ্র সাহা। কজনের কথা মনে থাকার আসল কারণ হলো তারা অতও কড়া শিক্ষক ছিলেন । অপরাধের জন্য তারা ছাত্রদের কঠোর শাস্তি দিতেন এবং এ কারণে তাদের ক্লাসে পড়াশুনা বেশ ভাল হতো এবং ছাত্ররা ও খুব মনােযােগী থাকত। এ সকল শিক্ষকের অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ও নীতির জন্য তাঁরা সকল ছাত্রের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন।
মিডল স্কুল চলাকালীন সময় থেকে মৌলভী ওয়াজউদ্দিন আহমেদ ও এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ যেমন গৌরীপুর গ্রামের আক্ৰাম আলী সরকার, ভুলিরপাড়ের জমিদার জ্ঞান চন্দ্র সাহা, কাদিম আলী মাস্টার সাহেব এবং স্কুলের অন্য শিক্ষকগণও | স্কুলটিকে উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিণত করার পরিকল্পনা করতে থাকে। এ সময় ১৯৩০ সালের মাঝামাঝি ডা. শামছুল হুদা গৌরীপুরে সরকারি দাতব্য চিকিৎসালয়ে ডাক্তার হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ও সমাজ সেবায় উৎসাহী ও উদ্যোগী ছিলেন এবং এক পর্যায়ে স্কুলের কার্যকলাপে জড়িত হন। তাঁকে স্কুল কমিটিতে সেক্রেটারি হিসেবে নেয়া হয় এবং তিনি উৎসাহের সঙ্গে কাজ করতে থাকেন।
তাঁর প্রচেষ্টায় ১৯৪১ সালের প্রথমদিকে স্কুলটিতে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত খুলে গৌরীপুর সুবল হাই স্কুল নামে চালু করা হয় । আমার জেঠাত ভাই হাফিজউদ্দিন আহমেদ বি.এসসি. বিটি দেৱীস্থার ফুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তাঁকে ১৯৪১ সালে গৌরীপুর সুবল হাই স্কুলের হেড মাস্টার হিসেবে নিয়ােগ করা হয়। স্কুল ভাল ভাবেই চলতে থাকে। হাফিজউদ্দিন সাহেব কিছুকাল পরে স্কুল থেকে দেবীদ্বার চলে যান এবং পরে তুমি হাই স্কুল পুনঃস্থাপন করেন এবং এর প্রধান শিক্ষক হিসেবে বহুদিন চাকরি করে অবসর গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তিনি অজিত গুহ কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। হাফিজউদ্দিন সাহেব চলে যাওয়ার পরে জিংলাতলীর সিরাজউদ্দিন বি.টি সাহেব হেড মজার পদে নিয়োজিত ছিলেন।
১৯৪৩ সালের বর্ষাকালে আমার পিতা অবসর গ্রহণ করেন। কিন্তু বাড়ি না প্রবাহে মৌলভী ওয়াজউদ্দিন আহমেদের স্মৃতি স্কুলের ইতিহাসে উল্লেখ নেই। যে লোক জীবনের ব্রত হিসেবে গৌরীপুরে শিক্ষার আলো ছড়াতে নিজেকে নিয়োজিত করে ৩৫ বছর | কাল কাজ করেছেন এবং তার আপ্রাণ চেষ্টার ফলস্বরুপ গৌরীপুরে শূণ্য থেকে শুরু করে হয়েছে যার স্মৃতি ক্রমান্বয়ে বিলোপ হয়ে যায়! গৌরীপুর স্কুলে মৌলভী ওয়াজউদ্দিন আহমেদের কোন নাম নেই, কোন স্মৃতি নেই। মহান আল্লাহ মৌলভী ওয়াজউদ্দিন আহমেদের নিয়তের দুয়ার খোলা রাখেন। তাঁর নিজের পরিবারে জ্ঞানের আলোর শিখা উত্তরোত্তর প্রজ্বলিত হতে থাকে। তার ছেলেমেয়ে ও নাতি নাতনীদের মধ্যে বর্তমানে পাঁচজন দেশে ও বিদেশে মাস্টার্স ডিগ্রি করা, ১২ জন গ্র্যাজুয়েট, একজন চার্টার্ড-একাউন্ট্যাট, দু'জন ইঞ্জিনিয়ার রয়েছে।
গৌরীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের কাজ পরবর্তীতে বর্ধিত হতে থাকে। এক পর্যায়ে সরকাপুরের মোহাম্মদ সিরাজ মিয়ার অর্থায়নে স্কুলটি বেশ বাড়ানো হয় এবং আর্থিক সাহায্যের জন্য সিরাজ মিয়া সাহেবের পিতা আফতাব নামের সাথে উল্লেখ করে স্কুলের নাম গৌরীপুর সুবল-আফতাব হাই স্কুল করা হয়। আর একজনের অবদান বিশেষ উল্লেখযোগ্য, তিনি হলেন মাইথারকান্দির কেরামত আলী মোল্লা সাহেব। তিনি স্কুলের খেলার মাঠের জন্য যতটুকু জানি বেশকিছু জমি দান করেন।
নিরঙ্কুশভাবে বিবেচনা করলে দেখা যাবে যে গৌরীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য মৌলভী ওয়াজউদ্দিন আহমেদের অবদান প্রচুর ও অমূল্য। তাঁর অবদান বিস্তৃত হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়, কারণ তিনিই ছিলেন গৌরীপুর হাই স্কুলের সর্বপ্রথম উদ্যোক্তা। এই স্কুলের উপর ভিত্তি করেই পরবর্তীতে গৌরীপুর কলেজ, টেকনিক্যাল কলেজ, গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। যার ফলশ্রুতিতে এই অঞ্চলে শিক্ষার আলোকবর্তিকা প্রজ্বলিত হয়।
1 note
·
View note
যদি কেউ কথা না কয়, ওরে ওরে ও অভাগা,
যদি সবাই থাকে মুখ ফিরায়ে সবাই করে ভয় -
তবে পরান খুলে
ও তুই মুখ ফুটে তোর মনের কথা একলা বলো রে।
Swarathma - Ekla Cholo Re (feat. Lakhan Das Baul) - music video
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একলা চলো রে গানটি গিরিডি শহরে লিখেছিলেন।[৬] ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের স্বদেশী যুগে রবীন্দ্রনাথ দ্বারা রচিত ২২টি প্রতিবাদী সঙ্গীতের মধ্যে এই গানটি একটি ছিল।[৭] ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে আমার সোনার বাংলা গানটির মতোই এই গানটিও বঙ্গভঙ্গের সময়কালে একটি বিখ্যাত প্রতিবাদী গান রূপে জনমানসে বিখ্যাত হয়।[৭]
১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে ভাণ্ডার পত্রিকায় একা শিরোনামে গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়। [১] ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে এই গানটি তাঁর বাউল নামক গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত ছিল।[৬] ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে গানটিকে গীতবিতানের স্বদেশ পর্যায়ে অন্ত্ররভুক্ত করা হয়।[৬] - WIKIPEDIA
10 notes
·
View notes
মহান দেশপ্রেমিক যুদ্ধে বিজয়ের ৭৭তম বার্ষিকী উদযাপন
মহান দেশপ্রেমিক যুদ্ধে বিজয়ের ৭৭তম বার্ষিকী উদযাপন
ঢাকাস্থ রাশিয়ান হাউস, মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি ট্রাস্ট এবং স্বদেশী অ্যাসোসিয়েশন “রোডিনা” এর অংশগ্রহণে, মহান দেশপ্রেমিক যুদ্ধে বিজয়ের ৭৭তম বার্ষিকী উপলক্ষে “অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যত” শীর্ষক একটি গোলটেবিল আলোচনা সম্প্রতি আয়োজন করে।
ঢাকার রাশিয়ান হাউসের প্রধান ম্যাক্সিম দোব্রোখোতভ অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শকদের অভিনন্দন জানান এবং ১৯৪১-৪৫ সালের মহান দেশপ্রেমিক যুদ্ধের ইতিহাস আলোচনা করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে বীর…
View On WordPress
0 notes
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো ভয়াবহ রূপ দেখছে কিয়েভ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো ভয়াবহ রূপ দেখছে কিয়েভ
কিয়েভে রাশিয়ার সামরিক ‘ভয়াবহ’ রকেট হামলার নিন্দা জানিয়েছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা। শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে টুইটারে এ নিন্দা জানান তিনি।
টুইটারে দিমিত্রি কুলেবা জানান, রাশিয়া কিয়েভে রকেট হামলা চালাচ্ছে। শেষবার আমাদের রাজধানী এ রকম ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখেছিল ১৯৪১, সালে যখন জার্মানির নাৎসি বাহিনী আক্রমণ করেছিল।
টুইটারে তিনি আরও লেখেন, ইউক্রেন সেই ঘৃণ্যতাকে পরাজিত করেছিল।…
View On WordPress
0 notes
🌎🌿 ৯ ডিচেম্বৰ আজিৰ দিনতো 🌿🌎 ৯ ডিচেম্বৰ (ইংৰাজী: 9 December) দিনটো গ্ৰেগৰিয়ান বৰ্ষপঞ্জী অনুসাৰে বছৰৰ ৩৪৩ তম (অধিবৰ্ষত ৩৪৪ তম) দিন। বছৰটো শেষ হ’বলৈ এই দিনৰ পৰা মুঠ ২২টা দিন বাকী থাকে। অসমীয়া লেখেৰে আঘোণ মাহৰ ২২ দিন। তৃতীয়া তিথি। ২০২১ ভাস্কৰাব্দ আৰু ৫৬৬ শঙ্কৰাব্দ। ৯ ডিচেম্বৰ আজি এইদিনটোত ঘটা কেইটামান উল্লেখযোগ্য ঘটনা আপোনালোকলৈ --⤵️ 🌿🪶 আজি আন্তৰ্জাতিক দুৰ্নীতি নিবাৰণ দিৱস। 🌿🪶 ১৯৯২ চনৰ আজিৰ দিনটোত মহাকাশচাৰী সকলে হাবল টেলিস্ক'পত ঘটা বিজুতি শুধৰাবলৈ সক্ষম হয়। 🌿🪶 ১৪৮৪ চনৰ আজিৰ দিনটোতে প্ৰখ্যাত হিন্দী গায়ক দৃষ্টিহী সুৰ দাসৰ জন্ম হৈছিল। 🌿🪶 ১৬০৮ চনৰ আজিৰ দিনটোতেই ইংৰাজ ৰোমাণ্টিক কবি জন মিল্টনৰ (John Milton) জন্ম হয় আজিৰ দিনটোতে। পেৰাডাইজ লষ্ট (ইংৰাজী: Paradise Lost ) তেওঁৰ কালজয়ী কাব্যগ্ৰন্থ। 🌿🪶 ২০০৫ চনৰ আজিৰ দিনটোতে বিশিষ্ট নাট্যকাৰ, কথা সাহিত্যিক মহেন্দ্ৰ বৰঠাকুৰৰ মৃত্যু হয়। 🌿🪶 ১৬২৫ চনৰ আজিৰ দিনটোতে হলেণ্ড আৰু ইংলেণ্ড মাজত সৈন্য চুক্তি স্বাক্ষৰিত হয় । 🌿🪶 ১৭৬২ চনৰ আজিৰ দিনটোতে ব্ৰিটিছ সংসদে পেৰিছ সন্ধি স্বীকাৰ কৰে ৷ 🌿🪶 ১৯৪১ চনৰ আজিৰ দিনটোতে চীনে জাপান, জাৰ্মানী আৰু ইটালীৰ বিৰুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা কৰে। 🌿🪶 ১৯৪৬ চনৰ আজিৰ দিনটোতে দেশৰ সৰ্বোচ্চ আইন নিৰ্ধাৰণকাৰী সংবিধান সভাৰ প্ৰথম সভা অনুষ্ঠিত হৈছিল। 🌿🪶 ১৮২৫ চনৰ আজিৰ দিনটোতে চিপাহী বিদ্ৰোহৰ এগৰাকী মুখ্য নেতা বীৰ তুলাৰামৰ জন্ম হৈছিল । 🌿🪶 ১৯৪৫ চনৰ আজিৰ দিনটোতে অভিনেতা আৰু ৰাজনীতিবিদ শত্ৰুঘ্ন সিনহাৰ জন্ম হয় । 🌿🪶 ১৯৪৬ চনৰ আজিৰ দিনটোতে কংগ্ৰেছ নেত্ৰী ছোনিয়া গান্ধী জন্ম হৈছিল ৷ 🌿🪶 ১৯৬১ চনৰ আজিৰ দিনটোতে টোংগানিকাৰ স্বাধীনতা লাভ কৰিছিল । 🌿🪶 ১৯৯১ চনৰ আজিৰ দিনটোতে ছােভিয়েট ৰাছিয়াৰ ৰাজ্যবােৰে স্বাধীনতা লাভ কৰাৰ পিছত ৰাছিয়া,বেলুৰাছিয়া আৰু ইউক্রেইনৰ মাজত কমনৱেলথ অব ইণ্ডিপেণ্ডেন্ট ষ্টেট গঠনৰ চুক্তি কৰিছিল। 🌿🪶 ১৯৯২ চনৰ আজিৰ দিনটোতে অযােধ্যা-কাণ্ডত মৃতকৰ সংখ্যা সাতশলৈ বৃদ্ধি হৈছিল। 🌿🪶 ১৯১৭ চনৰ আজিৰ দিনটোতে ব্রিটেইনৰ জেৰুজালেম অধিকাৰ হৈছিল । 🌿🪶 ১৮৯৮ চনৰ আজিৰ দিনটোতে বংগৰ প্রসিদ্ধ বেলুৰ মঠ নির্মাণ কৰিছিল। 🌿🪶 ১৮৬৫ চনৰ আজিৰ দিনটোতে জার্মান বিজ্ঞানী ফ্রিটজ হাবেৰৰ জন্ম হৈছিল।১৯১৮ চনত তেওঁ পদার্থবিজ্ঞানৰ নােবেল বটা লাভ কৰিছিল । 🌿🪶 ১৯১৭ চনৰ আজিৰ দিনটোতে ফিনলেণ্ডে স্বাধীনতা লাভ কৰিছিল। 🙏ধন্যবাদেৰে🙏 (সংগ্ৰহ) ✒️ পৰাগ প্ৰিয়ম । 🌎যোৰহাট/তিতাবৰ 📲 9365466482 . ===**===**===** === (at Jorhat, Titabar) https://www.instagram.com/p/CXQcmwiq1DR/?utm_medium=tumblr
0 notes
বি. পি. পরিচিতি: #পূর্ণ_নামঃ রবার্ট স্টিফেনশন স্মিথ লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল অফ গিলওয়েল। (Robert Stephenson Smyth Lord Baden Powell of Gilwell.) স্কাউটদের মাঝে তিনি বি.পি, গিলওয়েলের ব্যাডেন পাওয়েল এবং ফার্স্ট ব্যারন-ব্যাড পাওয়েল নামে পরিচিত। #জন্মঃ তিনি ১৮৫৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ৬ নং স্টেনহোপ স্ট্রিট, পেডিংটন, লন্ডন-এ জন্মগ্রহণ করেন । (লন্ডনের হাইড পার্কের পাশের একটি বাড়িতে।) #পিতার_নামঃ অধ্যাপক রেভারেন্ট হারবার্ড জর্জেস ব্যাডেন পাওয়েল (Reverend H. G. Baden Powell)। তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্যামিতি ও পদার্থ-বিজ্ঞানের অধ্যাপক ছিলেন। (১৭৯৬-১৮৬০) #মাতার_নামঃ হেনরিটা গ্রেসা / হেনরিটা স্মিথ ব্যাডেন পাওয়েল (Henrietta Grace Smyth)। তিনি ব্রিটিশ নৌ বাহিনীর অ্যাডমিরাল উইলিয়াম হেনরি স্মিথের (William Henry Smyth) এর কন্যা ছিলেন (১৮২৪-১৯১৪)। #ভাইবোনঃ চার ভাই (তিনিসহ পাঁচ ভাই) ও দুই বোন। এদের মধ্যে তিনি পঞ্চম। #কর্মজীবনঃ বিপি ১৮৭৩ সালে সেনাবাহিনীর ১৩ তম অশ্বারোহী (13th Hussars) সেনা দলের কমিশন পদে সরাসরি সাব ল্যাফটেনেন্ট হিসেবে যোগ দেন। তিনি ১৯১০ সালে সেনাবাহিনি থেকে অবসর নেন। তিনি ১৮৭৬ সাল থেকে ব্রিটিশ সেনাবাহিনির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করে ১৯১০ সালে ল্যাফটেনেন্ট-জেনারেল পদ থেকে অবসর গ্রহন করেন। #স্ত্রীর_নাম_ও_বিবাহঃ তিনি ১৯১২ সালের ২৯ অক্টোবর "ও’লাভ সেইন্ট ক্লেয়ার সোয়েমস" (Olave St. Clair Soames) /লেডি ব্যাডেন পাওয়েল (২২ ফেব্রুয়ারী ১৮৮৯ - ২৫ জুন ১৯৭৭, গার্ল গাইডের সহ-প্রবর্তক) এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। #সন্তান_সন্তানিঃ তাদের দুই মেয়ে - হিথার ও বেটি ; এবং এক ছেলে -পিটার। • রবার্ট পিটার (Arthur Robert Peter Baden-Powell) [30 Oct. 1913 - 9 Dec. 1962] • হিথার ব্যাডেন পাওয়েল (Heather Baden Powell) [ 01 Jun. 1915 - 1986 ] • বেটি ক্লেয়ার (Betty Clay) [16 Apr. 1917 - 24 Apr. 2004 ] #মৃত্যুঃ শেষ জীবনে তিনি কেনিয়ার নেইরিতে অবস্থিত আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চূড়া "মাউন্ট কেনিয়া"-য় "প্যাক্সটু কটেজ"-এ বাস করতেন। এখানে তিনি ১৯৪১ সালের ৮ জানুয়ারি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি থেকে নেইরি শহর প্রায় ১৫০ কি. মি. দূরে অবস্থিত।) #বিপির_প্রকাশিত_উল্লেখযোগ্য_বইঃ স্কাউটিং আন্দোলন শুরুর আগে ও পরে লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল কাব স্কাউট, স্কাউট, রোভার স্কাউট ও অ্যাডাল্ট লিডারদের যে সমস্ত বই প্রকাশ করেছেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বইগুলো নিম্নরূপ: • এইডস টু স্কাউটিং (১৮৯৯) -এ বই পড়ে অনেকেই স্কাউটিং এর প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে। • স্কাউটিং ফর বয়েজ (১৯০৮) - স্কাউট (at World) https://www.instagram.com/p/CWQssH6hn6n/?utm_medium=tumblr
0 notes