Tumgik
#ভাগ্যচক্র
Text
ভাগ্যচক্র
সাফা ও নিবা দুই বান্ধবী। ঘনিষ্ঠতার বর্ণনা করতে গেলে তাদের উপরে কোন সম্পর্ক পাওয়া যাবে না। ছোটবেলা থেকে একসাথে বড় দেখতেও দুজনের চেহারা একিরকম যেন জমজ দুই বোন। দুজনকে আলাদা করতে হিমশিম খেতে হয় অপরিচিত সকলেরই। দুজনে এখন বড় হয়েছে স্কুল ছেড়ে কলেজ লাইফে পা দিবে।
নিবার বাবার ট্রানস্ফার হচ্ছে তা নিয়ে কত ভাবনা! সাফাও  বাড়িতে জেদ ধরে বসে আছে সেও  ওই শহরে গিয়েই পড়বে। মেয়ের বাড়াবাড়ির ওপর শেষ পর্যন্ত বাবা-মার পেরে উঠতে পারল না। শেষ পর্যন্ত দুজনে একই শহরে পড়া শুরু করল। কলেজে উঠে সে কী সুখ চুল উড়িয়ে ঘুরে বেরানো, প্রেম প্রেম ভাব, দুষ্টমিতে সেরা পড়াশোনায় ফাঁকি।
"প্রেম" প্রেমে পড়েছে সাফা। এদিকে নিবা ও ক্রাশ খেয়ে বসে আছে।কেন যেন দুজনেই দুজনের থেকে ব্যাপারটা আড়াল করছে বলতে চেয়েও বলে উঠতে পারছেনা যেন নিজেদের কাছে লজ্জাই মাথা কাটা যাচ্ছে তাদের! এর আগে প্রিমে তো কেউ পরেনি, আর একজনকে ছেড়ে আরেকজন প্রেম করবে তাই বা নিজের চোখে কিভাবে ঠিক হয়। ইতস্ত বোধ এ দুজনেই ভুগছে দুজনের থেকে।
বৈশাখী মেলা লেগেছে। ঘুরতে বেরবে সাফা ও নিবা। দুজনে শাড়ী পড়ে প্রস্তুত। তবে এই প্রথমবার একসাথে না যাওয়া নিয়ে তাদের নানান বাহানা। কোন ভাবে দুজনে আলাদা ভাবেই বের হল। সাফা তার প্রেমিকের খোঁজে বের হয় আর নিবা তার ক্রাশকে পিছু করে বেড়ায়।
- কীরে সাফা কাকে খুঁজছিস তুই?! তুই না বললি তোর কি যেন কাজ আছে?!
- তুই ও  তো আমাকে বলেছিলি তোর কাজ আছে তুই কি করছিস এখানে।
পাশ থেকে এক জ্যোতিষী গুরু ভরা কন্ঠে বলে গেলেন, "ভাগ্যচক্র "  এ তো এক সুতোর ভাগ্যচক্র! প্রেমে পড়েছে দুজন সখী এক সখারি সনে!
ভাগ্য বাবু তোমার আমার রইবো একই ঘরে। 
সাফা ও নিবা দুজনেই জ্যোতিষীর কথা শুনে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল, যে জ্যোতিষী আবার হঠাত করে এমন ভাগ্যচক্র নিয়ে বলে গেল কেন?!  যাই হোক কোনভাবে কি আমরা দুজনেই প্রেমে পড়েছি?!
- এই সাফা, কি বুঝলি?!
- আমি আর কি বুঝবো?! তুই কি বুঝলি?
- আমি কি বুঝলাম তাতো আমিও কনফিউজ। তাছাড়া এসব জতিসীর কথা!!
- তুই বল তুই আজকে আমার সাথে বের হোলি,না কেন?!
- আচ্ছা বলছি তবে তুইও সত্যি করে বলবে কিন্তু।
- আমি প্রেমে পড়েছি!
- আমি ক্রাশ খেয়েছি!
দুজনেই কথা বলতে না বলতেই একে অপরকে জড়িয়ে মেলা ভর্তি জায়গায় চিল্লিয়ে বলে উঠেছে প্রেমে পড়েছে আমার সখি প্রেমে পড়েছে!!
পরদিন কলেজে দুজনে দুজনের প্রেমিককে দেখার জন্য আকুল হয়ে রইল কে কার প্রেমে পড়লে আসলে। 
সকাল হতেই দুজনে রওনা হল কলেজের উদ্দেশ্যে। বৈশাখের আমেজে পরিবেশটা যেন ভালোবাসায় মাখো মাখো হয়ে আছে! এমন সময় কলেজের ফটকে দাঁড়িয়ে গেল সাফা ও নিবা দুজনেরই চোখ যেন একই দিকে একই বিন্দুতে আটকে গেছে।
- সাফা, ওই দেখ আমার ক্রাশ! তোর বান্ধবীর প্রেমে পড়েছে। সাফা, আই এ'ম ইন লাভ!
নিবা এসব বলতে বলতে সাফার হাত ধরে টানছে তবে সাফা কেন যেন স্তব্ধ হয়ে গেছে!
- এই সাফা দেখতে পাচ্ছিস না? একটা মানুষই তো আসতেছে এদিকে এখন তো কেউ নাই তাও কি দেখতে পাচ্ছিস না? কিছু বলছিস না কেন?!
সাফা ঘোর ভেঙে উঠে বলল,
- ওহ্ ভালই পছন্দ করেছিস। তা আমাকে একটু আগে বলবি না?! এই হ্যানসাম কে তোর আগে নাহয় আমি পটাতাম! 
- কেন তোর প্রেমিক কি কম হ্যান্ডসাম নাকি?!
- ওটার কথা ছাড় তো, তুই যে হ্যান্ডসামকে পাচ্ছিস এরপর আমার একটু ভালো খোঁজা লাগবে ওটার কথা বাদ দে।
- তুইও না জীবনে একটা প্রথম প্রেমে পড়লি তাও আবার আমার হ্যান্ডসাম কে দেখে সেটা বাতিল?! 
- ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
- মোনালিসা মিতু।
2 notes · View notes
Text
কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট, প্রমাণ হয়ে যাবে আসল বাঘ নাকি বাঘ ছাল গায়ে দেওয়া বিড়াল  ? চর্চা জোর কদমে
মহুয়া ঘোষাল দুর্গাপুর কাঁকসা ব্লক । দুটি বিধানসভার ভাগ্যচক্র লেখে এমন একটি ব্লক । দুর্গাপুর পুর্ব বিধানসভা আসনে রয়েছে কাঁকসার তিনটি পঞ্চায়েত আর গলসি বিধানসভা আসনে রয়েছে চারটি পঞ্চায়েত । গোপালপুর, আমলাজোড়া , মলানদিঘি পঞ্চায়েত দুর্গাপুর পুর্বে আর বনকাটি , বিদবিহার , ত্রিলোকচন্দ্রপুর , কাঁকসা পঞ্চায়েত গলসি বিধানসভার মধ্যে পড়ছে । কাঁকসা ব্লকে এই মুহুর্তে পঞ্চায়েত ফল দেখলে চোখ বুজে বলে…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
mdrahmatalis-blog · 9 months
Text
দাওয়াত
============
মোঃ রহমত আলী
============
চুলো তাই রোজ জ্বলছে জ্বলার ,
ধুলো রোজ তাই উড়ছে হাওয়ায়।
পথ তাই চলছে পথিক রোজ চলার ,
ভাগ্যচক্র তাই রোজ ঘুরছে সময় ,
বাজার তাই সব চলে কেনাবেচা।
বিলাপি আনন্দে খুশি খুঁজে কাহারা ,
বাজারের খবরে কারা যেন কাঁদে-রে ,
বেড়েছে দামে দশ গুণ কমেছে এক ,
এই বলে হিসাব হল বরাবর সাহেব।
কারো চুলো জ্বলার ধোঁয়ায় ,
কারো চোখে বহে কান্নার জোয়ার ,
থেমে নেই তবু এগিয়ে চলা সময় সবার।
চুলো জ্বলার তাই জ্বলছে রোজ ,
রান্না-ঘরে কাঁন্নার কে করে খোঁজ।
উদ্যানে বসে ক্ষুধার উন্মাদনায় উদ্দাম ,
তারা অপেক্ষায় খাবার প্রতীক্ষায়।
যখন ফুল চোরের গলায়- ফুলের-মালা ,
তখন মাছ ধরতে গিয়ে জেলে তারা !
এখন সবার মুখে হারানো চাবির তালা ,
জ্বলছে চুলো অনেকের তবু পেটে জ্বালা।
তিন চাকায় ঘুরছে ভাগ্য চাচা ,
বছর-বছর হয়নি খাওয়া ইলিশ-ভাজা।
অথচ রোজ সুবাস ছড়ায় রান্নার ঘ্রাণ ,
যার নসিবে যা তাই হবে তার খাওন ।
০৫.০৯.২০২৩
Tumblr media
0 notes
peopletv322 · 5 years
Link
0 notes
yes-admin-sami · 4 years
Link
0 notes
jabed92 · 5 years
Link
via BBC News 24
0 notes
বৃহস্পতির ভাগ্যচক্র: লক্ষ্মীবার কেমন কাটবে জানতে পড়ুন ‘আজকের রাশিফল’
বৃহস্পতির ভাগ্যচক্র: লক্ষ্মীবার কেমন কাটবে জানতে পড়ুন ‘আজকের রাশিফল’
আজকের রাশিফল: অক্টোবর ১০-সোমবার-২০১৯ মেষ (২১ মার্চ – ২০ এপ্রিল): মেষ রাশির জাতক জাতিকার দিনটি ভালো যাবে। আজ জমি বা গাড়ি কিনলে লাভবান হবেন। আর্থিক বিষয়ে আত্মীয়দের সাহায্য লাভের যোগ আছে। কর্মস্থলে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা কোনও সমস্যার অপ্রত্যাশিত সমাধান হতে পারে। আত্মীয়-স্বজনের আগমনের যোগ। শুভ রং: সবুজ শুভ সংখ্যা: ২ বৃষ (২১ এপ্রিল – ২১ মে):বৃষ রাশির জাতক জাতিকাদের দিনটি শুভ সম্ভাবনাময়। আজ বিদেশ থেকে…
View On WordPress
0 notes
sentoornetwork · 5 years
Text
বড় আশা করে কি ফল লভিনু হায়!
New Post has been published on https://sentoornetwork.com/sovan-dishearten-about-bjp/
বড় আশা করে কি ফল লভিনু হায়!
ইংরেজিতে একটা কথা আছে ম্যান প্রপোজেস গড ডিসপোজেস। মানুষ আশা করে, ঈশ্বর আশাভঙ্গ করে দেয়। তবু আশা নিয়েই বাঁচা। মানুষের জীবনে চালিকাশক্তিই হল আশা। তা কুহকিনী হলেও বুকের কোটরে সেই আশার ছলনা ভরা আলো বর্তিকা হয়ে ওঠে। আশাহত হলে এবং কারোর বন্ধুভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে, তাঁর অনুপ্রেরণায় নতুন পথে হাঁটার সাহস অজান্তে এসে যায়। তখন ঝুঁকি নিতে ইচ্ছে করে। এরকম ভাগ্যবানদের মধ্যে একজন হলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। জীবনে ঝড়ের মুখে পড়ে যখন তিনি বিধ্বস্ত তখন বিশ্বস্ত বন্ধুর মতো হাত বাড়িয়ে দেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরই পরামর্শে নিশ্চিত ৪০ বছরের পাকাপোক্ত ঘর ছেড়ে পাকা দালান বাড়ি দেখে অনেক আশা নিয়ে গিয়েছিলেন পুনর্বাসনের আশায়। ভেবেছিলেন ভাগ্যচক্র ঘুরবে। কিন্তু সেখানে পা রাখার অাগে থেকেই তাঁদের জুটি নিয়ে নানা কটাক্ষ শুনতে হচ্ছে। এক মাসও হয়নি এখনও দিল্লি-কলকাতা ছুটোছুটি করতে করতে কোমরে ব্যথা ধরে যাচ্ছে। যেন শত্রুপুরিতে ঢুকে পড়েছেন। সিরিয়ালের খলনায়ক ও খলনায়িকাও এসে হাজির। গেরুয়া পর্বে এসে একী গেরো বলুন তো! দেবশ্রীকে দলে এনে বাড়া ভাতে ছাই দিতে কলকাঠি নাড়া দিচ্ছেন জয় ব্যানার্জি। কী সাংঘাতিক নোংরা ব্যাপারস্যাপার চলছে এত বড় একটা দলের মধ্যে। সেই নেতা এমন কুকথার ফুলঝুরি ছোটালেও দল বধির হয়ে রয়েছে বলে বৈশাখীর অভিযোগ। তিনি চটিতং হয়ে বলেছেন, এমন অসম্মান আগে হননি তৃণমূলের সান্নিধ্যে থাকার সময়। বান্ধবীর অপমানে বেজায় খাপ্পা শোভনও। দুজনই চাইছেন হেস্তনেস্ত করতে। দুজনেই নালিশ করে বিহিত চেয়েছেন। দলের প্রধান নেতা দিলীপ ঘোষ ব্যক্তিগত বিষয়ে দলের কোনও নেতার মন্তব্য করা অনুচিত বলে জানালেও তেমন গ্রাহ্য করছেন না। এই অবস্থায় চখা-চখি কী করবেন তা কয়েকদিনের মধ্যেই জানা যেতে পারে। তবে তাঁদের গলায় তৃণমূল সম্পর্কে সুর নরমের আভাস মিলেছে। তবে কি তাঁরা পুরনো শিবিরে ফেরার পথ ধরবেন ? আক্ষেপের ক্ষীণ সুর যেন বেজে উঠেছে। কোণঠাসা জুটির চোখেমুখে চাপ চাপ হতাশা। ক্লান্তিও। কোথায় যাই? কী যে করি, কোন পথে যে চলি? ফিরে যেতে চাই কিন্তু নিতে কে�� নাই। কে আছ বাঁচাও! পড়েছি যে জাঁতাকলে! চলুন দেখে নিই আজকের আয়না।
0 notes
businesshour24-blog · 6 years
Photo
Tumblr media
(via দেখে নিন ভাগ্যচক্র, কেমন যাবে দিনটি!)
0 notes
dhakacrimetv-blog · 6 years
Text
আজকের ভাগ্যচক্র
স্টাফ রিপোর্টার মোঃ শাওন খাঁন: আজকের এই দিনে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্যমতে আপনি মেষ রাশির জাতব্যক্তি। আপনার ওপর আজ রাশি দেবসেনাপতি মঙ্গল, পরমযোগী গ্রহ শনি মহারাজ ও বুদ্ধির দেবতা বুধের প্রভাব বিদ্যমান।
আপনার সঙ্গে কুম্ভ রাশির বন্ধুত্ব শুভফল প্রদান করবে। দীর্ঘদিনের আটকে থাকা বিল পাস ও পাওনা টাকা আদায় হওয়ায় ঋণমুক্তি শুধু নয়, সঞ্চয়ের ভিত মজবুত হয়ে উঠবে। শত্রুরা পরাস্ত হবে।
মেষ  [২১ মার্চ-২০ এপ্রিল]
যে…
View On WordPress
0 notes
mrmwithacupofcoffee · 11 months
Text
চেনা মুখ
সাফা ও নিবা দুই বান্ধবী। ঘনিষ্ঠতার বর্ণনা করতে গেলে তাদের উপরে কোন সম্পর্ক পাওয়া যাবে না। ছোটবেলা থেকে একসাথে বড় দেখতেও দুজনের চেহারা একিরকম যেন জমজ দুই বোন। দুজনকে আলাদা করতে হিমশিম খেতে হয় অপরিচিত সকলেরই। দুজনে এখন বড় হয়েছে স্কুল ছেড়ে কলেজ লাইফে পা দিবে।
নিবার বাবার ট্রানস্ফার হচ্ছে তা নিয়ে কত ভাবনা! সাফাও  বাড়িতে জেদ ধরে বসে আছে সেও  ওই শহরে গিয়েই পড়বে। মেয়ের বাড়া���াড়ির ওপর শেষ পর্যন্ত বাবা-মার পেরে উঠতে পারল না। শেষ পর্যন্ত দুজনে একই শহরে পড়া শুরু করল। কলেজে উঠে সে কী সুখ চুল উড়িয়ে ঘুরে বেরানো, প্রেম প্রেম ভাব, দুষ্টমিতে সেরা পড়াশোনায় ফাঁকি।
"প্রেম" প্রেমে পড়েছে সাফা। এদিকে নিবা ও ক্রাশ খেয়ে বসে আছে।কেন যেন দুজনেই দুজনের থেকে ব্যাপারটা আড়াল করছে বলতে চেয়েও বলে উঠতে পারছেনা যেন নিজেদের কাছে লজ্জাই মাথা কাটা যাচ্ছে তাদের! এর আগে প্রিমে তো কেউ পরেনি, আর একজনকে ছেড়ে আরেকজন প্রেম করবে তাই বা নিজের চোখে কিভাবে ঠিক হয়। ইতস্ত বোধ এ দুজনেই ভুগছে দুজনের থেকে।
বৈশাখী মেলা লেগেছে। ঘুরতে বেরবে সাফা ও নিবা। দুজনে শাড়ী পড়ে প্রস্তুত। তবে এই প্রথমবার একসাথে না যাওয়া নিয়ে তাদের নানান বাহানা। কোন ভাবে দুজনে আলাদা ভাবেই বের হল। সাফা তার প্রেমিকের খোঁজে বের হয় আর নিবা তার ক্রাশকে পিছু করে বেড়ায়।
- কীরে সাফা কাকে খুঁজছিস তুই! তুই না বললি তোর কি যেন কাজ আছে?
- তুই ও  তো আমাকে বলেছিলি তোর কাজ আছে তুই কি করছিস এখানে।
পাশ থেকে এক জ্যোতিষী গুরু ভরা কন্ঠে বলে গেলেন, "ভাগ্যচক্র "  এ তো এক সুতোর ভাগ্যচক্র! প্রেমে পড়েছে দুজন সখী এক সখারি সনে!
ভাগ্য বাবু তোমার আমার রইবো একই ঘরে। 
সাফা ও নিবা দুজনেই জ্যোতিষীর কথা শুনে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল, যে জ্যোতিষী আবার হঠাত করে এমন ভাগ্যচক্র নিয়ে বলে গেল কেন?  যাই হোক কোনভাবে কি আমরা দুজনেই প্রেমে পড়েছি?
- এই সাফা, কি বুঝলি?
- আমি আর কি বুঝবো? তুই কি বুঝলি?
- আমি কি বুঝলাম তাতো আমিও কনফিউজ। তাছাড়া এসব জতিসীর কথা!
- তুই বল তুই আজকে আমার সাথে বের হোলি,না কেন?
- আচ্ছা বলছি তবে তুইও সত্যি করে বলবে কিন্তু।
- আমি প্রেমে পড়েছি!
- আমি ক্রাশ খেয়েছি!
দুজনেই কথা বলতে না বলতেই একে অপরকে জড়িয়ে মেলা ভর্তি জায়গায় চিল্লিয়ে বলে উঠেছে প্রেমে পড়েছে আমার সখি প্রেমে পড়েছে!
পরদিন কলেজে দুজনে দুজনের প্রেমিককে দেখার জন্য আকুল হয়ে রইল কে কার প্রেমে পড়লে আসলে। 
সকাল হতেই দুজনে রওনা হল কলেজের উদ্দেশ্যে। বৈশাখের আমেজে পরিবেশটা যেন ভালোবাসায় মাখো মাখো হয়ে আছে! এমন সময় কলেজের ফটকে দাঁড়িয়ে গেল সাফা ও নিবা দুজনেরই চোখ যেন একই দিকে একই বিন্দুতে আটকে গেছে।
- সাফা, ওই দেখ আমার ক্রাশ! তোর বান্ধবীর প্রেমে পড়েছে। সাফা, আই এ'ম ইন লাভ!
নিবা এসব বলতে বলতে সাফার হাত ধরে টানছে তবে সাফা কেন যেন স্তব্ধ হয়ে গেছে!
- এই সাফা দেখতে পাচ্ছিস না? একটা মানুষই তো আসতেছে এদিকে এখন তো কেউ নাই তাও কি দেখতে পাচ্ছিস না? কিছু বলছিস না কেন?
সাফা ঘোর ভেঙে উঠে বলল,
- ওহ্ ভালই পছন্দ করেছিস। তা আমাকে একটু আগে বলবি না?!এই হ্যানসাম কে তোর আগে নাহয় আমি পটাতাম! 
- কেন তোর প্রেমিক কি কম হ্যান্ডসাম নাকি?
- ওটার কথা ছাড় তো, তুই যে হ্যান্ডসামকে পাচ্ছিস এরপর আমার একটু ভালো খোঁজা লাগবে ওটার কথা বাদ দে।
- তুইও না জীবনে একটা প্রথম প্রেমে পড়লি তাও আবার আমার হ্যান্ডসাম কে দেখে সেটা বাতিল?
- ২ জুলাই, ২০২৩
- মোনালিসা মিতু।
0 notes
barisalmorning-blog · 7 years
Text
আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের এদিনে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্যমতে আপনি বৃশ্চিক রাশির জাতব্যক্তি। আপনার ওপর আজ কুমার গ্রহ মঙ্গল, গ্রহপিতা রবি ও দেবগুরু বৃহস্পতির প্রভাব বিদ্যমান। আপনার সঙ্গে সিংহ রাশির বন্ধুত্ব শুভফল প্রদান করবে। ডাকযোগে প্রাপ্ত সংবাদ বেকারদের কর্মপ্রাপ্তির বাসনা পূরণ করবে। বিদেশ গমন ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তন সমানতালে শুভফল প্রদান করবে। মেষ [২১ মার্চ-২০ এপ্রিল] কর্ম অর্থ মোক্ষ সুনাম যশ প্রতিষ্ঠার গ্রাফ চাঙ্গা…
View On WordPress
0 notes
Text
আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের এই দিনে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্যমতে আপনি তুলা রাশির জাতব্যক্তি। আপনার ওপর আজ রাশি অধিপতি শুক্র, বুদ্ধির দেবতা ���ুধ ও বিঘ্ন সৃষ্টিকারী গ্রহ কেতুর প্রভাব বিদ্যমান। আপনার সঙ্গে কন্যা রাশির বন্ধুত্ব শুভফল প্রদান করবে। টাকা-পয়সা হাতে আসতে আসতে মাঝপথে আটকে যাওয়ায় দিনের শেষে তারল্য সং��টে পড়তে হবে। দীর্ঘদিনের হারানো বন্ধুর সাক্ষাৎ শুভকর হবে।   মেষ  [২১ মার্চ-২০ এপ্রিল] কলহ-বিবাদ উত্কট উদ্ভট ঝামেলা…
View On WordPress
0 notes
Text
ক্রাশ
সাফা ও নিবা দুই বান্ধবী। ঘনিষ্ঠতার বর্ণনা করতে গেলে তাদের উপরে কোন সম্পর্ক পাওয়া যাবে না। ছোটবেলা থেকে একসাথে বড় দেখতেও দুজনের চেহারা একিরকম যেন জমজ দুই বোন। দুজনকে আলাদা করতে হিমশিম খেতে হয় অপরিচিত সকলেরই। দুজনে এখন বড় হয়েছে স্কুল ছেড়ে কলেজ লাইফে পা দিবে।
নিবার বাবার ট্রানস্ফার হচ্ছে তা নিয়ে কত ভাবনা! সাফাও  বাড়িতে জেদ ধরে বসে আছে সেও  ওই শহরে গিয়েই পড়বে। মেয়ের বাড়াবাড়ির ওপর শেষ পর্যন্ত বাবা-মার পেরে উঠতে পারল না। শেষ পর্যন্ত দুজনে একই শহরে পড়া শুরু করল। কলেজে উঠে সে কী সুখ চুল উড়িয়ে ঘুরে বেরানো, প্রেম প্রেম ভাব, দুষ্টমিতে সেরা পড়াশোনায় ফাঁকি।
"প্রেম" প্রেমে পড়েছে সাফা। এদিকে নিবা ও ক্রাশ খেয়ে বসে আছে।কেন যেন দুজনেই দুজনের থেকে ব্যাপারটা আড়াল করছে বলতে চেয়েও বলে উঠতে পারছেনা যেন নিজেদের কাছে লজ্জাই মাথা কাটা যাচ্ছে তাদের! এর আগে প্রিমে তো কেউ পরেনি, আর একজনকে ছেড়ে আরেকজন প্রেম করবে তাই বা নিজের চোখে কিভাবে ঠিক হয়। ইতস্ত বোধ এ দুজনেই ভুগছে দুজনের থেকে।
বৈশাখী মেলা লেগেছে। ঘুরতে বেরবে সাফা ও নিবা। দুজনে শাড়ী পড়ে প্রস্তুত। তবে এই প্রথমবার একসাথে না যাওয়া নিয়ে তাদের নানান বাহানা। কোন ভাবে দুজনে আলাদা ভাবেই বের হল। সাফা তার প্রেমিকের খোঁজে বের হয় আর নিবা তার ক্রাশকে পিছু করে বেড়ায়।
- কীরে সাফা কাকে খুঁজছিস তুই?! তুই না বললি তোর কি যেন কাজ আছে?!
- তুই ও  তো আমাকে বলেছিলি তোর কাজ আছে তুই কি করছিস এখানে।
পাশ থেকে এক জ্যোতিষী গুরু ভরা কন্ঠে বলে গেলেন, "ভাগ্যচক্র "  এ তো এক সুতোর ভাগ্যচক্র! প্রেমে পড়েছে দুজন সখী এক সখারি সনে!
ভাগ্য বাবু তোমার আমার রইবো একই ঘরে। 
সাফা ও নিবা দুজনেই জ্যোতিষীর কথা শুনে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল, যে জ্যোতিষী আবার হঠাত করে এমন ভাগ্যচক্র নিয়ে বলে গেল কেন?!  যাই হোক কোনভাবে কি আমরা দুজনেই প্রেমে পড়েছি?!
- এই সাফা, কি বুঝলি?!
- আমি আর কি বুঝবো?! তুই কি বুঝলি?
- আমি কি বুঝলাম তাতো আমিও কনফিউজ। তাছাড়া এসব জতিসীর কথা!!
- তুই বল তুই আজকে আমার সাথে বের হোলি,না কেন?!
- আচ্ছা বলছি তবে তুইও সত্যি করে বলবে কিন্তু।
- আমি প্রেমে পড়েছি!
- আমি ক্রাশ খেয়েছি!
দুজনেই কথা বলতে না বলতেই একে অপরকে জড়িয়ে মেলা ভর্তি জায়গায় চিল্লিয়ে বলে উঠেছে প্রেমে পড়েছে আমার সখি প্রেমে পড়েছে!!
পরদিন কলেজে দুজনে দুজনের প্রেমিককে দেখার জন্য আকুল হয়ে রইল কে কার প্রেমে পড়লে আসলে। 
সকাল হতেই দুজনে রওনা হল কলেজের উদ্দেশ্যে। বৈশাখের আমেজে পরিবেশটা যেন ভালোবাসায় মাখো মাখো হয়ে আছে! এমন সময় কলেজের ফটকে দাঁড়িয়ে গেল সাফা ও নিবা দুজনেরই চোখ যেন একই দিকে একই বিন্দুতে আটকে গেছে।
- সাফা, ওই দেখ আমার ক্রাশ! তোর বান্ধবীর প্রেমে পড়েছে। সাফা, আই এ'ম ইন লাভ!
নিবা এসব বলতে বলতে সাফার হাত ধরে টানছে তবে সাফা কেন যেন স্তব্ধ হয়ে গেছে!
- এই সাফা দেখতে পাচ্ছিস না? একটা মানুষই তো আসতেছে এদিকে এখন তো কেউ নাই তাও কি দেখতে পাচ্ছিস না? কিছু বলছিস না কেন?!
সাফা ঘোর ভেঙে উঠে বলল,
- ওহ্ ভালই পছন্দ করেছিস। তা আমাকে একটু আগে বলবি না?! এই হ্যানসাম কে তোর আগে নাহয় আমি পটাতাম! 
- কেন তোর প্রেমিক কি কম হ্যান্ডসাম নাকি?!
- ওটার কথা ছাড় তো, তুই যে হ্যান্ডসামকে পাচ্ছিস এরপর আমার একটু ভালো খোঁজা লাগবে ওটার কথা বাদ দে।
- তুইও না জীবনে একটা প্রথম প্রেমে পড়লি তাও আবার আমার হ্যান্ডসাম কে দেখে সেটা বাতিল?
- ৯ এপ্রিল, ২০২৩
- মোনালিসা মিতু।
0 notes
Text
ভাগ্যচক্র ২
ওদিকে রানা তীব্রবেগে এগিয়ে আসছে সাফার দিকে, আর সাফাকে বলে উঠলো,
- আপনারা কি জমজ?!  চিনতে একটু কষ্ট হয়ে যায়!
নিবা বলে উঠলো, 
- না না আমরা যমজ নয়।
গতকাল আমরা জেনেছি নিবা ও সাফা নামে দুই বান্ধবি সম্পর্কে আর তাদের চলার পথের ছোটখাটো কিছু ঘটনা সম্বন্ধে।
সর্বশেষ তাদের যমজ বলে সম্বন্ধন করা হয়। তারপর থেকে-
এদিকে রানা কলেজ ছুটির পর প্রায় সময়ই সাফা ও নিবার পিছু নেয়। এখন নিবা ভাবে রানা নিবার পিছু নিয়েছে কিছু সাফা রানার চোখে স্পষ্ট ভাবে দেখতে পায় তার জন্য ভালোবাসা। কিন্তু নিবার প্রতি তার কৃতঙ্গতা সে প্রেম কে ও ছারিয়ে যায়।
এটিকে কলেজের সময় শেষ হয়ে আসছে রানা সাফা কে প্রপোজ করার জন্য তার সকল প্রস্তুতি শেষ করে ফেলেছে। সাফা তা বুঝতে পারছে তবে নিবা এখনো একতরফা ভাবে তাকে ভালোবেসে যাচ্ছে।
আজ তাদের ইন্টারের রেজাল্ট সাফা কলেজে আসেনি। নিবা সাফা কে অনেকবার কল করাতে সাফা  কলটা রিসিভ করল এবং বলল সে একজনের সাথে আজকেই পালিয়ে যাচ্ছে। হয়তোবা নিবার সাথে আর কোন যোগাযোগ রাখতে পারবে না সে।
- নিবা কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো মাঠের মাঝখানে।
এদিক থেকে রানা হাতে ফুল নিয়ে যে কিনা সাফার অপেক্ষা করছিল সে ফুল নিয়ে ছুটে এল লিবার কাছে আর বলে উঠলো,
- কি হয়েছে নিবা তোমার?! আর সাফা কোথায়?!
নিবা মাঠের মাঝখানে রানাকে জড়িয়ে ধরে বলে ওঠে, -সাফা আসবে না রানা, সাফা আসবে না ও পালিয়ে গেছে!  ও আমাকে কিছু জানায়নি! ওকে আমি আর কখনো খুঁজে পাবো না।
রানার স্বপ্নগুলো যেন এক মুহূর্তের মধ্যে চুরমার হয়ে গেল। তার হাত থেকে পড়ে গেল গোলাপের তোড়া। সে বুঝতে পারছে না যে কি ভাবে কি হয়ে গেল। 
নিবার কান্নাতে রানা নিজেকে ও সময় দিতে পারছে না। এরই মাঝে নিবা বলে উঠলো,
- রানা তোমার হাতে গোলাপ কিসের?! তুমি কি আমার জন্য এনেছ?! প্লীজ তুমি আমাকে ছেড়ে যেও না। আমি তোমাকে প্রচন্ড ভালোবাসি রানা, আমি তোমাকে প্রচন্ড ভালোবাসি!
- রানা হতবাক হয়ে গেল নিবার কোথায়। নিবার যে অবস্থা তাতে সে সত্যি কথাটা ও খুলে বলতে পারছে না।
শেষ অব্দি নিবা কে সামলানোর জন্য রানা বলে উঠল, - হ্যাঁ, এই গোলাপ তোমার তোমার জন্য এনেছি আমিতো তোমাকে ভালোবাসি!
সময় এভাবেই যেতে থাকলো। রানা কোনভাবেই নিবা কে তার মনের সত্যি কথাটা বলে উঠতে পারে না। এদিকে নিবার ভালোবাসা দিনে দিনে তার জন্য বেড়ে ওঠে। নিবার রানার প্রতি এরকম তিব্র ভালোবাসা রানাকে তার প্রতি ভালোবাসা তৈরি করতে বাধ্য করে ফেলে।
আজ রানা ও নিপার ষষ্ঠ বিবাহবার্ষিকী রানা যাচ্ছে তার মেয়েকে কোলে করে নিবার কবরস্থানে!  বিয়ের পর রানার ভালোবাসা ও সাফার চলে যাওয়াটা  নিবাকে মানিয়ে নিতে দেয়নি। প্রতিমুহূর্তে নিবা রানাকে জিজ্ঞেস করে গেছে সাফা কেন আমাকে কিছু বলল না? কেনইবা এভাবে চলে গেল? আমার দোষটা কোথায় ছিল?! 
রানা ট্রেনে  দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে যাচ্ছে নিবার কাছে আর বসে বসে ভাবছে সে তীক্ষ্ণ স্মৃতি গুলোর কথা। মাঝেমধ্যে বলে উঠছে নিবা এর উত্তর তো আমিও পেলাম না। সাফা কেনইবা আমাকে কিছু বলার সুযোগ দিলো না?!
- বাবা, তোমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে কেন? মাকে মিস করছো?! এসো আমি তোমার চোখের পানিটা মুছে দেই। এমন করে ছোট বাচ্চার মত কেউ কাঁদে?! মা না তোমাকে না  করেছে, আমি কিন্তু মাকে বলে দেব!
- আচ্ছা বাবা বুঝেছি বাবা আর চোখে পানি আনবে না এবার আমার মেয়েটা খুশি তো? 
এমন সময় বাইরে দরজাতে কে  যেন নক করে উঠলো বলে উঠলো আসতে পারি?
- হ্যাঁ, আসুন।
দরজা খুলে ভেতরে আসা সে মুখটা রানার চোখে পরতেই সে বুঝল এ তো সেই পরিচিত মুখ যা হঠাৎ করেই হারিয়ে গিয়েছিল!!
- ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
- মোনালিসা মিতু।
0 notes
Text
অচেনা
সাফা ও নিবা দুই বান্ধবী। ঘনিষ্ঠতার বর্ণনা করতে গেলে তাদের উপরে কোন সম্পর্ক পাওয়া যাবে না। ছোটবেলা থেকে একসাথে বড় দেখতেও দুজনের চেহারা একিরকম যেন জমজ দুই বোন। দুজনকে আলাদা করতে হিমশিম খেতে হয় অপরিচিত সকলেরই। দুজনে এখন বড় হয়েছে স্কুল ছেড়ে কলেজ লাইফে পা দিবে।
নিবার বাবার ট্রানস্ফার হচ্ছে তা নিয়ে কত ভাবনা! সাফাও  বাড়িতে জেদ ধরে বসে আছে সেও  ওই শহরে গিয়েই পড়বে। মেয়ের বাড়াবাড়ির ওপর শেষ পর্যন্ত বাবা-মার পেরে উঠতে পারল না। শেষ পর্যন্ত দুজনে একই শহরে পড়া শুরু করল। কলেজে উঠে সে কী সুখ চুল উড়িয়ে ঘুরে বেরানো, প্রেম প্রেম ভাব, দুষ্টমিতে সেরা পড়াশোনায় ফাঁকি।
"প্রেম" প্রেমে পড়েছে সাফা। এদিকে নিবা ও ক্রাশ খেয়ে বসে আছে।কেন যেন দুজনেই দুজনের থেকে ব্যাপারটা আড়াল করছে বলতে চেয়েও বলে উঠতে পারছেনা যেন নিজেদের কাছে লজ্জাই মাথা কাটা যাচ্ছে তাদের! এর আগে প্রিমে তো কেউ পরেনি, আর একজনকে ছেড়ে আরেকজন প্রেম করবে তাই বা নিজের চোখে কিভাবে ঠিক হয়। ইতস্ত বোধ এ দুজনেই ভুগছে দুজনের থেকে।
বৈশাখী মেলা লেগেছে। ঘুরতে বেরবে সাফা ও নিবা। দুজনে শাড়ী পড়ে প্রস্তুত। তবে এই প্রথমবার একসাথে না যাওয়া নিয়ে তাদের নানান বাহানা। কোন ভাবে দুজনে আলাদা ভাবেই বের হল। সাফা তার প্রেমিকের খোঁজে বের হয় আর নিবা তার ক্রাশকে পিছু করে বেড়ায়।
- কীরে সাফা কাকে খুঁজছিস তুই?! তুই না বললি তোর কি যেন কাজ আছে?!
- তুই ও  তো আমাকে বলেছিলি তোর কাজ আছে তুই কি করছিস এখানে।
পাশ থেকে এক জ্যোতিষী গুরু ভরা কন্ঠে বলে গেলেন, "ভাগ্যচক্র "  এ তো এক সুতোর ভাগ্যচক্র! প্রেমে পড়েছে দুজন সখী এক সখারি সনে!
ভাগ্য বাবু তোমার আমার রইবো একই ঘরে। 
সাফা ও নিবা দুজনেই জ্যোতিষীর কথা শুনে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল, যে জ্যোতিষী আবার হঠাত করে এমন ভাগ্যচক্র নিয়ে বলে গেল কেন?!  যাই হোক কোনভাবে কি আমরা দুজনেই প্রেমে পড়েছি?!
- এই সাফা, কি বুঝলি?!
- আমি আর কি বুঝবো?! তুই কি বুঝলি?
- আমি কি বুঝলাম তাতো আমিও কনফিউজ। তাছাড়া এসব জতিসীর কথা!!
- তুই বল তুই আজকে আমার সাথে বের হোলি,না কেন?!
- আচ্ছা বলছি তবে তুইও সত্যি করে বলবে কিন্তু।
- আমি প্রেমে পড়েছি!
- আমি ক্রাশ খেয়েছি!
দুজনেই কথা বলতে না বলতেই একে অপরকে জড়িয়ে মেলা ভর্তি জায়গায় চিল্লিয়ে বলে উঠেছে প্রেমে পড়েছে আমার সখি প্রেমে পড়েছে!!
পরদিন কলেজে দুজনে দুজনের প্রেমিককে দেখার জন্য আকুল হয়ে রইল কে কার প্রেমে পড়লে আসলে। 
সকাল হতেই দুজনে রওনা হল কলেজের উদ্দেশ্যে। বৈশাখের আমেজে পরিবেশটা যেন ভালোবাসায় মাখো মাখো হয়ে আছে! এমন সময় কলেজের ফটকে দাঁড়িয়ে গেল সাফা ও নিবা দুজনেরই চোখ যেন একই দিকে একই বিন্দুতে আটকে গেছে।
- সাফা, ওই দেখ আমার ক্রাশ! তোর বান্ধবীর প্রেমে পড়েছে। সাফা, আই এ'ম ইন লাভ!
নিবা এসব বলতে বলতে সাফার হাত ধরে টানছে তবে সাফা কেন যেন স্তব্ধ হয়ে গেছে!
- এই সাফা দেখতে পাচ্ছিস না? একটা মানুষই তো আসতেছে এদিকে এখন তো কেউ নাই তাও কি দেখতে পাচ্ছিস না? কিছু বলছিস না কেন?!
সাফা ঘোর ভেঙে উঠে বলল,
- ওহ্ ভালই পছন্দ করেছিস। তা আমাকে একটু আগে বলবি না?! এই হ্যানসাম কে তোর আগে নাহয় আমি পটাতাম! 
- কেন তোর প্রেমিক কি কম হ্যান্ডসাম নাকি?!
- ওটার কথা ছাড় তো, তুই যে হ্যান্ডসামকে পাচ্ছিস এরপর আমার একটু ভালো খোঁজা লাগবে ওটার কথা বাদ দে।
- তুইও না জীবনে একটা প্রথম প্রেমে পড়লি তাও আবার আমার হ্যান্ডসাম কে দেখে সেটা বাতিল?!
- ১৬ জানুয়ারি, ২০২৩
- মোনালিসা মিতু।
1 note · View note