ঈমান (إِيمَان 'ঈমান', শাব্দিক অর্থ প্রচলিতমতে বিশ্বাস, মতান্তরে স্বীকৃতি) শব্দের আভিধানিক অর্থ স্বীকার করা, স্বীকৃতি দেওয়া, অনুগত হওয়া মতান্তরে দৃঢ় বিশ্বাস করা। এটি কুফর বা অস্বীকার করা বা অবাধ্যতার বিপরীত। ইসলাম ধর্মে ঈমানের অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক।।
নবী রাসুলদের প্রতি বিশ্বাস
Belief in Prophets
নবী-রাসুলদের ব্যাপারে ১০ বিষয়ে বিশ্বাস রাখা জরুরি
নবী-রাসুলদের প্রতি মুমিনের বিশ্বাসের প্রধান কিছু দিক
১) অভিন্ন তাওহিদের আহ্বান
২) আল্লাহর বাণী পরিপূর্ণভাবে পৌঁছে দিয়েছেন
৩) সব নবী-রাসুল ছিলেন সত্যের ধারক
৪) সব জাতির কাছে নবী এসেছেন
৬) নবী-রাসুলরা আল্লাহর সাহায্যপ্রাপ্ত
৭) সব নবী-রাসুল মানুষ ছিলেন
৮) পরস্পরকে সত্যায়ন
৯) মৌলিক মর্যাদায় সবাই সমান
১০) সর্বশ্রেষ্ঠ নবী মুহাম্মদ (স.)
নবী ও রাসূলগণের প্রতি ঈমান
youtube
youtube
মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরআনে
মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শেষ নবী
আর মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একজন রাসূল বৈ তো নন! তাঁর পূর্বে বহু রাসূল গত হয়েছে। তার যদি মৃত্যু হয়ে যায় কিংবা তাঁকে হত্যা করে ফেলা হয়, তবে কি তোমরা উল্টো দিকে ফিরে যাবে? যে কেউ উল্টো দিকে ফিরে যাবে, সে কখনই আল্লাহর কিছুমাত্র ক্ষতি করতে পারবে না। আর যারা কৃতজ্ঞ বান্দা, আল্লাহ তাদেরকে পুরস্কার দান করবেন।
সূরা আল-আহযাব, আয়াত – ৪০ মুহাম্মদ তোমাদের কোন ব্যক্তির পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং শেষ নবী। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।
সূরা মুহাম্মাদ, আয়াত ২
মুহাম্মদ (সা.) সর্বশ্রেষ্ঠ ও শেষ নবী
https://www.youtube.com/watch?v=U3t0BTkZPgI
youtube
youtube
সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর অর্থ...
নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) কে? মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হলেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার সর্বশেষ নবী এবং চূড়ান্ত রাসূল। মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) খাতামুন-নবিয়ীন ("নবীদের সীলমোহর") কুরআনে ব্যবহৃত এই শব্দ দুটি দ্বারা সাধারণত এটি বোঝানো হয় যে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম আল্লাহ্র প্রেরিত নবীদের মধ্যে সর্বশেষ পয়গম্বর। কন্ঠস্বরটি এই বলে ডেকেছিল, "হে মুহাম্মাদ, আপনি আল্লাহ্র রসূল এবং আমি ফেরেশতা জিব্রাঈল।" এই প্রত্যাদেশ…
নবী-রাসুলদের ওপর বিশ্বাস ছাড়া কোনো ব্যক্তির ঈমানের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উপরোক্ত সকল বিষয়ে দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করার এবং মহানবী (স.)-এর পবিত্র সুন্নত অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
ঈমান (إِيمَان 'ঈমান', শাব্দিক অর্থ প্রচলিতমতে বিশ্বাস, মতান্তরে স্বীকৃতি) শব্দের আভিধানিক অর্থ স্বীকার করা, স্বীকৃতি দেওয়া, অনুগত হওয়া মতান্তরে দৃঢ় বিশ্বাস করা। এটি কুফর বা অস্বীকার করা বা অবাধ্যতার বিপরীত। ইসলাম ধর্মে ঈমানের অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক।।
নবী রাসুলদের প্রতি বিশ্বাস
Belief in Prophets
নবী-রাসুলদের ব্যাপারে ১০ বিষয়ে বিশ্বাস রাখা জরুরি
নবী-রাসুলদের প্রতি মুমিনের বিশ্বাসের প্রধান কিছু দিক
১) অভিন্ন তাওহিদের আহ্বান
২) আল্লাহর বাণী পরিপূর্ণভাবে পৌঁছে দিয়েছেন
৩) সব নবী-রাসুল ছিলেন সত্যের ধারক
৪) সব জাতির কাছে নবী এসেছেন
৬) নবী-রাসুলরা আল্লাহর সাহায্যপ্রাপ্ত
৭) সব নবী-রাসুল মানুষ ছিলেন
৮) পরস্পরকে সত্যায়ন
৯) মৌলিক মর্যাদায় সবাই সমান
১০) সর্বশ্রেষ্ঠ নবী মুহাম্মদ (স.)
নবী ও রাসূলগণের প্রতি ঈমান
youtube
youtube
মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরআনে
মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শেষ নবী
আর মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একজন রাসূল বৈ তো নন! তাঁর পূর্বে বহু রাসূল গত হয়েছে। তার যদি মৃত্যু হয়ে যায় কিংবা তাঁকে হত্যা করে ফেলা হয়, তবে কি তোমরা উল্টো দিকে ফিরে যাবে? যে কেউ উল্টো দিকে ফিরে যাবে, সে কখনই আল্লাহর কিছুমাত্র ক্ষতি করতে পারবে না। আর যারা কৃতজ্ঞ বান্দা, আল্লাহ তাদেরকে পুরস্কার দান করবেন।
সূরা আল-আহযাব, আয়াত – ৪০ মুহাম্মদ তোমাদের কোন ব্যক্তির পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং শেষ নবী। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।
সূরা মুহাম্মাদ, আয়াত ২
মুহাম্মদ (সা.) সর্বশ্রেষ্ঠ ও শেষ নবী
https://www.youtube.com/watch?v=U3t0BTkZPgI
youtube
youtube
সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর অর্থ...
নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) কে? মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হলেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার সর্বশেষ নবী এবং চূড়ান্ত রাসূল। মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) খাতামুন-নবিয়ীন ("নবীদের সীলমোহর") কুরআনে ব্যবহৃত এই শব্দ দুটি দ্বারা সাধারণত এটি বোঝানো হয় যে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম আল্লাহ্র প্রেরিত নবীদের মধ্যে সর্বশেষ পয়গম্বর। কন্ঠস্বরটি এই বলে ডেকেছিল, "হে মুহাম্মাদ, আপনি আল্লাহ্র রসূল এবং আমি ফেরেশতা জিব্রাঈল।" এই প্রত্যাদেশ…
নবী-রাসুলদের ওপর বিশ্বাস ছাড়া কোনো ব্যক্তির ঈমানের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উপরোক্ত সকল বিষয়ে দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করার এবং মহানবী (স.)-এর পবিত্র সুন্নত অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
ঈমান (إِيمَان 'ঈমান', শাব্দিক অর্থ প্রচলিতমতে বিশ্বাস, মতান্তরে স্বীকৃতি) শব্দের আভিধানিক অর্থ স্বীকার করা, স্বীকৃতি দেওয়া, অনুগত হওয়া মতান্তরে দৃঢ় বিশ্বাস করা। এটি কুফর বা অস্বীকার করা বা অবাধ্যতার বিপরীত। ইসলাম ধর্মে ঈমানের অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক।।
নবী রাসুলদের প্রতি বিশ্বাস
Belief in Prophets
নবী-রাসুলদের ব্যাপারে ১০ বিষয়ে বিশ্বাস রাখা জরুরি
নবী-রাসুলদের প্রতি মুমিনের বিশ্বাসের প্রধান কিছু দিক
১) অভিন্ন তাওহিদের আহ্বান
২) আল্লাহর বাণী পরিপূর্ণভাবে পৌঁছে দিয়েছেন
৩) সব নবী-রাসুল ছিলেন সত্যের ধারক
৪) সব জাতির কাছে নবী এসেছেন
৬) নবী-রাসুলরা আল্লাহর সাহায্যপ্রাপ্ত
৭) সব নবী-রাসুল মানুষ ছিলেন
৮) পরস্পরকে সত্যায়ন
৯) মৌলিক মর্যাদায় সবাই সমান
১০) সর্বশ্রেষ্ঠ নবী মুহাম্মদ (স.)
নবী ও রাসূলগণের প্রতি ঈমান
youtube
youtube
মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরআনে
মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শেষ নবী
আর মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একজন রাসূল বৈ তো নন! তাঁর পূর্বে বহু রাসূল গত হয়েছে। তার যদি মৃত্যু হয়ে যায় কিংবা তাঁকে হত্যা করে ফেলা হয়, তবে কি তোমরা উল্টো দিকে ফিরে যাবে? যে কেউ উল্টো দিকে ফিরে যাবে, সে কখনই আল্লাহর কিছুমাত্র ক্ষতি করতে পারবে না। আর যারা কৃতজ্ঞ বান্দা, আল্লাহ তাদেরকে পুরস্কার দান করবেন।
সূরা আল-আহযাব, আয়াত – ৪০ মুহাম্মদ তোমাদের কোন ব্যক্তির পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং শেষ নবী। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।
সূরা মুহাম্মাদ, আয়াত ২
মুহাম্মদ (সা.) সর্বশ্রেষ্ঠ ও শেষ নবী
https://www.youtube.com/watch?v=U3t0BTkZPgI
youtube
youtube
সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর অর্থ...
নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) কে? মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হলেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার সর্বশেষ নবী এবং চূড়ান্ত রাসূল। মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) খাতামুন-নবিয়ীন ("নবীদের সীলমোহর") কুরআনে ব্যবহৃত এই শব্দ দুটি দ্বারা সাধারণত এটি বোঝানো হয় যে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম আল্লাহ্র প্রেরিত নবীদের মধ্যে সর্বশেষ পয়গম্বর। কন্ঠস্বরটি এই বলে ডেকেছিল, "হে মুহাম্মাদ, আপনি আল্লাহ্র রসূল এবং আমি ফেরেশতা জিব্রাঈল।" এই প্রত্যাদেশ…
নবী-রাসুলদের ওপর বিশ্বাস ছাড়া কোনো ব্যক্তির ঈমানের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উপরোক্ত সকল বিষয়ে দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করার এবং মহানবী (স.)-এর পবিত্র সুন্নত অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
ঈমান (إِيمَان 'ঈমান', শাব্দিক অর্থ প্রচলিতমতে বিশ্বাস, মতান্তরে স্বীকৃতি) শব্দের আভিধানিক অর্থ স্বীকার করা, স্বীকৃতি দেওয়া, অনুগত হওয়া মতান্তরে দৃঢ় বিশ্বাস করা। এটি কুফর বা অস্বীকার করা বা অবাধ্যতার বিপরীত। ইসলাম ধর্মে ঈমানের অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক।।
নবী রাসুলদের প্রতি বিশ্বাস
Belief in Prophets
নবী-রাসুলদের ব্যাপারে ১০ বিষয়ে বিশ্বাস রাখা জরুরি
নবী-রাসুলদের প্রতি মুমিনের বিশ্বাসের প্রধান কিছু দিক
১) অভিন্ন তাওহিদের আহ্বান
২) আল্লাহর বাণী পরিপূর্ণভাবে পৌঁছে দিয়েছেন
৩) সব নবী-রাসুল ছিলেন সত্যের ধারক
৪) সব জাতির কাছে নবী এসেছেন
৬) নবী-রাসুলরা আল্লাহর সাহায্যপ্রাপ্ত
৭) সব নবী-রাসুল মানুষ ছিলেন
৮) পরস্পরকে সত্যায়ন
৯) মৌলিক মর্যাদায় সবাই সমান
১০) সর্বশ্রেষ্ঠ নবী মুহাম্মদ (স.)
নবী ও রাসূলগণের প্রতি ঈমান
youtube
youtube
মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরআনে
মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শেষ নবী
আর মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একজন রাসূল বৈ তো নন! তাঁর পূর্বে বহু রাসূল গত হয়েছে। তার যদি মৃত্যু হয়ে যায় কিংবা তাঁকে হত্যা করে ফেলা হয়, তবে কি তোমরা উল্টো দিকে ফিরে যাবে? যে কেউ উল্টো দিকে ফিরে যাবে, সে কখনই আল্লাহর কিছুমাত্র ক্ষতি করতে পারবে না। আর যারা কৃতজ্ঞ বান্দা, আল্লাহ তাদেরকে পুরস্কার দান করবেন।
সূরা আল-আহযাব, আয়াত – ৪০ মুহাম্মদ তোমাদের কোন ব্যক্তির পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং শেষ নবী। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।
সূরা মুহাম্মাদ, আয়াত ২
মুহাম্মদ (সা.) সর্বশ্রেষ্ঠ ও শেষ নবী
https://www.youtube.com/watch?v=U3t0BTkZPgI
youtube
youtube
সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর অর্থ...
নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) কে? মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হলেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার সর্বশেষ নবী এবং চূড়ান্ত রাসূল। মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) খাতামুন-নবিয়ীন ("নবীদের সীলমোহর") কুরআনে ব্যবহৃত এই শব্দ দুটি দ্বারা সাধারণত এটি বোঝানো হয় যে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম আল্লাহ্র প্রেরিত নবীদের মধ্যে সর্বশেষ পয়গম্বর। কন্ঠস্বরটি এই বলে ডেকেছিল, "হে মুহাম্মাদ, আপনি আল্লাহ্র রসূল এবং আমি ফেরেশতা জিব্রাঈল।" এই প্রত্যাদেশ…
নবী-রাসুলদের ওপর বিশ্বাস ছাড��া কোনো ব্যক্তির ঈমানের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উপরোক্ত সকল বিষয়ে দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করার এবং মহানবী (স.)-এর পবিত্র সুন্নত অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
বিয়ে আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত ও রাসুল (সা.) এর গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। চারিত্রিক অবক্ষয় রোধের অনুপম হাতিয়ার।
আদর্শ পরিবার গঠন, মানুষের জৈবিক চাহিদাপূরণ ও মানবিক প্রশান্তি লাভের প্রধান উপকরণ। বিয়ে ইসলামী শরিয়তের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো— তিনি তোমাদের মধ্য থেকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জীবনসঙ্গিনী, যাতে তোমরা তাদের নিকট প্রশান্তি লাভ করতে পারো এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক প্রেম-প্রীতি, ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। ’ (সুরা রুম, আয়াত :২১)
ইসলামে বিয়ের যাবতীয় নিয়ম-কানুন এবং বিধান-শর্ত ও আনুসাঙ্গিক বিষয় নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো।
ইসলামে বিয়ের রুকন বা মৌলিক ভিত্তি
এক. বর-কনে উভয়ে বিয়ে সংঘটিত হওয়ার ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্ত হওয়া।
দুই. ইজাব বা প্রস্তাবনা: এটি হচ্ছে বরের কাছে মেয়ের অভিভাবক বা তার প্রতিনিধির পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব উপস্থান করা। যেমন, ‘আমি অমুককে তোমার কাছে বিয়ে দিলাম’ অথবা এ ধরনের অন্য কোনভাবে প্রস্তাব পেশ করা।
তিন: কবুল বা গ্রহণ করা: এটি বর বা তার প্রতিনিধির সম্মতিসূচক বাক্য। যেমন, ‘আমি কবুল বা গ্রহণ করলাম’ ইত্যাদি।
বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার শর্ত
(১) বর-কনে উভয়কে গ্রহণযোগ্যভাবে নির্দিষ্ট করে নেয়া।
(২) বর-কনে একে অন্যের প্রতি সন্তুষ্ট হওয়া। রাসুল (সা.) বলেন, ‘স্বামীহারা নারী (বিধবা বা তালাকপ্রাপ্তা)-কে তার সিদ্ধান্ত ছাড়া (অর্থাৎ পরিষ্কারভাবে তাকে বলে তার কাছ থেকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে) বিয়ে দেয়া যাবে না। কুমারী মেয়েকে তার সম্মতি (কথার মাধ্যমে অথবা চুপ থাকার মাধ্যমে) ছাড়া বিয়ে দেয়া যাবে না। লোকেরা জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ)! কেমন করে তার সম্মতি জানব? তিনি বললেন, চুপ করে (লজ্জার দরুন) থাকাটাই তার সম্মতি। ’ (বুখারি, হাদিস নং : ৪৭৪১)
(৩) বিয়ের আকদ (চুক্তি) করানোর দায়িত্ব মেয়ের অভিভাবককে পালন করতে হবে। যেহেতু আল্লাহ তাআলা বিয়ে দেয়ার জন্য অভিভাবকদের প্রতি নির্দেশনা জারি করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমরা তোমাদের মধ্যে অবিবাহিত নারী-পুরুষদের বিবাহ দাও। ’ (সুরা নুর, ২৪:৩২)
রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে নারী তার অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করবে তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল। ’ (তিরমিজি, হাদিস নং : ১০২১)
(৪) বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই। ’ (সহিহ জামে, হাদিস নং : ৭৫৫৮)
সাক্ষী এমন দুইজন পুরুষ (স্বাধীন) সাক্ষী বা একজন পুরুষ (স্বাধীন) ও দুইজন মহিলা সাক্ষী হতে হবে, যারা প্রস্তাবনা ও কবুল বলার উভয় বক্তব্য উপস্থিত থেকে শুনতে পায়। (আদ-দুররুল মুখতার-৩/৯; ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৬৮)
বিয়ের প্রচারণা নিশ্চিত করাও জরুরি। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর। ’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং: ১০৭২)
কনের অভিভাবক হওয়ার জন্য শর্ত
১. সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন হওয়া।
২. প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া।
৩. দাসত্বের শৃঙ্খল হতে মুক্ত হওয়া।
৪.অভিভাবক কনের ধর্মানুসারী হওয়া। সুতরাং কোনো অমুসলিম ব্যক্তি মুসলিম নর-নারীর অভিভাবক হতে পারবে না।
৫. ন্যায়পরায়ণ হওয়া। অর্থাৎ ফাসেক না হওয়া। কিছু কিছু আলেম এ শর্তটি আরোপ করেছেন। অন্যেরা বাহ্যিক ‘আদালত’কে (ধর্মভীরুতা) যথেষ্ট বলেছেন। আবার কারো কারো মতে, যাকে তিনি বিয়ে দিচ্ছেন তার কল্যাণ বিবেচনা করার মত যোগ্যতা থাকলেও চলবে।
৬.পুরুষ হওয়া। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘এক নারী অন্য নারীকে বিয়ে দিতে পারবে না। অথবা নারী নিজে নিজেকে বিয়ে দিতে পারবে না। ব্যভিচারিনী নিজে নিজেকে বিয়ে দেয়। ’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস নং : ১৭৮২; সহিহ জামে : ৭২৯৮)
৭. বিয়ের ক্ষেত্রে বর-কনের ‘কুফু’ বা সমতা ও অন্যান্য কল্যাণের দিক বিবেচনা করতে পারার যোগ্যতাবান হওয়া।
ফিকাহবিদরা অভিভাবকদের ধারা নির্ধারণ করেছেন। সুতরাং কাছের অভিভাবক থাকতে দূরের অভিভাবকের অভিভাবকত্ব গ্রহণযোগ্য নয়। কাছের অভিভাবক না থাকলে ���ূরের অভিভাবক গ্রহণযোগ্য হবে।
World Islamic Mission.( join ISLAMIC JAMAT OR PARTY FOR SUCCESS )
আল্লাহর নামে---যিনি আমাদের সৃষ্টিকর্তা। যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন, যিনি আকাশ, পৃথিবী, সূর্য, চাঁদ, কে সৃষ্টি করেছেন। তাই প্রিয় ভাই, আল্লাহই প্রকৃত স্রষ্টা একমাত্র সৃষ্টিকর্তা, তার কোন অংশীদার নেই।
তাই যদি কোন ব্যক্তি আল্লাহকে ঘৃণা করে, ইসলামকে ঘৃণা করে, আল-কুরআনকে ঘৃণা করে বা নবী মুহাম্মদ (সাঃ) কে ঘৃণা করে, তার মানে তার নিজের স্রষ্টা ও আইনকে ঘৃণা করে। কারণ আল্লাহ, ইসলাম, রাসুল মুহাম্মাদ এবং আল-কুরআন সমস্ত মানুষের জন্য . তাই সৃষ্টিকর্তার ( "আল্লাহর:) আইন ছাড়া শান্তি বন্ধুত্ব, মানবতা প্রতিষ্ঠা করা যায় না। ন্যায়বিচার, মানবতা অসম্ভব।
আল-কুরআন, ইসলাম, শুধুমাত্র মুসলমানদের জন্য নয়, সমস্ত মানবজাতির জন্য।
তাই এটি আপনার, আমাদের এবং সমস্ত মহাবিশ্বের জন্য।
তাই ইসলামকে সন্ত্রাসবাদ কে বলবে ? তাই এমন কথা বাদ দিন যা মানবতা, বন্ধুত্ব এবং শান্তিকে নষ্ট করে।
মানুষ মরণশীল। তাই মানুষ মানুষের জন্য কোনো নিয়ম লিখতে পারে না। সমস্ত মহাবিশ্ব আল্লাহর জন্য- তাই এটি অবশ্যই সৃষ্টিকর্তার (আল্লাহর) আইন হতে হবে।
তাই আমার ভাই ও বোনেরা - শান্তি, অগ্রগতি, মানবতা, বন্ধুত্ব এবং ন্যায়বিচারের জন্য আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করুন। আল-কুরআন পড়ুন। এটি আল্লাহর পবিত্র কিতাব। আল-কুরআন, ইসলাম এবং মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে সমস্ত পবিত্র গ্রন্থে যে তথ্য রয়েছে তা সত্য। একটি উদাহরণ হিসাবে - বাইবেল, তৌরাত, জাবুর, পুরান এবং অন্যান্য ধর্মীয় বই। আল-কুরআন হল স্রষ্টার (আল্লাহর) শেষ বই এবং এবং মুহাম্মাদ শেষ নবী। তাই প্রত্যেকটি ইসলামিক দল এই সত্য কথাটি বলতে চায়। কিন্তু এটা খুবই দুঃখজনক যে কিছু ব্যক্তি-দল ইসলামের ভুল অর্থ প্রকাশ করছে। তারা আমাদের বন্ধুত্বকে ধ্বংস করছে।
তাই ইসলামিক জামাত - তাদের সাথী জোটের সাথে ইনসাফ, মানবতা, বন্ধুত্ব করতে চায়।
তাই মুসলিম লীগ, মিম, সমস্ত ইসলামী জামাত এবং অন্যরা যৌথভাবে কাজ করছে। তাই আমার বন্ধুরা এসে তাদের সাহায্য করুন ইনসাফ প্রতিষ্ঠায়।
FB MESSEGE RECEIVE
AL HAMDULILLAH- YAH –ALLAH SAVE US & THOSE WHOM OBEY YOU
Hi, thanks for contacting us. We've received your message and appreciate your getting in touch.
ADVICE----FB
আল্লাহর নামে-
প্রিয় বন্ধুরা
FB আল্লাহর জন্য ব্যবহার করুন। আসমান ও জামিন আল্লাহর জন্য।
আল্লাহ আমাদের এবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন।
তাই আমার বোন ও ভাইয়েরা সকল কাজ অবশ্যই ইসলামিক হতে হবে।-- কারণ আপনি আল্লাহকে বিশ্বাস করেন OR NOT. মানুষ অবশ্যই মরণশীল। তাই মৃত্যুর আগে মুসলিম - MEANS (SURRENDER TO ONLY ONE SUPREME CREATOR )IN ISLAMIC LAW REAL NAME OF CREATOR IS “ ALLAH “. হয়ে উঠুন।---ফেস বুক, ইউ টিউব এবং সমস্ত নেট সিস্টেম-জীবনকে অবশ্যই আল্লাহর আইন মেনে চলতে হবে- জীবন আমার নয়। আল্লাহ এটা দান করেছেন ইয়া আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন। কেন আপনি মুসলিমদের আকিদা নামে বিভক্ত করছেন? আপনি কি সাহি? আল্লাহ উম্মাহর কোন বিভাজন বলেননি। বন্ধুদের মত সংশোধন বলেছেন.
আল্লাহ বলেছেন যারা মুসলমানদের বিভক্ত করার চেষ্টা করে আল্লাহর সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই।
ইসলাম হলো সত্যকে গ্রহণ করা এবং অসত্যকে পরিহার, পরিত্যাগ বা বর্জন করা । ঈমান বা বিশ্বাসের মূল কথা হলো কালিমা । কালিমা শাহাদাত হলো ঈমান ও ইসলামের পঞ্চ ভিত্তির অন্যতম ভিত্তি । শাহাদাত অর্থ সাক্ষ্য দ���ওয়া । কালিমা শাহাদাত অর্থ সাক্ষ্য বাণী ।
কালিমা শাহাদাতে এই ঘোষণাই দেওয়া হয়, ‘আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু; ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।’ অর্থাৎ ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে এক আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো মাবুদ নাই, তিনি এক ও একক, তাঁর কোনো শরিক বা অংশীদার নাই; আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি নিশ্চয়ই হজরত মুহাম্মদ ﷺ আল্লাহ তায়ালার অতি প্রিয় খাস বান্দা ও তাঁর প্রেরিত রাসুল ।’
মহান আল্লাহ তায়ালা হলেন পরম সত্য বা মহাসত্য এবং সর্বময় ক্ষমতার মালিক । এই সত্যের সাক্ষ্যই হলো ঈমান বা ঈমানের দাবি । সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব প্রিয়নবী আখেরিনবী হযরত মুহাম্মদ ﷺ হলেন মহাসত্যবাদী ও পরম বিশ্বাসী বা বিশ্বস্ত ব্যক্তি । তাঁর সত্য নবুয়ত ও রিসালাতের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন ও নিঃশর্ত সাক্ষ্য প্রদান ঈমানেরই অংশ । তাঁর প্রতি আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা হলো ঈমান । তাঁর প্রতি পরিপুর্ন আনুগত্য ও অনুসরণ করা হলো ইসলামে দাখিল হওয়া ।
সাক্ষ্য দেওয়ার পূর্বশর্ত হলো প্রত্যক্ষ করা বা স্বচক্ষে অবলোকন করা বা দেখা । মহান আল্লাহ তায়ালা এমনই পরম সত্য, যা দৃশ্যমান হওয়া দিবালোকের মতো সুস্পষ্ট; তাই এটি প্রত্যক্ষকারীদের অপেক্ষা রাখে না । প্রিয়নবী বিশ্বনবী রহমাতুল্লিল আলামীন মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ ﷺ এর সততা ও সত্যবাদিতা জগৎ–খ্যাত ও প্রশ্নাতীত । যারা তাঁর জানের দুশমন ও প্রাণের শত্রু ছিলো, তারাও তাঁর সত্যতা, সততা ও বিশ্বস্ততার প্রতি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে । এ বিষয় দুটি উদ্ধৃত হয়েছে এভাবে, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মালিকুল হাক্কুল মুবিন, মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহি ছদিকুল ওয়াদিল আমিন ।’ অর্থাৎ ‘এক আল্লাহ ছাড়া দ্বিতীয় কোনো মাবুদ নেই, তিনি শাসক অধিপতি, তিনিই সুস্পষ্ট ও পরম সত্য; সাইয়েদুল মুরসালীন আহমাদে মুহাম্মদ ﷺ মহান আল্লাহর প্রেরিত রাসুল, চরম সত্যবাদী, ওয়াদা ও অঙ্গীকার রক্ষাকারী এবং পরম বিশ্বস্ত ও অতি বিশ্বাসী । (আল মুফরাদাত, বুখারি)। সব নবী ও রাসুল সত্যবাদী ছিলেন । আল্লাহ তায়ালা কুরআনুল কারিমে বলেনঃ ‘আপনি এই গ্রন্থে হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর বিষয় আলোচনা করুন, নিশ্চয় তিনি ছিলেন সত্যবাদী নবী ।’ (সুরা-১৯ [৪৪] মারিয়াম, রুকু: ৩, আয়াত: ৪১, পারা: ১৬ )।
ইসলামের শিক্ষাসমূহের প্রধান তিনটি শিক্ষা হলো: সত্যতা, পবিত্রতা ও প্রেম । আল্লাহ তায়ালাকে পেতে হলে তাঁর প্রতি প্রেম থাকতে হবে; তাঁর প্রিয়তম মানুষ হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি বিশ্বাস ও ভালোবাসা থাকতে হবে, থাকতে হবে পূর্ণ আনুগত্য; এটাই হলো প্রেম । আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা পবিত্র, তিনি ‘সুব্বুহুন কুদ্দুস’ তথা পরম পবিত্র; তাঁর প্রিয় হাবীব হযরত মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ ﷺ সর্বদা পবিত্র জীবন যাপন করেছেন । তাই আল্লাহ ও তাঁর রাসুল মুহাম্মদ সর্বশেষ নবী ﷺ-এর প্রেমিক হতে হলে তাকে পবিত্র জীবন যাপন করতে হবে; এটাই হলো পবিত্রতা । ঈমান ও ইসলামের জন্য যেহেতু জীবনের পবিত্রতা শর্ত, তাই বিশ্বাসী মোমিন বান্দাকে সদা সত্যাশ্রয়ী হতে হয়; এটাই হলো সত্যতা । আশেক ও মাশুকের মাঝে আড়াল থাকে না, সুতরাং এখানে মিথ্যার অনুপ্রবেশের সুযোগই নেই । মিথ্যার ধূম্রজাল হলো বেড়া বা আড়াল; মিথ্যা যেখানে আসে সেখানে প্রেম থাকে না ।
সত্যতা মানুষকে সব কলুষ ও কালিমা থেকে পবিত্র করে, পবিত্রতা মানুষের মাঝে প্রেমভাব জাগ্রত করে; শুদ্ধাচারের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে, শুদ্ধাচার বা পবিত্রতা মানুষকে সত্যতা বা পরম সত্যে উপনীত করে ।
সত্য সাক্ষ্যদানের মাধ্যমেই মোমিনের ঈমানের সূচনা হয়; তাই মোমিন ব্যক্তির সারা জীবন এই সত্যকে আঁকড়ে ধরে রাখতে হয়; এ যে তার ঈমান, তার বিশ্বাস । বিশ্বাসের সঙ্গে প্রতারণা বা বিশ্বাসঘাতকতা আত্মপ্রবঞ্চনার শামিল ।
সত্য ব্যতীত মানুষ মোমিন হয় না; মুসলমান কখনো অসত্য বলতে পারে না বা মিথ্যা বলার সুযোগ থাকে না । ইসলামে সব সময় সত্য বলা ও সত্য সাক্ষ্য দেওয়া ফরজ ইবাদত ও জরুরি কর্তব্য বলে পরিগণিত । এই সত্যতা মনোজগতে, চিন্তাচেতনায়, কল্পনায় ও পরিকল্পনায় । এই সত্যতা মুখের ভাষায় । এই সত্যতা যাবতীয় কর্মকাণ্ডে, ওয়াদায়, অঙ্গপ্রত্যঙ্গে । সত্যতা বা সততা প্রতিটি কদমে বা পদক্ষেপে; সত্যতা বা সততা প্রতিটি ছোঁয়া বা স্পর্শে; সত্যতা বা সততা প্রতিটি দৃষ্টি–পলক বা ভ্রু-কুঞ্চনে; সত্যতা বা সততা প্রতিটি ধ্বনিতে, প্রতিটি শব্দে ও প্রতিটি বাক্যে; সত্যতা বা সততা প্রতিটি শ্রবণে ও অনুভবে ।
অসত্য ভাষণ, মিথ্যা বিবৃতি, মিথ্যা অভিযোগ, মিথ্যা সাক্ষ্য সমাজকে কলুষিত করে । এর দ্বারা ন্যায়বিচার বা সুশাসনের বিলুপ্তি ঘটে । ইনসাফ ভিত্তিক, ন্যায় পরায়ন সমাজ গড়তে সততা প্রয়োজন । সৎশাসনের অভাবে সমাজে অন্যায়, অত্যাচার, জুলুম, অনাচার ব্যাভিচার বেড়ে গিয়ে অরাজকতার সৃষ্টি হয় ।
সত্যের বিপরীত হলো মিথ্যা বা অসত্য । মিথ্যা বলা হারাম ও চরম পাপকার্য । হাদিস শরিফে রয়েছে, ‘মিথ্যা পাপের জননী ।’ (বুখারি শরিফ)। ‘সত্য মানুষকে মুক্তি দেয়, মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে দেয় ।’ কারণ, মানুষ যখন হারাম বা পাপকার্য সংঘটন করে, তখন তার ঈমান বা বিশ্বাস তার সঙ্গে সক্রিয় থাকে না । তখন তার ঈমান বা বিশ্বাস তার থেকে আলাদা হয়ে শূন্যে ঝুলতে থাকে; যতক্ষণ পর্যন্ত সে ওই মিথ্যায় বা পাপে লিপ্ত থাকে । (বুখারি শরিফ ও মুসলিম শরিফ)। পুনরায় তওবা করে অনুতপ্ত হয়ে মিথ্যা ও পাপ বর্জনের দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণ করলেই ঈমান আবার তার কাছে ফিরে আসে ।
রোজ কিয়ামতে হাশরের ময়দানে বিচারের সময় মানুষ নিজের প্রতি সাক্ষ্য দেবে । যারা ইহজগতে মিথ্যা বলে অভ্যস্ত তারা পরকালে মিথ্যা; তারা নিষ্পাপ পবিত্রাত্মা ফেরেশতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলবে । তখন আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা তাদের জবান বন্ধ করে দিয়ে তাদের পাপ সম্পাদনকারী অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সাক্ষ্য নেবেন । ‘আজ আমি তাদের মুখে সিলমোহর করে দেব; তাদের হস্তসমূহ আমার সঙ্গে কথা বলবে এবং তাদের পাগুলো সাক্ষ্য দেবে, যা তারা (মিথ্যা-পাপ) অর্জন করেছিল । (সুরা-৩৬ [৪১] ইয়াছিন, রুকু: ৪, আয়াত: ৬৫, পারা: ২৩)। এমতাবস্থায় গত্যন্তর না দেখে কিছু লোক সত্য স্বীকার করবে (যদিও সেদিন তা কোনো কাজে আসবে না)।
একমাত্র সত্য সাক্ষ্য ও ন্যায় বিধানই পারে সমাজে দেশে বা রাষ্ট্রে শাস্তি বজায় রাখতে ও শৃঙ্খলা আনতে । আল্লাহ ন্যায়বান, তিনি ন্যায়বিচার করবেন ।
প্রতিটি হারাম কর্ম ও হারাম বস্তু কবিরা গুনাহ বা বড় পাপ । মিথ্যা হলো পাপের আকর বা মহাপাপ । স্বেচ্ছায় অভ্যাসে প্রকাশ্যে কবিরা গুনাহ করলে এবং তা থেকে খাঁটি তাওবা না করলে তাকে ফাসিক বলা হয় । ফাসিক অর্থ গুনাহগার বা পাপাচারী; ইসলামি আদালতে ফাসিকের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয় । কারণ সে কালিমা শাহাদাতের সাক্ষ্য ভঙ্গ করেছে । সুতরাং মোমিনের উচিত মৃত্যু পর্যন্ত সারা জীবন কালিমা শাহাদাতের সাক্ষ্যের ওপর দৃঢ় অবিচল থেকে স্বীয় ঈমান ও ইসলাম রক্ষা করা ।
সীরতে ইবনে হিশামে ঘটনাটি আছে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি জমিনে আগমনের পূর্বে আরব জাহানে মাত্র তিনজন তাদের সন্তানের নাম
রেখেছিলেন "মুহম্মদ"। একজন হচ্ছেন কবি ফারাজ দাক উনার দাদা মুহম্মদ বিন সুফিয়ান বিন মুজাশি। দ্বীতিয় জন হচ্ছেন মুহম্মদ বিন ওয়াইহ ইবনে আলজালাহ এবং তৃতিয় জন হচ্ছেন মুহম্মদ ইবনে হিসবান ইবনে রাবিয়া। তিন জনের প্রত্যেকের পিতা জানতে পেরেছিলেন যে, আল্লাহ পাক উনার শেষ নবী ও রাসুল আলাইহি সালাম উনার আবির্ভাবের সময় ঘনিয়ে এসেছেন এবং তিনি হেজাজে ভুমিতে তাশরিফ মুবারক গ্রহণ করবেন। লোক মুখে তারা একথা শুনে তাদের প্রত্যেকের আকাংখা জন্মেছিল যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেন উনার সন্তান হন। একবার তারা আসমানী কিতাবের জ্ঞান রাখে এমন একজন বাদশার কাছে যান। তিনি তাদেরকে জানান যে, "মুহাম্মদ" (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নামের শেষ নবীর আবির্ভাব ঘটতে যাচ্ছে। এই সময় তারা নিজ নিজ স্ত্রীদের গর্ভবতী দেখে এসেছিলেন ফলে তারা তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত নেন যে, তাদের সন্তানের নাম নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নাম মুবারকের সাথে মিল রেখে "মুহম্মদ" রাখবেন। সেই সিদ্ধান্ত অনুসারে তারা তাদের সন্তানের নাম "মুহম্মদ" রেখেছিলেন। (দেখুন সরীতে ইবনে হিসাম বাংলা অনুবাদের-টিকা-নম্বর ১৪ পৃষ্ঠা নং-৩৯,৪০ প্রকাশক ইসলামীক সেন্টার। ) সুবাহানাল্লাহ্। আজো পৃ���িবীর সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত এবং যে নাম মুবারক থেকে বরকত লাভে মানুষ সচেষ্ট, সে নাম মাুবারক হচ্ছে "মুহম্মদ" - সুবাহানাল্লাহ!
#12shareef
#saiyidul_aayaad_shareef
#সাইয়্যিদুল_আইয়াদ_শরীফ
« আল্লাহ তায়ালা এ বিশ্বের অধিপতি ও মালিক।
« তিনি এক ও অদ্বিতীয় সত্তা।
« তাঁর কোনো শরিক নেই।
« তিনি অনন্য ও অতুলনীয়। আল্লাহ শব্দের মধ্যেই তাঁর তুলনাহীন বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ পায়।
« আল্লাহ আরবি শব্দ। পৃথিবীর কোনো ভাষায় এ শব্দের কোনো প্রতিশব্দ নেই।
« এর কোনো একবচন, বহুবচন নেই।
« এ শব্দের কোনো স্ত্রীলিঙ্গ বা পুংলিঙ্গ নেই।
« এ শব্দটি একক ও অতুলনীয়।
« তিনি তাঁর সত্তা ও গুণাবলিতে একক ও অদ্বিতীয়।
আমরা কিভাবে আল্লাহর রঙে রঙিন হতে পারি?
তাওহিদ সমস্ত ইসলামী বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু। তাওহিদ হলো এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই এবং তাঁর সাথে তুলনীয় কেউ নেই। আমরা কখনই আল্লাহকে বুঝতে পারব না কারণ তাঁর প্রকৃতি আমাদের সীমিত মন জানে না। আমরা আল্লাহর সৃষ্টি, কিন্তু তিনি নিজে সৃষ্ট নন। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ঈশ্বর'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
youtube
youtube
আল্লাহ্ একমাত্র সত্য উপাস্য
তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা ও শত্রুতা
Love and enmity for Allah
কাকে ভালবাসবেন, কার জন্য ভালবাসবেন?
Who will you love, for whom will you love?
ভালোবাসা হবে একমাত্র আল্লাহর জন্য।
“আল ওয়ালা ওয়াল বারা”- ইসলামের এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহর জন্য কোন ব্যক্তি বা বস্তু বা কাজকে ভালবাসা ও আল্লহর জন্যই কোন ব্যক্তি, বস্তু বা কাজকে ঘৃণা করা। যে কয়টি মুল স্তম্ভের উপর ঈমান গঠিত তার মধ্যে একটি হচ্ছে ‘আল ওয়ালা ওয়াল বারা’।
আমরা পৃথিবীতে যা করি সবকিছু ভালবাসা ও ঘৃণার ভিত্তিতে হয়ে থাকে। যেমন ধরুন আমরা যদি কারো সাথে বন্ধুত্ব করি এমন কারো সাথে বন্ধুত্ব করি যাদের আমরা ভালবাসি। সবার বক্তব্য আমরা শুনিনা, সবাইকে কেয়ার করিনা। তাদের বক্তব্য শুধুমাত্র শুনি যাদের আমরা ভালবাসি।
এই যে উপরোক্ত সকলের প্রতি ভালবাসার জন্য আমরা এত কিছু করি কিন্তু কিসের জন্য এই ভালবাসাটা?
অবশ্যই স্বার্থের জন্য হতে পারে আমার নিজেরস্বার্থের জন্য, আমার নিকটবর্তী আত্মীয় কারো জন্য। আল্লাহ পাকের কথা হচ্ছে, ভালবাসতে হবে শুধু আল্লাহর জন্য ঘৃনাও করতে হবে শুধু আল্লাহর জন্য। আল্লাহর জন্য বলতে বুঝায় আল্লহ ও তার রাসুল (সঃ) যাতে সন্তুষ্ট তা করা ও যাতে অসন্তুষ্ট তা পরিহার করা।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে কেউ আল্লাহর জন্যই ভালবাসে এবং আল্লাহর জন্যই ঘৃণা করে এবং (কাউকে কিছু) দিয়ে থাকে আল্লাহর জন্যই এবং (কাউকে কিছু) দেয়া থেকেও বিরত থাকে আল্লাহর জন্য; তাহলে তার ঈমান পরিপূর্ণ হলো।”
[আবু দাউদ: ৪০৬১, দ্বাদশ খণ্ড, পৃ-২৯১]
হজরত আবু যর (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘মানুষের আমলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় আমল হচ্ছে ওই ভালোবাসা যা আল্লাহর জন্য হয় এবং ওই শত্রুতা যা আল্লাহর জন্য হয়।' (সুনানে আবু দাউদ : হাদিস ৪৫৯৯)।কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা বলবেন, আমার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পরস্পর ভালোবাসা স্থাপনকারীরা কোথায় ? আজ যে দিন আমার ছায়া ব্যতীত কোন ছায়া থাকবে না- আমি তাদের ছায়া দেব। (সহীহ মুসলিম: ৪৬৫৫) সুবহানাল্লাহ
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। নবীজী (সা.) বলেন, সাত ধরণের মানুষকে আল্লাহ তায়ালা আরশের নিচে ছায়া দেবেন, এর মধ্যে এমন দুই ব্যক্তি রয়েছে যারা আল্লাহর ওয়াস্তে পরস্পরকে মহব্বত করত। আল্লাহর মহব্বতের ওপরই তারা একত্র হতো, আবার আল্লাহর মহব্বতেই পৃথক হতো। (সহিহ বুখারি : হাদিস ৬৬০, সহিহ মুসলিম: হাদিস ১০১৩)।
আল্লাহ কুরআনে বলেন, (হে মুহাম্মদ) আপনি বলে দিন- "যদি তোমরা আল্লাহর ভালবাসা পেতে চাও তবে আমাকে (নবীকে) অনুসরণ কর। আল্লাহ্ তোমাদের ভালবাসবেন এবং তোমাদের গুনাহ্সমূহ ক্ষমা করে দিবেন। আর আল্লাহ মহাক্ষমাশীল ও পরম করুণাময়।”
(সূরা আলে ইমরান-৩১)।
“যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাদেরকে আপনি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণকারীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবেন না, যদিও তারা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী হয়। তাদের অন্তরে আল্লাহ ঈমান লিখে দিয়েছেন এবং তাদেরকে শক্তিশালী করেছেন তাঁর অদৃশ্য শক্তি দ্বারা। তিনি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। তারা তথায় চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তারাই আল্লাহর দল। জেনে রাখ, আল্লাহর দলই সফলকাম হবে।" [সূরা আল-মুজদালাহ, আয়াত : ২২]
ইবাদাত (عبادات) হলো ইবাদাহ এর বহুবচন। ইবাদাহ একাধিক অর্থ থাকলেও এটি ইসলামে উপাসনা পরিচালনার বিধি বা সমস্ত মুসলমানের নির্ধারিত বয়সের পরে ধর্মীয় উপাসনা কর্তব্য সম্পর্কে ইসলামী আইনশাস্ত্র (ফিকাহ) মেনে তাদের দেহ ও মন পরিচালিত কার। ইসলাম ধর্মে ইবাদত এর পাঁচটি স্তম্ভ রয়েছে।
ইবাদত কী ও কিভাবে
ইবাদত আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ অনুগত হওয়া, নত হওয়া, বিনম্র হওয়া, আনুগত্য করা ইত্যাদি। ইবাদতের আসল অর্থ হচ্ছে আনুগত্য করা। ইবাদত হচ্ছে বিনয়ের সঙ্গে আনুগত্য।(মিরআত ১/৬১)
‘ইবাদতের শাব্দিক অর্থ হলো নীচতা-হীনতা। আর পারিভাষিক অর্থে ইবাদত বলা হয় পরিপূর্ণ ভালোবাসা, বিনয় ও ভীতির সমষ্টিকে।’ (ইবনে কাসির, তাফসিরুল কুরআনিল আজিম, ১/১৩৪)
‘ইবাদত হলো আল্লাহর একত্বের ঘোষণা দেওয়া এবং তাঁর দ্বিনের বিধানসমূহের অনুসরণ করা। আর ইবাদতের মূল হলো নম্রতা ও নিজেকে হীন করে প্রকাশ করা।’ (আল-জামে লি আহকামিল কোরআন, ১/২৫৫)
ইবাদতের ভিত্তি
ইবাদতের মধ্যে আসল হচ্ছে আনুগত্য। এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহর কিতাব এবং তাঁর রাসুলের সুন্নতে যে বিষয় প্রমাণিত নয় তাকে ইবাদত ভাবা কোনো মাখলুকের জন্য বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো কাজ করল অথচ ওই কাজে আমার কোনো অনুমোদন নেই, তা প্রত্যাখ্যাত।’ (বুখারি, হাদিস : ২৪৯৯)
রাসুল (সা.)-এর নির্দেশনাবহির্ভূত কোনো ইবাদত কবুল হয় না।সে ইবাদত যত ভালো আর বড়ই হোক না কেন।
ব্যাপক অর্থে ইবাদত
মানব সৃষ্টির তাৎপর্য হচ্ছে, আল্লাহর ইবাদত করা। আল্লাহভীতি অর্জন করা। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায়, বছরের নির্দিষ্ট দিনে সিয়াম পালন, জান-মাল পবিত্র করার জন্য সম্পদের জাকাত প্রদান, জীবনে একবার হজ পালনের মধ্যে ইবাদতকে সীমাবদ্ধ করা ঠিক নয়। এগুলো অবশ্যই বড় ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত।
কিন্তু এ কথা সত্য, উল্লিখিত ইবাদতগুলো পালনে একজন মানুষের জীবনের খুব কম সময়ই ব্যয় হয়। কোনো বিবেকসম্পন্ন মানুষ কি এটা মেনে নেবে যে সে তার জীবনের বেশির ভাগ সময় আল্লাহর ইবাদত ছাড়াই অতিবাহিত করবে? অথচ সে জানে যে আল্লাহ তাকে ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তুমি বলো, আমার সালাত, আমার কোরবানি এবং আমার জীবন ও আমার মরণ বিশ্ব জাহানের রব আল্লাহর জন্য। তাঁর কোনো শরিক নেই, আমি এর জন্য আদিষ্ট হয়েছি, আর আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে আমি হলাম প্রথম।’ (সুরা আন আম, আয়াত : ১৬২-১৬৩)
ইবাদতের তাৎপর্য
ইবাদতের তাৎপর্য ইবাদত শব্দের আভিধানিক অর্থ হল- চূড়ান্ত বিনয়, আনুগত্য ও বশ্যতা বা দাসত্ব। শরী’আতের পরিভাষায়- প্রকাশ্য কিংবা গোপনীয় যতসব কথা ও কাজ আল্লাহ তা’আলা ভালবাসেন ও পছন্দ করেন, এবং যেগুলো করতে আদেশ করেছেন সেগুলোকে পালন করা এবং যা করতে নিধেষ করেছেন তা ছেড়ে দেওয়া, এ সবের একটি সামষ্টিক নাম হল ইবাদত।
তাই যতসব কথাবার্তা ও কাজ-কর্মকে আল্লাহ তা’আলা পছন্দ করেন যেমন- নামায কায়েম করা, রোযা পালন করা, কুরবানী, নযর-মানত প্রদান করা,যাকাত-ছাদক্বা প্রদান করা, আল্লাহর নিকট প্রা দো’আ করা, আল্লাহর উপর ভরসা রাখা, এবং রাসূলের আনুগত্য করা। কুরআনে কারীম তিলাওয়াত করা, কুরআন-সুন্নাহতে বর্ণিত ও নির্দেশিত দো’আ ও যিকর-আযকার করা, রাসূল (সা.) -এর প্রতি ছালাত ও ছালাম পাঠ করা ইত্যাদি – এ সব প্রতিটি কাজ হল একেকটি ইবাদত।
তাই যতসব কথা-বার্তা ও কাজ-কর্মকে আল্লাহ অনুসৃত ও রাসূল (সা.) প্রদর্শিত পন্থানুযায়ী একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের উদ্দেশ্যে তাঁরই সন্তুষ্টি লাভের নিমিত্তে তাঁরপ্রতি শ্রদ্ধাপূর্ণ ভয় ও সর্বোচ্চ ভালোবাসা নিয়ে, তাঁর প্রতি পূর্ণ বশ্যতা ও আনুগত্য প্রদর্শণ পূর্বক তাঁর মহত্বের সম্মুখে অবনত মস্তকে চূড়ান্ত বিনয়ের সাথে ছওয়াবের (আল্লাহর নিকট উত্তম প্রতিদান লাভের) আগ্রহ ও সুদৃঢ় আশা নিয়ে উপরিউক্ত যে কোন কর্ম সম্পাদন করাকে আল্লাহর ইবাদত বলে।
ইবাদতের রোকনসমূহ: ইবাদতের রোকন তিনটি
১। ইখলাস: বান্দা যখনই যে কোনো ইবাদত করবে, তার নিয়তকে বিশুদ্ধ করতে হবে, যে আমি এই আমলটি করছি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করা�� জন্য এবং পরকালে এর প্রতিদান ��াবার আশায়। রাসূলে কারীম (সা.) এরশাদ করেন:
উমার রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, “আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, ‘‘যাবতীয় কার্য নিয়ত বা সংকল্পের উপর নির্ভরশীল। আর মানুষের জন্য তাই প্রাপ্য হবে, যার সে নিয়ত করবে। অতএব যে ব্যক্তির হিজরত (সবদেশত্যাগ) আল্লাহর (সন্তোষ লাভের) উদ্দেশ্যে ও তাঁর রাসূলের জন্য হবে; তার হিজরত আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের জন্যই হবে। আর যে ব্যক্তির হিজরত পার্থিব সম্পদ অর্জন কিংবা কোন মহিলাকে বিবাহ করার উদ্দেশ্যেই হবে, তার হিজরত যে সংকল্প নিয়ে করবে তারই জন্য হবে।
২। সততা: সততার সাথে আল্লাহর আদেশ ও নিষেধগুলো পালন করতে হবে। আল্লাহর ইবাদতের ক্ষেত্রে ভীরুতা ও অলসতা ছেড়ে দিয়ে সাহসিকতার পালন করতে হবে।
৩। রাসূলের আনুগত্য করা: কোন ইবাদতই রাসূলের আনুগত্য ছাড়া আল্লাহ গ্রহণ করবেন না। রাসূলের তরীকা ছাড়া যে ইবাদত হবে, তা বিদআত হিসেবে গণ্য হবে।
ইবাদাত (عبادات) হলো ইবাদাহ এর বহুবচন। ইবাদাহ একাধিক অর্থ থাকলেও এটি ইসলামে উপাসনা পরিচালনার বিধি বা সমস্ত মুসলমানের নির্ধারিত বয়সের পরে ধর্মীয় উপাসনা কর্তব্য সম্পর্কে ইসলামী আইনশাস্ত্র (ফিকাহ) মেনে তাদের দেহ ও মন পরিচালিত কার। ইসলাম ধর্মে ইবাদত এর পাঁচটি স্তম্ভ রয়েছে।
ইবাদত কী ও কিভাবে
ইবাদত আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ অনুগত হওয়া, নত হওয়া, বিনম্র হওয়া, আনুগত্য করা ইত্যাদি। ইবাদতের আসল অর্থ হচ্ছে আনুগত্য করা। ইবাদত হচ্ছে বিনয়ের সঙ্গে আনুগত্য।(মিরআত ১/৬১)
‘ইবাদতের শাব্দিক অর্থ হলো নীচতা-হীনতা। আর পারিভাষিক অর্থে ইবাদত বলা হয় পরিপূর্ণ ভালোবাসা, বিনয় ও ভীতির সমষ্টিকে।’ (ইবনে কাসির, তাফসিরুল কুরআনিল আজিম, ১/১৩৪)
‘ইবাদত হলো আল্লাহর একত্বের ঘোষণা দেওয়া এবং তাঁর দ্বিনের বিধানসমূহের অনুসরণ করা। আর ইবাদতের মূল হলো নম্রতা ও নিজেকে হীন করে প্র��াশ করা।’ (আল-জামে লি আহকামিল কোরআন, ১/২৫৫)
ইবাদতের ভিত্তি
ইবাদতের মধ্যে আসল হচ্ছে আনুগত্য। এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহর কিতাব এবং তাঁর রাসুলের সুন্নতে যে বিষয় প্রমাণিত নয় তাকে ইবাদত ভাবা কোনো মাখলুকের জন্য বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো কাজ করল অথচ ওই কাজে আমার কোনো অনুমোদন নেই, তা প্রত্যাখ্যাত।’ (বুখারি, হাদিস : ২৪৯৯)
রাসুল (সা.)-এর নির্দেশনাবহির্ভূত কোনো ইবাদত কবুল হয় না।সে ইবাদত যত ভালো আর বড়ই হোক না কেন।
ব্যাপক অর্থে ইবাদত
মানব সৃষ্টির তাৎপর্য হচ্ছে, আল্লাহর ইবাদত করা। আল্লাহভীতি অর্জন করা। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায়, বছরের নির্দিষ্ট দিনে সিয়াম পালন, জান-মাল পবিত্র করার জন্য সম্পদের জাকাত প্রদান, জীবনে একবার হজ পালনের মধ্যে ইবাদতকে সীমাবদ্ধ করা ঠিক নয়। এগুলো অবশ্যই বড় ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত।
কিন্তু এ কথা সত্য, উল্লিখিত ইবাদতগুলো পালনে একজন মানুষের জীবনের খুব কম সময়ই ব্যয় হয়। কোনো বিবেকসম্পন্ন মানুষ কি এটা মেনে নেবে যে সে তার জীবনের বেশির ভাগ সময় আল্লাহর ইবাদত ছাড়াই অতিবাহিত করবে? অথচ সে জানে যে আল্লাহ তাকে ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তুমি বলো, আমার সালাত, আমার কোরবানি এবং আমার জীবন ও আমার মরণ বিশ্ব জাহানের রব আল্লাহর জন্য। তাঁর কোনো শরিক নেই, আমি এর জন্য আদিষ্ট হয়েছি, আর আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে আমি হলাম প্রথম।’ (সুরা আন আম, আয়াত : ১৬২-১৬৩)
ইবাদতের তাৎপর্য
ইবাদতের তাৎপর্য ইবাদত শব্দের আভিধানিক অর্থ হল- চূড়ান্ত বিনয়, আনুগত্য ও বশ্যতা বা দাসত্ব। শরী’আতের পরিভাষায়- প্রকাশ্য কিংবা গোপনীয় যতসব কথা ও কাজ আল্লাহ তা’আলা ভালবাসেন ও পছন্দ করেন, এবং যেগুলো করতে আদেশ করেছেন সেগুলোকে পালন করা এবং যা করতে নিধেষ করেছেন তা ছেড়ে দেওয়া, এ সবের একটি সামষ্টিক নাম হল ইবাদত।
তাই যতসব কথাবার্তা ও কাজ-কর্মকে আল্লাহ তা’আলা পছন্দ করেন যেমন- নামায কায়েম করা, রোযা পালন করা, কুরবানী, নযর-মানত প্রদান করা,যাকাত-ছাদক্বা প্রদান করা, আল্লাহর নিকট প্রা দো’আ করা, আল্লাহর উপর ভরসা রাখা, এবং রাসূলের আনুগত্য করা। কুরআনে কারীম তিলাওয়াত করা, কুরআন-সুন্নাহতে বর্ণিত ও নির্দেশিত দো’আ ও যিকর-আযকার করা, রাসূল (সা.) -এর প্রতি ছালাত ও ছালাম পাঠ করা ইত্যাদি – এ সব প্রতিটি কাজ হল একেকটি ইবাদত।
তাই যতসব কথা-বার্তা ও কাজ-কর্মকে আল্লাহ অনুসৃত ও রাসূল (সা.) প্রদর্শিত পন্থানুযায়ী একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের উদ্দেশ্যে তাঁরই সন্তুষ্টি লাভের নিমিত্তে তাঁরপ্রতি শ্রদ্ধাপূর্ণ ভয় ও সর্বোচ্চ ভালোবাসা নিয়ে, তাঁর প্রতি পূর্ণ বশ্যতা ও আনুগত্য প্রদর্শণ পূর্বক তাঁর মহত্বের সম্মুখে অবনত মস্তকে চূড়ান্ত বিনয়ের সাথে ছওয়াবের (আল্লাহর নিকট উত্তম প্রতিদান লাভের) আগ্রহ ও সুদৃঢ় আশা নিয়ে উপর��উক্ত যে কোন কর্ম সম্পাদন করাকে আল্লাহর ইবাদত বলে।
ইবাদতের রোকনসমূহ: ইবাদতের রোকন তিনটি
১। ইখলাস: বান্দা যখনই যে কোনো ইবাদত করবে, তার নিয়তকে বিশুদ্ধ করতে হবে, যে আমি এই আমলটি করছি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য এবং পরকালে এর প্রতিদান পাবার আশায়। রাসূলে কারীম (সা.) এরশাদ করেন:
উমার রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, “আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, ‘‘যাবতীয় কার্য নিয়ত বা সংকল্পের উপর নির্ভরশীল। আর মানুষের জন্য তাই প্রাপ্য হবে, যার সে নিয়ত করবে। অতএব যে ব্যক্তির হিজরত (সবদেশত্যাগ) আল্লাহর (সন্তোষ লাভের) উদ্দেশ্যে ও তাঁর রাসূলের জন্য হবে; তার হিজরত আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের জন্যই হবে। আর যে ব্যক্তির হিজরত পার্থিব সম্পদ অর্জন কিংবা কোন মহিলাকে বিবাহ করার উদ্দেশ্যেই হবে, তার হিজরত যে সংকল্প নিয়ে করবে তারই জন্য হবে।
২। সততা: সততার সাথে আল্লাহর আদেশ ও নিষেধগুলো পালন করতে হবে। আল্লাহর ইবাদতের ক্ষেত্রে ভীরুতা ও অলসতা ছেড়ে দিয়ে সাহসিকতার পালন করতে হবে।
৩। রাসূলের আনুগত্য করা: কোন ইবাদতই রাসূলের আনুগত্য ছাড়া আল্লাহ গ্রহণ করবেন না। রাসূলের তরীকা ছাড়া যে ইবাদত হবে, তা বিদআত হিসেবে গণ্য হবে।
ইবাদাত (عبادات) হলো ইবাদাহ এর বহুবচন। ইবাদাহ একাধিক অর্থ থাকলেও এটি ইসলামে উপাসনা পরিচালনার বিধি বা সমস্ত মুসলমানের নির্ধারিত বয়সের পরে ধর্মীয় উপাসনা কর্তব্য সম্পর্কে ইসলামী আইনশাস্ত্র (ফিকাহ) মেনে তাদের দেহ ও মন পরিচালিত কার। ইসলাম ধর্মে ইবাদত এর পাঁচটি স্তম্ভ রয়েছে।
ইবাদত কী ও কিভাবে
ইবাদত আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ অনুগত হওয়া, নত হওয়া, বিনম্র হওয়া, আনুগত্য করা ইত্যাদি। ইবাদতের আসল অর্থ হচ্ছে আনুগত্য করা। ইবাদত হচ্ছে বিনয়ের সঙ্গে আনুগত্য।(মিরআত ১/৬১)
‘ইবাদতের শাব্দিক অর্থ হলো নীচতা-হীনতা। আর পারিভাষিক অর্থে ইবাদত বলা হয় পরিপূর্ণ ভালোবাসা, বিনয় ও ভীতির সমষ্টিকে।’ (ইবনে কাসির, তাফসিরুল কুরআনিল আজিম, ১/১৩৪)
‘ইবাদত হলো আল্লাহর একত্বের ঘোষণা দেওয়া এবং তাঁর দ্বিনের বিধানসমূহের অনুসরণ করা। আর ইবাদতের মূল হলো নম্রতা ও নিজেকে হীন করে প্রকাশ করা।’ (আল-জামে লি আহকামিল কোরআন, ১/২৫৫)
ইবাদতের ভিত্তি
ইবাদতের মধ্যে আসল হচ্ছে আনুগত্য। এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহর কিতাব এবং তাঁর রাসুলের সুন্নতে যে বিষয় প্রমাণিত নয় তাকে ইবাদত ভাবা কোনো মাখলুকের জন্য বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো কাজ করল অথচ ওই কাজে আমার কোনো অনুমোদন নেই, তা প্রত্যাখ্যাত।’ (বুখারি, হাদিস : ২৪৯৯)
রাসুল (সা.)-এর নির্দেশনাবহির্ভূত কোনো ইবাদত কবুল হয় না।সে ইবাদত যত ভালো আর বড়ই হোক না কেন।
ব্যাপক অর্থে ইবাদত
মানব সৃষ্টির তাৎপর্য হচ্ছে, আল্লাহর ইবাদত করা। আল্লাহভীতি অর্জন করা। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায়, বছরের নির্দিষ্ট দিনে সিয়াম পালন, জান-মাল পবিত্র করার জন্য সম্পদের জাকাত প্রদান, জীবনে একবার হজ পালনের মধ্যে ইবাদতকে সীমাবদ্ধ করা ঠিক নয়। এগুলো অবশ্যই বড় ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত।
কিন্তু এ কথা সত্য, উল্লিখিত ইবাদতগুলো পালনে একজন মানুষের জীবনের খুব কম সময়ই ব্যয় হয়। কোনো বিবেকসম্পন্ন মানুষ কি এটা মেনে নেবে যে সে তার জীবনের বেশির ভাগ সময় আল্লাহর ইবাদত ছাড়াই অতিবাহিত করবে? অথচ সে জানে যে আল্লাহ তাকে ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তুমি বলো, আমার সালাত, আমার কোরবানি এবং আমার জীবন ও আমার মরণ বিশ্ব জাহানের রব আল্লাহর জন্য। তাঁর কোনো শরিক নেই, আমি এর জন্য আদিষ্ট হয়েছি, আর আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে আমি হলাম প্রথম।’ (সুরা আন আম, আয়াত : ১৬২-১৬৩)
ইবাদতের তাৎপর্য
ইবাদতের তাৎপর্য ইবাদত শব্দের আভিধানিক অর্থ হল- চূড়ান্ত বিনয়, আনুগত্য ও বশ্যতা বা দাসত্ব। শরী’আতের পরিভাষায়- প্রকাশ্য কিংবা গোপনীয় যতসব কথা ও কাজ আল্লাহ তা’আলা ভালবাসেন ও পছন্দ করেন, এবং যেগুলো করতে আদেশ করেছেন সেগুলোকে পালন করা এবং যা করতে নিধেষ করেছেন তা ছেড়ে দেওয়া, এ সবের একটি সামষ্টিক নাম হল ইবাদত।
তাই যতসব কথাবার্তা ও কাজ-কর্মকে আল্লাহ তা’আলা পছন্দ করেন যেমন- নামায কায়েম করা, রোযা পালন করা, কুরবানী, নযর-মানত প্রদান করা,যাকাত-ছাদক্বা প্রদান করা, আল্লাহর নিকট প্রা দো’আ করা, আল্লাহর উপর ভরসা রাখা, এবং রাসূলের আনুগত্য করা। কুরআনে কারীম তিলাওয়াত করা, কুরআন-সুন্নাহতে বর্ণিত ও নির্দেশিত দো’আ ও যিকর-আযকার করা, রাসূল (সা.) -এর প্রতি ছালাত ও ছালাম পাঠ করা ইত্যাদি – এ সব প্রতিটি কাজ হল একেকটি ইবাদত।
তাই যতসব কথা-বার্তা ও কাজ-কর্মকে আল্লাহ অনুসৃত ও রাসূল (সা.) প্রদর্শিত পন্থানুযায়ী একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের উদ্দেশ্যে তাঁরই সন্তুষ্টি লাভের নিমিত্তে তাঁরপ্রতি শ্রদ্ধাপূর্ণ ভয় ও সর্বোচ্চ ভালোবাসা নিয়ে, তাঁর প্রতি পূর্ণ বশ্যতা ও আনুগত্য প্রদর্শণ পূর্বক তাঁর মহত্বের সম্মুখে অবনত মস্তকে চূড়ান্ত বিনয়ের সাথে ছওয়াবের (আল্লাহর নিকট উত্তম প্রতিদান লাভের) আগ্রহ ও সুদৃঢ় আশা নিয়ে উপরিউক্ত যে কোন কর্ম সম্পাদন করাকে আল্লাহর ইবাদত বলে।
ইবাদতের রোকনসমূহ: ইবাদতের রোকন তিনটি
১। ইখলাস: বান্দা যখনই যে কোনো ইবাদত করবে, তার নিয়তকে বিশুদ্ধ করতে হবে, যে আমি এই আমলটি করছি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য এবং পরকালে এর প্রতিদান পাবার আশায়। রাসূলে কারীম (সা.) এরশাদ করেন:
উমার রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, “আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, ‘‘যাবতীয় কার্য নিয়ত বা সংকল্পের উপর নির্ভরশীল। আর মানুষের জন্য তাই প্রাপ্য হবে, যার সে নিয়ত করবে। অতএব যে ব্যক্তির হিজরত (সবদেশত্যাগ) আল্লাহর (সন্তোষ লাভের) উদ্দেশ্যে ও তাঁর রাসূলের জন্য হবে; তার হিজরত আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের জন্যই হবে। আর যে ব্যক্তির হিজরত পার্থিব সম্পদ অর্জন কিংবা কোন মহিলাকে বিবাহ করার উদ্দেশ্যেই হবে, তার হিজরত যে সংকল্প নিয়ে করবে তারই জন্য হবে।
২। সততা: সততার সাথে আল্লাহর আদেশ ও নিষেধগুলো পালন করতে হবে। আল্লাহর ইবাদতের ক্ষেত্রে ভীরুতা ও অলসতা ছেড়ে দিয়ে সাহসিকতার পালন করতে হবে।
৩। রাসূলের আনুগত্য করা: কোন ইবাদতই রাসূলের আনুগত্য ছাড়া আল্লাহ গ্রহণ করবেন না। রাসূলের তরীকা ছাড়া যে ইবাদত হবে, তা বিদআত হিসেবে গণ্য হবে।
মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, আল হাক্কু মুররুন। মানে সত্য কঠিন বা তিক্ত জিনিস। যা সহজে মানুষ গ্রহণ করতে চায় না। https://ahkamuzzakat.com
বিদ্যানন্দের প্রতারণা ফাঁস হবার পর অনেকেই যাকাত ফিতরা বা সদাকাহ দেবার জন্য একচেটিয়া আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের কথা বলছে। আসলে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন কে এভাবে প্রমোট করা উচিত হচ্ছে না। কারন বাংলাদেশের মূলধারার ওলামায়ে কেরাম আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের লালিত আক্বীদা সমূহ কে স্বীকৃতি দেয় না। তারা বহু মাসয়ালার ক্ষেত্রে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। হাদিস শরিফে সুস্পষ্ট ভাবে উল্লেখ থাকার পরও তারা সাহরির সময়ে মসজিদের মাইকে ডাকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। যা ইসলাম বিদ্বেষী মহল কে মসজিদের মাইক নিয়ন্ত্রণের উসকানি দেয়। এবং বহু জায়গায় এই ফাউন্ডেশনের অনুসারীরা মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিন কে সাহরিতে ডাকার কারনে মারধর করেছে। যা পত্রিকায় এসেছে। নাউজুবিল্লাহ
তাছাড়া বিদ্যানন্দ যেমন খেলাধূলা ও বেপর্দা কে প্রমোট করে, তেমনি কথিত সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের প্রধান নিজে ক্রিকেট খেলেছেন এবং সাবালক মেয়েদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। যা শরীয়তে সম্পূর্ণ রূপে হারাম। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বাংলাদেশের অধিকাংশ মুসলমান রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে মনেপ্রাণে ভালোবাসে এবং সর্বাধিক সম্মান প্রদর্শন করে। তারই ফলশ্রুতিতে ঈদে মীলাদুন উদযাপন করে। কিন্তু আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের প্রধান ও তার অনুসারীরা ঈদে মীলাদুন নবী সহ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বহু বিষয়ে আপত্তিকর, বিভ্রান্তিমূলক আক্বিদা পোষণ করে এবং বক্তব্য দেয়। তারা শবে বরাত মানে না, তারা মীলাদ শরীফ বিরোধী। সংক্ষেপে বলা যায় তারা কথিত আহলে হাদিসের সফট ভার্সন। তাই কোন আশেকে রাসুল ধর্মপ্রাণ মুসলমান একবাক্যে আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশন কে সমর্থন করতে পারে না।
তাই বিদ্যানন্দের পরিবর্তে বির্তকিত আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশন কে প্রমোট করার কোন অর্থ নেই।
বিদ্যানন্দের প্রধান একজন অমুসলিম আর আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের প্রধান একজন মুসলিম, এই যদি হয় আপনার সমর্থন বা বিরোধিতার মূখ্য কারন তবে তা খুব বেশি সুফল বয়ে আনবে না। আমাদের অবশ্যই আক্বিদা সম্পর্কিত বিষয় গুলো সম্পর্কে বিবেচনা করতে হবে। এবং কুরআন সুন্নাহর নির্দেশনা অনুযায়ী আরো গভীর ভাবে চিন্তা করে তারপর ফরজ ইবাদত যাকাত প্রদান করতে হবে।
World Islamic Mission.( join ISLAMIC JAMAT OR PARTY FOR SUCCESS )
আল্লাহর নামে---যিনি আমাদের সৃষ্টিকর্তা। যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন, যিনি আকাশ, পৃথিবী, সূর্য, চাঁদ, কে সৃষ্টি করেছেন। তাই প্রিয় ভাই, আল্লাহই প্রকৃত স্রষ্টা একমাত্র সৃষ্টিকর্তা, তার কোন অংশীদার নেই।
তাই যদি কোন ব্যক্তি আল্লাহকে ঘৃণা করে, ইসলামকে ঘৃণা করে, আল-কুরআনকে ঘৃণা করে বা নবী মুহাম্মদ (সাঃ) কে ঘৃণা করে, তার মানে তার নিজের স্রষ্টা ও আইনকে ঘৃণা করে। কারণ আল্লাহ, ইসলাম, রাসুল মুহাম্মাদ এবং আল-কুরআন সমস্ত মানুষের জন্য . তাই সৃষ্টিকর্তার ( "আল্লাহর:) আইন ছাড়া শান্তি বন্ধুত্ব, মানবতা প্রতিষ্ঠা করা যায় না। ন্যায়বিচার, মানবতা অসম্ভব।
আল-কুরআন, ইসলাম, শুধুমাত্র মুসলমানদের জন্য নয়, সমস্ত মানবজাতির জন্য।
তাই এটি আপনার, আমাদের এবং সমস্ত মহাবিশ্বের জন্য।
তাই ইসলামকে সন্ত্রাসবাদ কে বলবে ? তাই এমন কথা বাদ দিন যা মানবতা, বন্ধুত্ব এবং শান্তিকে নষ্ট করে।
মানুষ মরণশীল। তাই মানুষ মানুষের জন্য কোনো নিয়ম লিখতে পারে না। সমস্ত মহাবিশ্ব আল্লাহর জন্য- তাই এটি অবশ্যই সৃষ্টিকর্তার (আল্লাহর) আইন হতে হবে।
তাই আমার ভাই ও বোনেরা - শান্তি, অগ্রগতি, মানবতা, বন্ধুত্ব এবং ন্যায়বিচারের জন্য আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করুন। আল-কুরআন পড়ুন। এটি আল্লাহর পবিত্র কিতাব। আল-কুরআন, ইসলাম এবং মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে সমস্ত পবিত্র গ্রন্থে যে তথ্য রয়েছে তা সত্য। একটি উদাহরণ হিসাবে - বাইবেল, তৌরাত, জাবুর, পুরান এবং অন্যান্য ধর্মীয় বই। আল-কুরআন হল স্রষ্টার (আল্লাহর) শেষ বই এবং এবং মুহাম্মাদ শেষ নবী। তাই প্রত্যেকটি ইসলামিক দল এই সত্য কথাটি বলতে চায়। কিন্তু এটা খুবই দুঃখজনক যে কিছু ব্যক্তি-দল ইসলামের ভুল অর্থ প্রকাশ করছে। তারা আমাদের বন্ধুত্বকে ধ্বংস করছে।
তাই ইসলামিক জামাত - তাদের সাথী জোটের সাথে ইনসাফ, মানবতা, বন্ধুত্ব করতে চায়।
তাই মুসলিম লীগ, মিম, সমস্ত ইসলামী জামাত এবং অন্যরা যৌথভাবে কাজ করছে। তাই আমার বন্ধুরা এসে তাদের সাহায্য করুন ইনসাফ প্রতিষ্ঠায়।
FB MESSEGE RECEIVE
AL HAMDULILLAH- YAH –ALLAH SAVE US & THOSE WHOM OBEY YOU
Hi, thanks for contacting us. We've received your message and appreciate your getting in touch.
ADVICE----FB
আল্লাহর নামে-
প্রিয় বন্ধুরা
FB আল্লাহর জন্য ব্যবহার করুন। আসমান ও জামিন আল্লাহর জন্য।
আল্লাহ আমাদের এবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন।
তাই আমার বোন ও ভাইয়েরা সকল কাজ অবশ্যই ইসলামিক হতে হবে।-- কারণ আপনি আল্লাহকে বিশ্বাস করেন OR NOT. মানুষ অবশ্যই মরণশীল। তাই মৃত্যুর আগে মুসলিম - MEANS (SURRENDER TO ONLY ONE SUPREME CREATOR )IN ISLAMIC LAW REAL NAME OF CREATOR IS “ ALLAH “. হয়ে উঠুন।---ফেস বুক, ইউ টিউব এবং সমস্ত নেট সিস্টেম-জীবনকে অবশ্যই আল্লাহর আইন মেনে চলতে হবে- জীবন আমার নয়। আল্লাহ এটা দান করেছেন ইয়া আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন। কেন আপনি মুসলিমদের আকিদা নামে বিভক্ত করছেন? আপনি কি সাহি? আল্লাহ উম্মাহর কোন বিভাজন বলেননি। বন্ধুদের মত সংশোধন বলেছেন.
আল্লাহ বলেছেন যারা মুসলমানদের বিভক্ত করার চেষ্টা করে আল্লাহর সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই।