Tumgik
#উত্তরে
khulnabazar · 2 years
Text
আবারও শুরু তাপপ্রবাহ, বৃষ্টি বেড়েছে উত্তরে
নিউজনাউ ডেস্ক: বৃষ্টির প্রবণতা কমে যাওয়ায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের তিন জেলায় ফের মৃদু তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে তেমন বৃষ্টি না থাকলেও উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টি বেড়েছে। আগামী তিনদিনের মধ্যে সারাদেশে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চল প্রায় বৃষ্টিহীন। এজন্য দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের যশোর, কুষ্টিয়া এবং…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
word-child · 1 year
Text
যে আমার হবে না তাকে নিয়ে হাজারটা অহেতুক স্বপ্ন দেখতে এখন খুব বিরক্ত লাগে। রোজ রোজ স্বপ্নে আসতেই হবে তার?
এই তো দু'দিন আগেই দেখলাম নোমান আমাকে বলতেছে যে, সে আমাকে ভালোবাসে না। আমি বললাম, আমি জানি সেটা। আপনি কৃমির ডাক্তারকে ভালোবাসেন। সে বলে, না। তাহলে কুবরাকে ভালোবাসেন? এটাতেও উত্তরে না বলে। আমি জিজ্ঞেস করি তাহলে, কাকে ভালোবাসেন? সে বলে, নতুন আরেকজনকে।
আবার দেখি সে কোথায় যেন ভ্রমনে যাচ্ছিলো। আমিও তার সাথে যাবো। নদীপথে আরকি। ঠিকমতই যাচ্ছিলাম। হঠাৎ আমাদের দুইজনের পথ আলাদা হয়ে গেলো। আমি বললাম, আমাকে ছেড়ে যাইয়েন না। আমি আসতেছি, একটু অপেক্ষা করেন। সে অপেক্ষা করে নাই। সে আমাকে আর নিবে না জানিয়ে, আমাকে ফেলে, সেই নদীপথ দিয়ে চলে গেলো। আর আমি চেয়ে চেয়ে দেখলাম।
আজকে আরেক অদ্ভুত ভয়ানক স্বপ্ন দেখলাম বিকেলের ঘুমের স্বপ্নে। নোমান আর আমি বেশ কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যায় দেখা করি। তার সাথে দেখা করার পর খুব রিস্ক নিয়েই আমি হলে প্রবেশ করি। সে কারনেই হয়তো এই টাইপ স্বপ্নটা আজকে দেখলাম।
স্বপ্নটা এমন - আমারা দুইজন দেখা করতে একটা বিল্ডিং এর নিচে, খোলা রুমের মধ্যে যাই। সে একটা চাকা ওয়ালা চেয়ারে বসে ছিল। আমাকে কাছে টেনে সে তার কোলে বসায়। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিলো। হঠাৎ চেকিং বা রেইড টাইপ কিছু ওয়ারনিং আসলো। আমি তো সেই ভয়ে দৌড়। সেও তার মত করে শান্ত-শিষ্ট ভাবে চলে গেলো। আর আমি তো হলে সেই দৌড় দিয়ে পাঁচ তলায় উঠে যাই আর ওয়াশরুমে ঢুকে ড্রেস চেঞ্জ করার চেষ্টা করতে থাকি। যাতে ঐ ড্রেস দেখে কেউ চিনে ফেলতে না পারে যে নিচে আমি একটা ছেলের সাথে ছিলাম। মেয়েরা ওয়াশরুমের দরজা নক করতেছিলো। আর আমি ভয়ে কাতরাচ্ছিলাম। এই বুঝি সব জেনে গেলো যে নিচের মেয়েটা আমিই ছিলাম।
এটা খুবই ভয়ানক স্বপ্ন ছিল। শেষ যখন হইছে আর ঘুমটা ভাঙছে তখন হাঁফ ছেড়ে বাঁচছি।
3 notes · View notes
shoyebmahmud23 · 1 year
Text
অজ্ঞাতবাস
আজ থেকে বছর কুড়ি পর তোমার মনে পরবে, তোমার মনে পড়বে, তোমার চশমার কাচেই আমার অজ্ঞাতবাস তোমার মনে পড়বে শেষ কথোপকথনে কোনও এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছি- “আপাতত এক -না এর সাথে আছি তোমার মনে পড়বে এক দুপুরে একা দাঁড়িয়ে থাকা রোদ্দুর একশ পাঁচ মনে পড়বে ক্ষুধার্ত ঠোঁটে অপেক্ষায় অবসন্ন সন্ধ্যেটার অবস্থান ধর্মঘট, মনে পড়বে মিছিলে দেখেছিলে রেললাইন জুড়ে নিস্তব্ধতার পাইনবন, দোল খায় কড়া নাড়ে,…
Tumblr media
View On WordPress
6 notes · View notes
sozibhassan · 2 years
Text
বউয়ের বান্ধবী এবং বাসার কাজের মেয়ে কে একসাথে ..
বউ সবে মাত্র ইন্টার পাশ করেছে। বিয়রে পর আমার বউ কে ঢাকানিয়েএসেছি। আমি একটা ছোট সরকারি চাকরি করছি।আমার জবটা হচ্ছে টুরিং জব। এইজন্য মাসে ৬/৭ দিনঢাকারবাহিরে থাকতে হয়। এই কারনে একটি কাজের মেয়ে রাখা হয়েছে। বাসায় কেবল একটি কাজের মেয়ে। বয়স ১৪/১৫হবে।
কাজের মেয়েটির নাম শাহানা। আমার শ্বশুড় বাড়ি থেকে ওকে আনা। আবার ও আমার দুর সম্পর্কেরখালাতশালি। সে কারনে সে আমাকে দুলাভাই ডাকে। দেখতে শুনতে ভালই, শরিরের গঠন সুন্দর, ব্রেস্ট বেশ বড় বড়আরসব সময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকে।
আমার বউ এর পুরোন ছালোয়ার কামিজ গুলো ওই পড়ে বলে ওকে আরো বেশি সুন্দর লাগে।
আমি কখনো শাহানার প্রতি খারাপ নজর দেইনি। নতুন বিয়ে করেছি, ৬/৭ মাস হয়েছে। বউ এর কাছেফেইথথাকবার চেষ্টা করেছি। বাসার ভেতর যুবতি মেয়ে। তারপরও আমার বউ আমাকে দারুন বিশ্বাষ করতো। আমিতারবিশ্বাষ রাখার চেষ্টা করেছি।
বাসায় একটি মাত্র রুম, শাহানা প্রথম প্রথম রান্না ঘরে ঘুমাত। আমার প্রতি তার অগাধ বিশ্বাষের কারনে আমারবউশাহানা কে আমাদের রুমে আলনার আড়ালে শুতে দেয়। একটা বেপারে আমার বউ ওকে ফ্রী করে ফেলছিল, তাহলআমরা স্বামী-স্ত্রী যখন বিছানায় একসাথে শুয়ে থাকতাম বা চোদাচুদি করতাম তখন মাঝে মাঝে ও রুমের ভেতরদিয়েচলাচল করত, কেউ কিছু মনে করতাম না। Moheni biswas
আমাদের রুমে ঘুমানোর পরেও শাহানার প্রতি আমি দৃষ্টি দিতাম না, ভাবতাম আমার বউ ওর চেয়ে অনেক সুন্দরি, আমার সকল ডিমান আমার বউ ই তো পুরন করছে। তাতে আমার উপর বউ এর বিশ্বাষ আরো বেড়ে যায়।
চোদাচুদি করতাম যা শাহানা প্রায়ই দেখতে পেত। এতে আমার বউওশাহানা দুজনেই মনে কিছু করত না! আমিও মজা পেতাম। দিনে দিনে বেপারটা ডাল ভাতের মত হয়ে গেল।
আমার বউ এর একটি ক্লোজ বন্ধবি ছিল, নাম সীমা। বিয়ের দিন ওকে আমি দেখেছিলাম। দেখতে শ্যামলা বর্নের, কিন্ত অসম্ভব সেক্সি। বউ এর কাছে শুনেছি ওর নাকি চরিত্র ভাল না, বেশ কয়েক জনের কাছে নাকি চোদাখেয়েছে।চোদার ব্যাপারে নাকি আমার বউকে নাকি পটাতে চেয়েছিল। কিন্তু আমার বউ পথে পা দেয়নি। বিয়ের দিন এবং বিয়ের পরে শ্বশুর বাড়িতে সীমাকে বেশ কয়েকবার দেখেছি আর কথা বলেছি, মনে হয়েছে ওর ভেতরে সত্যিই একটিকাম ভাব আছে।
একদিন সীমা ঢাকাতে ওর বড় বোনের বাসায় বেড়াতে আসল। ঢকায় থাকবে বেশ কয়েকদিন। আমাদেরবাসায়ওনাকি দুই তিন দিনের জন্য বড়াতে আসবে। আমার অফিস ট্যুরের প্রোগ্রাম পড়ল। পটুয়াখালীতে যেতে হবে৬/৭দিনের জন্য। যেদিন আমি ট্যুরে যাব সেইদিন সীমা আমার বাসায় এল। আমি ব্যাগ ট্যাগ নিয়ে সোজা অফিসেচলেগেলাম পরে পটুয়াখালীতে।
অফিসে গিয়ে শুনলাম, ট্যুর প্রোগ্রাম বাতিল। ট্যুরে যাওয়া হল না। সন্ধযায় বাসায় চলে এলাম। বাসায় আমাকেদেখেআমার বউ তো অবাক। বললাম ট্যুর বাতিল হয়েছে। আমার বউ আর সীমা খুবই খুশি হল, বলল আমরা সবাই মিলে মজা করতে পারব। ,
Moheni Biswas#রাতে খাওয়া দাওয়া করে আমরা গল্প করতে শুরু করলাম। আমার বউএর অনুপস্থিতিতে সীমা আমাকে একবার বলল, আপনি খুবই হ্যান্ডসম। উত্তরে আমিও বললাম তুমিও অনেক কিউট আর সেক্সি। সীমা মুচকি হেসে বলল, তাইনাকি? আমিঃ হ্যাঁ।
রাতে আমাকে খাটে শুতে হল। সীমা আর আমার বউ শুয়ে পড়ল নিচে তোশক পেতে। আমার বউ ম্যাক্সি আরসীমাসালোয়ার কামিজ পড়েছে। দুই বান্ধবি গল্প করছিল এইভাবেঃ …
সীমাঃ তোদের অসুবিধা করলাম।
বউঃ কিসের অসুবিধা?
সীমাঃ তোকে নিচে শুতে হল।
বউঃ আমার ভালই লাগছে।
সীমাঃ (আস্তে করে) যদি তোদের করতে ইচ্ছে করে?
বউঃ করব।
সীমাঃ আমি দেখে ফেললে?
বউঃ দেখলে দেখবি।
সীমাঃ শাহানার জন্য তোদের অসুবিধা হয় না?
বউঃ না।
সীমাঃ শাহানা কি দেখেছে কখনো?
বউঃ অনেক দেখেছে। এখনতো শাহানার সামনে করি। ওকে দেখিয়ে দেখিয়ে করতে আলাদা মজা আছে।
সীমাঃ তোর জামাই শাহানাকে কি কিছু করে?
বউঃ ও খুব ভালো। এগুলো কিছু করে না, কোন আকর্ষন নেই।
সীমাঃ ও! আচ্ছা!
সীমা আর আমার বউ মনে করেছে আমি ঘুমিয়ে গেছি। কিন্তু আমি চুপ করে শুনছি ওদের কথাবার্তা।
বউঃ তোদের সেই খালেদ ভাইয়ার খবর কি?
সীমাঃ এখন আমি আর ধরা দেই না, ভেবেছে আমি ওকে বিয়ে করব।
বউঃ বিয়ে করবিনা?
সীমাঃ না।
বউঃ তুই কি এসব আনন্দের জন্য করিস?
সীমাঃ হ্যা।
কতক্ষন ওরা চুপ হয়ে থাকল। তারপর সীমা বলতে লাগল …
সীমাঃ তোর কি ভাইয়ের কাছে যেতে ইচ্ছা করছে?
বউঃ কিছু কিছু
সীমাঃ যা
বউঃ তুই যে জেগে?
সীমাঃ কিছুই হবে না।
সীমা আমার বউকে খাটের উপর আমার কাছে পাঠিয়ে দিল। আমার বউ আমার পাশে শুয়ে আমাকে জাগাবারচেষ্টাকরল। আমি সারা দিলাম। আমার বউকে জড়িয়ে ধরলাম। ম্যাক্সি উপরের দিকে টেনে ভোদায় হাত দিলাম।আমারবউএর ভোদা আংগুলি করলাম। ভোদার লিপস এ চিমটি কাটলাম। ম্যাক্সি পুরুটাই খুলে ফেললাম। আমার ধনখাড়াহয়ে গেল।
বেশি দেরি না করে বউএর ভোদার ভেতর আমার ধন ঢুকালাম। খুব জোরে ঠাপ দিতে লাগলাম। বউউঃআহঃ … শব্দ করতে লাগল। দেখলাম সীমা নড়াচড়া করছে। আমি আরো জোরে ঠাপাতে লগলাম। বউ তাতেতারশব্দ করা বাড়িয়ে দিল। এতে সীমার নড়াচড়াও বেড়ে গেল। সম্ভবত সীমার সেক্স উঠেছ।
এবার বউএর দুইপা উপরের দিকে তুলে ধন খেচতে লাগলাম। সীমাকে খুব লাগাতে ইচ্ছা করল। সিমার কথা মনেকরেবউএর ভোদা আরো বেশি করে মারলাম। দেখলাম ভোদার মধ্যে ছির ছির করে মাল বের হচ্ছে। আমার বউ আস্তে আস্তে যেয়ে সীমার পাশে শুয়ে পড়ল। Moheni biswas সকালে আমার আগে ঘুম ভেংগে গেল। দেখলাম আমার বউ আর সীমা এখনো ঘুমাচ্ছে। শাহানা রান্না ঘরেনাস্তাবানাচ্ছে। সীমা চিত হয়ে শুয়ে আছে। বুকে কোন উর্না নাই। দুধগুলো বেশ বড় বড়। কামিজের উপরের ফাকদিয়েদুধের উপরের অংশ দেখ যাচ্ছে।
বাথরুমে চলে গেলাম আমি। গোসল করে এসে দেখি আমার বউ এবং সীমা ঘুম থেকে উঠে পরেছে। আমার বউবাথরুমএ চলে গেল।
সীমাকে বললাম কেমন ঘুম হল আপনার?
সীমাঃ ভাল না।
আমিঃ কেন?
সীমাঃ আপনারা ঘুমাতে দিয়েছেন?
আমিঃ বুঝলাম না।
সীমাঃ আমি সব জানি, সব দেখেছি।
আমিঃ আপনার কি ইচ্ছে করছিল?
সীমাঃ ইচ্ছে করলেই কি আপনাকে পাব?
আমিঃ ইচ্ছে করেই দেখেন না?
সীমাঃ ঠিক আছে আমি ইচ্ছে করলাম।
আমিঃ আজ রাতে হবে নাকি?
সীমাঃ ঠিক আছে।
আজকে ছুটির দিন ছিল। দুপুর পর্যন্ত বেশ গল্প করলাম আমরা। ৩ টার সময় সিনেমা দেখতে গেলাম আমরা।বাংলাসিনেমা। অন্ধকার হলের মধ্যে অনেকবার সীমার দুধ টিপেছি, বেশ আনন্দ করে বাসায় ফিরলাম।
রাতে আমার বউ আর সীমা নিচেই শুল। আমি খাটের উপর শুলাম। কতক্ষন আমার তিন জন আলাপ গল্পকরলাম।একটু পরে আমি ঘুমের ভান করে ঘুমিয়ে থাকলাম। আমার বউ আমাকে ডাকার চেস্টা করল আমি সাড়াদিলাম না।
আমার বউ সীমাকে বলল ও ঘুমিয়ে গেছ।
সীমাঃ কাল করেছ, আজ সারাদিন বেচারা আমাদের নিয়ে ঘুরে বেরিয়েছে, ঘুমাবে না?
বউঃ আমার ও ঘুম পাচ্ছে, ঘুমিয়ে যাব।
সীমাঃ কেন? আজ করবি না?
বউঃ না।
কিছুক্ষন পর দেখালাম, আমার বউ সত্যি ঘুমিয়ে গেছে। আরও এক দেড় ঘন্টা চলে যাবার পর আমার বউ যখনগভীরঘুমে তখন সীমা এসে আমার শরীর স্পর্শ করতে লাগল। আমি আস্তে করে সীমাকে আমার পাশে শুইয়ে নিলাম।রুম এআধো আধো অন্ধকার। কথাও বলা যাচ্ছে না, যদি বউ জেগে যায়।
প্রথমেই আমি সীমার ব্রেস্ট এ হাত দিলাম। হাতের মুঠোয় দুধ চেপে ধরে টিপতে লাগলাম। কামিজ পুরুটা খুললামনা।উপরের দিকে টেনে দিয়ে নিচ দিয়ে হাত দিয়ে আবার দুধ টিপলাম। খুবই ভাল লাগছিল সীমার দুধ টিপতে। গালেচুমুখেলাম, ঠোটে চুমু খেলাম, নিপল মুখে নিয়ে চুষলাম। সীমা নিজেউ আমার পেনিস ধরল আর মেসেজ করতেলাগল।সীমার পাজামার ফিতে খুলে পাজামাটা নিচের দিকে নামিয়ে দিলাম। ভোদায় হাত দিলাম, দেখলাম ভিজেগেছে। আঙ্গুলদিয়ে ওর ভোদা লিকিং করলাম, ভেতরটা অনেক পিচ্ছিল। আমি দেরি না করে আমার ধন ঢুকিয়ে দিলামওর ভোদারভেতর। আস্তে আস্তে ঠাপ দিতে লাগলাম।আমি অনেকক্ষন ধরে উত্তেজিত ছিলাম তাই বেশি সময় মালধরে রাখতেপারলাম না। ওর ভোদার মধ্যেই মাল আউট করতে থাকলম। হঠাৎ দেখলম শাহানা উঠে বাথরুমেযাচ্ছে, শাহানাসব দেখে ফেলল। যাই হোক সীমা আমার বউ এর কাছে আস্তে করে গিয়ে শুয়ে পড়ল।
সকালে আমি ঘুম থেকে আগে আগে উঠে রান্না ঘরে গেলাম, শাহানা নাশ্তা বানাচ্ছে। শাহানাকে বললাম কাল রাতেকিছুদেখেছিস?
শাহানাঃ দেখেছি।
আমিঃ কি দেখেছিস?
শাহানাঃ সীমা আপার সাথে আপনি করছেন।
আমিঃ তোর আপাকে বলিস না, কেমন?
শাহানাঃ আচ্ছা।
আমিঃ তোর কি কিছু করতে ইচ্ছে করে?
শাহানাঃ হ্যাঁ করে।
আমিঃ আমার সাথে করবি?
শাহানাঃ হ্যাঁ করব।
আমি অফিসে চলে গেলাম। বিকেলে বাসায় আসি। দেখি আমার বউ বাসায় নেই। সীমা আর আমার বউমার্কেটেগেছে। আমি শাহানাকে একা পেয়ে গেলাম। শরীরের মধ্যে সেক্স এর ঝিলিক বয়ে গেল। দেখলাম শাহানাওঘোরাঘোরিকরছে, ওকে ডাক দিয়ে বিছানায় বসালাম, হাটুর উপর শুইয়ে দুধ টিপলাম। ছেরির দুধগুলো বেশ ভালো, সুঢৌল স্তনযাকে বলে। আমি বেশ জোরে টিপতে থাকলাম, বললাম তাড়ারাড়ি পাজামা খুল, তোর আপু চলে আসতেপারে।
শাহানা পাজামা খুলে ফেললে ওকে খাটের উপর চিৎ করে শুয়ালাম। ওর ভোদা একদম দেখলাম, খুব সুন্দরআরমাংসল, একদম ক্লিন শেভড। ওকে বললাম কিরে তোর ভোদায় তো কোন বাল নেই, একদম ফর্সা। শাহানাবললআপনি লাগাবেন দেখে আজকেই সব সাফ করছি। ভোদা সুন্দর করে কতক্ষন হাতালাম, টিপলাম, আংগুলিকরলাম।খুব বেশি দেরি করলাম না, কনডম পড়ে নিলাম। দুই পা উপরের দিকে তুলে বাংলা স্টাইলে শাহানার ভোদার ভেতরআমার ধন ঢুকিয়ে দিলাম। দুধ টিপতে টিপতে আর ঘন ঘন ঠাপাতে ঠাপাতে মাল আউট করলাম।
শাহানা অনেক মজা পেল, আমাকে ছাড়তে চাইছিল না। বলল, দুলাভাই আপনি যখন চাইবেন তখনি আমি আপনারকাছে আসব আর আপনি আমাকে লাগাবেন !!!
কিছুক্ষন পর আমার বউ আর সীমা চলে এল। আমি বাথ রুম থেকে হাত মুখ ধুয়ে বের হচ্ছিলাম, আমার বউ বলল, তুমি কখন এসেছ? বললাম, এইতো একটু আগেই এসেছি, এসেই হাতমুখ ধুলাম।
রাতে আমর বউ আমার কাছে শুল। কতক্ষন গল্প করলাম, মাঝে মাঝে আমার বউএর ব্রেস্ট এ হাত দিচ্ছিলাম, টিপছিলাম, বললাম লাগাবো? দেখলাম বউএর ইচ্ছা আছে। বললাম, লাইট অফ করে দিই? বউ বলল, দিতে হবেনা।আস্তে করে বললাম সীমা দেখে ফেলবে। ও বলল, দেখুক, কিছু হবে না।
বউএর ম্যাক্সি খুলে ফেললাম, একটু কাত করে নিয়ে এক পা উপরের দিকে তুলে ভোদার মধ্যে ধন ঢুকিয়ে দিলাম, দেখলাম ভোদার মধ্যে পচ পচ করে আওয়াজ হচ্ছে। আমি জোড়ে ঠাপাতে লাগলাম, বউ ��হঃ আহঃ … আওয়াজকরছে। কিছুক্ষন পড়ে দেখলাম বউ তার ভোদা থেকে আমার ধন বের করে নিল। আমাকে চিৎ করে শুইয়েআমারধন ভদায় ঢুকিয়ে বসে বসে ঠাপ দিতে লাগল। Moheni biswas
আমি অনেকক্ষন ধরে উত্তেজিত ছিলাম তাই বেশি সময় মালধরে রাখতেপারলাম না। ওর ভোদার মধ্যেই মাল আউট করতে থাকলম। হঠাৎ দেখলম শাহানা উঠে বাথরুমেযাচ্ছে, শাহানাসব দেখে ফেলল। যাই হোক সীমা আমার বউ এর কাছে আস্তে করে গিয়ে শুয়ে পড়ল।
সকালে আমি ঘুম থেকে আগে আগে উঠে রান্না ঘরে গেলাম, শাহানা নাশ্তা বানাচ্ছে। শাহানাকে বললাম কাল রাতেকিছুদেখেছিস?
শাহানাঃ দেখেছি।
আমিঃ কি দেখেছিস?
শাহানাঃ সীমা আপার সাথে আপনি করছেন।
আমিঃ তোর আপাকে বলিস না, কেমন?
শাহানাঃ আচ্ছা।
আমিঃ তোর কি কিছু করতে ইচ্ছে করে?
শাহানাঃ হ্যাঁ করে।
আমিঃ আমার সাথে করবি?
শাহানাঃ হ্যাঁ করব। Moheni biswas
আমি অফিসে চলে গেলাম। বিকেলে বাসায় আসি। দেখি আমার বউ বাসায় নেই। সীমা আর আমার বউমার্কেটেগেছে। আমি শাহানাকে একা পেয়ে গেলাম। শরীরের মধ্যে সেক্স এর ঝিলিক বয়ে গেল। দেখলাম শাহানাওঘোরাঘোরিকরছে, ওকে ডাক দিয়ে বিছানায় বসালাম, হাটুর উপর শুইয়ে দুধ টিপলাম। ছেরির দুধগুলো বেশ ভালো, সুঢৌল স্তনযাকে বলে। আমি বেশ জোরে টিপতে থাকলাম, বললাম তাড়ারাড়ি পাজামা খুল, তোর আপু চলে আসতেপারে।
শাহানা পাজামা খুলে ফেললে ওকে খাটের উপর চিৎ করে শুয়ালাম। ওর ভোদা একদম দেখলাম, খুব সুন্দরআরমাংসল, একদম ক্লিন শেভড। ওকে বললাম কিরে তোর ভোদায় তো কোন বাল নেই, একদম ফর্সা। শাহানাবললআপনি লাগাবেন দেখে আজকেই সব সাফ করছি। ভোদা সুন্দর করে কতক্ষন হাতালাম, টিপলাম, আংগুলিকরলাম।খুব বেশি দেরি করলাম না, কনডম পড়ে নিলাম। দুই পা উপরের দিকে তুলে বাংলা স্টাইলে শাহানার ভোদার ভেতরআমার ধন ঢুকিয়ে দিলাম। দুধ টিপতে টিপতে আর ঘন ঘন ঠাপাতে ঠাপাতে মাল আউট করলাম।
শাহানা অনেক মজা পেল, আমাকে ছাড়তে চাইছিল না। বলল, দুলাভাই আপনি যখন চাইবেন তখনি আমি আপনারকাছে আসব আর আপনি আমাকে লাগাবেন !!!
কিছুক্ষন পর আমার বউ আর সীমা চলে এল। আমি বাথ রুম থেকে হাত মুখ ধুয়ে বের হচ্ছিলাম, আমার বউ বলল, তুমি কখন এসেছ? বললাম, এইতো একটু আগেই এসেছি, এসেই হাতমুখ ধুলাম।
রাতে আমর বউ আমার কাছে শুল। কতক্ষন গল্প করলাম, মাঝে মাঝে আমার বউএর ব্রেস্ট এ হাত দিচ্ছিলাম, টিপছিলাম, বললাম লাগাবো? দেখলাম বউএর ইচ্ছা আছে। বললাম, লাইট অফ করে দিই? বউ বলল, দিতে হবেনা।আস্তে করে বললাম সীমা দেখে ফেলবে। ও বলল, দেখুক, কিছু হবে না।
বউএর ম্যাক্সি খুলে ফেললাম, একটু কাত করে নিয়ে এক পা উপরের দিকে তুলে ভোদার মধ্যে ধন ঢুকিয়ে দিলাম, দেখলাম ভোদার মধ্যে পচ পচ করে আওয়াজ হচ্ছে। আমি জোড়ে ঠাপাতে লাগলাম, বউ উহঃ আহঃ … আওয়াজকরছে। কিছুক্ষন পড়ে দেখলাম বউ তার ভোদা থেকে আমার ধন বের করে নিল। আমাকে চিৎ করে শুইয়েআমারধন ভদায় ঢুকিয়ে বসে বসে ঠাপ দিতে লাগল। Moheni biswas
চুল গুলো এলমেল হয়ে যাচ্ছিল, দেখলাম আমার বউ সীমারদিকেতাকিয়ে মিট মিট করে হাসছে। এবার আমার বউকে হাটু গেরে বসতে বললাম, ডগি স্টাইলে ওর ভোদায় ধন চালালাম। বউএর মাল আউট হল, কিছুক্ষন পর আমারটাও হল।
শুয়ে আছি, ঘন্টা খানেক পরে দেখলাম, বউ গভির ঘুমে আচ্ছন্ন। আমি উঠে সীমার কাছে গেলাম। সীমা জেগে আছে, লাইট জ্বালানই আছে, নিভালাম না। সীমার সালোয়ার কামিজ খুলে ফেললাম। ভোদাট আবার দেখা হয়ে গেল।একটুএকটু বাল আছে, বেশ খাসা ভোদা।
ভোদার লিপ্স নাড়াচাড়া করলাম, জ্বিভ দিয়ে চুষলাম। ব্রেস্ট টিপছিলাম, নিপলদুটি খুব সুন্দর। নিপলে আংগুল ঘষলাম, সীমা খুবই হন্নে হয়ে গেল। আমি ওর দু পা ফাক করে ভোদার ভেতরধনদিলাম। কতক্ষন ঠাপানোর পর ওকে কাত করে শুইয়ে আমার বউএর স্টাইলে আবার ঠাপাতে লাগলাম।
নদীরউত্তালঢেউএর মত ঠাপাতে লাগলাম। দেখলাম মাগী একটু নিস্তেজ হল, মনে হল ভোদার ভেতর থেকে গরম পানি বেরহচ্ছে।আমি আরো জোড়ে ঠাপিয়ে আমার মাল আউট করলাম।\
Tumblr media
2 notes · View notes
maroonpaper · 1 year
Text
মরক্কোর জাতীয়তাবাদি আন্দোলন ও সুলতান মুহাম্মাদ
Tumblr media
মরক্কো উত্তর আফ্রিকার একটি স্বাধীন ও আরব রাষ্ট্র। এর রাজধানী রাবাত। পূর্বে আটলান্টিক মহাসাগরের তীরবর্তী অঞ্চল জুড়ে এবং উত্তরে ভূমধ্য সাগরের জিব্রাল্টার প্রনালী পর্যন্ত বিস্তৃত। মরক্কোর পূর্বে আলজেরিয়া, উত্তরে ভূমধ্যসাগর ও স্পেন এবং পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর অবস্থিত। এর দক্ষিণে পশ্চিম সাহারা অবস্থিত।
মরক্কো রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন
মরক্কোর গোড়াপত্তনের ইতিহাস বলে যে, কথা প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে হোমিনিডরা তথা বর্তমান মানুষদের পূর্বসূরীরা কমপক্ষে ৪০০,০০০ বছর আগে এই অঞ্চলে বাস করত। খ্রিস্টপূর্ব অষ্টম ও ষষ্ঠ শতাব্দীর মধ্যে মরোক্কোর উপকূলে ফিনিশীয় উপনিবেশ স্থাপনের আগে প্রায় দুই হাজার বছর ধরে এই অঞ্চলে স্থানীয় বার্বাররা বসবাস করত। এটাই মরক্কোর সভ্যতার প্রথম নথিভুক্ত ইতিহাস।
খ্রিষ্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে নগর-রাষ্ট্র কার্থজের আওতায় মরক্কোর উপকূলীয় অঞ্চলও চলে আসে। তারা খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীর শেষভাগ পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেছিল। এই সময়ে স্থানীয় শাসকরা উপকূল থেকে ভেতরের দিকের অঞ্চলে শাসন পরিচালনা করেছিলেন। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দী থেকে চল্লিশ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত যখন এই অঞ্চল রোমান সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল, স্থানীয় বার্বার রাজারাই এই অঞ্চল শাসন করেছিলেন। খ্রিস্টীয় ৫ম শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে এটি জার্মানীয় ভান্ডালদের দখলদারিত্বের শিকার হয়েছিল। কিন্তু বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য ষষ্ঠ শতাব্দীতে মরক্কোকে পুনরুদ্ধার করে।
খ্রিস্টীয় অষ্টম শতাব্দীর গোড়ার দিকে  এই অঞ্চলটি মুসলমানরা বিজয় করেছিল, তবে ৭৪০ সালের বার্বার বিদ্রোহের পরে উমাইয়া খিলাফত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়  । অর্ধ শতাব্দী পরেই ৭৮৮ খ্রিষ্টাব্দে ইদ্রিস রাজবংশই প্রথম মরোক্কো রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং পরবর্তীকালে এটি একাধিক স্বাধীন রাজবংশ, আলমোরাভিড এবং আলমোহাদ রাজবংশের অধীনে মরক্কো মাগরেব এবং মুসলিম স্পেনে আধিপত্য বিস্তার করেছিল।
একাদশ  এবং দ্বাদশ শতাব্দীতে আঞ্চলিক শক্তি হিসাবে মরক্কো শীর্ষে পৌঁছেছিল। সাদি রাজবংশ ১৫৪৯ থেকে ১৬৫৯ সাল পর্যন্ত দেশ শাসন করেছিল, তারপরে  ১৬৬৭ সাল থেকে আলাওয়িরা মরক্কোর শাসক রাজবংশ ছিল।
জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ক্রমবিকাশ
নানা বাঁধা-বিপত্তি, রক্তক্ষয়য়ী সংগ্রামের বিনিময়ে ১৯৫৬ সালের ২ মার্চ মরক্কো ফ্রান্সের থেকে স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করে। এ স্বাধীনতা আন্দোলনে পঞ্চম মুহাম্মদ ও ইশতিকলাল দলের ভূমিকা অবিস্মরনীয়। বিশেষ আফ্রিকার স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মরক্কোর জাতীয়তাবাদী আন্দোলন এক বিশেষ স্থান অর্জন করেছে। মরক্কোর এই জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে বুঝতে হলে আগে আমাদেরকে মরক্কোতে উপনিবেশবাদের সাথে পরিচত হতে হবে।
ভৌগলিকভাবে ইউরোপের সাথে আফ্রিকার বিভাজন হয়েছে জিব্রাল্টার প্রণালীর মাধ্যমে। মাত্র কয়েক কিলোমিটার ব্যবধানে এই মহাদেশ দুটির অবস্থানের কারণে ১৭ শতক থেকেই আলমোরাভিড এবং আলমোহাদ রাজবংশের অধীনে মরোক্কোকে উত্তরে স্প্যানিশ আক্রমণ এবং পশ্চিমদিকে উসমানীয় সাম্রাজ্যের আগ্রাসনের সাথে মুখোমুখি হতে হয়েছে।
ইউরোপে শিল্পায়নের ছোয়া এলে তাদের লোলুপ দৃষ্টি প্রতিবেশিদের ওপর পড়তে শুরু করে। শিল্প বিপ্লবের সাথে সাথে ইউরোপ উত্তর-পশ্চিম আফ্রিয়ায় নিজেদের উপনিবেশ স্থাপনের পায়তারা শুরু করে। এদিক থেকে স্পেন ও ফ্রান্স দুটি দেশেরই ভৌগলিকভাবে নিকটতম প্রতিবেশি মরক্কো নজরে পড়ে। দুটি দেশেরই উপনিবেশ স্থাপনের এক সম্ভাবনাময় আদর্শ অঞ্চল হয়ে ওঠে মরক্কো।
উপনিবেশবাদের গোড়াপত্তন
সাদি রাজবংশের পতনের সময় রাজনৈতিক বিভাজন এবং সংঘাতের পরে আলাউই সুলতান আল-রশিদ, ১৬৬০ এর দশকের শেষের দিকে পুনরায় মরক্কোকে একত্রিত করেছিলেন। স্থানীয় উপজাতির বিরোধিতার বিরুদ্ধে ইসমাইল ইবনে শরীফ একটি একক রাষ্ট্র গঠন শুরু করেন। বিভিন্ন সময়ে স্প্যানিশ, ইংরেজদের অতর্কিত হামলা, দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তার রিফিয়ান আর্মি ইংরেজদের কাছ থেকে ট্যাঙ্গিয়ার দখল পুনরুদ্ধার করেছিল এবং ১৬৮৯  সালে স্প্যানিশদের লারাচে থেকে  তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। পর্তুগিজরাও ১৭৬৯ সালে মরোক্কোতে তাদের শেষ অঞ্চল মাজাগাও ত্যাগ করে। তবে এই প্রতিরোধ বেশিদিন টিকে থাকতে পারেনি।মরক্কোর স্বাধীনতা বেহাত হয় স্প্যানিশদের  বিরুদ্ধে ‘মেলিলার অবরোধ’ ১৭৭৫ সালে পরাজয়ের মাধ্যমে।
এই সময়ে আটলান্টিক সাগরে আমেরিকান জাহাজগুলো হর-হামেশাই বার্বার জলদস্যুদের আক্রমণের শিকার হতো। মরক্কোর তৃতীয় সুলতান মোহাম্মাদ আমেরিকান জাহাজগুলোকে বার্বার দস্যুদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা প্রদান করেন। ১৭৮৬ সালেই আমেরিকা-মরক্কো বন্ধুত্ব চুক্তি সাক্ষরিত হয়। সেই থেকে আমেরিকা ও মরক্কো একে অপরের দিকে সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়।
মরক্কোর প্রতিবেশী আলজেরিয়ায় আগেই ফ্রান্স উপনিবেশ স্থাপন করেছিল। সেই সুবাদে তারা মরক্কোতে খুব কাছ থেকেই নজর রাখছিল। ১৮৩০ সালের শুরুর দিকে সর্ব প্রথম ফ্রান্স মরক্কো দখলের পায়তারা শুরু করে। একই সময়ে স্পেনের সাথে মরক্কোর দীর্ঘদিনের কোন্দল ধীরে ধীরে মাথাচাড়া দেয়া শুরু করে। ১৮৬০ সালে সেউতা ছিটমহল নিয়ে বিরোধের কারণে স্পেন মরক্কোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এই যুদ্ধে সেউতাসহ আরো একটি ছিটমহল দখল করে নেয় স্পেন। কার্যত ১৮৮৪ সালে মরক্কোর উপকূলীয় অঞ্চলে স্পেনই উপনিবেশ গড়ে তোলে। ফ্রান্সই সর্বপ্রথম উপনিবেশ করার পায়তারা করলেও, এক্ষেত্রে স্পেনই প্রথম সফল হয়।
১৯০৪ সাল থেকে ফ্রান্স ও স্পেন মরক্কোতে প্রত্যক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার শুরু করে। হাজার হাজার ইউরোপীয় মরক্কোতে অনুপ্রবেশ করে জমাজমি কেনা শুরু করে। শিল্পোন্নয়ের নামে তারা বিভিন্ন দ্বীপ, খনিতে প্রভাব খ��টানো শুরু করে। তাদের এহেন কাজকর্মে সুবিধার জন্য ফ্রান্সকে চাপ দেয়া শুরু করে মরক্কোকে বাগে আনতে। ফ্রান্স মরক্কোকে বাগে রাখতে ফ্রান্স-মরক্কো সহযোগিতামূলক কার্যক্রম শুরু করতে সক্ষম হয়। পরবর্তিতে তারা বিভিন্নভাবে মরক্কোর ওপর প্রভাব বিস্তার শুরু করে।
মরক্কোতে ফ্রান্সের এহেন প্রভাব বিস্তারে যুক্তরাজ্য সম্মতি ছিল। তবে মরক্কোর পুরনো মিত্র আমেরিকা এসময় মরক্কোকে কূটনৈতিক সহযোগিতা প্রদান করে।
১৯০৫ সালে পরাশক্তি গুলোর মাঝে একটি সংকট দেখা দেয়। ১৯১১ সালে ‘আপাদির সংকট’ ইউরোপীয় শক্তিগুলোর মাঝে উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে।
১৯১২ সালে মরক্কোর সুলতান আবদুল হাফিজের সঙ্গে ‘ফেজ চুক্তি’ স্বাক্ষর করে ফ্রান্স। এ চুক্তি অনুযায়ী মরক্কোকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। উত্তর উপকূলীয় অঞ্চল, দক্ষিণ- পশ্চিম অঞ্চল ও পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে স্পেনের দখল প্রতিষ্ঠিত হয় আর বাকি অংশ চলে যায় ফরাসীদের অধীনে। এ চুক্তির মধ্য দিয়েই মরক্কোকে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি ফরাসি ‘আশ্রিত ভূখণ্ড’ বানানো হয়। এর পরের বছরগুলোতে ফ্রাস সেখানে উপনিবেশ স্থাপন করে বসে। স্পেনীয় অঞ্চলে একজন হাইকমিশনার এবং ফরাসি অঞ্চলে একজন আবাসিক জেনারেল শাসন করতেন।
জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ও গাজী আব্দুল করিম
ফরাসীরা মরক্কোতে তাদের উপনিবেশ কায়েম করে তাদের আশ্রিত অঞ্চল হিসেবে শাসন কার্য পরিচালনা শুরু করে। ফলে জনগণ তাদের ওপর ধীরে ধীরে ক্ষুব্ধ হতে থাকে। ১৯১২ সালে মরক্কোর জাতীয়তাবাদী নেতা গাজী আব্দুল করিম উপজাতীদের সঙ্ঘবদ্ধ করে ফরাসী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ফেজ নগর পুনরুদ্ধার করে নেয়। ১৯২৬ সালে ফরাসীরা গাজী আব্দুল করিমকে পরাজিত করে এবং নির্বাসনে পাঠায়। ফরাসীরা মরক্কোর সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করলেও মরক্কোবাসী বিদেশী আধিপত্যকে কখনোই মেনে নিতে পারেনি।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ থেকেই মরক্কোতে উপনিবেশবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। মরক্কোর জাতীয়তাবাদী নেতা আব্দুল করিমের নেতৃত্বে প্রগতিশীল জনগণ ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে আবার আন্দোলন শুরু করেন। এই আন্দোলনে স্পেনীর উপনিবেশের পতন ঘটে। আব্দুল করিম বিজয়ী হয়ে “বিজা প্রজাতন্ত্র” গঠন করেন। তবে ১৯২৭ সালে স্পেন ও ফ্রান্স জোটবদ্ধ হয়ে আব্দুল করিমকে পরাজিত করে। ফরাসীদের কঠোর দমননীতি মরক্কোবাসীদের ভেতরে পুনরায় জাতীয়তাবাদকে জাগিয়ে তোলে। ১৯৩০ সালে দাহিব নামক এক নির্যাতনমূলক আইন জারি করলে দেশের জনগণ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন শুরু করে।
১৯২০ সালে মরক্কোতে একটি বিদ্রোহ দমন করছে ফরাসী বাহিনী। ছবিঃ বিবিসি
সুলতান মুহাম্মাদ বিন ইউসুফ(পঞ্চম মুহাম্মদ) জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকারীদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে ফরাসী উৎখাতের সংগ্রাম শুরু করেন। জাতীয়তাবাদী নেতারা দেশের স্বাধীনতার জন্য জোরেশোরেই সংগ্রাম শুরু করে। ১৯৩৪ সালে ফরাসী কর্তৃপক্ষের নিকট একটি সংস্কারমূলক প্রস্তাব পেশ করা হয়। ১৯৩৭ সালে এই প্রস্তাবের সাথে আরো কিছু দাবি যুক্ত করা হয়। এসব দাবীর মধ্যে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান, বিচার বিভাগের সংস্কার অন্যতম। স্বাধীনতাকামীরা প্রথমে ন্যাশনাল একশন কমিটি এবং পরবর্তীতে নিউ ইশতিকলাল দলের মাধ্যমে দাবি আদায়ের আন্দোলন শুরু করে। আব্দুল খালেক তোরণের ‘আল ইসলাহ’ এওবং মক্কা আল নাসিরের ‘মরক্কো ইউনিট” দল জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে শামিল হলে আন্দোলন আরো বেগবান হয়। এ সময় পঞ্চম মুহাম্মদের প্রচারণায় মরক্কোর স্বাধীনতা আন্দোলন চুড়ান্ত রূপ ধারণ করে।
ইশতিকলাল দল গঠন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মরক্কোর জাতীয়তাবাদী আন্দোলন এক নতুন মাত্রা বেগবান হয়। ১৯৪৩ সালে মরক্কর জাতীয়তাবাদী নেতারা প্রথমবারের মত ইশতিকলাল নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করে। অনেকগুলো ছোট ছোট দলের সমন্বয়ে গঠিত এ দলটি খুব অল্প সময়ের মধ্যে মরক্কোবাসীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করে। সুলতান নিজেও এই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানান। ফলে নির্বিঘ্নে এ আন্দোলন চলতে থাকে। ১৯৪৬ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত দেশের ভেতরে ব্যাপক সমর্থন লাভ করে এবং কায়রো ও নিউইয়র্কে তাদের বিদেশ অফিস চালু করা হয়।
আরো পড়ুনঃ পশতুনিস্তান সমস্যা ও সমাধান
১৯৫২ সালের ডিসেম্বরে তিউনিশিয়ার শ্রমিক নেতা ফারহাত হাচেদের হত্যার প্রতিবাদে কাসাব্লাঙ্কায় ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়; এই ঘটনা মরোক্কোর রাজনৈতিক দল এবং ফরাসি কর্তৃপক্ষের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি পরিস্থিতি দাড় করায়। দাঙ্গার পরে, ফরাসী সরকার মরোক্কোর কমিউনিস্ট পার্টি ও ইস্তিকলাল পার্টিকে বে-আইনি ও নিষিদ্ধ  ঘোষণা করে এবং দলের বহু নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে।
সুলতান পঞ্চম মুহাম্মদের নির্বাসন ও ষষ্ঠ মুহাম্মদের ক্ষমতায় আরোহন
মরক্কোর জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে ফরাসীরা কঠোরভাবে দমন করার চেষ্টা করে। আর সুলতান পঞ্চম মুহাম্মদ জাতীয়তাবাদী নেতাদের প্রতি সমর্থণ ও সহানুভূতি জ্ঞাপন এবং বিশেষ ভূমিকার কারণে তিনি ফরাসী সরকারের বিরাগভাজন হন।
মরক্কোর স্বাধীনতা আন্দোলনে ভীত ফরাসি সরকার ১৯৫৩ সালের ২০ আগস্ট ঈদ উল আজহায় সুলতান পঞ্চম মোহাম্মদকে সপরিবারে কর্সিয়ায় নির্বাসনে পাঠায়। এসময় ফরাসিরা মোহাম্মদ বেন আরাফাকে কাঠের পুতুল হিসেবে ক্ষমতায় বসায়। সুলতান আরাফা মরক্কোতে ‘ফরাসি সুলতান নামে পরিচিতি পান। ১৯৫৪ সালের জানুয়ারীতে পঞ্চম মোহাম্মদকে মাদাগাস্কারে সরিয়ে নেয় ফরাসি সরকার। এই নির্বাসন ও পুতুল শাসক আরাফার  আগমন মরক্কোর জাতীয়তাবাদী ও ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষকে ক্ষুব্ধ করে তোলে। উভয় পক্ষই ফরাসীদের এই কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে।  সুলতান মুহাম্মদের ক্যারিশমাটিক নেতৃতে মুগ্ধ মরক্কোবাসী তাকে জাতীয় নেতা হিসেবে গ্রহণ করেন। মরক্কোর স্বাধীনতাকামী জনগণ সুলতান মুহাম্মদের দিকনির্দেশনায় আন্দোলন চালিয়ে যায় তার অনুপস্থিতেই।  
ফরাসীদের দমননীতি
ফরাসীরা পঞ্চম মুহাম্মদকে সরিয়ে ষষ্ঠ মুহাম্মদকে ক্ষমতায় বসালে প্রতিশোধ হিসাবে, মুহাম্মদ জারকতুনি সেই বছরের  ক্রিসমাসে ইউরোপীয় ভিলে নুভেলের কাসাব্লাঙ্কার মার্চে সেন্ট্রালে  বোমা  হামলা করেছিলেন। যাইহোক, ফরাসিদের মদদে ষষ্ঠ মুহাম্মদ ক্ষমতায় এসে এক নতুন শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। তার এ শাসন ব্যবস্থায় মরক্কোর স্বার্থবিরোধী কতগুলো সুযোগ-সুবিধা ফরাসীদের জন্য প্রণয়ন করা হয়। যেমনঃ
রাজা নিজের ইচ্ছায় দেশ পরিচালনা না করে মরক্কোকে আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করবে।
ভবিষ্যতে সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করে ফরাসী ও সুলতানি শাসন রক্ষা করবে।
বিচারকদের একই সাথে শাসন ও বিচারের ক্ষমতা প্রদান করা হবে।
শ্রমিকদের জন্য নতুন আইন প্রণয়ন করবে।
নাগরিক অধিকার প্রদান করা হবে যদিও তখন পর্যন্ত দেশে সামরিক শাসন জারি ছিল।
ফরাসীদের দমননীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম
মরক্কোর স্বাধীনতা সংগ্রামে জাতী��়তাবাদি নেতাদের সহায়তা করার জন্য ফরাসী কর্তৃপক্ষের অভ্যন্তরে বিরোধ দেখা দেয়। ফরাসীরা নতুন সুলতানের মাধ্যমে মরক্কোর নাগরিক অধিকার খর্ব করে। স্বাধীনতাকামী নেতারা কারাগারেই বিক্ষোভ শুরু করে। ফলে মরক্কোর বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এ সংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করলে সুলতান ও ফরাসীরা কঠোর হস্তে আন্দোলন দমন করা শুরু করে। এতে বহুসংখ্যক নাগরিক মারা যায় আন্দোলনে সমর্থন করার দায়ে।
এর দুই বছর পরে, আন্দোলনকারীদের সমর্থন করার অভিযোগে পঞ্চম মুহাম্মদকে ক্ষমতাচ্যুত করার দ্বিতীয় বার্ষিকীতে সমগ্র দেশে বিক্ষোভ হয়। সুলতানের প্রত্যাবর্তনের জন্য মরোক্কোর ঐক্যবদ্ধ দাবি ওঠে এবং মরক্কোতে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার পাশাপাশি আলজেরিয়াতেও পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হয়। এছাড়াও পুনরায় ফরাসী কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি দেয়া হয়।
সুলতান মুহাম্মাদ নির্বাসন থেকে ফিরছেন। ছবিঃ মরক্কো ওয়ার্ল্ড নিউজ
ইসতিকলাল দল, ট্রেড ইউনিয়ন ও অন্যান্য জাতীয়তাবাদী দলগুলো পুনরায় পঞ্চম মুহাম্মদকে ক্ষমতায় বসানোর প্রচেষ্টা চালায়। মরক্কোর স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের আন্দোলন পার্শ্ববর্তি লিবিয়া, আলিজেরিয়া, মিশরের জনসাধারনেরও সমর্থণ পায়। তারা পঞ্চম মুহাম্মদের নামে মসজিদে মসজিদে খুৎবা পাঠ করতে শুরু করে। কিন্তু তিনি আশ্রিত সুলতান হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণে অস্বীকার করেন। পরিস্থিতি অনুধাবণ করে শেষ পর্যন্ত উভয় সংকটের মুখোমুখি হয়ে ফরাসি সরকার শর্ত প্রত্যাহার করে তাকে দেশে ফিরে আসার আহবান জানায় এবং পঞ্চম মোহাম্মদকে মরক্কোতে ফিরিয়ে আনে। অবশেষে ১৯৫৫ সালের ১৬ নভেম্বর সুলতান বিজয়ীর বেশে দেশে ফিরে আসেন। এবং পরের বছর উভয়পক্ষের মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু হয় যা মরক্কোর স্বাধীনতার দিকে ধাবিত হয়।
মরক্কোর স্বাধীনতা ঘোষণা
সুলতান পঞ্চম মুহাম্মদ ১৯৫৫ সালের শেষের দিকে ফরাসি-মরোক্কোর পারস্পরিক নির্ভরশীলতার কাঠামোর মধ্যে মরোক্কোর স্বাধীনতা ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধারের জন্য আলোচনা করতে সফল হন, যা রাজা এবং জনগণের বিপ্লব নামে পরিচিতি লাভ করে। সুলতান এমন পরিবর্তনগুলি বাস্তবায়নে সম্মতি দিয়েছিলেন যা মরক্কোকে একটি গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার সাথে একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্রে পরিণত করবে। ১৯৫৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে মরক্কোকে সীমিত পরিসরে স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হয়েছিল।
১৯৫৬ সালের ২ মার্চ প্যারিসে স্বাক্ষরিত ফরাসি-মরোক্কো চুক্তি হয়। ১৯৫৬ সালের ৭ এপ্রিল, ফ্রান্স আনুষ্ঠানিকভাবে মরক্কোস্থত উপনিবেশ ত্যাগ করে। ১৯৫৬ সালের ২৯ শে অক্টোবর ট্যানজিয়ার প্রোটোকল স্বাক্ষরের মাধ্যমে আন্তর্জাতিকীকৃত শহর ট্যানজিয়ার পুনরায় মরক্কোর সাথে সংযুক্ত হয়েছিল।
���্পেন কর্তৃক মরোক্কোর স্বাধীনতার স্বীকৃত��� এবং স্প্যানিশ উপনিবেশ বিলুপ্তি পৃথকভাবে আলোচনা করা হয়েছিল এবং ১৯৫৬ সালের এপ্রিলের যৌথ ঘোষণায় চূড়ান্ত করা হয়েছিল। তবে, স্পেনের সাথে এই চুক্তি এবং ১৯৫৮ সালে পৃথক আরেকটি চুক্তির মাধ্যমে কিছু স্প্যানিশ-শাসিত অঞ্চলে মরক্কোর নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করা করা সম্ভব হলেও সামরিক পদক্ষেপের মাধ্যমে অন্যান্য স্প্যানিশ উপনিবেশগুলো দাবি করার প্রচেষ্টা  ততটা সফল হয়েছিল।
১৯৫৬ ও ১৯৫৮ সালে সাক্ষরিত ফরাসি-মরোক্কো ও স্প্যানিশ -মরোক্কো চুক্তিগুলোর মাধ্যমে স্পেন ও ফরাসী সৈন্যরা চলে যেতে শুরু করে। এবং শেষ পর্যন্ত স্পেনীয়  ও ফরাসীদের বিতাড়িত করার মাধ্যমে পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে মরক্কো।
সুলতান পঞ্চম মুহাম্মদের অবদান
মাত্র সতের বছর বয়সে মরক্কোর সিংহাসনে বসেন সুলতান পঞ্চম মুহাম্মদ। তার বলিষ্ঠ নেতৃতের কারণেরি মরক্কোবাসী স্পেন ও ফরাসীদের দখলদারীত্বের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে সক্ষম হয়েছিল। ফরাসীরা মুহাম্মদকে তাদের অনুগত ভৃত্য হিসেবে সিং হাসনে বসালেও তিনি তাদের আনুগত্য মেনে নেননি। যারফলে ফরাসীদের রোষানলে পড়েন এবং নির্যাতিত হন। বিদেশী শাসনে মরক্কোর জনগণ যখন নিষ্পেষিত এবং একজন জাতীয় নেতার অভাব অনুভব করছিল ঠিক তখনই পঞ্চম মুহাম্মদ ক্ষমতায় আসেন এবং দেশের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালান এবং স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারে সফল হন।
স্বাধীনতার কয়েক মাসের মধ্যেই পঞ্চম মোহাম্মদ একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্রের অধীনে একটি আধুনিক সরকারী কাঠামো তৈরি করতে অগ্রসর হন  যেখানে সুলতান একটি সক্রিয় রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করবেন। তিনি সতর্কভাবে ইস্তিকলালকে তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং একদলীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা থেকে বিরত রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন।তিনি ১৯৫৭ সালের ১১ আগস্ট রাজতন্ত্র গ্রহণ করেন এবং সেই তারিখ থেকে দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে ‘মরক্কো কিংডম’ নামে পরিচিতি লাভ করে। মরক্কোর স্বধীনতা পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে সুলতান মোহাম্মদের অবদান, নিঃস্বার্থ ত্যাগ ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য মরক্কোবাসীর নিকট জাতীয় বীর হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
মরক্কোর স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিল উত্তর আফ্রিকার ইতিহাসে এক অবিস্মরণিয় অধ্যায়। মরক্কোবাসীরা দীর্ঘ প্রত্যাশিত স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে মহুমুখী ত্যাগতিতিক্ষা ও লড়াইয়ের বিনিময়ে। এ অর্জনে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল সুলতাবন পঞ্চম মুহাম্মদের ত্যাগ, সংগ্রাম। ফরাসীদের মনোনীত শাসক হলেও দেশের গণমানুষের জন্য তিনি সব স্বার্থকে তুচ্ছ করে সংগ্রাম করেছেন ফরাসীদের বিরুদ্ধে। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কাছে ফরাসীরা পরাজিত হয় এবং ১৯৫৬ সালে মরক্কো স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়। মরক্কোর এই সংগ্রাম আফ্রিকার অন্যান্য দেশগুলোর জন্য এক অনুকরণিয় আদর্শ।
1 note · View note
healthylifestyleis · 2 years
Text
গীবত কি এবং কারো গীবত করে ফেললে কি করণীয় ?
গীবত কি:- এক সাহাবী এসে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) কে  জিজ্ঞাসা করল ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ) গীবত কি জিনিস ? উত্তরে হুজুরে আকরাম (সাঃ) বললেন:- গীবত হলো  তোমার কোন ভাইয়ের অবর্তমানে তার দোষ ত্রুটি বর্ণনা করা। সাহাবী  আবার প্রশ্ন করল হুজুর যদি ওই ব্যক্তির মধ্যে ওই দোষ ত্রুটি থাকে তাহলে? আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেন:- যদি ওই ব্যক্তির মধ্যে ওই দোষ ত্রুটি থাকে আর তুমি সেটা মানুষের মধ্যে বলে বেড়াও তাহলেই  সেটা গীবত। আর যদি তার মধ্যে সেই দোষটা না থাকে তাহলে সেটা পরনিন্দা বা অপবাদ। যেটা আরো মারাত্মক গোনাহ।  এজন্য আমরা অনেকেই দেখা যায় এই গুনাহটা  করে ফেলি।  এটা একমাত্র গুনা যেটা আমরা মনের অজান্তেই করে ফেলি। সেটা হোক বাড়িতে, কিংবা বাজারে ,অথবা কোন গল্প আড্ডা খানায়,আমরা এই গীবত করে ফেলি। যেটা হারাম এবং কবিরা গুনা। আর এই মারাত্মক গুনাহ  আমরা মনের অজান্তেই করে ফেলি। 
কারো গীবত করে ফেললে কি করণীয়?
কারো গীবত করে ফেললে ক্ষমা পেতে  ৪টি কাজ করুন। 
আরও পড়ুন....
2 notes · View notes
Text
বর্ধমান দুর্গাপুর আসনে ২০১৯ এর থেকে বেশি ভোট পড়লো
মহুয়া ঘোষাল দুর্গাপুর নির্বাচন কমিশন ভোট পার হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভোট দানের একটি তথ্য দিয়েছে যা থেকে স্পষ্ট হয়েছে ২০১৯ এর থেকে বেশী ভোট পড়েছে । ২০১৯ এর সালে মোট ভোট পড়েছিল এই আসনে ৮২. ৬৬ । তবে ২০১৪ সালে ভোট পড়েছিল ৮৪ শতাংশের বেশি । ২০২৪ সালে গড়ে ভোট পোড়েছে ৮৪ শতাংশের বেশি । সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে বর্ধমান উত্তরে  । বর্ধমান উত্তরে  ভোট পড়েছে ৮৪ দশমিক ৪৫ । গলসি রয়েছে তার পরেই । গলসিতে…
youtube
View On WordPress
0 notes
ilyforallahswt · 27 days
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ঔদ্ধত্য ধুলায় মেশাবেন আল্লাহ রব্বুল আলামীন
হাশরের ময়দানের ভয়াবহতা ও বিচার
পৃথিবী মানবজাতির ‘পরীক্ষার হল’। পরীক্ষার খাতায় যেমন যা ইচ্ছা লেখা যায় ঠিক তেমনি পৃথিবীতেও মানুষ যা ইচ্ছা করতে পারে। আল্লাহ এ ক্ষমতা সবাইকে দিয়েছেন। কেউ ইচ্ছে করলে সৃষ্টিকর্তার  হুকুম পালন করবে, ইচ্ছে করলে করবে না। তবে সব পরীক্ষারই একটা ফলাফল থাকে। দুনিয়া নামক পরীক্ষারও ফলাফল থাকবে। গোলাম মালিকের কাজ করলে মালিক তাকে পুরস্কার দেন, কাজ না করলে দেন শাস্তি। আল্লাাহও তার বান্দাদের পুরস্কার এবং শাস্তি দিবেন। দুনিয়াতে তার হুকুম-আহকাম পালন করলে পুরস্কার স্বরূপ জান্নাত দিবেন। না করলে শাস্তি হিসেবে জাহান্নাম দিবেন। আর সেই পুরস্কার এবং শাস্তি নির্ধারণের জন্য একটি আদালত কায়েম করা হবে। সেদিন মানুষের আমলের সুষ্ঠু বিচার করা হবে। প্রত্যেককে নিজেদের কৃত কর্মের পুরস্কার ও শাস্তি দেয়া হবে। সেই বিচারিক আদালতকে বলা হয় ‘হাশরের ময়দান’। যার একমাত্র এবং চূড়ান্ত বিচারপতি ও অধিপতি হবেন মহান আল্লাহ।
হাশরের ময়দানের প্রেক্ষাপট: মহানবী (সাঃ) বলতেন, কিভাবে আমি আনন্দ উল্লাস করবো, অথচ ইস্রাফিল (আঃ) মুখে শিঙ্গা লাগিয়ে শির অবনত করে গভীর মনযোগে কান পেতে অপেক্ষা করছেন - কখন শিঙ্গায় ফুক দানের হুকুম আসে । “ হযরত মুকাতিল (রহঃ) বলেন, শিঙ্গাটা শিং এর মত । শিঙ্গার গোলাকার মুখটি সাত আসমান ও যমীনের সমান । তিনি অপলক নেত্রে আরশের দিকে তাকিয়ে প্রতীক্ষা করছেন যে, কখন আদেশ করা হয় । প্রথববার যখন শিঙ্গায় ফুক দিবেন, তখন আকাশ ও পৃথিবীর সমস্ত বাসিন্দারা বেহুশ হয়ে মারা যাবে শুধু কয়েকজন ব্যতিত । তারা হলো- জীব্রাঈল, মীকাঈল, ইস্রাফিল ও মৃত্যুর ফেরেশ্তা আজরাঈল (আঃ) । অতঃপর আল্লাহ মৃত্যুর ফেরেশ্তাকে তাদের জান কবয করার হুকুম দিবেন । তারপর আল্লাহর হুকুমে মৃত্যুর ফেরেশ্তার মৃত্যু হবে । তারপর চল্লিশ বছর যাবত আল্লাহর কুদরতে সমস্ত রুহ আলমে বরযখে থাকবে । তারপর আল্লাহর হুকুমে ই¯্রাফিল (আঃ) জীবিত হবেন ও দ্বিতীয়বার ফুক দিলে সবাই জীবিত হয়ে হাশরের মাঠে একত্রিত হবে । এ কথাই আল্লাহ পাক কুরআনে বলেছেন, অতঃপর দ্বিতীয়বার শিঙ্গায় ফুক দেওয়া হবে। তৎক্ষণাত তারা (জীবিত) হয়ে দাড়িয়ে (পুনরুত্থানের ভয়ংকর দৃশ্য) অবলোকন করতে থাকবে । (যুমার -৬৮) মানুষ অস্থির হয়ে দিগি¦দিক ছোটাছুটি করবে। সেদিন কারও পরনে কোনো বস্ত্র থাকবে না। কেউ কারও দিকে তাকাবেও না।
আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- ‘মহানবী সা. কে বলতে শুনেছি যে, কিয়ামতের দিন মানুষকে উলঙ্গ দে��ে ও খাতনাহীন অবস্থায় কবর থেকে হাশরের ময়দানে জমায়েত করা হবে। একথা শুনে আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! নারী পুরুষ সকলেই কি উলঙ্গ হবে? তারা কি একে অপরের প্রতি তাকাবে? (এরূপ হলে তো খুবই লজ্জার বিষয়)। উত্তরে তিনি বললেন, হে আয়েশা! কিয়ামতের দিনটি এত কঠিন ও বিপদময় হবে যে, মানুষের মনে একে অপরের প্রতি তাকাবারও খেয়াল হবে না।’ (বুখারি-মুসলিম) হাশরের ময়দান কোথায় হবে? শামে হাশরের ময়দান হবে মর্মে ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। আর তৎকালীন শাম বর্তমানে সিরিয়া, জর্দান, লেবানন, ফিলিস্তিন ও ইসরাঈলের পুরো ভূখন্ড এবং ইরাক, তুরস্ক, মিসর ও সঊদী আরবের কিছু অংশকে শামিল করে (উইকিপিডিয়া) । আবু যর গিফারী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূল স. বলেন, ‘শাম হ’ল একত্রিত হওয়ার ও পুনরুত্থিত হওয়ার স্থান’ (সহীহুল জামে‘ হা/৩৭২৬) । অন্য বর্ণনায় তিনি হাশরের স্থান হিসাবে শামের দিকে ইশারা করেছেন (আহমাদ হা/২০০৪৩, সহীহুল জামে‘ হা/২৩০২) । মনে রাখতে হবে যে, ক্বিয়ামতের দিন বর্তমান পৃথিবী পরিবর্তিত হয়ে অন্য পৃথিবীতে পরিণত হবে (ইবরাহীম ৪৮) এবং পাহাড়-পর্বত সব একাকার হয়ে সমতল হয়ে যাবে (ত্বোয়াহা ২০/১০৬) । যেটা মানুষের কল্পনার বাইরে।
ভয়াবহ হাশরের ময়দানরে চিত্র : হাশরের মাঠের চিত্র হবে অত্যন্ত ভয়াবহ। সেদিন পৃথিবী সৃষ্টি থেকে শুরু করে ধ্বংস হওয়ার পর্যন্ত সমস্ত মানুষকে জমায়েত করা হবে। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে- ‘সেদিন পরিবর্তিত করা হবে এ পৃথিবীকে অন্য পৃথিবীতে এবং পরিবর্তিত করা হবে আসমান সমূহকে এবং লোকেরা পরাক্রমশালী এক আল্লাহর সামনে হাজির হবে। (সুরা ইবরাহিম : ৪৮)। রাসুল সা. বলেন- ‘কিয়ামতের দিন সাদা ময়দার রুটির মতো চকচকে একটি মাঠের উপর সমস্ত মানুষকে একত্রিত করা হবে। সেখানে কারও কোনো নিশানা থাকবে না। (বুখারি : কিতাবুত রিকাক) হাশরের ময়দানে আপনজনদের ভুলে যাবে : হাশরের ময়দানে মানুষ তার আপনজনদের ভুলে যাবে। সবাই নিজের চিন্তায় ব্যতিব্যস্ত থাকবে। হজরত রাসুল সা. বললেন- ‘তিনটি স্থানে কেউ কারও কথা স্মরণ রাখবে না। ১. মিযানের নিকট। সেখানে প্রত্যেকেই চরম উদ্বিগ্ন হয়ে জানতে চাইবে যে, তার নেকির পাল্লা হালকা হয়, নাকি ভারী হয়! ২. আমলনামা প্রদানের সময়, যখন প্রত্যেককে বলা হবে- ‘তোমাদের নিজ নিজ আমলনামা পাঠ কর।’ তখন প্রত্যেকেই ভীষণভাবে অধীর হয়ে জানতে চাইবে যে, তার আমলনামা ডান হাতে দেওয়া হবে নাকি পেছন দিক দিয়ে বাম হাতে দেওয়া হবে। ৩. পুলসিরাতের নিকট, যখন তা জাহান্নামের উভয় পাড় ঘেঁষে ওপরে বসানো হবে (এবং তার ওপর দিয়ে অতিক্রমের নির্দেশ দেওয়া হবে)। এই তিনটি স্থানে কেউ কাউকে স্মরণ রাখবে না।’ (আবু দাউদ)
কাফেররা অন্ধ ও চেহারার উপর ভর করে হাশরের ময়দানে উপস্থিত হবে : আল্লাহ তাআলা বলেন: আর যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জন্য হবে নিশ্চয় এক সংকুচিত জীবন এবং আমি তাকে কিয়ামত দিবসে উঠাবো অন্ধ অবস্থায়। সে বলবে, হে আমার রব, কেন আপনি আমাকে অন্ধ অবস্থায় উঠালেন? অথচ আমি তো ছিলাম দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন? তিনি বলবেন, এমনিভাবেই তোমার নিকট আমার নিদর্শনাবলী এসেছিল, কিন্তু তুমি তা ভুলে গ���য়েছিলে এবং সেভাবেই আজ তোমাকে ভুলে যাওয়া হল। (সূরা ত্বা-হা- ১২৪-১২৬) তিনি আরো বলেন: আর আমি কিয়ামতের দিনে তাদেরকে একত্র করব উপুড় করে, অন্ধ, মূক ও বধির অবস্থায়। তাদের আশ্রয়স্থল জাহান্নাম; যখনই তা নিস্তেজ হবে তখনই আমি তাদের জন্য আগুন বাড়িয়ে দেব। (সূরা বানী ইসরাইল- ৯৭) হাদীসে এসেছে: আনাস রা. থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কিয়ামতের দিন কাফেরদের কিভাবে চেহারার উপর উপুর করে উঠানো হবে? তিনি বললেন: যে মহান সত্ত¡া দুনিয়াতে দু পা দিয়ে চলাচল করিয়েছেন, তিনি কি কিয়ামতের দিন মুখ-মন্ডল দিয়ে চলাচল করাতে পারবেন না? কাতাদা বললেন : অবশ্যই তিনি পারবেন, মহান রবের সম্মানের কসম করে বলছি। (বুখারী ও মুসলিম) আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত যে রাসূলুল্লাহ স. বলেছেন: কেয়ামতের দিন মানুষ ঘর্মক্ত হবে। এমনকি যমীনের সত্তর হাত ঘামে ডুবে যাবে। তাদের ঘামে তারা কান পর্যন্ত ডুবে যাবে। (বুখারী ও মুসলিম)
হাশরের ময়দানে সূর্যের দূরত্ব ও প্রখরতা: মিকদাদ ইবনে আসওয়াদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি রাসূলুল্লাহ স. কে বলতে শুনেছি তিনি বলেছেন: কিয়ামত দিবসে সূর্য মানুষের খুব নিকটবর্তী হবে। এমনকি এর দুরত্ব এক মাইল পরিমাণ হবে। এ সম্পর্কে সুলাইম ইবনে আমের বলেন, আল্লাহর শপথ! মাইল বলতে এখানে কোন মাইল তিনি বুঝিয়েছেন আমি তা জানি না। জমির দূরত্ব পরিমাপের মাইল বুঝিয়েছেন, না সুরমা দানির মাইল (শলাকা) বুঝিয়েছেন? মানুষ তার আমল অনুযায়ী ঘামের মধ্যে থাকবে। কারো ঘাম হবে পায়ের গিরা বরাবর। কারো ঘামের পরিমাণ হবে হাটু বরাবর। কারো ঘামের পরিমাণ হবে কোমর বরাবর। আবার কারো ঘামের পরিমাণ হবে তার মুখ বরাবর। (সহীহ মুসলিম ২১৯৬) উকবা ইবনে আমের (রাঃ)বলেন, মহানবী (সাঃ) বলেছেন, কিয়ামত দিবসে সূর্য্য যমীনের নিকটবর্তী হবে ; ফলে মানুষ ঘর্মাক্ত হতে থাকবে । কারো ঘাম গোড়ালী পর্যন্ত, কারো অর্ধহাটু , কারো উরু, কারো কোমর , কারো মুখ পর্যন্ত পৈাছবে। কারো মাথা পর্যন্ত ঘামের মধ্যে ডুবে যাবে । ইবনে উমর (রাঃ) বলেন,রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যেদিন মানুষ রাব্বূল আলামিনের সম্মুখে হিসাবের জন্য দন্ডায়মান হবে , সেদিন অনেকেই নিজের ঘামে কান পর্যন্ত ডুবে যাবে। আর এক হাদিসে এসেছে, মানুষ দন্ডায়মান অবস্থায় চল্লিশ বছর পর্যন্ত আসমানের দিকে তাকিয়ে থাকবে এবং সীমাহীন কস্টের দরুণ ঘাম ঝরে ঝরে গলা পর্যন্ত পৈাছবে।
বিচার দিবস
youtube
বিচার দিবসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম 
youtube
কিয়ামতের দিন || বিচার দিবস || হাশরের দিন || How will the day of kiyamah? 
https://www.youtube.com/watch?v=4Q4i8MM5QXo
 
ঔদ্ধত্য ধুলায় মেশাবেন আল্লাহ রব্বুল আলামীন
Arrogance will be mixed with dust by Allah Rabbul Alamin
How will the day of kiyamah? 
0 notes
myreligionislam · 28 days
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ঔদ্ধত্য ধুলায় মেশাবেন আল্লাহ রব্বুল আলামীন
হাশরের ময়দানের ভয়াবহতা ও বিচার
পৃথিবী মানবজাতির ‘পরীক্ষার হল’। পরীক্ষার খাতায় যেমন যা ইচ্ছা লেখা যায় ঠিক তেমনি পৃথিবীতেও মানুষ যা ইচ্ছা করতে পারে। আল্লাহ এ ক্ষমতা সবাইকে দিয়েছেন। কেউ ইচ্ছে করলে সৃষ্টিকর্তার  হুকুম পালন করবে, ইচ্ছে করলে করবে না। তবে সব পরীক্ষারই একটা ফলাফল থাকে। দুনিয়া নামক পরীক্ষারও ফলাফল থাকবে। গোলাম মালিকের কাজ করলে মালিক তাকে পুরস্কার দেন, কাজ না করলে দেন শাস্তি। আল্লাাহও তার বান্দাদের পুরস্কার এবং শাস্তি দিবেন। দুনিয়াতে তার হুকুম-আহকাম পালন করলে পুরস্কার স্বরূপ জান্নাত দিবেন। না করলে শাস্তি হিসেবে জাহান্নাম দিবেন। আর সেই পুরস্কার এবং শাস্তি নির্ধারণের জন্য একটি আদালত কায়েম করা হবে। সেদিন মানুষের আমলের সুষ্ঠু বিচার করা হবে। প্রত্যেককে নিজেদের কৃত কর্মের পুরস্কার ও শাস্তি দেয়া হবে। সেই বিচারিক আদালতকে বলা হয় ‘হাশরের ময়দান’। যার একমাত্র এবং চূড়ান্ত বিচারপতি ও অধিপতি হবেন মহান আল্লাহ।
হাশরের ময়দানের প্রেক্ষাপট: মহানবী (সাঃ) বলতেন, কিভাবে আমি আনন্দ উল্লাস করবো, অথচ ইস্রাফিল (আঃ) মুখে শিঙ্গা লাগিয়ে শির অবনত করে গভীর মনযোগে কান পেতে অপেক্ষা করছেন - কখন শিঙ্গায় ফুক দানের হুকুম আসে । “ হযরত মুকাতিল (রহঃ) বলেন, শিঙ্গাটা শিং এর মত । শিঙ্গার গোলাকার মুখটি সাত আসমান ও যমীনের সমান । তিনি অপলক নেত্রে আরশের দিকে তাকিয়ে প্রতীক্ষা করছেন যে, কখন আদেশ করা হয় । প্রথববার যখন শিঙ্গায় ফুক দিবেন, তখন আকাশ ও পৃথিবীর সমস্ত বাসিন্দারা বেহুশ হয়ে মারা যাবে শুধু কয়েকজন ব্যতিত । তারা হলো- জীব্রাঈল, মীকাঈল, ইস্রাফিল ও মৃত্যুর ফেরেশ্তা আজরাঈল (আঃ) । অতঃপর আল্লাহ মৃত্যুর ফেরেশ্তাকে তাদের জান কবয করার হুকুম দিবেন । তারপর আল্লাহর হুকুমে মৃত্যুর ফেরেশ্তার মৃত্যু হবে । তারপর চল্লিশ বছর যাবত আল্লাহর কুদরতে সমস্ত রুহ আলমে বরযখে থাকবে । তারপর আল্লাহর হুকুমে ই¯্রাফিল (আঃ) জীবিত হবেন ও দ্বিতীয়বার ফুক দিলে সবাই জীবিত হয়ে হাশরের মাঠে একত্রিত হবে । এ কথাই আল্লাহ পাক কুরআনে বলেছেন, অতঃপর দ্বিতীয়বার শিঙ্গায় ফুক দেওয়া হবে। তৎক্ষণাত তারা (জীবিত) হয়ে দাড়িয়ে (পুনরুত্থানের ভয়ংকর দৃশ্য) অবলোকন করতে থাকবে । (যুমার -৬৮) মানুষ অস্থির হয়ে দিগি¦দিক ছোটাছুটি করবে। সেদিন কারও পরনে কোনো বস্ত্র থাকবে না। কেউ কারও দিকে তাকাবেও না।
আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- ‘মহানবী সা. কে বলতে শুনেছি যে, কিয়ামতের দিন মানুষকে উলঙ্গ দেহে ও খাতনাহীন অবস্থায় কবর থেকে হাশরের ময়দানে জমায়েত করা হবে। একথা শুনে আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! নারী পুরুষ সকলেই কি উলঙ্গ হবে? তারা কি একে অপরের প্রতি তাকাবে? (এরূপ হলে তো খুবই লজ্জার বিষয়)। উত্তরে তিনি বললেন, হে আয়েশা! কিয়ামতের দিনটি এত কঠিন ও বিপদময় হবে যে, মানুষের মনে একে অপরের প্রতি তাকাবারও খেয়াল হবে না।’ (বুখারি-মুসলিম) হাশরের ময়দান কোথায় হবে? শামে হাশরের ময়দান হবে মর্মে ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। আর তৎকালীন শাম বর্তমানে সিরিয়া, জর্দান, লেবানন, ফিলিস্তিন ও ইসরাঈলের পুরো ভূখন্ড এবং ইরাক, তুরস্ক, মিসর ও সঊদী আরবের কিছু অংশকে শামিল করে (উইকিপিডিয়া) । আবু যর গিফারী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূল স. বলেন, ‘শাম হ’ল একত্রিত হওয়ার ও পুনরুত্থিত হওয়ার স্থান’ (সহীহুল জামে‘ হা/৩৭২৬) । অন্য বর্ণনায় তিনি হাশরের স্থান হিসাবে শামের দিকে ইশারা করেছেন (আহমাদ হা/২০০৪৩, সহীহুল জামে‘ হা/২৩০২) । মনে রাখতে হবে যে, ক্বিয়ামতের দিন বর্তমান পৃথিবী পরিবর্তিত হয়ে অন্য পৃথিবীতে পরিণত হবে (ইবরাহীম ৪৮) এবং পাহাড়-পর্বত সব একাকার হয়ে সমতল হয়ে যাবে (ত্বোয়াহা ২০/১০৬) । যেটা মানুষের কল্পনার বাইরে।
ভয়াবহ হাশরের ময়দানরে চিত্র : হাশরের মাঠের চিত্র হবে অত্যন্ত ভয়াবহ। সেদিন পৃথিবী সৃষ্টি থেকে শুরু করে ধ্বংস হওয়ার পর্যন্ত সমস্ত মানুষকে জমায়েত করা হবে। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে- ‘সেদিন পরিবর্তিত করা হবে এ পৃথিবীকে অন্য পৃথিবীতে এবং পরিবর্তিত করা হবে আসমান সমূহকে এবং লোকেরা পরাক্রমশালী এক আল্লাহর সামনে হাজির হবে। (সুরা ইবরাহিম : ৪৮)। রাসুল সা. বলেন- ‘কিয়ামতের দিন সাদা ময়দার রুটির মতো চকচকে একটি মাঠের উপর সমস্ত মানুষকে একত্রিত করা হবে। সেখানে কারও কোনো নিশানা থাকবে না। (বুখারি : কিতাবুত রিকাক) হাশরের ময়দানে আপনজনদের ভুলে যাবে : হাশরের ময়দানে মানুষ তার আপনজনদের ভুলে যাবে। সবাই নিজের চিন্তায় ব্যতিব্যস্ত থাকবে। হজরত রাসুল সা. বললেন- ‘তিনটি স্থানে কেউ কারও কথা স্মরণ রাখবে না। ১. মিযানের নিকট। সেখানে প্রত্যেকেই চরম উদ্বিগ্ন হয়ে জানতে চাইবে যে, তার নেকির পাল্লা হালকা হয়, নাকি ভারী হয়! ২. আমলনামা প্রদানের সময়, যখন প্রত্যেককে বলা হবে- ‘তোমাদের নিজ নিজ আমলনামা পাঠ কর।’ তখন প্রত্যেকেই ভীষণভাবে অধীর হয়ে জানতে চাইবে যে, তার আমলনামা ডান হাতে দেওয়া হবে নাকি পেছন দিক দিয়ে বাম হাতে দেওয়া হবে। ৩. পুলসিরাতের নিকট, যখন তা জাহান্নামের উভয় পাড় ঘেঁষে ওপরে বসানো হবে (এবং তার ওপর দিয়ে অতিক্রমের নির্দেশ দেওয়া হবে)। এই তিনটি স্থানে কেউ কাউকে স্মরণ রাখবে না।’ (আবু দাউদ)
কাফেররা অন্ধ ও চেহারার উপর ভর করে হাশরের ময়দানে উপস্থিত হবে : আল্লাহ তাআলা বলেন: আর যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জন্য হবে নিশ্চয় এক সংকুচিত জীবন এবং আমি তাকে কিয়ামত দিবসে উঠাবো অন্ধ অবস্থায়। সে বলবে, হে আমার রব, কেন আপনি আমাকে অন্ধ অবস্থায় উঠালেন? অথচ আমি তো ছিলাম দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন? তিনি বলবেন, এমনিভাবেই তোমার নিকট আমার নিদর্শনাবলী এসেছিল, কিন্তু তুমি তা ভুলে গিয়েছিলে এবং সেভাবেই আজ তোমাকে ভুলে যাওয়া হল। (সূরা ত্বা-হা- ১২৪-১২৬) তিনি আরো বলেন: আর আমি কিয়ামতের দিনে তাদেরকে একত্র করব উপুড় করে, অন্ধ, মূক ও বধির অবস্থায়। তাদের আশ্রয়স্থল জাহান্নাম; যখনই তা নিস্তেজ হবে তখনই আমি তাদের জন্য আগুন বাড়িয়ে দেব। (সূরা বানী ইসরাইল- ৯৭) হাদীসে এসেছে: আনাস রা. থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কিয়ামতের দিন কাফেরদের কিভাবে চেহারার উপর উপুর করে উঠানো হবে? তিনি বললেন: যে মহান সত্ত¡া দুনিয়াতে দু পা দিয়ে চলাচল করিয়েছেন, তিনি কি কিয়ামতের দিন মুখ-মন্ডল দিয়ে চলাচল করাতে পারবেন না? কাতাদা বললেন : অবশ্যই তিনি পারবেন, মহান রবের সম্মানের কসম করে বলছি। (বুখারী ও মুসলিম) আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত যে রাসূলুল্লাহ স. বলেছেন: কেয়ামতের দিন মানুষ ঘর্মক্ত হবে। এমনকি যমীনের সত্তর হাত ঘামে ডুবে যাবে। তাদের ঘামে তারা কান পর্যন্ত ডুবে যাবে। (বুখারী ও মুসলিম)
হাশরের ময়দানে সূর্যের দূরত্ব ও প্রখরতা: মিকদাদ ইবনে আসওয়াদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি রাসূলুল্লাহ স. কে বলতে শুনেছি তিনি বলেছেন: কিয়ামত দিবসে সূর্য মানুষের খুব নিকটবর্তী হবে। এমনকি এর দুরত্ব এক মাইল পরিমাণ হবে। এ সম্পর্কে সুলাইম ইবনে আমের বলেন, আল্লাহর শপথ! মাইল বলতে এখানে কোন মাইল তিনি বুঝিয়েছেন আমি তা জানি না। জমির দূরত্ব পরিমাপের মাইল বুঝিয়েছেন, না সুরমা দানির মাইল (শলাকা) বুঝিয়েছেন? মানুষ তার আমল অনুযায়ী ঘামের মধ্যে থাকবে। কারো ঘাম হবে পায়ের গিরা বরাবর। কারো ঘামের পরিমাণ হবে হাটু বরাবর। কারো ঘামের পরিমাণ হবে কোমর বরাবর। আবার কারো ঘামের পরিমাণ হবে তার মুখ বরাবর। (সহীহ মুসলিম ২১৯৬) উকবা ইবনে আমের (রাঃ)বলেন, মহানবী (সাঃ) বলেছেন, কিয়ামত দিবসে সূর্য্য যমীনের নিকটবর্তী হবে ; ফলে মানুষ ঘর্মাক্ত হতে থাকবে । কারো ঘাম গোড়ালী পর্যন্ত, কারো অর্ধহাটু , কারো উরু, কারো কোমর , কারো মুখ পর্যন্ত পৈাছবে। কারো মাথা পর্যন্ত ঘামের মধ্যে ডুবে যাবে । ইবনে উমর (রাঃ) বলেন,রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যেদিন মানুষ রাব্বূল আলামিনের সম্মুখে হিসাবের জন্য দন্ডায়মান হবে , সেদিন অনেকেই নিজের ঘামে কান পর্যন্ত ডুবে যাবে। আর এক হাদিসে এসেছে, মানুষ দন্ডায়মান অবস্থায় চল্লিশ বছর পর্যন্ত আসমানের দিকে তাকিয়ে থাকবে এবং সীমাহীন কস্টের দরুণ ঘাম ঝরে ঝরে গলা পর্যন্ত পৈাছবে।
বিচার দিবস
youtube
বিচার দিবসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম 
youtube
কিয়ামতের দিন || বিচার দিবস || হাশরের দিন || How will the day of kiyamah? 
https://www.youtube.com/watch?v=4Q4i8MM5QXo
 
ঔদ্ধত্য ধুলায় মেশাবেন আল্লাহ রব্বুল আলামীন
Arrogance will be mixed with dust by Allah Rabbul Alamin
How will the day of kiyamah? 
0 notes
khulnabazar · 2 years
Text
পশ্চিম ইউরোপের তীব্র তাপদাহ ছড়াচ্ছে উত্তরে
নিউজনাউ ডেস্ক: পশ্চিম ইউরোপে তাপদাহ আরও বেড়েছে। ভয়াবহ এই তাপদাহ মঙ্গলবার উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যে চরম তাপ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আর উত্তর স্পেনে সোমবার রেকর্ড তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। ফ্রান্স, পর্তুগাল, স্পেন ও গ্রিসে দাবানলের কারণে হাজার হাজার মানুষকে নিজ বাড়ি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যুক্তরাজ্য সর্বকালের সবচেয়ে তীব্র উত্তপ্ত দিন প্রত্যক্ষ করতে যাচ্ছে বলে…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
allahisourrabb · 28 days
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ঔদ্ধত্য ধুলায় মেশাবেন আল্লাহ রব্বুল আলামীন
হাশরের ময়দানের ভয়াবহতা ও বিচার
পৃথিবী মানবজাতির ‘পরীক্ষার হল’। পরীক্ষার খাতায় যেমন যা ইচ্ছা লেখা যায় ঠিক তেমনি পৃথিবীতেও মানুষ যা ইচ্ছা করতে পারে। আল্লাহ এ ক্ষমতা সবাইকে দিয়েছেন। কেউ ইচ্ছে করলে সৃষ্টিকর্তার  হুকুম পালন করবে, ইচ্ছে করলে করবে না। তবে সব পরীক্ষারই একটা ফলাফল থাকে। দুনিয়া নামক পরীক্ষারও ফলাফল থাকবে। গোলাম মালিকের কাজ করলে মালিক তাকে পুরস্কার দেন, কাজ না করলে দেন শাস্তি। আল্লাাহও তার বান্দাদের পুরস্কার এবং শাস্তি দিবেন। দুনিয়াতে তার হুকুম-আহকাম পালন করলে পুরস্কার স্বরূপ জান্নাত দিবেন। না করলে শাস্তি হিসেবে জাহান্নাম দিবেন। আর সেই পুরস্কার এবং শাস্তি নির্ধারণের জন্য একটি আদালত কায়েম করা হবে। সেদিন মানুষের আমলের সুষ্ঠু বিচার করা হবে। প্রত্যেককে নিজেদের কৃত কর্মের পুরস্কার ও শাস্তি দেয়া হবে। সেই বিচারিক আদালতকে বলা হয় ‘হাশরের ময়দান’। যার একমাত্র এবং চূড়ান্ত বিচারপতি ও অধিপতি হবেন মহান আল্লাহ।
হাশরের ময়দানের প্রেক্ষাপট: মহানবী (সাঃ) বলতেন, কিভাবে আমি আনন্দ উল্লাস করবো, অথচ ইস্রাফিল (আঃ) মুখে শিঙ্গা লাগিয়ে শির অবনত করে গভীর মনযোগে কান পেতে অপেক্ষা করছেন - কখন শিঙ্গায় ফুক দানের হুকুম আসে । “ হযরত মুকাতিল (রহঃ) বলেন, শিঙ্গাটা শিং এর মত । শিঙ্গার গোলাকার মুখটি সাত আসমান ও যমীনের সমান । তিনি অপলক নেত্রে আরশের দিকে তাকিয়ে প্রতীক্ষা করছেন যে, কখন আদেশ করা হয় । প্রথববার যখন শিঙ্গায় ফুক দিবেন, তখন আকাশ ও পৃথিবীর সমস্ত বাসিন্দারা বেহুশ হয়ে মারা যাবে শুধু কয়েকজন ব্যতিত । তারা হলো- জীব্রাঈল, মীকাঈল, ইস্রাফিল ও মৃত্যুর ফেরেশ্তা আজরাঈল (আঃ) । অতঃপর আল্লাহ মৃত্যুর ফেরেশ্তাকে তাদের জান কবয করার হুকুম দিবেন । তারপর আল্লাহর হুকুমে মৃত্যুর ফেরেশ্তার মৃত্যু হবে । তারপর চল্লিশ বছর যাবত আল্লাহর কুদরতে সমস্ত রুহ আলমে বরযখে থাকবে । তারপর আল্লাহর হুকুমে ই¯্রাফিল (আঃ) জীবিত হবেন ও দ্বিতীয়বার ফুক দিলে সবাই জীবিত হয়ে হাশরের মাঠে একত্রিত হবে । এ কথাই আল্লাহ পাক কুরআনে বলেছেন, অতঃপর দ্বিতীয়বার শিঙ্গায় ফুক দেওয়া হবে। তৎক্ষণাত তারা (জীবিত) হয়ে দাড়িয়ে (পুনরুত্থানের ভয়ংকর দৃশ্য) অবলোকন করতে থাকবে । (যুমার -৬৮) মানুষ অস্থির হয়ে দিগি¦দিক ছোটাছুটি করবে। সেদিন কারও পরনে কোনো বস্ত্র থাকবে না। কেউ কারও দিকে তাকাবেও না।
আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- ‘মহানবী সা. কে বলতে শুনেছি যে, কিয়ামতের দিন মানুষকে উলঙ্গ দেহে ও খাতনাহীন অবস্থায় কবর থেকে হাশরের ময়দানে জমায়েত করা হবে। একথা শুনে আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! নারী পুরুষ সকলেই কি উলঙ্গ হবে? তারা কি একে অপরের প্রতি তাকাবে? (এরূপ হলে তো খুবই লজ্জার বিষয়)। উত্তরে তিনি বললেন, হে আয়েশা! কিয়ামতের দিনটি এত কঠিন ও বিপদময় হবে যে, মানুষের মনে একে অপরের প্রতি তাকাবারও খেয়াল হবে না।’ (বুখারি-মুসলিম) হাশরের ময়দান কোথায় হবে? শামে হাশরের ময়দান হবে মর্মে ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। আর তৎকাল���ন শাম বর্তমানে সিরিয়া, জর্দান, লেবানন, ফিলিস্তিন ও ইসরাঈলের পুরো ভূখন্ড এবং ইরাক, তুরস্ক, মিসর ও সঊদী আরবের কিছু অংশকে শামিল করে (উইকিপিডিয়া) । আবু যর গিফারী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূল স. বলেন, ‘শাম হ’ল একত্রিত হওয়ার ও পুনরুত্থিত হওয়ার স্থান’ (সহীহুল জামে‘ হা/৩৭২৬) । অন্য বর্ণনায় তিনি হাশরের স্থান হিসাবে শামের দিকে ইশারা করেছেন (আহমাদ হা/২০০৪৩, সহীহুল জামে‘ হা/২৩০২) । মনে রাখতে হবে যে, ক্বিয়ামতের দিন বর্তমান পৃথিবী পরিবর্তিত হয়ে অন্য পৃথিবীতে পরিণত হবে (ইবরাহীম ৪৮) এবং পাহাড়-পর্বত সব একাকার হয়ে সমতল হয়ে যাবে (ত্বোয়াহা ২০/১০৬) । যেটা মানুষের কল্পনার বাইরে।
ভয়াবহ হাশরের ময়দানরে চিত্র : হাশরের মাঠের চিত্র হবে অত্যন্ত ভয়াবহ। সেদিন পৃথিবী সৃষ্টি থেকে শুরু করে ধ্বংস হওয়ার পর্যন্ত সমস্ত মানুষকে জমায়েত করা হবে। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে- ‘সেদিন পরিবর্তিত করা হবে এ পৃথিবীকে অন্য পৃথিবীতে এবং পরিবর্তিত করা হবে আসমান সমূহকে এবং লোকেরা পরাক্রমশালী এক আল্লাহর সামনে হাজির হবে। (সুরা ইবরাহিম : ৪৮)। রাসুল সা. বলেন- ‘কিয়ামতের দিন সাদা ময়দার রুটির মতো চকচকে একটি মাঠের উপর সমস্ত মানুষকে একত্রিত করা হবে। সেখানে কারও কোনো নিশানা থাকবে না। (বুখারি : কিতাবুত রিকাক) হাশরের ময়দানে আপনজনদের ভুলে যাবে : হাশরের ময়দানে মানুষ তার আপনজনদের ভুলে যাবে। সবাই নিজের চিন্তায় ব্যতিব্যস্ত থাকবে। হজরত রাসুল সা. বললেন- ‘তিনটি স্থানে কেউ কারও কথা স্মরণ রাখবে না। ১. মিযানের নিকট। সেখানে প্রত্যেকেই চরম উদ্বিগ্ন হয়ে জানতে চাইবে যে, তার নেকির পাল্লা হালকা হয়, নাকি ভারী হয়! ২. আমলনামা প্রদানের সময়, যখন প্রত্যেককে বলা হবে- ‘তোমাদের নিজ নিজ আমলনামা পাঠ কর।’ তখন প্রত্যেকেই ভীষণভাবে অধীর হয়ে জানতে চাইবে যে, তার আমলনামা ডান হাতে দেওয়া হবে নাকি পেছন দিক দিয়ে বাম হাতে দেওয়া হবে। ৩. পুলসিরাতের নিকট, যখন তা জাহান্নামের উভয় পাড় ঘেঁষে ওপরে বসানো হবে (এবং তার ওপর দিয়ে অতিক্রমের নির্দেশ দেওয়া হবে)। এই তিনটি স্থানে কেউ কাউকে স্মরণ রাখবে না।’ (আবু দাউদ)
কাফেররা অন্ধ ও চেহারার উপর ভর করে হাশরের ময়দানে উপস্থিত হবে : আল্লাহ তাআলা বলেন: আর যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জন্য হবে নিশ্চয় এক সংকুচিত জীবন এবং আমি তাকে কিয়ামত দিবসে উঠাবো অন্ধ অবস্থায়। সে বলবে, হে আমার রব, কেন আপনি আমাকে অন্ধ অবস্থায় উঠালেন? অথচ আমি তো ছিলাম দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন? তিনি বলবেন, এমনিভাবেই তোমার নিকট আমার নিদর্শনাবলী এসেছিল, কিন্তু তুমি তা ভুলে গিয়েছিলে এবং সেভাবেই আজ তোমাকে ভুলে যাওয়া হল। (সূরা ত্বা-হা- ১২৪-১২৬) তিনি আরো বলেন: আর আমি কিয়ামতের দিনে তাদেরকে একত্র করব উপুড় করে, অন্ধ, মূক ও বধির অবস্থায়। তাদের আশ্রয়স্থল জাহান্নাম; যখনই তা নিস্তেজ হবে তখনই আমি তাদের জন্য আগুন বাড়িয়ে দেব। (সূরা বানী ইসরাইল- ৯৭) হাদীসে এসেছে: আনাস রা. থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কিয়ামতের দিন কাফেরদের কিভাবে চেহারার উপর উপুর করে উঠানো হবে? তিনি বললেন: যে মহান সত্ত¡া দুনিয়াতে দু পা দিয়ে চলাচল করিয়েছেন, তিনি কি কিয়ামতের দিন মুখ-মন্ডল দিয়ে চলাচল করাতে পারবেন না? কাতাদা বললেন : অবশ্যই তিনি পারবেন, মহান রবের সম্মানের কসম করে বলছি। (বুখারী ও মুসলিম) আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত যে রাসূলুল্লাহ স. বলেছেন: কেয়ামতের দিন মানুষ ঘর্মক্ত হবে। এমনকি যমীনের সত্তর হাত ঘামে ডুবে যাবে। তাদের ঘামে তারা কান পর্যন্ত ডুবে যাবে। (বুখারী ও মুসলিম)
হাশরের ময়দানে সূর্যের দূরত্ব ও প্রখরতা: মিকদাদ ইবনে আসওয়াদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি রাসূলুল্লাহ স. কে বলতে শুনেছি তিনি বলেছেন: কিয়ামত দিবসে সূর্য মানুষের খুব নিকটবর্তী হবে। এমনকি এর দুরত্ব এক মাইল পরিমাণ হবে। এ সম্পর্কে সুলাইম ইবনে আমের বলেন, আল্লাহর শপথ! মাইল বলতে এখানে কোন মাইল তিনি বুঝিয়েছেন আমি তা জানি না। জমির দূরত্ব পরিমাপের মাইল বুঝিয়েছেন, না সুরমা দানির মাইল (শলাকা) বুঝিয়েছেন? মানুষ তার আমল অনুযায়ী ঘামের মধ্যে থাকবে। কারো ঘাম হবে পায়ের গিরা বরাবর। কারো ঘামের পরিমাণ হবে হাটু বরাবর। কারো ঘামের পরিমাণ হবে কোমর বরাবর। আবার কারো ঘামের পরিমাণ হবে তার মুখ বরাবর। (সহীহ মুসলিম ২১৯৬) উকবা ইবনে আমের (রাঃ)বলেন, মহানবী (সাঃ) বলেছেন, কিয়ামত দিবসে সূর্য্য যমীনের নিকটবর্তী হবে ; ফলে মানুষ ঘর্মাক্ত হতে থাকবে । কারো ঘাম গোড়ালী পর্যন্ত, কারো অর্ধহাটু , কারো উরু, কারো কোমর , কারো মুখ পর্যন্ত পৈাছবে। কারো মাথা পর্যন্ত ঘামের মধ্যে ডুবে যাবে । ইবনে উমর (রাঃ) বলেন,রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যেদিন মানুষ রাব্বূল আলামিনের সম্মুখে হিসাবের জন্য দন্ডায়মান হবে , সেদিন অনেকেই নিজের ঘামে কান পর্যন্ত ডুবে যাবে। আর এক হাদিসে এসেছে, মানুষ দন্ডায়মান অবস্থায় চল্লিশ বছর পর্যন্ত আসমানের দিকে তাকিয়ে থাকবে এবং সীমাহীন কস্টের দরুণ ঘাম ঝরে ঝরে গলা পর্যন্ত পৈাছবে।
বিচার দিবস
youtube
বিচার দিবসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম 
youtube
কিয়ামতের দিন || বিচার দিবস || হাশরের দিন || How will the day of kiyamah? 
https://www.youtube.com/watch?v=4Q4i8MM5QXo
 
ঔদ্ধত্য ধুলায় মেশাবেন আল্লাহ রব্বুল আলামীন
Arrogance will be mixed with dust by Allah Rabbul Alamin
How will the day of kiyamah? 
0 notes
mylordisallah · 28 days
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ঔদ্ধত্য ধুলায় মেশাবেন আল্লাহ রব্বুল আলামীন
হাশরের ময়দানের ভয়াবহতা ও বিচার
পৃথিবী মানবজাতির ‘পরীক্ষার হল’। পরীক্ষার খাতায় যেমন যা ইচ্ছা লেখা যায় ঠিক তেমনি পৃথিবীতেও মানুষ যা ইচ্ছা করতে পারে। আল্লাহ এ ক্ষমতা সবাইকে দিয়েছেন। কেউ ইচ্ছে করলে সৃষ্টিকর্তার  হুকুম পালন করবে, ইচ্ছে করলে করবে না। তবে সব পরীক্ষারই একটা ফলাফল থাকে। দুনিয়া নামক পরীক্ষারও ফলাফল থাকবে। গোলাম মালিকের কাজ করলে মালিক তাকে পুরস্কার দেন, কাজ না করলে দেন শাস্তি। আল্লাাহও তার বান্দাদের পুরস্কার এবং শাস্তি দিবেন। দুনিয়াতে তার হুকুম-আহকাম পালন করলে পুরস্কার স্বরূপ জান্নাত দিবেন। না করলে শাস্তি হিসেবে জাহান্নাম দিবেন। আর সেই পুরস্কার এবং শাস্তি নির্ধারণের জন্য একটি আদালত কায়েম করা হবে। সেদিন মানুষের আমলের সুষ্ঠু বিচার করা হবে। প্রত্যেককে নিজেদের কৃত কর্মের পুরস্কার ও শাস্তি দেয়া হবে। সেই বিচারিক আদালতকে বলা হয় ‘হাশরের ময়দান’। যার একমাত্র এবং চূড়ান্ত বিচারপতি ও অধিপতি হবেন মহান আল্লাহ।
হাশরের ময়দানের প্রেক্ষাপট: মহানবী (সাঃ) বলতেন, কিভাবে আমি আনন্দ উল্লাস করবো, অথচ ইস্রাফিল (আঃ) মুখে শিঙ্গা লাগিয়ে শির অবনত করে গভীর মনযোগে কান পেতে অপেক্ষা করছেন - কখন শিঙ্গায় ফুক দানের হুকুম আসে । “ হযরত মুকাতিল (রহঃ) বলেন, শিঙ্গাটা শিং এর মত । শিঙ্গার গোলাকার মুখটি সাত আসমান ও যমীনের সমান । তিনি অপলক নেত্রে আরশের দিকে তাকিয়ে প্রতীক্ষা করছেন যে, কখন আদেশ করা হয় । প্রথববার যখন শিঙ্গায় ফুক দিবেন, তখন আকাশ ও পৃথিবীর সমস্ত বাসিন্দারা বেহুশ হয়ে মারা যাবে শুধু কয়েকজন ব্যতিত । তারা হলো- জীব্রাঈল, মীকাঈল, ইস্রাফিল ও মৃত্যুর ফেরেশ্তা আজরাঈল (আঃ) । অতঃপর আল্লাহ মৃত্যুর ফেরেশ্তাকে তাদের জান কবয করার হুকুম দিবেন । তারপর আল্লাহর হুকুমে মৃত্যুর ফেরেশ্তার মৃত্যু হবে । তারপর চল্লিশ বছর যাবত আল্লাহর কুদরতে সমস্ত রুহ আলমে বরযখে থাকবে । তারপর আল্লাহর হুকুমে ই¯্রাফিল (আঃ) জীবিত হবেন ও দ্বিতীয়বার ফুক দিলে সবাই জীবিত হয়ে হাশরের মাঠে একত্রিত হবে । এ কথাই আল্লাহ পাক কুরআনে বলেছেন, অতঃপর দ্বিতীয়বার শিঙ্গায় ফুক দেওয়া হবে। তৎক্ষণাত তারা (জীবিত) হয়ে দাড়িয়ে (পুনরুত্থানের ভয়ংকর দৃশ্য) অবলোকন করতে থাকবে । (যুমার -৬৮) মানুষ অস্থির হয়ে দিগি¦দিক ছোটাছুটি করবে। সেদিন কারও পরনে কোনো বস্ত্র থাকবে না। কেউ কারও দিকে তাকাবেও না।
আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- ‘মহানবী সা. কে বলতে শুনেছি যে, কিয়ামতের দিন মানুষকে উলঙ্গ দেহে ও খাতনাহীন অবস্থায় কবর থেকে হাশরের ময়দানে জমায়েত করা হবে। একথা শুনে আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! নারী পুরুষ সকলেই কি উলঙ্গ হবে? তারা কি একে অপরের প্রতি তাকাবে? (এরূপ হলে তো খুবই লজ্জার বিষয়)। উত্তরে তিনি বললেন, হে আয়েশা! কিয়ামতের দিনটি এত কঠিন ও বিপদময় হবে যে, মানুষের মনে একে অপরের প্রতি তাকাবারও খেয়াল হবে না।’ (বুখারি-মুসলিম) হাশরের ময়দান কোথায় হবে? শামে হাশরের ময়দান হবে মর্মে ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। আর তৎকালীন শাম বর্তমানে সিরিয়া, জর্দান, লেবানন, ফিলিস্তিন ও ইসরাঈলের পুরো ভূখন্ড এবং ইরাক, তুরস্ক, মিসর ও সঊদী আরবের কিছু অংশকে শামিল করে (উইকিপিডিয়া) । আবু যর গিফারী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূল স. বলেন, ‘শাম হ’ল একত্রিত হওয়ার ও পুনরুত্থিত হওয়ার স্থান’ (সহীহুল জামে‘ হা/৩৭২৬) । অন্য বর্ণনায় তিনি হাশরের স্থান হিসাবে শামের দিকে ইশারা করেছেন (আহমাদ হা/২০০৪৩, সহীহুল জামে‘ হা/২৩০২) । মনে রাখতে হবে যে, ক্বিয়ামতের দিন বর্তমান পৃথিবী পরিবর্তিত হয়ে অন্য পৃথিবীতে পরিণত হবে (ইবরাহীম ৪৮) এবং পাহাড়-পর্বত সব একাকার হয়ে সমতল হয়ে যাবে (ত্বোয়াহা ২০/১০৬) । যেটা মানুষের কল্পনার বাইরে।
ভয়াবহ হাশরের ময়দানরে চিত্র : হাশরের মাঠের চিত্র হবে অত্যন্ত ভয়াবহ। সেদিন পৃথিবী সৃষ্টি থেকে শুরু করে ধ্বংস হওয়ার পর্যন্ত সমস্ত মানুষকে জমায়েত করা হবে। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে- ‘সেদিন পরিবর্তিত করা হবে এ পৃথিবীকে অন্য পৃথিবীতে এবং পরিবর্তিত করা হবে আসমান সমূহকে এবং লোকেরা পরাক্রমশালী এক আল্লাহর সামনে হাজির হবে। (সুরা ইবরাহিম : ৪৮)। রাসুল সা. বলেন- ‘কিয়ামতের দিন সাদা ময়দার রুটির মতো চকচকে একটি মাঠের উপর সমস্ত মানুষকে একত্রিত করা হবে। সেখানে কারও কোনো নিশানা থাকবে না। (বুখারি : কিতাবুত রিকাক) হাশরের ময়দানে আপনজনদের ভুলে যাবে : হাশরের ময়দানে মানুষ তার আপনজনদের ভুলে যাবে। সবাই নিজের চিন্তায় ব্যতিব্যস্ত থাকবে। হজরত রাসুল সা. বললেন- ‘তিনটি স্থানে কেউ কারও কথা স্মরণ রাখবে না। ১. মিযানের নিকট। সেখানে প্রত্যেকেই চরম উদ্বিগ্ন হয়ে জানতে চাইবে যে, তার নেকির পাল্লা হালকা হয়, নাকি ভারী হয়! ২. আমলনামা প্রদানের সময়, যখন প্রত্যেককে বলা হবে- ‘তোমাদের নিজ নিজ আমলনামা পাঠ কর।’ তখন প্রত্যেকেই ভীষণভাবে অধীর হয়ে জানতে চাইবে যে, তার আমলনামা ডান হাতে দেওয়া হবে নাকি পেছন দিক দিয়ে বাম হাতে দেওয়া হবে। ৩. পুলসিরাতের নিকট, যখন তা জাহান্নামের উভয় পাড় ঘেঁষে ওপরে বসানো হবে (এবং তার ওপর দিয়ে অতিক্রমের নির্দেশ দেওয়া হবে)। এই তিনটি স্থানে কেউ কাউকে স্মরণ রাখবে না।’ (আবু দাউদ)
কাফেররা অন্ধ ও চেহারার উপর ভর করে হাশরের ময়দানে উপস্থিত হবে : আল্লাহ তাআলা বলেন: আর যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জন্য হবে নিশ্চয় এক সংকুচিত জীবন এবং আমি তাকে কিয়ামত দিবসে উঠাবো অন্ধ অবস্থায়। সে বলবে, হে আমার রব, কেন আপনি আমাকে অন্ধ অবস্থায় উঠালেন? অথচ আমি তো ছিলাম দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন? তিনি বলবেন, এমনিভাবেই তোমার নিকট আমার নিদর্শনাবলী এসেছিল, কিন্তু তুমি তা ভুলে গিয়েছিলে এবং সেভাবেই আজ তোমাকে ভুলে যাওয়া হল। (সূরা ত্বা-হা- ১২৪-১২৬) তিনি আরো বলেন: আর আমি কিয়ামতের দিনে তাদেরকে একত্র করব উপুড় করে, অন্ধ, মূক ও বধির অবস্থায়। তাদের আশ্রয়স্থল জাহান্নাম; যখনই তা নিস্তেজ হবে তখনই আমি তাদের জন্য আগুন বাড়িয়ে দেব। (সূরা বানী ইসরাইল- ৯৭) হাদীসে এসেছে: আনাস রা. থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কিয়ামতের দিন কাফেরদের কিভাবে চেহারার উপর উপুর করে উঠানো হবে? তিনি বললেন: যে মহান সত্ত¡া দুনিয়াতে দু পা দিয়ে চলাচল করিয়েছেন, তিনি কি কিয়ামতের দিন মুখ-মন্ডল দিয়ে চলাচল করাতে পারবেন না? কাতাদা বললেন : অবশ্যই তিনি পারবেন, মহান রবের সম্মানের কসম করে বলছি। (বুখারী ও মুসলিম) আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত যে রাসূলুল্লাহ স. বলেছেন: কেয়ামতের দিন মানুষ ঘর্মক্ত হবে। এমনকি যমীনের সত্তর হাত ঘামে ডুবে যাবে। তাদের ঘামে তারা কান পর্যন্ত ডুবে যাবে। (বুখারী ও মুসলিম)
হাশরের ময়দানে সূর্যের দূরত্ব ও প্রখরতা: মিকদাদ ইবনে আসওয়াদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি রাসূলুল্লাহ স. কে বলতে শুনেছি তিনি বলেছেন: কিয়ামত দিবসে সূর্য মানুষের খুব নিকটবর্তী হবে। এমনকি এর দুরত্ব এক মাইল পরিমাণ হবে। এ সম্পর্কে সুলাইম ইবনে আমের বলেন, আল্লাহর শপথ! মাইল বলতে এখানে কোন মাইল তিনি বুঝিয়েছেন আমি তা জানি না। জমির দূরত্ব পরিমাপের মাইল বুঝিয়েছেন, না সুরমা দানির মাইল (শলাকা) বুঝিয়েছেন? মানুষ তার আমল অনুযায়ী ঘামের মধ্যে থাকবে। কারো ঘাম হবে পায়ের গিরা বরাবর। কারো ঘামের পরিমাণ হবে হাটু বরাবর। কারো ঘামের পরিমাণ হবে কোমর বরাবর। আবার কারো ঘামের পরিমাণ হবে তার মুখ বরাবর। (সহীহ মুসলিম ২১৯৬) উকবা ইবনে আমের (রাঃ)বলেন, মহানবী (সাঃ) বলেছেন, কিয়ামত দিবসে সূর্য্য যমীনের নিকটবর্তী হবে ; ফলে মানুষ ঘর্মাক্ত হতে থাকবে । কারো ঘাম গোড়ালী পর্যন্ত, কারো অর্ধহাটু , কারো উরু, কারো কোমর , কারো মুখ পর্যন্ত পৈাছবে। কারো মাথা পর্যন্ত ঘামের মধ্যে ডুবে যাবে । ইবনে উমর (রাঃ) বলেন,রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যেদিন মানুষ রাব্বূল আলামিনের সম্মুখে হিসাবের জন্য দন্ডায়মান হবে , সেদিন অনেকেই নিজের ঘামে কান পর্যন্ত ডুবে যাবে। আর এক হাদিসে এসেছে, মানুষ দন্ডায়মান অবস্থায় চল্লিশ বছর পর্যন্ত আসমানের দিকে তাকিয়ে থাকবে এবং সীমাহীন কস্টের দরুণ ঘাম ঝরে ঝরে গলা পর্যন্ত পৈাছবে।
বিচার দিবস
youtube
বিচার দিবসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম 
youtube
কিয়ামতের দিন || বিচার দিবস || হাশরের দিন || How will the day of kiyamah? 
https://www.youtube.com/watch?v=4Q4i8MM5QXo
 
ঔদ্ধত্য ধুলায় মেশাবেন আল্লাহ রব্বুল আলামীন
Arrogance will be mixed with dust by Allah Rabbul Alamin
How will the day of kiyamah? 
0 notes
786propertiesltd · 2 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আপনি কি উত্তরে রেডি ফ্ল্যাট খুঁজছেন?
উত্তরা ৭ নং সেক্টরে ১৬৭৫ বর্গফুটের ৫ম তলায় সিঙ্গেল ইউনিটের ১ টি রেডি ফ্ল্যাট জরুরী মূল্য বিক্রয় হবে।
Project Name: Monglee Location: Uttara, Sector-7, Road-18, House-97. Near Lake Drive Road Land Area: 3.65 Katha Total Storied: G+8 Per floor Unit: Single Total Sft: 1675 SFT (Approx. ) Internal Arrangement: 03 Bed, 03 Toilet, Dining, Family Living & Living, Kitchen, 03 Varandah.
সম্পূর্ণ খোলামেলা ও আলো - বাতাসপূর্ণ।
গাড়ি পার্কিং ও তিতাস গ্যাস।
সম্পূর্ণ রেডি ফ্ল্যাট, তাই এখনই রেজিস্ট্রেশন করে এখনই ফ্ল্যাট-এ উঠতে পারবেন।
ব্যাংক লোনের সুবিধা আছে।
For project visits or detailed information
call: 01709-656586 (WhatsApp)
0 notes
24x7newsbengal · 2 months
Link
0 notes
shameemsayedee · 2 months
Text
Tumblr media
وَلَقَدْ نَصَرَكُمُ اللَّهُ بِبَدْرٍ وَأَنتُمْ أَذِلَّةٌ ۖ فَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
বস্তুতঃ আল্লাহ বদরের যুদ্ধে তোমাদের সাহায্য করেছেন, অথচ তোমরা ছিলে দুর্বল। কাজেই আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞ হতে পারো ।
১৭ রমাদান, ঐতিহাসিক বদর দিবস ।
ইতিহাসে যতোগুলো যুদ্ধ মুসলমানদের সাথে বিভিন্ন সম্প্রদায় বা জাতিগোষ্ঠীর কিংবা বিধর্মীদের সাথে সংঘটিত হয়েছে, তার মধ্যে বদরের যুদ্ধ ছিল মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ । কারণ, বদরের যুদ্ধের তাৎপর্য ঐতিহাসিক । এ যুদ্ধটি ছিল ইতিহাস নির্ধারণকারী একটি লড়াই । বদরের যুদ্ধে যদি মুসলমানেরা পরাজিত হতেন, তাহলে দ্বীন ইসলামে মহান আল্লাহকে ডাকার মতো কোনো লোক এই পৃথিবীতে থাকতো কি না তা কেবল সেই মহান সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কারো জানা ছিলো না । শত্রুদের দৃষ্টিতে বদরের যুদ্ধ ছিলো, সবে চারা গজাচ্ছে- সেই ইসলাম ধর্ম নামক অঙ্কুরকে আল্লাহর জমিন থেকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার যুদ্ধ । বদরের যুদ্ধের অপর একটি তাৎপর্য হলো, দ্বীন ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ ﷺকে একজন সেনাপতির দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে । বদরের যুদ্ধের তৃতীয় তাৎপর্য হলো, মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা অনেকটাই অদৃশ্যমানভাবে তাঁর প্রিয় বান্দাদের বিপদে কিভাবে সাহায্য করেন, তার জ্বলন্ত প্রমাণ এই যুদ্ধে বিদ্যমান ।
‘বদর’ নামক স্থানের পরিচিতি
বদরের যুদ্ধ হয়েছিল হিজরি দ্বিতীয় সালের ১৭ রমজান; 'বদর' পবিত্র মক্কা থেকে কিছুটা উত্তরে, পবিত্র মদিনা থেকে কিছুটা দক্ষিণ-পশ্চিমে । প্রায় চৌদ্দ শ’ একত্রিশ কিংবা বত্রিশ বছর আগে ওই আমলের আরব দেশে মক্কা নগরীর কুরাইশদের সাথে যে বাণিজ্য হতো, সেই বাণিজ্যের কাফেলাগুলো চলাচল করার যে পথ ছিল, সেটি ‘বদর’ নামক জায়গার পাশ দিয়েই যেতো ।
যুদ্ধের প্রেক্ষাপট : মক্কাবাসীর চিন্তা
মহানবী বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ ﷺ মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করে চলে এলেন । তারপর মদিনাতে নতুন একটি নগররাষ্ট্র, নতুন সভ্যতা, সংস্কৃতি, স্বকীয়তা এবং দ্বীন ইসলামের মূল কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছিলেন । এটা দেখে মক্কার কুরাইশরা ঈর্ষান্বিত হলো । দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে তারা নানা ষড়যন্ত্রের পথ খুঁজতে লাগলো । কুরাইশরা চিন্তা করলো, আমরা তো সবাই মিলে মক্কায় আহমাদে মুসৃতফা মুহাম্মদ ﷺকে দমন করে রাখতে পেরেছিলাম, কিন্তু এখন মদিনায় গিয়ে তিনি নতুনরূপে বাধাহীনভাবে ইসলাম প্রচার করে চলেছেন । যদি এরূপ অত্যাচার চলতে থাকে আর তার এই সংগ্রাম অগ্রসর হতে থাকে, তাহলে অচিরেই মদিনার মুসলিমগণ মক্কার লোকজনের প্রতি হুমকি হয়ে দাঁড়াবে । অতএব, অঙ্কুরেই তাদের বিনাশ করা প্রয়োজন ।
যুদ্ধের প্রেক্ষাপট : মদিনাবাসীর চিন্তা
অপর দিকে, সবেমাত্র জন্ম নেয়া মদিনা নামক নগররাষ্ট্র তথা ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার ভিত্তি ক্রমবর্ধমান হলেও মহানবী সাইয়েদুল মুরসালীন মুহাম্মদ ﷺ এবং তার সাথীরা চিন্তা করলেন, আমরা মক্কা থেকে বের হয়ে এসেছি ঠিকই; কিন্তু মক্কার হুমকি থেকে আমরা এখনো মুক্ত হতে পারিনি । আমরা এখনো তেমন শক্তি অর্জন করতে পারিনি । তাই আগে আমাদের শক্তি সঞ্চয় করা প্রয়োজন এবং আল্লাহর দ্বীনকে তার জমিনে প্রতিষ্ঠা করতে হলে শত্রুদের মোকাবেলা করার কোনো বিকল্প নেই । মোটামুটি এ ধরনের চিন্তাভাবনার পরই মক্কা ও মদিনা- এ দুই শহরকেন্দ্রিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে একটি যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে উঠেছিলো । তা ছাড়া পরোক্ষভাবে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার পক্ষ থেকে নির্দেশ এসেছিল যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করার ।
প্রস্তুতি পর্ব:
অবশেষে রাসূলে আকরাম ﷺ-এর নেতৃত্বে মদিনা থেকে মুসলমানদের একটি দল বের হলো । তাদের উদ্দেশ্য ছিল মক্কা নগরীর আরবদের বাণিজ্য কাফেলা, যেটা সিরিয়া থেকে ধনসম্পদ নিয়ে মক্কায় ফেরত যাবে তাদের মোকাবেলা এবং তাদের কাছ থেকে কিছু সংগ্রহ করা । সেজন্য তারা চলাচলের রাস্তার পাশে ওঁৎ পেতে ছিলেন । অপর দিকে ধনসম্পদ নিয়ে মক্কা নগরীর ব্যবসায়ীদের কাফেলা সিরিয়া থেকে ফেরত আসার সময় সংবাদ পেল যে, এই পথ ধরে গেলে পথিমধ্যে তাদের বিপদে পড়ার আশঙ্কা আছে । তাই তারা সবার সিদ্ধান্তক্রমে তাদের গতিপথ একটু পরিবর্তন করে মক্কায় যাওয়ার জন্য নতুন পথ আবিষ্কার করলো এবং সেই পথ ব্যবহার করে তারা মক্কার কাছাকাছি চলে গেল । কিন্তু ইতোমধ্যে অন্য একটি ঘটনার উদ্ভব হলো । বাণিজ্য কাফেলার অনুরোধে মক্কা থেকে একদল সৈন্য অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রওনা দিয়েছিলো কাফেলাকে এগিয়ে আনার জন্য । মক্কা থেকে উত্তর দিকে যে পথ ধরে বাণিজ্য কাফেলা আসছে সেই পথ ধরে, যাতে পথিমধ্যে বাণিজ্য কাফেলার ওপর কোনো বিপদ-আপদ এলে তারা সাহায্য-সহযোগিতা করতে পারে । কিন্তু বাণিজ্য কাফেলা মদিনার মুসলমানদের দৃষ্টি এড়িয়ে চলে গেলো । এমনকি মক্কা থেকে আসা সাহায্যকারী লোকদেরও দৃষ্টির অগোচরে চলে গেলো । মক্কা থেকে আগত সাহায্যকারী দল যখন বদর নামক স্থানে এসে অবস্থান করছিলো তখন তারা সংবাদ পেলো মুসলমানেরা তাদের আশপাশে আছে । মুসলমানেরা বদর নামক স্থানটির কাছেই অবস্থান করছিলো । ফলে তারাও জানতে পারলো, মক্কা থেকে আগত এবং অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত একদল সৈন্যবাহিনী তাদের পাশেই অবস্থান করছে । যুদ্ধটি চূড়ান্তরূপে দেখা দিলো । 'বদর' নামক স্থানে কাফেররা এক দিকে অবস্থান নিলো, অন্য দিকে মুসলমানেরা অবস্থান নিলো । মুসলমানবাহিনী যে স্থানটিতে অবস্থান নিলো, সেখানে একটি পানির কূপ ছিল; পানি আহরণের জন্য কুয়ায় সহজে যাওয়া যেত । যেহেতু পানির কূপটি মুসলমানদের দখলে, সেহেতু কাফেররা পানির সঙ্কট অনুভব করলো । কূপের পাশেই একটি পাহাড়, সেখানে মুসলমানদের সদর দফতর স্থাপন করা হলো । একটি তাঁবুর বন্দোবস্ত করা হলো, সেখানে রাসূলে পাক ﷺ অবস্থান নিলেন । এলাকাটি ছিলো সমতল, কিন্তু তিন দিকে পাহাড়বেষ্টিত ।
যুদ্ধক্ষেত্রের অবস্থান ও পরিবেশ
যুদ্ধক্ষেত্রটির অবস্থান ও পরিবেশের বর্ণনা দেয়া অবশ্যই প্রয়োজন । যে স্থানটিতে মুসলমানেরা অবস্থান নিয়েছিলেন, সেখানে সূর্যের তেজ সরাসারি তাদের মুখের ওপর পতিত হয় । কিন্তু কাফেরদের মুখে দিনের বেলায় সূর্যের আলো পড়ে না । মুসলমানেরা যেখানে দাঁড়িয়ে যুদ্ধ করবেন, সেখানে মাটি নরম এবং বালুর আধিক্য যা যুদ্ধক্ষেত্রের জন্য উপযুক্ত নয় । অপর দিকে কাফেররা যেখানে অবস্থান নিয়েছিল, সেখানে মাটি শক্ত এবং যুদ্ধের জন্য স্থানটি উপযুক্ত । কিন্তু অবস্থান নেয়ার ফলে অবশেষে কী হলো ? সেই রাত্রিতে সাহবীরা অবস্থান করছেন ! রমজান মাসের ১৬ তারিখ দিনটি শেষ, মাগরিবের পর তারিখ বদলে গেল, অতঃপর ১৭ রমজান শুরু হলো । সেই রাতে উৎকণ্ঠিত মুসলমানেরা এবং উৎকণ্ঠিত কাফেররা নিজ নিজ ক্যাম্পে অবস্থান করছে । সেই রাতে মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট সিজদায় পড়ে সাহায্য প্রার্থনা করছেন মানবতার মুক্তির দূত হযরত মুহাম্মদ ﷺ। কেঁদে কেঁদে বলেছিলেন অনেকটা এ রকম : ‘হে দয়াময় আল্লাহ, আগামীকালের নীতিনির্ধারণী যুদ্ধে তোমার সাহায্য আমাদের অতি প্রয়োজন । এই যুদ্ধে আমরা তোমার সাহায্য ছাড়া বিজয় লাভ করতে পারবো না । আর আমরা যদি পরাজিত হই, তোমাকে সিজদা করার কিংবা তোমার নাম ধরে ডাকার লোক এই পৃথিবীতে আর নাও থাকতে পারে । অতঃপর তুমি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করো কী করবে । কারণ, তুমিই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার মালিক । আমরা আমাদের জ��বন দিয়ে প্রাণপণ যুদ্ধ চালিয়ে যাবো । আমরা আমাদের জীবন তোমার পথে উৎসর্গ করলাম । বিনিময়ে তোমার দ্বীনকে আমরা তোমার জমিনে প্রতিষ্ঠা করতে চাই । তুমি আমাদেরকে বিজয় দান করো । আমরা তোমার কাছে সাহায্য চাই ।’ রাসূলুল্লাহ ﷺএর আন্তরিক কাকুতি-মিনতি মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট কবুল হয়ে গেলো । হযরত জিব্রাইল আ:-এর মাধ্যমে আল্লাহর পক্ষ থেকে জবাব এলো, সাহায্য আসবে । তোমরা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হও । তোমাদের শিরকে উঁচু করো এবং দৃৃঢ় পদক্ষেপে দাঁড়াও ।
ঐশী সাহায্যের একাধিক উদাহরণ
পবিত্র কুরআনের সূরা আনফালের ৯ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা এ ঘোষণাটি দিয়েছেন । ওই রাতে মরুভূমিতে প্রবল বৃষ্টি হলো, যা একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা । বৃষ্টি মুসলমানদের উপকারে এলো । কারণ, বৃষ্টির কারণে কাফেরদের যুদ্ধের মাঠের শক্ত মাটি কাদায় ভরে পিচ্ছিল হয়ে গেলো । অপর দিকে মুসলমানদের যুদ্ধের বালুমাঠ শক্ত হয়ে গেল । বৃষ্টির কারণে আবহাওয়া শীতল হলো । উৎকণ্ঠিত-উদ্বিগ্ন মুসলমানদের চোখে তন্দ্রাচ্ছন্নভাবে প্রশান্তি এসে যায় । অপর একটি ঘটনা, যেটি মহান আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা ঘটিয়েছেন, তা হলো- কাফেররা যখন মুসলমানদের ক্যাম্পের দিকে তাকাচ্ছিল, ঠিক তখন কাফেরদের চোখে মুসলমানদের ক্যাম্প অনেক বড় মনে হচ্ছিল । তারা চিন্তায় পড়ে গেল, এতো মুসলমান কোত্থেকে এলো !? অপরপক্ষে, মুসলমানেরা যখন কাফেরদের ক্যাম্পের দিকে তাকাচ্ছিল, তখন কাফেরদের ক্যাম্প মুসলমানদের চোখে অনেক ছোট মনে হচ্ছিলো এবং তারা ভাবতে লাগলো, কাফেররা তো তেমন বেশি না; আগামীকালকের যুদ্ধে এদেরকে আমরা পরাজিত করতে পারবো ইনশাআল্লাহ । অতঃপর এমন মনে হচ্ছিল, মুসলমানদের চোখে দেখা দিয়েছিল অন্য এক স্বপ্ন যে, আমরা তাদের সমানে সমান । আর এ ধরনের চিন্তা-চেতনা মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে মুসলমানদের মনে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছিলো, যাতে করে মুসলমানেরা তাদের মনোবল হারিয়ে না ফেলেন । দিনের বেলায় যুদ্ধ শুরু হলো । প্রথমে তিনজন করে উভয় পক্ষ থেকে এলো এবং কাফেরদের তিনজনই মৃত্যুবরণ করলো । অতঃপর, কথা মোতাবেক উন্মুক্ত প্রান্তরে উন্মুক্তভাবে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলো । সেই আমলের যুদ্ধের অস্ত্র ছিলো তরবারি, তীর-ধনুক, বর্ম, বল্লম ইত্যাদি । মুসলমানেরা প্রাণপণ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন । আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা তার প্রতিশ্রুতি মোতাবেক মুসলমানদের সাহায্যের জন্য ফেরেশতা পাঠিয়ে দিলেন । সাধারণত ফেরেশতারা মানুষের চোখের অদৃশ্য থাকে । কিন্তু যুদ্ধের পর সাহাবীগণ সাক্ষী দিলেন যে, আমরা মানুষ দেখিনি তথা পরিচালনাকারী দেখিনি, কিন্তু আমরা দেখেছি দীর্ঘ আকৃতির তরবারি, যেগুলো শত্রুপক্ষকে ঘায়েল করছিলো ।
আরেকটি পর্যায়ে যুদ্ধ চলাকালে জিব্রাইল আ: এসে আখেরীনবী মুহাম্মাদ ﷺকে জানালেন, হে আল্লাহর রাসূল ! আপনি আপনার হাতে একমুষ্টি ধুলো নিন আর শাহাদাত আঙুল ইশারা করে কাফেরদের দিকে ছুড়ে দিন । রাসূল ﷺ একমুষ্টি ধুলো তাঁর হাতে নিলেন এবং শত্রুপক্ষের দিকে নিক্ষেপ করলেন । বিষয়টি আসলেই বিস্ময়ের । আমরা চাইলেই একমুষ্টি ধুলো কিংবা বালু হাতে নিয়ে এ কাজটি করতে পারি । শিশুরা খেলার মাঠে দুষ্টুমিবশত এ কাজটি করে থাকে । কিন্তু চিন্তা করার বিষয় হলো, একমুঠো ধুলো যদি কেউ কারো দিকে ছুড়ে দেয়, তাহলে তা কত দূর উড়ে যাবে ? কিন্তু অসংখ্য বর্ননায় এসেছে, সেই বদরের মাঠে আল আমিন মুহাম্মাদ ﷺএর ছুড়ে দেয়া ধুলো সেদিন অনেক দূর পর্যন্ত গিয়েছে এবং সব কাফেরের চোখে মুখে নাকে গিয়ে লেগেছে । এ ছাড়া পবিত্র কুরআনের সূরার মাধ্যমে মহান আল্লাহ তায়ালা সাক্ষ্য দিয়ে বলেছেন, ‘হে রাসূল ! সেদিন সেই ধুলো আমি সবার চোখে পৌঁছে দিয়েছি । আপনি কেবল নিক্ষেপ করেছেন । এর কারণ ছিল কাফেররা যেন ভালোভাবে তাদের যুদ্ধের অবস্থান না দেখতে পায় এবং অতি দ্রুত ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় । এমনকি বলা হয়েছে, তারা তাদের হাতের অস্ত্র ছেড়ে চোখ কচলাতে শুরু করেছিলো ।’ একটু চিন্তা করলে দেখা যায়, যদিও আমরা জাগতিক দৃষ্টিতে দেখলাম ধুলোগুলো রাসূল ﷺ তাঁর হাত দিয়ে ছুড়েছেন, কিন্তু এই একমুষ্টি ধুলো কিভাবে শত্রুবাহিনীর চোখে গেল ? তাই বলতে হচ্ছে, এটা স্বাভাবিক দৃষ্টিতে সম্ভব নয়, এটা হয়েছে অস্বাভাবিক দৃষ্টিতে, যা স্বয়ং আল্লাহ ঘটিয়েছেন । আর এটাই হলো ঐশী বা গায়েবি সাহায্য ।
শয়তান ইবলিসের অংশগ্রহণ
মক্কাবাসী কাফেরদের পক্ষে যুদ্ধ করার জন্য অভিশপ্ত ইবলিসও এসেছিলো সেদিন । আর ইবলিস এসেছিলো সোরাকা নামক এক ব্যক্তির আকৃতি ধরে । কিন্তু যুদ্ধের মাঠে নেমে যখন ইবলিস দেখলো, আল্লাহর ফেরেশতারা মুসলমানদের পক্ষ হয়ে যুদ্ধের মাঠে বিদ্যমান, ঠিক তখনই সে পালিয়ে যেতে লাগলো । কাফেরদের মধ্য থেকে কেউ একজন বলে উঠল, সোরাকা, তুমি কোথায় যাচ্ছ ? সোরাকা, তুমি কি বলোনি যে, তুমি আমাদের সাহায্য করবে এবং আমাদের কাছ থেকে দূরে সরে যাবে না ? সে সময় ইবলিস (ছদ্মবেশে সোরাকা) বললোঃ এখানে এমন কিছু দেখতে পাচ্ছি, যা তোমরা দেখতে পাও না । আল্লাহকে আমার ভয় হচ্ছে, তিনি কঠোর শাস্তিদাতা ।’ এরপর ইবলিস আত্মগোপন করেছিলো ।
ফেরেশতাদের অংশগ্রহণ
এ যুদ্ধের আরেকটি ঘটনা হলো আল্লাহ তায়ালা মুসলমানদেরকে সাহায্য করেছিলেন ফেরেশতা দিয়ে । বুখারি শরিফের হাদিস মোতাবেক, যুদ্ধের শেষে সাহাবিদের মধ্য থেকে কেউ কেউ সাক্ষী দিয়েছেন, আমরা সাদা পোশাক পরিহিত কিছু ব্যক্তিকে আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে যুদ্ধ করতে দেখেছি । তাদেরকে আমরা যুদ্ধের আগে কখনো দেখিনি, এমনকি যুদ্ধের পরও দেখিনি । আবার কিছুসংখ্যক সাহাবি বলেছেন, আমরা তরবারি ব্যবহারকারীকে দেখছি না, কিন্তু তরবারিটি দেখছি । তাদের তরবারিগুলো আমাদের তরবারির চেয়ে দৈর্ঘ্যে অনেক লম্বা এবং সেগুলো শত্রুপক্ষকে ঘায়েল করছিলো । সেদিন সাদা পোশাক পরিহিত ফেরেশতাদের আকৃতি কারো চোখে দেখা গিয়েছিল, আবার কারো চোখে দেখা যায়নি । মূলত তারা ছিল আল্লাহর প্রেরিত ফেরেশতা । মুসলমানদের হয়ে বদরের প্রান্তরে তারা যুদ্ধ করেছিলো ।
সৈন্য সংখ্যা ও হতাহত সংখ্যা
বদরের যুদ্ধে মুসলমানদের সৈন্যসংখ্যা আর কাফেরদের সৈন্য সংখ্যা সম্পর্কে ছোটখাটো মতপার্থক্য আছে । তবে যে মতামতটি জোরালোভাবে গ্রহণযোগ্য সেটা এ রকম : মুসলমানেরা ছিলেন ৩১৩ জন, অপরপক্ষে কাফেরদের সংখ্যা ছিল এক হাজার । মুসলমানদের ৩১৩ জন সাহাবির মধ্যে ৮৫ জন ছিলেন মুহাজির সাহাবি, বাকি সবাই ছিলেন মদিনার আনসার । আনসারদের মধ্যে ৬১ জন আওস গোত্রের আর ৬৯ জন ছিলেন খাজরাজ গোত্রের । পুরো ৩১৩ জনের দলে উট ছিল ৭০টি আর ঘোড়া ছিল মাত্র দু’টি । অপরপক্ষে, কাফেরদের এক হাজারের দলের ৬০০ জনের কাছে ছিল দেহ রক্ষাকারী বর্ম এবং তাদের কাছে ঘোড়া ছিল ২০০ এবং উট ছিলো ৬০০টি । যুদ্ধ শেষে দেখা গেলো, কাফেরদের মধ্য থেকে ৭০ জন নিহত হয়েছে এবং ৭০ জন হয়েছে বন্দী । মুসলমানদের মধ্য থেকে শহীদ হয়েছিলেন ১৪ জন, তার মধ্যে ছয়জন ছিলেন মুহাজির সাহাবা, অপর আটজন ছিলেন আনসার সাহাবা ।
উপসংহার ও শিক্ষণীয়
বদরের যুদ্ধ ছিল মুসলমানদের জন্য প্রথম সমন্বিত এবং যতোটুকু সম্ভব, পরিকল্পিত যুদ্ধ । যুদ্ধের ময়দানে সুবিধাজনক অবস্থান নেয়া, পানির উৎস নিয়ন্ত্রণে রাখা, সূর্যের আলোর কথা বিবেচনা করে সৈন্যদের দাঁড় করানো এবং যুদ্ধের আগে শত্রুদলের চারপাশ পর্যবেক্ষণে রাখা ইত্যাদি বিষয় শিক্ষণীয় । সবচেয়ে বড় শিক্ষণীয় বিষয় ছিলো, অজাগতিক তথা সব কিছুর জন্য আল্লাহর ওপর ভরসা বা তাওয়াক্কুল করা । সংখ্যার আধিক্যকে নয়, শত্রু বিরুদ্ধে একাগ্র মনোনিবেশ করা ।
নিজের দ্বারা সম্ভব সর্বপ্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করা, কিন্তু সাফল্যের জন্য সে প্রস্তুতির ওপর নির��ভর করা যাবে না । নির্ভর করতে হবে একমাত্র আল্লাহ তায়ালার ওপর । বদরের যুদ্ধে মুসলমানেরা জয়ী না হলে কী হতে পারতো, সেটা কল্পনা করার প্রয়োজন নেই । আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার অসীম দয়া আর মেহেরবানির বদৌলতে মুসলমানদের অগ্রযাত্রার ভিত্তি সুদৃঢ় হয়েছিলো এবং বদরের যুদ্ধের মাধ্যমে তিনি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন । আজ চৌদ্দ শ’ আটত্রিশ বছর পর বিশ্বের সর্বস্তরের মুসলমান সেই অকুতোভয় সৈনিকদের স্মরণ করবেন এবং প্রয়োজনে বদরের মতো যুদ্ধক্ষেত্রে যাতে যেতে পারেন, সেই মানসিকতায় বলীয়ানরূপে নিজেদেরও সজ্জিত করবেন বলে আশা করি । তবে বদরের যুদ্ধ যেমন ছিল আত্মরক্ষার্থে, তেমনি মুসলমানদের যুদ্ধ হবে আত্মরক্ষার্থে, সত্যের অনুকূলে, নির্যাতিত-নিপীড়িত, মজলুমদের অনুকূলে এবং কল্যাণ কামনায় ।
শামীম সাঈদী
চেয়ারম্যানঃ আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশন
0 notes
business24bdinfo · 3 months
Text
চ্যাম্পিয়নস লিগে গোল করায় রিয়ালের শ্রেষ্ঠত্ব
চ্যাম্পিয়নস লিগের রাজা কারা? উত্তরে রিয়াল মাদ্রিদের নামটাই বলতে হবে। ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের ১৪টি শিরোপা যাদের দখলে, তাদের শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার না করে উপায় কী! এমনকি দ্বিতীয় স্থানে থাকা এসি মিলানের চেয়ে দ্বিগুণ (৭টি) শিরোপা রিয়ালের দখলে। ১৯৯২ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগের নতুন সংস্করণ শুরু হওয়ার পর থেকে হিসাব করলেও  রিয়ালেরই জয়জয়কার। সে সময় থেকে রিয়াল শিরোপা জিতেছে ৮টি। যেখানে নতুন সংস্করণ দূরে থাক, সব…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes