রমজান মাসে যাদের পেছনে তারাবির নামাজ পড়লাম, তাদের কিছু উপহার দিতে ইচ্ছে করে না?
হাফেজ সাহেবরা যেদিন কুরআন খতম করেন, সেদিন অনেকেই তাদের জন্য উপহার নিয়ে যান-আতর, জায়নামাজ, পাঞ্জাবি।
আপনি চাইলে এর চেয়ে ভালো কিছু উপহার দিতে পারেন। আর সেটা হলো বই।
সাধারণত আমাদের দেশের অধিকাংশ মসজিদেই তারাবির নামাজ পড়ান তরুণ হাফেজরা। তারা এখনও মাদরাসার শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করেননি, অধ্যয়নরত ছাত্র বা সদ্য পড়াশোনা শেষ করেছেন। এমন তরুণ হাফেজদের উপহার দেওয়ার জন্য বই খুবই কার্যকর ও স্মার্ট উপহার। এতে দুটো লাভ হয় :
তারাবির হাফেজ সাহেবদের গিফট দেওয়ার জন্য গার্ডিয়ান তৈরি করেছে ‘ইমাম প্যাকেজ’। ইমাম সাহেবদের উপযোগী চারটি বই নিয়ে প্যকেজটি সাজানো হয়েছে। আমোদের পক্ষ থেকে ১৫০ টাকা ডিসকাউন্ট দিয়ে এর মূল্য ধরেছি ১০০০ টাকা।
বাইরে তিমির নিবিড় রাত। বাইরে গাছের পাতায় বৃষ্টির শব্দ। বাইরে গুচ্ছ গুচ্ছ স্নিগ্ধ তমাল অন্ধকারের। বাইরে মত্ত বাতাসের প্রলাপ। অনবরত কোমল কোলাহল। গহন গভীর ঘুমের অতল অবলুপ্তি।
সেই সময় দূরে কোথাও ভেসে গেল ধানখেত। ভেঙে পড়ল আমগাছের একটি ডাল। রাতজাগা পাখিরা কঁকিয়ে উঠল কোথাও। সেই সময় একটি প্রান্তরে সমস্ত পৃথিবীর মূর্ছা। বিচলিত আনন্দসম্ভার। বিনিঃশেষ সংশয়িত জীবন। সেই সময় ‘একাকী একটি বৃষ্টি-রাতের শব্দের মতো’ তাঁর অন্তর থেকে বেরিয়ে এলো অন্তর। সেই সময় হৃদয় থেকে বেরিয়ে এলো হৃদয়। গায়ের ওপরে রাখা চাদর আলতো করে সরিয়ে, চৌকাঠ পেরিয়ে সে মিলে গেল কুঞ্জবীথির সিক্ত যূথীর গন্ধে, মত্ত হাওয়ার ছন্দে, মেঘে মেঘে বজ্র শিখর ভ‚জঙ্গ প্রয়াতে।
সেই সময় দূরের মসজিদ থেকে ঘোষিত হলো ভোরের আজান। সেই আজানের প্রতিটি শব্দ অনন্ত নীহারিকাপুঞ্জের অবিশ্রাম আকুল-ব্যাকুল ক্রন্দনের মতো আছড়ে পড়তে লাগল এই বিশ্বব্রহ্মান্ডে, এই প্রিয় মাতৃভ‚মির যাপিত আচ্ছন্নতার কিনারে কিনারে। সেই ধ্বনিপুঞ্জ শ্বেতশুভ্র মহার্ঘ সিল্কের মতো তার শরীরে অঙ্কুরিত করল ডানা। আর তিনি এই শহর, গ্রাম, কোলাহল, ঘুম, জাগরণ, আনন্দ, বেদনা পাড়ি দিয়ে; বনের পর বন পেরিয়ে; সমুদ্রের পর সমুদ্রের উন্মাতাল ঢেউ পার হয়ে; পাহাড়ের পর পাহাড়ের দুর্গমতা পাড়ি দিয়ে; এই ভালো লাগা-ভালোবাসার দ্যুলোক, ভ‚লোক, গ্যালাক্সির পর গ্যালাক্সি পার হয়ে উড়ে চললেন তাঁর সুদূর পারের ��্বপ্নসখার উদ্দেশে।
গেরস্ত বাড়ির ভোরের মোরগ চিৎকার করে উঠো‘সবাই উঠো, জাগো। মহামনীষী সৈয়দ আলী আহসান চলে যাচ্ছেন। দ্যাখো কী মহিমান্বিত তার যাত্রা!’ কিন্তু মানুষ তখনও ঘুমিয়ে। তারা কেউ কিছু জানতেই পারল না।
বই: আমাদের প্রতিদিনের শব্দ
মূল্য: ১৮৫৳
লেখক: আবদুল হাই শিকদার
আলহামদুলিল্লাহ! আজ সন্ধ্যায় প্রকাশিত হতে যাচ্ছে গার্ডিয়ানের নতুন তিনটি বই ড. আহমদ আলী স্যারের ‘উসূলুল ঈমান -৩, ৪ খণ্ড’ এবং মো. মতিউর রহমানের ‘ আল কুরআনের গাণিতিক মুজিজা’।
কিয়ামতের আলামত, দাজ্জাল, নবি ও সাহাবিগণের উপর আকিদা, আহলে বাইতের মর্যাদা ও মিয়ারে হকসহ যাবতীয় আাকিদা বিষয়ক বিশুদ্ধ আলোচনা পাবেন উসূলুল ঈমান-এ ৩,৪ খণ্ডে।
কুরআন নাজিলের এই মাসে গল্পে গল্পে কুরআনের গাণিতিক সব রহস্য জানতে পারবেন ‘আল কুরআনের গাণিতিক মুজিজা’ বই থেকে।
অর্ডার করতে ক্লিক করুন : https://guardianpubs.com/offers
আপনি যদি রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন, তাহলে রাজনীতি আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করবে। এই কথাটি বহু বছর আগে ইমাম গাজ্জালি (রহ.) বলে গেছেন। আর এর প্রমাণ আমরা এখন দেখছি।
কুরআন ও রাষ্ট্র পরস্পর সহযোগী দুটি শক্তি। রাষ্ট্র ইসলামি দাওয়াহর জুতসই ক্ষেত্র তৈরি এবং ইলাহি আইন প্রয়োগের মাধ্যমে কুরআনকে জীবন্ত করে তোলে। অপরদিকে কুরআন রাষ্ট্রে সুবিচার-অধিকার-শান্তি-সম্প্রীতি সুনিশ্চিত করে। এভাবেই একটি রাষ্ট্র হয়ে ওঠে দ্বীন ও দুনিয়ার অপূর্ব মোহনা।
ইসলামি জীবনব্যবস্থার প্রকৃত ফল পেতে রাজনীতি ও রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। ইসলামি আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে দাওয়াহ যেখানে নিষ্ফল, রাষ্ট্র সেখানে কার্যকর। তাই ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে সক্রিয় রাজনীতির বিকল্প নেই। সেকুলারদের কর্মপন্থা হলো, তারা বিভ্রান্তি সৃষ্টির মাধ্যমে মুসলিম যুবসমাজকে রাজনীতিবিমুখ করতে চায়। এর মাধ্যমে মুসলমানদের সরিয়ে রাখতে চায় পৃথিবীর নেতৃত্ব থেকে।
উসতাজ কারজাভি (রহ.) জীবনভর মুসলিম উম্মাহর পুনর্জাগরণে কাজ করেছেন। সেক্যুলার ও ইসলামবিরোধী শক্তির বিপরীতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পারস্পরিক মতভেদ ভুলে। ‘ইসলাম ও রাজনীতি’ গ্রন্থটি মূলত সে প্রচেষ্টারই অংশ। বর্তমান সন্দিহান মুসলিম যুবসমাজের জন্য এ গ্রন্থটি হতে পারে সুদৃঢ় পথনির্দেশিকা। পাশাপাশি সেক্যুলারদের সাথে চলমান বুদ্ধিবৃত্তিক যুদ্ধে ইসলামপন্থিদের চিন্তা গঠনে হতে পারে এক বলিষ্ঠ দলিল।
চলমান সংকটে তরুণ ও ছাত্রদের ইসলামি রাজনীতির জরুরি পাঠ দিতে আমরা এই বইটিতে ২৫% ছাড় ঘোষণা করছি।
রাসূল (সা.) বলেছেন- ‘বনি আদমের প্রত্যেক আমলের সওয়াব ১০ গুণ থেকে ৭০০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। আল্লাহ বলেন, তবে রোজার সওয়াবের কোনো পরিমাণ নেই। কারণ, রোজা কেবল আমার জন্য। আমি নিজেই এর প্রতিদান দেবো। বান্দা একমাত্র আমার জন্যই স্ত্রীসহবাস ও খাবার পরিত্যাগ করেছে।l
আলহামদুলিল্লাহ!
প্রকাশিত হয়েছে গার্ডিয়ানের নতুন ৪টি বই-
১. ইসলামের মৌলিক আকিদা
লেখক : মীযান হরুন
২. মানুষ : পৃথিবীর অনুপযোগী এক প্রাণী
লেখক : নজরুল ইসলাম টিপু
৩. ইহাদের ভিড়ে (উপন্যাস)
লেখক : রোকন উদ্দিন খান
৪. জান্নাতের শাহজাদি
[গল্পে গল্পে ছোটোদের ফাতিমা (রা.)]
লেখক : মোরশেদা কাইয়ুমী
আগামীকাল থেকে অনলাইন ও অফলাইন বুকশপ থেকে পাঠক বইগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন….
আজ সন্ধ্যায় আমরা 'গার্ডিয়ান অনলাইন বইমেলা—২০২৪' ঘোষণা করব ইনশাআল্লাহ। বরাবরের মতো আপনারা পাশে থাকবেন, প্রত্যাশা করছি। বইমেলায় স্টল পেলে ভালো হতো; কিন্তু ভাগ্যের ওপর তো আমাদের নিয়ন্ত্রণ নাই। আমরা এখনো যোগ্য হয়ে উঠিনি বইমেলার জন্য হয়তো। প্রয়োজনীয় যোগ্যতা অর্জনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ। আমরা কেবল ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টাটাই করতে পারি, পরিশ্রম ও উদ্যোগ নিতে পারি। আমরা ফেব্রুয়ারি মাসে বিপুল সংখ্যক বই পাঠকদের হাতে পৌঁছে দেবো ইনশাআল্লাহ। গার্ডিয়ানের প্রায় ১৭০টি কন্টেন্ট আপনাদের জন্য প্রস্তুত। কথা হবে সন্ধ্যায় ইনশাআল্লাহ।
ইসলাম হাউজ পাবলিকেশন-এর পক্ষ থেকে গার্ডিয়ানের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা বিনিময়৷ ইসলাম হাউজের পরিচালক জনাব হিটলার মিয়া ও মূহাম্মাদ এহতেশাম এবং গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূর মোহাম্মাদ আবু তাহের, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদুল হাসান, জিএম নাজমুল হুদা এসময় পরস্পর শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
মুসলিম ইতিহাসে একজন খলিফা ছিলেন, যিনি পরিচিত ছিলেন ‘পাগলা খলিফা’ নামে। তার নাম ছিল আল হাকিম। মিশরের ফাতেমি খিলাফতের খলিফা ছিলেন তিনি।
আল হাকিমের হুকুমগুলো ছিল খুব অদ্ভুত!
তিনি হুকুম জারি করলেন----দিনের বেলা বাজার বসবে না, বাজার বসবে রাতের বেলা। দিনে দোকানপাট বন্ধ থাকত, রাতে সবাই বাজার করত।
তিনি হুকুম জারি করলেন----নারীরা বাইরে বের হতে পারবে না। দেখা গেল, তার সিদ্ধান্ত অনেক নারী মানছে না। তিনি জুতা প্রস্তুতকারীদের জানিয়ে দিলেন নারীদের জন্য জুতা না বানাতে। জুতা ছাড়া তো নারীরা বাইরে বের হতে পারবে না!
মিশরে তখন বন্যা হতো, বন্যায় অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হতো। আল হাকিম পরিকল্পনা করলেন নীলনদে বাঁধ দিবেন, যাতে বন্যা প্রতিরোধ করা যায়।
তার পরিকল্পনা শুনতে পেলেন একজন বিজ্ঞানী। তিনি জানালেন, ‘আমি নীলনদে বাঁধ দেওয়ার কাজটি করতে পারব।’
বিজ্ঞানী বসরা থেকে কায়রোতে আসলেন। নীলনদ দেখে বুঝতে পারলেন, এটাতে বাঁধ দেওয়ার সাধ্য তার নেই। অক্ষমতা প্রকাশ করলে পাগল খলিফা তাকে হত্যা করবেন।
বিজ্ঞানী ভাবলেন, পাগলের সাথে পাগলামি করবেন।
তিনি পাগল হওয়ার অভিনয় করলেন।
আল হাকিম নির্দেশ দিলেন---- ‘এই পাগলকে বন্দি করো।’
বন্দি হলেন বিজ্ঞানী। মিশরের কারাগারে ১০ বছর ছিলেন। এই সময় তিনি একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার করেন। একদিন তিনি লক্ষ করেন, কারাগারের দেওয়ালের গর্ত দিয়ে আলোর সঙ্গে একটি বস্তুর উলটো প্রতিবিম্ব দেওয়ালে পড়ছে। তার এই ভাবনা পালটে দেয় আলোকবিদ্যার গতিপথ। শুরু হয় আলো নিয়ে এক নতুন পৃথিবীর সূচনা!
জেলে বসে গবেষণা করা সেই বিজ্ঞানী সেই বিজ্ঞানীর নাম ইবনুল হাইসাম! অনেকের মতে তিনি আধুনিক আলোকবিদ্যার জনক।
তার লেখা ৭ খণ্ডের ‘কিতাবুল মানাজির’ বা ‘Book of Optics’ ছিল মধ্যযুগের আলোকবিদ্যার রেফারেন্স বুক।
মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদান এবং বর্তমানের বিজ্ঞান-প্রযুক্তি কীভাবে মুসলিম বিজ্ঞানীদের ওপর নির্ভরশীল, এটা জানতে পড়তে পারেন গার্ডিয়ান প্রকাশিত ‘মুসলিম মস্তিষ্ক: বিজ্ঞানের অনবদ্য গল্প’।