মাইক্রো কাব্য-৪৯
বিপ্রতীপ
———————–
একাকিত্ব আমার খুব পছন্দ
তবু প্রিয়জনকে পাশে চাই।
আলোয় উদ্ভাসিত হতে গিয়ে
আমি ছায়া খুঁজে বেড়াই।
পাহাড় সমান অট্টালিকায় থাকি,
যদিও ভালোবাসি অরন্য!
সভ্যাতার মুখোশের আড়ালে
হৃদয়খানি আমার বন্য।
স্বাধীনতার নামে আমি
চারিদিকে গড়েছি প্রাচীর।
সমাজবদ্ধ জীব হয়েও আমার
সম্পর্ক গুলোতে চিড়।
সাধাসিধে জীবনের অভিলাষ
তবু অর্থ-বিত্তের ভীষণ মোহ,
মুখে বলছি এক কথা আমি
আর কাজকর্মে…
View On WordPress
1 note
·
View note
প্রণয় এবং প্রলয়।।
আমি হতে চেয়েছিলাম এমন এক ভাগাড়
যেনো ছুঁড়ে ফেলে দাও তোমার গল্প আমাতে
নিয়তির অদৃষ্টে লেখা বিধির এ বিধান
তোমার গল্পের কালিতেই পূর্ণতা আমার কলমে
তুমি এমন এক কাব্য
কবির আত্মজীবনী তোমারই হতে ভবিতব্য
তুমি এমন এক স্বপ্ন
কল্পনার অবসান ঘটাতে হয়না দৃষ্টি অবসন্ন
তুমি এমন এক সময়
অর্জয়িতার তর্জন পরাজিতের নিকট হয়ে ওঠে বিজয়
তুমি এমন এক দৃষ্টি
সৃষ্টির শ্রেষ্ঠত্বের সিংহাসনে থাকে বিদ্যমান অতুষ্টি
তুমি এমন এক যুদ্ধ
মুক্তি অর্জনে তবু অবিরুদ্ধতাই আজ লাগে শুদ্ধ
তুমি এমন এক অপেক্ষা
অনন্ত অভিলাষের আকাঙ্ক্ষায় চেয়ে ফিরি তোমারই তিতিক্ষা
তোমাকেই খুঁজে ফিরি আমি
তোমার মাঝেই খুঁজেছি পরিচয়
ধ্বংসের মুখ থেকে ফিরে আসার পথে
তুমিই আমার প্রথম ও শেষ প্রলয়
Barney Redowan | Jul 11, 2023 ; 5:40
0 notes
অন্বেষণ / মুসা আল হাফিজ
মুসা আল হাফিজকে দেখেছেন কোথাও?না কোনো মহাজাগতিক উৎসবে যায়নি যে হারিয়ে ফেলবে প্রত্যাবর্তনের ব্যাকরণ
না কোনো আকাশ তাকে ডেকে বলেনি ‘আয় গল্প করি’নদীগুলো শুকনো দড়ির মতো রুদ্ধবাক, এমন তো নয় যে, তরঙ্গেরাঝাঁক বেধে স্বাগত জানাচ্ছে তাকে!
যেখানে সবগুলো মাঠে সাপ, সেখানে আনন্দের বালিকারাওনেই শতাব্দীর মাঠে। কোথাও কি বাঁশির কান্না শুনা যায়?না যন্ত্রের সন্ত্রাসে সে আওয়াজও শুনছি না!
তাহলে কোথায় গেলেন সেই…
View On WordPress
1 note
·
View note
''Why come to see the moon,
If you’re going to make it rain?''
-bangla metaphor
45 notes
·
View notes
যেন একফালি মেঘভাসা শরৎ আকাশ লতায়পাতায় জড়িয়ে বাঁধা পরে আছে ধুলামাটির পৃথিবীতে। কত কষ্টে মনে পরে সেই মুকুলঝরা বেহায়া বসন্তের বেলা । পলাশডালের আড়ালে শুকসারির গান , আর তোমার নূপুর নিক্বণের পিছু পিছু এসে পরা শিমুল তুলোর দেশের ভারি অসভ্য এক দস্যি দখিন হাওয়া , সে যেন কত কালের কথা । মাথা চুলকে আরো কিছু মনে পরার আগেই শুকনো রাধাচূড়ার লালটুকু বুকে আগলে ধরে ছাদের পাশ কেটে সূর্যখানা পাটে যায় । সাঁঝবেলার বেলফুলের মত দুটি ছোট্ট তারা হাত ধরাধরি করে আকাশের লালনীল আলো আঁধারির ভেতরে কানামাছি খেলে আর তক্ষুনি তোমার কথাটা মনে পরে যায় ...."বসন্তের সূর্য তো , অনেক রং টং পাল্টে তবেই ডুববে ..এমনি এমনি নয়"। জানলার বাইরে শুক্লপক্ষের চাঁদ পানপাতায় মুখ ঢেকে হেসেছিল ঠোঁট চেপে । বাইরে ভরাট জোছনা যেন আকালের দেশের অকাল কোজাগরী ,
দোল পূর্নিমাটা যে ঠিক কবে , আমার খেয়াল পরেনা...।।
(@thesongoffadingaway অনেক অনেক ধন্যবাদ ছবিটার জন্য 🥺❤️)
26 notes
·
View notes
শহুরে রাস্তা তোমারি হয়ে হয়ে গেল
যে গলিতেই যাই, ভাবি তুমি সাথে থাকলে কেমন হতো!
শীত গড়িয়ে গরমের যে আদর
তার বিরক্তিও দেখা ছিল একটু বাকি
তোমার আমার জীবনকাল একসাথে কাটলেই পারতো বাকি।
যাক,
দুঃখের দীর্ঘশ্বাস তো অনেক দূর যায়,
তোমার ভাল থাকা, সে তো আমি বিনাই হয়।
কোন এক রাস্তায় আবার দেখা হবে,
হয়তো।
রাস্তা আমাদের রেখে আর দূরে যাবে না,
হয়তো।
দুপুর ১:৫০,
ঢাকা।
০২/০৩/২৪
20 notes
·
View notes
আমি আবার কবিতা লিখবো
— তারা (casper)
আমি আবার কবিতা লিখবো।
দু-পাঁচটা শব্দ জুড়ে, ছন্দে ছন্দে।
বৃষ্টিতে ভিজে, এক কাপ চা হাতে
আলতো করে চুল সরিয়ে ,ভিজে হাতে,
আবার কবিতা লিখবো।
তবে এবার পাশে তোমাকে রেখে নয়
মাথায় রেখে লিখবো।
প্রতিটা গল্প কাব্য জুড়ে যার নাম,
তাকে, পাশে নয় বোকা মাথায় রাখতে হয়।
তাই মাথায় রেখেই কবিতা লিখবো।
কাগজ ভিজে লিখাগুলো মুছে যাচ্ছে,
যাক! তবে কি আর মাথা থেকে মুছে নাকি?
ওই ভিজে পাতার ফাঁকে, লুকিয়ে রেখে কবিতা লিখবো।
তোমাকে পড়তে দিবো না।
কক্ষনো না।
আমি কবিতা লিখবো।
তোমার নামে।
বৃষ্টির গর্জনে, মাটির ভেজা গন্ধে
ছাদের কার্নিশের নিচে বসে লেখা শত কবিতা
সবই তো তোমার নামে।
আমি তাই তোমার নামে আমার আপন অক্ষরে সাজানো কবিতা লিখবো।
তোমার আর আমার শেষ কবিতা।
19 notes
·
View notes
মাইক্রোকাব্য – ৪৮
বিভাজন
———————————–
একদিন তুমি ছিলে,
আমার খুব কাছের একজন।
অন্তরের সবচেয়ে গভীরে,
তোমাকে দিয়েছিলাম স্থান।
আজ তুমি কোথায় তুমি,
জানি না সে খবর।
কোথায় তুমি হারিয়ে গেলে?
বাস কর কোন শহর?
তোমার আমার মাঝে আজ,
দূরত্ব যোজন যোজন।
জানিনা কখন, কিভাবে হল,
আমাদের এই বিভাজন।
তোমার সাথে আবার যদি
দেখা হয়ে যায় কোথাও,
আমার মুখখানি চিনতে পারবে?
নামি ভুলে গেছ সেটাও?
রচনাকাল: ১৪ জুলাই ২০২৩
View On WordPress
1 note
·
View note
নিরিবিলি এক বেলী ফুল।।
নিরিবিলি একেলা বেলী ফুল
ঝরে গেলেও নেই যে কোথাও
কারও কোনও ভ্রুক্ষেপ।
অহেতুক অভিলাষই তো ভুল
এ যেন এক অযাচিত
বিস্মৃতিপূর্ণ আবেগ।
তবুও এই ভুলে খুঁজে ফিরি
আশা নিরাশার ক্ষণ নীর
নিশ্চেষ্ট ভয়-ডর।
সেই নীরে ক্ষণকালের বারি
কার কি এসে যায়, উড়ে যাক
তাশপাতার ঘর।
Barney Redowan | Mar 31, '23
0 notes
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষের কবিতার মতো ভালোবাসা চেয়েছিলাম, তুমি Pythagoras theorem এর মতো সারা জীবন সবকিছু প্রমাণ করাটাই কর্তব্য বানিয়ে দিলে।
— ০৩.০৪.২০২৪
5 notes
·
View notes
তোমায় ভালোবাসি / সাইফ আলি
রাখতো এলোমেলো শব্দ পাশাপাশিসহজে বলো, আমি তোমায় ভালোবাসিনা হয় ঘৃণা করি তবুও পায়ে ধরিমাথাটা খেয়ো না তো করো না কাশাকাশি।
ওসব তোতলামি থাকে না বেশিদিনবুকের বামপাশে হঠাৎ চিনচিনব্যথাটা বেশিদিন থাকে না চুপ করেক্রমেই যায় বেড়ে। তুখোড় প্রেমচাষী
হারায় আগ্রহ; হয়না বিশ্বাস?মানিয়ে চলতেই ওঠে নাভিশ্বাস,তায়চে ভালো হয় নীরবে কেটে পড়োখামাখা বাড়িও না লোকের হাসাহাসি।
তবুও দমবে না? এ প্রেম কমবে না?তাহলে কাছে আসো, না…
View On WordPress
0 notes
আমি মাঝে মাঝে নিজের বিরুদ্ধে কবিতা লিখতাম।
-আমার কলেজ ডেস্ক এ খোঁচা তুচ্ছ একটা পঙক্তি।
'I used to write poems against my own will'. - a trivial line etched in my college desk
9 notes
·
View notes
সাক্ষী ছিল অশ্বত্থতল, বাগানবিলাস ছায়া,
সাক্ষী ছিল পুজোর ভিড়ে নীলচে শাড়ির মায়া ।
সাক্ষী ছিল ঝর্ণা কলম, হলদে চিঠির খাম,
সাক্ষী ছিল চুলের মাঝে চিবোনো চুইংগাম ।
সাক্ষী ছিল অস্তরাগে সাবধানী চুম্বন,
সাক্ষী ছিল কোকিলডাকা একলা শালের বন।
সাক্ষী ছিল চিঠির ছাই আর শেষ সেবারের দেখা,
সাক্ষী ছিল ধার নেওয়া সেই বাংলা সহায়িকা।
সাক্ষী ছিল স্তব্ধ ঘরে রক্তিম এক ছুরি,
সাক্ষী ছিল ছাদের কোণে একলা ভেজা ঘুড়ি।
সাক্ষী ছিল মেঘের তলায় মুখ লুকোনো তারা।
সাক্ষী দেয়নি কাজলনয়ন, বিফল অশ্রুধারা।
23 notes
·
View notes